মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে কতটি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল?
A
১১টি
B
১০টি
C
৭টি
D
৫টি
উত্তরের বিবরণ
মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রতিরক্ষা পরিকল্পনার অংশ হিসেবে, সশস্ত্র বাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধাদের সুবিধার্থে এবং কার্যকরীভাবে যুদ্ধ পরিচালনার জন্য বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল। প্রতিটি সেক্টরের একটি নিজস্ব কমান্ডার ছিল, যিনি সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধাদের নেতৃত্ব দিতেন।
এগুলো ছিল সেক্টরের নাম এবং তাদের কার্যক্রম:
-
প্রতিটি সেক্টরের নিজস্ব জোন ছিল, যেখানে মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধের বিভিন্ন শাখায় কাজ করতেন।
-
সেক্টরগুলো মধ্যে প্রত্যেকে স্থানীয় জনগণের সাহায্য ও প্রতিরোধ কর্মসূচি পরিচালনা করত।
-
সেক্টরগুলো ছিল প্রতিরোধের জায়গা, যেখানে শত্রু বাহিনীর আক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষা করা হত।
-
সেক্টরগুলোর মধ্যে ছিল যোদ্ধাদের জন্য প্রশিক্ষণ শিবির, চিকিৎসা কেন্দ্র এবং অস্ত্র সংগ্রহের স্থান।
-
সেক্টরগুলির কার্যক্রম ছিল যুদ্ধের বিভিন্ন দিক যেমন যুদ্ধ কৌশল, যন্ত্রপাতির মেরামত এবং রসদ সরবরাহের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
অতএব, মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল।
উ. ক) ১১টি
0
Updated: 4 days ago
মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকা শহর কোন্ সেক্টরের অন্তর্ভুক্ত ছিল?
Created: 3 weeks ago
A
২ (দুই) নম্বর
B
৩ (তিন) নম্বর
C
৪ (চার) নম্বর
D
৫ (পাঁচ) নম্বর
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সামরিক কৌশলকে কার্যকরভাবে পরিচালনার জন্য তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের পুরো ভূখণ্ডকে ১১টি সেক্টর বা রণাঙ্গনে ভাগ করা হয়েছিল। প্রতিটি সেক্টরের দায়িত্বে একজন সেক্টর কমান্ডার ছিলেন এবং সুবিধাজনক যুদ্ধ পরিকল্পনার জন্য প্রতিটি সেক্টরকে আবার কয়েকটি সাব-সেক্টরে বিভক্ত করা হয়েছিল। সাব-সেক্টরের দায়িত্বে থাকতেন একজন করে কমান্ডার। নিচে সেক্টরভিত্তিক তথ্য তুলে ধরা হলো।
-
২ নং সেক্টর: ঢাকা, কুমিল্লা, ফরিদপুর ও নোয়াখালি জেলার অংশ নিয়ে গঠিত। বাহিনী গঠিত হয় ৪র্থ ইস্ট বেঙ্গল, কুমিল্লা ও নোয়াখালির ইপিআর সদস্যদের দ্বারা। সদরদপ্তর ছিল আগরতলার মেলাঘরে। এখানে ৬টি সাব-সেক্টর ছিল। কমান্ডার ছিলেন প্রথমে মেজর খালেদ মোশাররফ এবং পরে মেজর এ.টি.এম হায়দার।
-
১ নং সেক্টর: ফেনী নদী থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটি ও ফেনী পর্যন্ত বিস্তৃত। এপ্রিল–জুন পর্যন্ত কমান্ডার ছিলেন মেজর জিয়াউর রহমান এবং জুন–ডিসেম্বর পর্যন্ত মেজর রফিকুল ইসলাম। এই সেক্টর ৫টি সাব-সেক্টরে বিভক্ত ছিল।
-
৩ নং সেক্টর: হবিগঞ্জ, আখাউড়া–ভৈরব রেললাইন থেকে পূর্বদিকে কুমিল্লার কিছু অংশ, কিশোরগঞ্জ ও ঢাকার কিছু এলাকা অন্তর্ভুক্ত ছিল। এপ্রিল–সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কমান্ডার ছিলেন মেজর কেএম শফিউল্লাহ এবং সেপ্টেম্বর–ডিসেম্বর পর্যন্ত মেজর এএনএম নুরুজ্জামান। এখানে ৭টি সাব-সেক্টর ছিল।
-
৪ নং সেক্টর: সিলেট জেলার অংশবিশেষ নিয়ে গঠিত, যেখানে ৬টি সাব-সেক্টর ছিল। মে–ডিসেম্বর পর্যন্ত কমান্ডার ছিলেন মেজর সিআর দত্ত এবং পরে ক্যাপ্টেন এ রব।
