প্রোটিনের মৌলিক ইউনিট-
A
Fatty acid
B
Amino acid
C
Cholesterol
D
Glucose
উত্তরের বিবরণ
প্রোটিনের মৌলিক ইউনিট হলো অ্যামিনো অ্যাসিড (Amino acid)।
এখানে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হলো:
-
প্রোটিন হল জীবন্ত কোষের একটি গুরুত্বপূর্ণ রাসায়নিক যা দেহের বিভিন্ন কাজ সম্পাদনে সহায়ক। প্রোটিনের গঠন মৌলিকভাবে একাধিক অ্যামিনো অ্যাসিড দ্বারা হয়ে থাকে।
-
অ্যামিনো অ্যাসিড প্রোটিনের বেসিক ইউনিট, যা একে অপরের সাথে যুক্ত হয়ে পলিপেপটাইড চেইন তৈরি করে এবং সেই চেইন একত্রে প্রোটিন গঠন করে।
-
দেহের প্রোটিন গঠন করতে মোট ২০টি বিভিন্ন অ্যামিনো অ্যাসিড দরকার। কিছু অ্যামিনো অ্যাসিড আবশ্যকীয় (essential), যেগুলো দেহ নিজে তৈরি করতে পারে না এবং খাদ্য থেকে গ্রহণ করতে হয়।
-
ফ্যাটি অ্যাসিড (Fatty acid) এবং কোলেস্টেরল (Cholesterol) হল লিপিডের গঠন উপাদান এবং গ্লুকোজ (Glucose) হলো শর্করা, যা প্রোটিনের মৌলিক ইউনিট নয়।
তাহলে সঠিক উত্তর হলো খ) অ্যামিনো অ্যাসিড (Amino acid)।
0
Updated: 4 days ago
ভুট্টার প্রোটিন জেইন (Zein) কী ধরনের প্রোটিন?
Created: 1 month ago
A
অসম্পূর্ণ প্রোটিন
B
দ্বিতীয় শ্রেণির প্রোটিন
C
সম্পূর্ণ প্রোটিন
D
উচ্চ ঘনত্ববিশিষ্ট প্রোটিন
প্রোটিন (Protein)
-
শব্দের উৎপত্তি: ‘প্রোটিন’ শব্দটি গ্রিক শব্দ প্রোটিওজ (Proteios) থেকে এসেছে, যার অর্থ “সর্বপ্রথম অবস্থান”।
-
যেখানে প্রাণের অস্তিত্ব আছে, সেখানে প্রোটিন রয়েছে। তাই প্রোটিন ছাড়া কোনো প্রাণীর অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না।
-
প্রাণী ও উদ্ভিদ উভয় জগতেই প্রোটিন একটি মুখ্য উপাদান।
-
সব প্রোটিনই কার্বন (C), হাইড্রোজেন (H), অক্সিজেন (O) এবং নাইট্রোজেন (N) দিয়ে গঠিত। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সালফার, ফসফরাস, লৌহ ইত্যাদিও যুক্ত থাকে।
-
প্রোটিনকে ক্ষুদ্র অংশে ভাঙলে প্রথমে অ্যামাইনো এসিড পাওয়া যায় এবং শেষে মৌলিক উপাদান যেমন C, H, O, N ইত্যাদি পাওয়া যায়।
🔹 প্রোটিনের শ্রেণিবিভাগ
উৎস অনুযায়ী
১. প্রাণিজ প্রোটিন → প্রাণিজগৎ থেকে প্রাপ্ত। যেমন: মাছ, মাংস, ডিম, দুধ।
২. উদ্ভিজ্জ প্রোটিন → উদ্ভিদজগৎ থেকে প্রাপ্ত। যেমন: ডাল, বাদাম, সয়াবিন, সিমের বিচি।
অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো এসিডের ভিত্তিতে
১. সম্পূর্ণ বা প্রথম শ্রেণির প্রোটিন
-
যেসব প্রোটিনে দেহের জন্য প্রয়োজনীয় সব অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো এসিড সঠিক অনুপাতে থাকে।
-
উদাহরণ: মাছ, মাংস ইত্যাদি প্রাণিজ প্রোটিন।
২. আংশিক পূর্ণ বা দ্বিতীয় শ্রেণির প্রোটিন
-
যেখানে এক বা একাধিক অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো এসিড পর্যাপ্ত অনুপাতে থাকে না, ফলে দেহের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়।
-
উদাহরণ: চাল, ডাল, আটা, বাদাম, আলু ইত্যাদি।
-
যেমন: ডালে মেথিওনিন, আর চালে লাইসিন কম থাকে।
৩. অসম্পূর্ণ বা তৃতীয় শ্রেণির প্রোটিন
-
যেখানে দেহের জন্য প্রয়োজনীয় সকল অ্যামাইনো এসিড যথেষ্ট পরিমাণে নেই।
-
উদাহরণ: ভুট্টার প্রোটিন জেইন (Zein)।
উৎস: গার্হস্থ্য বিজ্ঞান, নবম–দশম শ্রেণি
0
Updated: 1 month ago