নেগেটিভ রক্তের মাকে প্রথম শিশু জন্ম দেবার পর কোন ইনজেকশন দেয়া হয়?
A
Tetanus
B
MMR
C
Anti D immunoglobulin
D
Oxytocin
উত্তরের বিবরণ
সঠিক উত্তর হলো গ) Anti D immunoglobulin।
নেগেটিভ রক্তের মায়ের ক্ষেত্রে যদি প্রথম শিশু জন্ম নেয় এবং শিশুর রক্তগোষ্ঠী পজিটিভ হয়, তাহলে মায়ের Anti D immunoglobulin ইনজেকশন দেওয়ার প্রয়োজন হয়। এটি গর্ভাবস্থার শেষের দিকে এবং পরবর্তী গর্ভধারণের ক্ষেত্রে গর্ভপাত বা মৃত সন্তান জন্মগ্রহণের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক।
এই ইনজেকশনের গুরুত্ব:
-
Anti D immunoglobulin ইনজেকশন একটি প্লাজমা থেকে তৈরি অ্যান্টিবডি যা রক্তের গ্রুপ নেগেটিভ মায়ের শরীরে Rh+ (পজিটিভ) শিশু জন্ম নেওয়ার পর দেওয়া হয়।
-
এই ইনজেকশনটি মা এবং শিশুর রক্তের মধ্যে Rh incompatibility থেকে উদ্ভূত সমস্যা, যেমন hemolytic disease of the newborn (HDN), প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।
-
প্রথম শিশুর জন্মের পর যদি ইনজেকশন না দেওয়া হয়, তাহলে পরবর্তী গর্ভধারণে, মা যদি আবার Rh+ শিশু জন্ম দেন, তখন তার শরীর অ্যান্টিবডি তৈরি করে এবং এটি শিশুর রক্তকণিকা ধ্বংস করতে পারে, যা শিশুর জীবনসংকট তৈরি করতে পারে।
-
এই ইনজেকশন সাধারণত ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেওয়া উচিত, যাতে এটি মা এবং শিশুর মধ্যে রক্তের প্রতিক্রিয়া প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়।
অন্য বিকল্পগুলো:
-
ক) Tetanus: Tetanus toxoid ইনজেকশন সাধারণত গর্ভবতী মায়েদের জন্য দেওয়া হয়, তবে এটি Anti D immunoglobulin এর মতো Rh incompatibility সমস্যার প্রতিকার করে না।
-
খ) MMR: এটি মিজেলস, মাম্পস ও রুবেলা প্রতিরোধে ব্যবহৃত হয় এবং গর্ভাবস্থায় সাধারণত এটি দেওয়া হয় না।
-
ঘ) Oxytocin: এটি প্রসবের সময় শ্রম বা শিশুর জন্ম প্রক্রিয়াকে দ্রুত করার জন্য ব্যবহৃত হয়, তবে এটি Anti D immunoglobulin এর পরিবর্তে ব্যবহার হয় না।
অতএব, Anti D immunoglobulin ইনজেকশনই নেগেটিভ রক্তের মাকে প্রথম শিশু জন্ম দেওয়ার পর দেওয়া হয়।
0
Updated: 4 days ago
Post Natal Complication কোনটি নয়?