-
৫ নং সেক্টর: বৃহত্তর ময়মনসিংহ সীমান্ত ও সিলেটের কিছু অঞ্চল নিয়ে গঠিত। কমান্ডার ছিলেন মেজর মীর শওকত আলী। এখানে ৬টি সাব-সেক্টর ছিল।
-
৬ নং সেক্টর: দিনাজপুরের ঠাকুরগাঁও মহকুমা এবং ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী অঞ্চল বাদে সমগ্র রংপুর অন্তর্ভুক্ত ছিল। কমান্ডার ছিলেন উইং কমান্ডার এমকে বাশার। এখানে ৫টি সাব-সেক্টর ছিল।
-
৭ নং সেক্টর: রাজশাহী, পাবনা, সমগ্র বগুড়া, দিনাজপুরের দক্ষিণাংশ এবং রংপুরের কিছু অংশ অন্তর্ভুক্ত। কমান্ডার ছিলেন মেজর নাজমুল হক, সুবেদার মেজর এ রব ও মেজর কাজী নুরুজ্জামান (পরে লে. কর্নেল)। এখানে ৯টি সাব-সেক্টর ছিল।
-
৮ নং সেক্টর: কুষ্টিয়া, যশোর, সাতক্ষীরা সড়ক পর্যন্ত খুলনা ও ফরিদপুরের কিছু অঞ্চল নিয়ে গঠিত। এপ্রিল–আগস্ট পর্যন্ত কমান্ডার ছিলেন মেজর আবু ওসমান চৌধুরী এবং আগস্ট–ডিসেম্বর পর্যন্ত মেজর এম এ মঞ্জুর। এখানে ৭টি সাব-সেক্টর ছিল।
-
৯ নং সেক্টর: পটুয়াখালী, বরিশাল ও খুলনার কিছু অংশ অন্তর্ভুক্ত। ডিসেম্বরের শুরু পর্যন্ত কমান্ডার ছিলেন মেজর এম এ জলিল, তারপর মেজর জয়নাল আবেদীন। অতিরিক্ত দায়িত্বে ছিলেন মেজর এম এ মঞ্জুর। এখানে ৩টি সাব-সেক্টর ছিল।
-
১০ নং সেক্টর: সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চল ও নৌ কমান্ডো অপারেশনের দায়িত্বে ছিল। এখানে কোনো নিয়মিত সাব-সেক্টর বা সেক্টর কমান্ডার ছিল না। এটি সরাসরি প্রধান সেনাপতির নিয়ন্ত্রণাধীন বিশেষ বাহিনী হিসেবে কাজ করত।
-
১১ নং সেক্টর: ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল জেলা (কিশোরগঞ্জ ছাড়া) অন্তর্ভুক্ত ছিল। এপ্রিল–জুন পর্যন্ত কমান্ডার ছিলেন মেজর জিয়াউর রহমান, পরে মেজর আবু তাহের, এবং এরপর ফ্লাইট লেফট্যান্যান্ট এম হামিদুল্লাহ খান। এখানে ৭টি সাব-সেক্টর ছিল।
0
Updated: 3 weeks ago
বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে মেজর রফিকুল ইসলাম কোন সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন?
Created: 2 months ago
A
১নং সেক্টর
B
২নং সেক্টর
C
৫নং সেক্টর
D
৭নং সেক্টর
মুক্তিযুদ্ধে সেক্টরসমূহ (১–১১)
১নং সেক্টর
-
অঞ্চল: চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা ও নোয়াখালি জেলার মুহুরী নদীর পূর্বাংশ
-
হেডকোয়ার্টার: হরিনাতে
-
সেক্টর প্রধান: প্রথমে মেজর জিয়াউর রহমান, পরে মেজর রফিকুল ইসলাম
-
সৈন্যবাহিনী: প্রায় ১০,০০০ মুক্তিযোদ্ধা (২,০০০ নিয়মিত + ৮,০০০ গণবাহিনী)
-
গেরিলা গ্রুপ: ১৩৭টি
২নং সেক্টর
-
অঞ্চল: ঢাকা, কুমিল্লা, ফরিদপুর, নোয়াখালির কিছু অংশ
-
হেডকোয়ার্টার: আগরতলার মেলাঘর
-
সেক্টর কমান্ডার: প্রথমে মেজর খালেদ মোশাররফ, পরে মেজর এ.টি.এম হায়দার
-
বাহিনী: ৪- ইস্টবেঙ্গল, কুমিল্লা ও নোয়াখালির ইপিআর
৩নং সেক্টর
-
অঞ্চল: চূড়ামনকাঠি থেকে সিলেট, দক্ষিণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিঙ্গারবিল
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর কে.এম শফিউল্লাহ, পরে মেজর এ.এন.এম নূরুজ্জামান
৪নং সেক্টর
-
অঞ্চল: সিলেট জেলার হবিগঞ্জ মহকুমা থেকে কানাইঘাট থানা পর্যন্ত
-
বাহিনী: সিলেটের ইপিআর + ছাত্র মুক্তিযোদ্ধা
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর চিত্তরঞ্জন দত্ত, পরে ক্যাপ্টেন এ রব
-
হেডকোয়ার্টার: প্রথমে করিমগঞ্জ, পরে মাসিমপুর (আসাম)
