'মেইন ক্যাম্প' এর লেখক-
A
রুজভেল্ট
B
এডলফ হিটলার
C
উড্রো উইলসন
D
ট্রু ম্যান
উত্তরের বিবরণ
"মেইন ক্যাম্প" (Mein Kampf) বইটির লেখক হলেন এডলফ হিটলার। এটি হিটলারের আত্মজীবনী এবং তার রাজনৈতিক মতাদর্শের পরিচয় দেয়। এই বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯২৫ সালে এবং এটি হিটলারের নাজি দলের আদর্শ প্রতিষ্ঠার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে দাঁড়ায়।
-
আত্মজীবনী: "মেইন ক্যাম্প" হিটলারের জীবন ও তার রাজনৈতিক সংগ্রামের বর্ণনা দেয়।
-
রাজনৈতিক আদর্শ: বইটিতে হিটলার তার জাতি, রাজনৈতিক দর্শন, ইহুদি বিদ্বেষ এবং আধিকারিক দর্শনের ওপর বিশদ আলোচনা করেছেন।
-
প্রকাশকাল: বইটি ১৯২৫ সালে প্রথম প্রকাশিত হয় এবং হিটলারের রাজনৈতিক অবস্থান প্রতিষ্ঠার একটি হাতিয়ার হয়ে ওঠে।
-
জাতীয় সমাজতন্ত্র: বইটির মাধ্যমে হিটলার তার নাজি আদর্শ প্রচার করেন এবং এটি তার রাজনীতির ভিত্তি গঠন করে।
-
আন্তর্জাতিক প্রভাব: "মেইন ক্যাম্প" বিশ্ব ইতিহাসের একটি বিতর্কিত বই হিসেবে বিবেচিত, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পেছনে একটি তাত্ত্বিক ভিত্তি তৈরি করেছিল।
এডলফ হিটলারের এই বইটি তার ক্ষমতা লাভ এবং পরবর্তীতে নাজি জার্মানির প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
0
Updated: 4 days ago
সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করে যাওয়া পাকিস্তানের উপ প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী, ইসহাক দার পাকিস্তানের কোন্ রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত?
Created: 2 weeks ago
A
পাকিস্তান পিপলস পাটি (PPP)
B
পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ (PTI)
C
পাকিস্তান মুসলিম লীগ (নওয়াজ)
D
জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তান
পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ ইসহাক দার সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করেছেন। তিনি পাকিস্তান মুসলিম লীগ (নওয়াজ) দলের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা এবং দলের প্রধান নওয়াজ শরীফের বেয়াই।
ইসহাক দার একজন অভিজ্ঞ পাকিস্তানি রাজনীতিবিদ, বর্তমানে তিনি পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও উপপ্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন (২০২৪ সাল থেকে)।
-
তিনি পাকিস্তান মুসলিম লীগ (নওয়াজ) দলের কেন্দ্রীয় নেতা।
-
২৩ আগস্ট ২০২৫ তারিখে তিনি দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় আসেন।
-
১৩ বছর পর কোনো পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর এটি। এর আগে ২০১৩ সালে হিনা রব্বানি খার ঢাকায় এসেছিলেন।
-
এই সফরটি মূলত রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উভয় উদ্দেশ্যেই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
-
সফরকালে তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন।
-
আলোচনায় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়ন এবং সার্ক পুনরুজ্জীবনের বিষয় গুরুত্ব পায়।
-
সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি ও চারটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
0
Updated: 2 weeks ago
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শৈশবে কোন বিদ্যালয়ে তাঁর পাঠ শুরু করেন?
