'ব্লাক ফরেস্ট কোন দেশে অবস্থিত?
A
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
B
যুক্তরাজ্য
C
জার্মানি
D
ফ্রান্স
উত্তরের বিবরণ
ব্লাক ফরেস্ট, যা জার্মানিতে অবস্থিত, একটি বিখ্যাত বনাঞ্চল যা দক্ষিণ-পশ্চিম জার্মানিতে সীমিত। এটি মূলত স্বাভাবিক সৌন্দর্য, প্রাণীজীবন এবং পর্যটকদের জন্য জনপ্রিয় একটি স্থান হিসেবে পরিচিত। এই বনাঞ্চলটি তার ঘন গাছপালা এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের জন্য সুপরিচিত, যা একটি বিশেষ রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা প্রদান করে। ব্লাক ফরেস্টের আয়তন প্রায় ৬,০০০ বর্গকিলোমিটার এবং এটি মূলত বাডেন-ভূর্তেমবের্গ রাজ্যে অবস্থিত।
ব্লাক ফরেস্টের বিশেষত্ব হলো:
-
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য: এই বনটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এবং তাতে অনেক ঝর্ণা, পাহাড়, এবং সুন্দর হাইকিং ট্রেইল রয়েছে।
-
পশু ও উদ্ভিদ জীবন: এই বনাঞ্চলে অনেক ধরনের উদ্ভিদ এবং প্রাণী পাওয়া যায়। বিশেষ করে, এটি প্রাণীজীবনের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ আবাসস্থল।
-
পর্যটন: ব্লাক ফরেস্ট এক জনপ্রিয় পর্যটন স্থান, যেখানে বারো মাস ধরে পর্যটকরা বিভিন্ন ধরনের কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করতে পারেন, যেমন হাইকিং, সাইক্লিং, এবং স্কি।
এছাড়া, ব্লাক ফরেস্টের নাম সর্বদা ঐতিহ্যবাহী জার্মান রূপকথার সাথে সম্পর্কিত, যেমন "ব্লাক ফরেস্ট ট্রেডিশন" যা জার্মান ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির একটি অংশ।
এটি অনেক ছোট গ্রামের মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে, যেখানে বেশিরভাগ ঘরগুলি ঐতিহ্যবাহী জার্মান স্থাপত্যের অধীনে নির্মিত।
0
Updated: 4 days ago
বাংলাদেশের রাজনীতি সম্পর্কে একজন আমেরিকান ঐতিহাসিক মন্তব্য করেছেন; 'বাংলাদেশের রাজনীতি ব্যক্তিত্বকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়, ধারনা বা প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র করে নয়" এই ঐতিহাসিকের নাম কি?
Created: 2 weeks ago
A
এন্থনি মাসকারেনহাস
B
লরেঞ্চ জিরিং
C
লরেঞ্চ লিফশূলজ্
D
হেনরি কিসিঞ্জার
অধ্যাপক লরেঞ্চ জিরিং মন্তব্য করেছিলেন যে, বাংলাদেশের রাজনীতি ব্যক্তিত্বনির্ভর, ধারণা বা প্রতিষ্ঠাননির্ভর নয়। এই বক্তব্য তিনি তাঁর গ্রন্থ ‘বাংলাদেশ: মুজিব থেকে এরশাদ: একটি বিশ্লেষণধর্মী ইতিহাস’-এ উপস্থাপন করেন। এতে তিনি বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও নেতৃত্বের চরিত্র বিশ্লেষণ করেছেন।
-
তিনি উল্লেখ করেন, স্বাধীনতার প্রথম বিশ বছরে বাংলাদেশের রাজনীতি মূলত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের নিয়ন্ত্রণে ছিল, যারা জনগণের অনুভূতি প্রকাশে সচেষ্ট ছিলেন, কিন্তু প্রয়োজনীয় প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি বা ধারণাগত কাঠামো তৈরি করতে ব্যর্থ হন।
-
বইটি নিরপেক্ষ ঐতিহাসিক বিশ্লেষণ হিসেবে রচিত, যেখানে ১৯৪০–১৯৯০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক নেতা, তাঁদের শাসনকাল, সাফল্য-ব্যর্থতা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
-
লরেঞ্চ জিরিং আরও “মুজিব, এরশাদ ও হাসিনা: রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের ইতিহাস” নামের গ্রন্থের লেখক।
-
সূত্র: বাংলাদেশ: মুজিব থেকে এরশাদ: একটি বিশ্লেষণধর্মী ইতিহাস, Lawrence Ziring; Link: core.ac.uk, page 124.