৫নং সেক্টর
-
অঞ্চল: সিলেট জেলার দুর্গাপুর থেকে ডাউকি (তামাবিল)
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর মীর শওকত আলী
-
হেডকোয়ার্টার: বাঁশতলা
৬নং সেক্টর
-
অঞ্চল: সমগ্র রংপুর জেলা ও দিনাজপুর জেলার ঠাকুরগাঁও
-
সেক্টর কমান্ডার: উইং কমান্ডার এম খাদেমুল বাশার
-
বাহিনী: রংপুর ও দিনাজপুরের ইপিআর
৭নং সেক্টর
-
অঞ্চল: রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, দিনাজপুরের দক্ষিণাংশ
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর নাজমুল হক, পরে সুবেদার মেজর এ. রব ও মেজর কাজী নূরুজ্জামান
-
বাহিনী: ইপিআর + ক্যাপ্টেন গিয়াস ও রশিদের নেতৃত্বে প্রাথমিক অভিযান
৮নং সেক্টর
-
অঞ্চল: এপ্রিল–কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বরিশাল, ফরিদপুর, পটুয়াখালী; মে শেষে সঙ্কুচিত হয়ে কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, সাতক্ষীরা, ফরিদপুরের উত্তরাংশ
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর আবু ওসমান চৌধুরী, পরে মেজর এম.এ মঞ্জুর
৯নং সেক্টর
-
অঞ্চল: বরিশাল, পটুয়াখালী, খুলনা ও ফরিদপুরের অংশবিশেষ
-
হেডকোয়ার্টার: বশিরহাটের নিকটবর্তী টাকি
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর এম.এ জলিল, পরে মেজর এম.এ মঞ্জুর ও মেজর জয়নাল আবেদীন
১০নং সেক্টর
-
বাহিনী: নৌ-কমান্ডো বাহিনী
-
নিয়মিত কমান্ডার: নেই
-
উদ্যোক্তা: ফ্রান্সে প্রশিক্ষণরত পাকিস্তান নৌবাহিনীর আটজন বাঙালি নৌ-কর্মকর্তা
১১নং সেক্টর
-
অঞ্চল: টাঙ্গাইল জেলা ও কিশোরগঞ্জ ব্যতীত ময়মনসিংহ জেলা
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর এম. আবু তাহের; আহত হলে স্কোয়াড্রন লীডার হামিদুল্লাহ দায়িত্ব গ্রহণ
-
হেডকোয়ার্টার: মহেন্দ্রগঞ্জ
সূত্র: বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago
জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর চূড়ান্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশে বসবাসকারী ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে কোন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি?
Created: 2 months ago
A
চাকমা
B
মারমা
C
ত্রিপুরা
D
লুসাই
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
চাকমা / কার্পাস বিদ্রোহ
জনশুমারি ও গৃহ গণনা
ভাষা আন্দোলন
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গ্রন্থ
মুক্তিযুদ্ধে সাত বীরশ্রেষ্ঠ
সেক্টর ও সেক্টর কমান্ডারগণ
জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২: ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী
-
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মোট জনসংখ্যা: ১৬,৫০,৪৭৮ জন।
-
বিভাগভিত্তিক অবস্থান:
-
চট্টগ্রাম বিভাগে সবচেয়ে বেশি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী বাস করে (৬০.০৪%)।
-
বরিশাল বিভাগে সবচেয়ে কম ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী (০.২৫%)।
-
-
বৃহত্তম ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী: চাকমা (৪,৮৩,৩৬৫ জন)।
-
অন্যান্য প্রধান ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী:
-
মারমা: ২,২৪,২৯৯ জন
-
ত্রিপুরা: ১,৫৬,৬২০ জন
-
সাঁওতাল: ১,২৯,০৫৬ জন
-
ওরাওঁ: ৮৫,৮৫৮ জন
-
গারো: ৭৬,৮৫৪ জন
-
তথ্যসূত্র: পরিসংখ্যান ব্যুরোর ওয়েবসাইট।
0
Updated: 2 months ago