Created: 4 days ago
A
গোপালগঞ্জ প্রাথমিক বিদ্যালয়
B
শ্রীরামকান্দি প্রাথমিক বিদ্যালয়
C
টুঙ্গিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়
D
গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শৈশবকাল বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় কেটেছে। ছোটবেলায় তিনি যে বিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু করেছিলেন, তা তার প্রাথমিক শিক্ষার ভিত্তি স্থাপন করেছিল। শেখ মুজিবুর রহমানের প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয় গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়-এ, যেখানে তিনি মৌলিক শিক্ষার সঙ্গে শৃঙ্খলা, নৈতিক শিক্ষা এবং সামাজিক মূল্যবোধের প্রথম পাঠ গ্রহণ করেন।
-
প্রাথমিক শিক্ষার গুরুত্ব: গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের প্রাথমিক শিক্ষা তার später জীবনের নেতৃত্বগুণ ও রাজনৈতিক চেতনা গঠনে ভূমিকা রেখেছে।
-
শিক্ষার পরিবেশ: বিদ্যালয়টি ছোট অথচ সামাজিকভাবে সক্রিয় সম্প্রদায়ের মধ্যে অবস্থিত ছিল, যা শিশুকাল থেকেই তার মধ্যে মানুষের প্রতি সহমর্মিতা ও দায়িত্ববোধ সৃষ্টি করেছিল।
-
বিদ্যালয়ের অবকাঠামো ও পাঠ্যক্রম: সেই সময়ের বিদ্যালয়ে মৌলিক বাংলা, ধর্মশিক্ষা, গণিত ও নৈতিক শিক্ষার ওপর জোর দেওয়া হতো, যা শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব গঠনে সহায়ক হয়েছিল।
-
শৈশবের শিক্ষা ও নেতৃত্ব: প্রাথমিক শিক্ষার মাধ্যমে শেখ মুজিবুর রহমানের মধ্যে চিন্তাশীলতা, বিশ্লেষণ ক্ষমতা এবং সামাজিক সমস্যার প্রতি আগ্রহ জন্মায়, যা পরবর্তীতে স্বাধীনতার সংগ্রামে তার নেতৃত্ব প্রদর্শনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
স্মৃতিচারণ: বঙ্গবন্ধুর জীবনী ও বিভিন্ন ইতিহাস গ্রন্থে উল্লেখ আছে, যে তিনি ছোটবেলায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং সহপাঠীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন, যা তার মানুষের প্রতি দয়া ও সংবেদনশীলতার দিককে আরও দৃঢ় করেছিল।
সংক্ষেপে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শিক্ষা যাত্রা শুরু হয়েছিল গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়-এ, যা তার ব্যক্তিত্ব, নৈতিক চেতনা এবং নেতৃত্বগুণের ভিত্তি তৈরি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এটি তার শৈশবকালীন শিক্ষা ও জীবনের প্রথম শিক্ষামূলক অভিজ্ঞতার প্রতিফলন।
0
Updated: 4 days ago
বাংলাদেশের সবচেয়ে ছোট জেলা কোনটি?
Created: 1 week ago
A
নাটোর
B
নারায়ণগঞ্জ
C
নরসিংদী
D
বগুরা
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা আয়তন ও জনসংখ্যার দিক থেকে বৈচিত্র্যময়। প্রতিটি জেলার নিজস্ব বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা দেশকে ভৌগোলিক ও সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধ করেছে।
-
আয়তনে সবচেয়ে ছোট জেলা – নারায়ণগঞ্জ:
নারায়ণগঞ্জ জেলা বাংলাদেশের শিল্পনগরী হিসেবে পরিচিত। এর আয়তন ৬৮৩.১৪ বর্গকিলোমিটার (২৬৩.৭৬ বর্গমাইল)। এটি “প্রাচ্যের ডান্ডি” নামে বিখ্যাত, কারণ এখানে সোনালী আশঁ বা পাট শিল্পের বিকাশ ঘটেছিল। রাজধানীর খুব কাছাকাছি হওয়ায় এটি অর্থনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জেলা। -
আয়তনে বড় জেলা – রাঙামাটি:
রাঙামাটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জেলা, যার আয়তন প্রায় ৬,১১৬.১৩ বর্গকিলোমিটার। এটি পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে অবস্থিত এবং পাহাড়, হ্রদ ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। কাপ্তাই হ্রদ ও জাতীয় উদ্যান রাঙামাটির প্রধান আকর্ষণ। -
জনসংখ্যায় সবচেয়ে বড় জেলা – ঢাকা:
ঢাকা জেলা দেশের সবচেয়ে জনবহুল জেলা, কারণ এটি রাজধানী ও বাণিজ্যিক কেন্দ্র। এখানকার জনসংখ্যার ঘনত্ব অত্যন্ত বেশি এবং দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রধান কেন্দ্র হিসেবে এর গুরুত্ব অপরিসীম। -
জনসংখ্যায় সবচেয়ে ছোট জেলা – বান্দরবান:
পার্বত্য চট্টগ্রামের একটি জেলা বান্দরবান জনসংখ্যায় সবচেয়ে কম। এখানে বেশিরভাগ মানুষ পাহাড়ি জাতিগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পাহাড়, জলপ্রপাত ও পর্যটন কেন্দ্রের জন্য বান্দরবান বিশেষভাবে পরিচিত।
0
Updated: 1 week ago