0
Updated: 2 weeks ago
বাংলাদেশের অভিবাসী নারী শ্রমিকদের সর্বাধিক গন্তব্যস্থল -
Created: 1 week ago
A
সৌদি আরব
B
কুয়েত
C
ওমান
D
জর্দান
বাংলাদেশের অভিবাসী নারী শ্রমিকরা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। বিদেশে কর্মসংস্থানের মাধ্যমে তারা শুধু নিজেদের পরিবারের আর্থিক অবস্থা উন্নত করছেন না, বরং প্রবাসী আয়ের মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিতেও বড় অবদান রাখছেন। নারী শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের প্রধান ক্ষেত্র হলো গৃহকর্ম, সেবা খাত ও পোশাক শিল্পের সঙ্গে সম্পর্কিত কাজ, যা মূলত মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে চাহিদাসম্পন্ন।
-
বাংলাদেশের অভিবাসী নারী শ্রমিকদের সবচেয়ে বড় গন্তব্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো। সেখানে নারী শ্রমিকদের জন্য তুলনামূলকভাবে বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ বিদ্যমান।
-
এর মধ্যে সৌদি আরবই বাংলাদেশের নারী শ্রমিকদের প্রধান গন্তব্যস্থল। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশের মোট নারী অভিবাসীর প্রায় ৬৫ শতাংশ সৌদি আরবে কর্মরত।
-
সৌদি আরবে গৃহপরিচারিকা, কেয়ারটেকার, শিশু ও বয়স্কদের পরিচর্যা, রান্না-বান্না ও ঘরসংক্রান্ত অন্যান্য কাজে নারী শ্রমিকদের চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
-
দ্বিতীয় সর্বাধিক গন্তব্য হলো জর্ডান, যেখানে প্রায় ২৪ শতাংশ নারী শ্রমিক কাজ করেন। জর্ডানে মূলত পোশাক শিল্প, গৃহকর্ম এবং হোটেল সেবাখাতে নারীদের কর্মসংস্থান হয়।
-
এছাড়াও সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কাতার ও লেবাননসহ মধ্যপ্রাচ্যের আরও কয়েকটি দেশেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী শ্রমিক কাজ করছেন।
বাংলাদেশ সরকার নারী অভিবাসীদের নিরাপদ কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে পূর্ব প্রশিক্ষণ, বিদেশগামী শ্রমিকদের নিবন্ধন, দূতাবাসে সুরক্ষা সেল গঠন এবং নারী অভিবাসীদের অধিকার সুরক্ষা বিষয়ক নীতিমালা প্রণয়ন।
সব মিলিয়ে, বলা যায় যে সৌদি আরব বাংলাদেশের অভিবাসী নারী শ্রমিকদের সর্বাধিক গন্তব্যস্থল, যেখানে তারা কর্মসংস্থানের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে বাংলাদেশের অবস্থানকে আরও সুদৃঢ় করছে।
0
Updated: 1 week ago
ভারত কর্তৃক সিকিম সংযুক্ত হয়—
Created: 3 weeks ago
A
১৯৭০
B
১৯৭২
C
১৯৭৫
D
১৯৭৭
সিকিম ভারতের একটি ছোট ও সুন্দর রাজ্য, যা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি হিসেবে পরিচিত। পৃথিবীর তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘার পাদদেশে অবস্থিত এই রাজ্য সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৬,০০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত।
ছোট আয়তনের (৭,০৯৬ বর্গ কিলোমিটার) সিকিম ভারতের দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম রাজ্য এবং এর রাজধানী হলো গ্যাংটক। সিকিম প্রথমে স্বাধীন অঞ্চল হলেও বিভিন্ন রাজনৈতিক ঘটনার পর ১৯৭৫ সালে এটি ভারতের প্রজাতন্ত্রের অংশে পরিণত হয়।
-
রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রেক্ষাপট: ১৯৭৩ সালে সিকিমে নির্বাচনের ফলাফলে অসন্তুষ্ট হয়ে ভোট কারচুপির অভিযোগ আনে লেন্ডুপ দর্জি নেতৃত্বাধীন সিকিম ন্যাশনাল কংগ্রেস। এর ফলে দেশব্যাপী তীব্র আন্দোলন শুরু হয়, যা একসময় রাজতন্ত্রের পতনের দিকে মোড় নেয়।
-
১৯৭৪ সালে পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং নির্বাচনে লেন্দুপ দর্জি অস্বাভাবিক ব্যবধানে বিজয় লাভ করেন। ৩২টি আসনের মধ্যে ৩১টি আসনেই তার দল জয়ী হয়। এর পর লেন্দুপ দর্জি হন সিকিমের প্রধানমন্ত্রী, আর চোগিয়াল সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে থাকেন।
-
১৯৭৫ সালের ২৭ মার্চ লেন্দুপ দর্জি কেবিনেট মিটিংয়ে রাজতন্ত্র বিলোপের বিষয়ে সাজানো গণভোটের আয়োজন করেন। এই গণভোটের ফলাফলে চোগিয়াল পদের অবসান ঘটে।
-
এর পর, ২৬ এপ্রিল ১৯৭৫ সিকিমকে ভারতের ২২তম রাজ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
0
Updated: 3 weeks ago