Created: 4 days ago
A
Puerperal Sepsis
B
Influenza
C
Thrombophlebitis
D
Postnatal বা প্রসব-পরবর্তী জটিলতা সাধারণত প্রসবের পর মায়ের শরীরে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন শারীরিক বা সংক্রমণজনিত সমস্যাকে বোঝায়। এই সময় শরীর দুর্বল থাকে এবং জরায়ু, রক্তনালী ও অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। তাই এই সময়ের মধ্যে অনেক ধরনের জটিলতা দেখা দিতে পারে। তবে সব রোগ বা সংক্রমণই এই শ্রেণিতে পড়ে না।
Postnatal complication-এর সাধারণ উদাহরণগুলো হলো:
Puerperal sepsis— এটি একটি গুরুতর সংক্রমণজনিত জটিলতা, যা প্রসবের পর জরায়ু বা জননাঙ্গে জীবাণু প্রবেশের ফলে ঘটে। উচ্চ জ্বর, দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব, পেট ব্যথা ইত্যাদি এর প্রধান লক্ষণ।
Thrombophlebitis— এটি রক্তনালীর প্রদাহ, যা সাধারণত পা বা পেলভিক অঞ্চলে দেখা দেয়। প্রসব-পরবর্তী রক্ত জমাট বাঁধার কারণে এ সমস্যা হয় এবং এটি postnatal complication হিসেবে বিবেচিত।
Secondary haemorrhage— এটি প্রসবের ২৪ ঘণ্টা পর ঘটে যাওয়া অতিরিক্ত রক্তপাতকে বোঝায়। এটি জরায়ুর ভিতরে টিস্যু অবশিষ্ট থাকা বা সংক্রমণের কারণে হতে পারে এবং চিকিৎসা না করলে জীবনহানির ঝুঁকি থাকে।
অন্যদিকে Influenza হলো একটি সাধারণ ভাইরাসজনিত শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ, যা যে কারো হতে পারে এবং এটি প্রসব-পরবর্তী জটিলতার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত নয়। এটি কোনো বিশেষ postnatal physiological পরিবর্তন বা obstetric কারণে হয় না, বরং মৌসুমি ভাইরাস সংক্রমণের ফলাফল।
সুতরাং, Influenza একটি সাধারণ অসুস্থতা হলেও এটি postnatal complication নয়, কারণ এটি প্রসবের সাথে সম্পর্কিত নয় এবং অন্যান্য বিকল্পগুলোর মতো গাইনোকোলজিক বা obstetric জটিলতা নয়।
উ. খ) Influenza
0
Updated: 4 days ago
গর্ভকালীন প্রসূতিবস্থা (ANC) এর সময় কোন ল্যাবরেটরী পরীক্ষা জরুরি নয়?
Created: 4 days ago
A
হিমোগ্লোবিন
B
Urine R/M/E
C
VDRL
D
Cholesterol level
গর্ভকালীন প্রসূতিবস্থা (ANC) হলো গর্ভবতী মহিলার যত্ন নেওয়ার প্রক্রিয়া, যেখানে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে মা ও শিশুর সুস্থতা নিশ্চিত করা হয়। গর্ভাবস্থায় কিছু পরীক্ষার মাধ্যমে গর্ভধারণের সময়ে যে স্বাস্থ্যগত সমস্যা হতে পারে তা আগেই সনাক্ত করা যায়। তবে সব ধরনের পরীক্ষা গর্ভাবস্থার জন্য জরুরি নয়।
এখানে উল্লেখিত পরীক্ষাগুলোর মধ্যে Cholesterol level বা কোলেস্টেরলের স্তরের পরীক্ষা গর্ভকালীন সময়ে জরুরি নয়, তাই সঠিক উত্তর হলো ঘ) Cholesterol level।
এখন বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হলো—
-
হিমোগ্লোবিন (Hemoglobin) পরীক্ষা গর্ভবতী নারীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভাবস্থায় রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়া সাধারণ সমস্যা, যা মা ও শিশুর জন্য বিপদজনক হতে পারে। হিমোগ্লোবিনের স্তর পরীক্ষা করা হয় যাতে রক্তাল্পতা সনাক্ত করা যায় এবং দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা যায়।
-
Urine R/M/E (Urine Routine Microscopy and Examination) পরীক্ষা গর্ভাবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি মূত্রনালীর সংক্রমণ বা প্রোটিনুরিয়া (যা প্রি-এক্ল্যাম্পসিয়া বা অন্যান্য জটিলতা নির্দেশ করতে পারে) সনাক্ত করতে সাহায্য করে।
-
VDRL (Venereal Disease Research Laboratory) পরীক্ষা গর্ভাবস্থায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি সিফিলিস শনাক্ত করতে সাহায্য করে। সিফিলিস untreated থাকলে গর্ভপাত, গর্ভকালীন জটিলতা এবং নবজাতকের জন্য মারাত্মক হতে পারে।
-
Cholesterol level পরীক্ষার প্রয়োজন গর্ভকালীন সময়ে সাধারণত নেই, কারণ সাধারণত গর্ভাবস্থায় কোলেস্টেরলের স্তর স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা পরিবর্তন হলেও এটি কোনো গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি সৃষ্টি করে না। গর্ভাবস্থায় কোলেস্টেরলের মাত্রা উচ্চ হওয়া খুবই বিরল এবং সাধারণত এই ধরনের পরীক্ষার প্রয়োজন হয় না।
-
কেবলমাত্র উচ্চ ঝুঁকির গর্ভবতী মহিলাদের (যেমন, আগে থেকে হৃদরোগের ইতিহাস বা অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সমস্যা) কিছু বিশেষ পরীক্ষার দরকার হতে পারে, তবে সাধারণভাবে কোলেস্টেরলের স্তরের পরীক্ষা গর্ভকালীন সময়ে করার প্রয়োজন নেই।
সবশেষে, বলা যায়, Cholesterol level পরীক্ষা গর্ভাবস্থায় জরুরি নয়, এবং সাধারণভাবে অন্যান্য পরীক্ষাগুলোর মাধ্যমে গর্ভাবস্থার সঠিক যত্ন নেওয়া সম্ভব।
0
Updated: 4 days ago
গর্ভকালীন সময়ে কোন টিকা দিতে হয়?
