'চরমপত্র' খ্যাত ব্যক্তিত্ব হচ্ছেন-
A
মাওলানা ভাষানী
B
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
C
এম . আর . আখতার মুকুল
D
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী
উত্তরের বিবরণ
"চরমপত্র" খ্যাত ব্যক্তিত্ব হচ্ছেন এম. আর. আখতার মুকুল। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত সাহিত্যিক এবং সমাজ সংস্কারক। "চরমপত্র" তাঁর একটি গুরুত্বপূর্ণ রচনা, যা সমাজের অন্ধবিশ্বাস, কুসংস্কার, এবং ধর্মীয় গোঁড়ামির বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করে। তাঁর লেখায় সামাজিক অবক্ষয়ের প্রতিবাদ এবং মানবতার প্রতি তাঁর গভীর দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত হয়েছে।
-
এম. আর. আখতার মুকুলের সাহিত্যকর্ম: তিনি বাংলা সাহিত্যের একজন প্রথিতযশা লেখক, যার লেখায় সমাজের নানা অন্ধকার দিক উন্মোচন করা হয়েছে। তাঁর অন্যতম উল্লেখযোগ্য কাজ "চরমপত্র"।
-
"চরমপত্র": এই বইটি ছিল এক ধরনের সমাজ সমালোচনা, যেখানে তিনি অন্ধবিশ্বাস ও ধর্মীয় মৌলবাদী মনোভাবের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী বক্তব্য রেখেছিলেন।
-
প্রভাব: তাঁর রচনা সমাজের প্রচলিত রীতিনীতি ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টি করেছিল, যা তখনকার তরুণ সমাজের মধ্যে বেশ প্রভাব ফেলেছিল।
এই কারণেই এম. আর. আখতার মুকুল কে "চরমপত্র" খ্যাত ব্যক্তিত্ব হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
0
Updated: 4 days ago
ভারত কর্তৃক সিকিম সংযুক্ত হয়—
Created: 3 weeks ago
A
১৯৭০
B
১৯৭২
C
১৯৭৫
D
১৯৭৭
সিকিম ভারতের একটি ছোট ও সুন্দর রাজ্য, যা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি হিসেবে পরিচিত। পৃথিবীর তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘার পাদদেশে অবস্থিত এই রাজ্য সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৬,০০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত।
ছোট আয়তনের (৭,০৯৬ বর্গ কিলোমিটার) সিকিম ভারতের দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম রাজ্য এবং এর রাজধানী হলো গ্যাংটক। সিকিম প্রথমে স্বাধীন অঞ্চল হলেও বিভিন্ন রাজনৈতিক ঘটনার পর ১৯৭৫ সালে এটি ভারতের প্রজাতন্ত্রের অংশে পরিণত হয়।
-
রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রেক্ষাপট: ১৯৭৩ সালে সিকিমে নির্বাচনের ফলাফলে অসন্তুষ্ট হয়ে ভোট কারচুপির অভিযোগ আনে লেন্ডুপ দর্জি নেতৃত্বাধীন সিকিম ন্যাশনাল কংগ্রেস। এর ফলে দেশব্যাপী তীব্র আন্দোলন শুরু হয়, যা একসময় রাজতন্ত্রের পতনের দিকে মোড় নেয়।
-
১৯৭৪ সালে পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং নির্বাচনে লেন্দুপ দর্জি অস্বাভাবিক ব্যবধানে বিজয় লাভ করেন। ৩২টি আসনের মধ্যে ৩১টি আসনেই তার দল জয়ী হয়। এর পর লেন্দুপ দর্জি হন সিকিমের প্রধানমন্ত্রী, আর চোগিয়াল সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে থাকেন।
-
১৯৭৫ সালের ২৭ মার্চ লেন্দুপ দর্জি কেবিনেট মিটিংয়ে রাজতন্ত্র বিলোপের বিষয়ে সাজানো গণভোটের আয়োজন করেন। এই গণভোটের ফলাফলে চোগিয়াল পদের অবসান ঘটে।
-
এর পর, ২৬ এপ্রিল ১৯৭৫ সিকিমকে ভারতের ২২তম রাজ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
0
Updated: 3 weeks ago
কোথায় ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক অবস্থিত?