Created: 4 days ago
A
টিটেনাস
B
MMR
C
হেপাটাইটিস বি
D
রুবেলা
গর্ভকালীন সময়ে মায়ের এবং শিশুর সুস্থতা বজায় রাখতে কিছু নির্দিষ্ট টিকা দেওয়া হয়। এসব টিকা গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন সংক্রমণ ও জটিলতা প্রতিরোধে সাহায্য করে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ টিকাগুলোর মধ্যে টিটেনাস (Tetanus) টিকা রয়েছে, যা গর্ভাবস্থায় দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। তাই সঠিক উত্তর হলো ক) টিটেনাস।
এখন বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হলো:
-
টিটেনাস (Tetanus): গর্ভকালীন সময়ে টিটেনাস টিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি টিটেনাস নামক জীবাণু সংক্রমণ প্রতিরোধ করে, যা গর্ভাবস্থায় মায়ের জন্য খুবই বিপজ্জনক হতে পারে। টিটেনাস এক ধরনের ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ যা সাধারণত ক্ষতস্থানে সংক্রমণ ঘটায়, এবং এটি গর্ভকালীন সময়ে প্রি-টিটেনাস বা টিটেনাস টক্সয়েড ইনফেকশন (Tetanus Toxoid) রোধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
-
গর্ভবতী মহিলাদের জন্য বিশেষভাবে টিটেনাস টক্সইড (TT) টিকা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়, যা সাধারণত প্রথম ট্রাইমিস্টারে এবং দ্বিতীয় ট্রাইমিস্টারে দেওয়া হয়।
-
MMR (Measles, Mumps, Rubella): গর্ভাবস্থায় এই টিকা অন্তত না দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়, কারণ রুবেলা (Rubella) বিশেষত গর্ভাবস্থায় প্রথম ত্রৈমাসিক সময়ে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে, যা গর্ভস্থ শিশুর বিভিন্ন জন্মগত ত্রুটির কারণ হতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় রুবেলা টিকা প্রদান করা হয় না, কিন্তু গর্ভধারণের পূর্বে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
-
হেপাটাইটিস বি (Hepatitis B): গর্ভবতী মহিলাদের জন্য হেপাটাইটিস বি টিকার প্রয়োজন সাধারণত গর্ভধারণের আগে হয়, যদি তারা হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে। তবে গর্ভাবস্থায় এই টিকা প্রয়োজনীয় নয়, কারণ এটি শিশুর প্রতি কোনো ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে না, তবে সাধারণত গর্ভধারণের সময় এটির প্রয়োগ তেমন দেখা যায় না।
-
রুবেলা (Rubella): গর্ভকালীন সময়ে রুবেলা টিকা বিরত থাকা উচিত। এটি গর্ভাবস্থায় আক্রান্ত হলে শিশুর উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে, যেমন জন্মগত ত্রুটি বা গর্ভপাত হতে পারে। রুবেলা টিকা সাধারণত গর্ভধারণের পূর্বে দেওয়া হয়।
সবশেষে, বলা যায়, গর্ভকালীন সময়ে টিটেনাস টিকা (Tetanus) দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি সাধারণত গর্ভাবস্থার প্রথম ও দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে দেওয়া হয়।
0
Updated: 4 days ago