Created: 3 weeks ago
A
লন্ডন
B
প্যারিস
C
ব্রাসেলস
D
ফ্রাঙ্কফুর্ট
ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ECB) হল ইউরো মুদ্রার কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রক এবং এটি মূলত ইউরোজোনের আর্থিক নীতি পরিচালনা করে। এর উদ্ভব এবং কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা নিম্নরূপ:
-
ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রাথমিক ধারণা এসেছে ১৯৮৮ সালে, যখন Economic and Monetary Union (EMU) গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
-
১৯৯৪ সালে European Monetary Institute (EMI) প্রতিষ্ঠিত হয়, যা ECB-এর পূর্বসূরী হিসেবে কাজ করে।
-
১ জুন, ১৯৯৮ সালে আমস্টারডাম চুক্তির মাধ্যমে ECB আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়, EMI-এর উত্তরসূরী হিসেবে।
-
১ জানুয়ারি ১৯৯৯ সালে EU অঞ্চলে একক মুদ্রা 'ইউরো' চালু করা হয়।
-
ECB-এর সদরদপ্তর জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে অবস্থিত।
ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মূল কার্যাবলী হলো:
-
EU অঞ্চলে একটি স্থিতিশীল ব্যাংকিং পরিবেশ নিশ্চিত করা।
-
মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা এবং অর্থনীতির স্থিতিশীলতা রক্ষা করা।
-
নিরাপদ ব্যাংকিং ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
-
ইউরো নোট ইস্যু ও সরবরাহ করা।
-
ইউরো মুদ্রার বিনিময় হার নির্ধারণ করা।
অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সম্পর্কিত তথ্য:
-
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদরদপ্তর স্ট্রাসবার্গ, ব্রাসেলস এবং লুক্সেমবার্গে অবস্থিত।
-
EU-এর সদর দপ্তর বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে।
-
বর্তমানে EU-এর সদস্য দেশ সংখ্যা ২৭টি।
0
Updated: 3 weeks ago
'বেল্ট অ্যান্ড রোড' কার্যক্রম শুরু হয় :
Created: 3 weeks ago
A
২০০০ সাল
B
২০০১ সাল
C
২০১৩ সাল
D
২০১৬ সাল
‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (BRI)’ হলো চীন প্রবর্তিত একটি বৃহৎ আন্তর্জাতিক উদ্যোগ, যা মূলত ভৌত অবকাঠামো ও বিনিয়োগের মাধ্যমে এশিয়া, ইউরোপ এবং অন্যান্য অঞ্চলে সংযোগ স্থাপন ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্য নিয়ে তৈরি। এই প্রকল্পকে ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড বা নিউ সিল্ক রোড নামেও বলা হয়।
-
প্রবর্তন: ২০১৩ সালে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং প্রথম এই প্রকল্পের বিষয়টি প্রকাশ করেন।
-
উদ্দেশ্য: উন্নয়ন এবং বিনিয়োগ উদ্যোগের বিস্তৃত সংগ্রহের মাধ্যমে পূর্ব এশিয়া এবং ইউরোপকে ভৌত অবকাঠামো দিয়ে সংযুক্ত করা।
-
বিশ্বব্যাংকের বিশ্লেষণ: মে ২০১৮ থেকে, বিশ্বব্যাংক গ্রুপ ১৯টি ব্যাকগ্রাউন্ড পেপারের সিরিজ প্রকাশ করেছে এবং একটি সারসংক্ষেপ প্রতিবেদন তৈরি করেছে, যা বাণিজ্য, বিনিয়োগ, ঋণ, সংগ্রহ, পরিবেশ, দারিদ্র্য হ্রাস এবং অবকাঠামোর সাথে BRI-এর সম্পর্কের স্বাধীন বিশ্লেষণ প্রদান করে।
-
PGII পরিকল্পনা: চীনের BRI-এর মোকাবিলায় জি-৭ভুক্ত দেশসমূহ নতুন একটি পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে, যার নাম PGII (Partnership for Global Infrastructure and Investment)।
-
উদ্দেশ্য ও অংশীদারিত্ব: PGII প্রকল্পের মাধ্যমে চীনকে মোকাবিলা করে বৈশ্বিক অবকাঠামো ও বিনিয়োগ অংশীদারিত্ব তৈরি করা হয়েছে। প্রকল্প গ্রহণকারী সংস্থা হলো G7।
-
জি-৭ সম্মেলন: ৪৮তম জি-৭ শীর্ষ সম্মেলন ২০২২ সালের ২৬-২৮ জুন জার্মানির ব্যাভারিয়ান রাজ্যের শ্লোস এলমাই শহরে অনুষ্ঠিত হয়।
0
Updated: 3 weeks ago