২০১৬ সালে সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী কে?
A
আর্থার বি ম্যাকডোনাল্ড
B
সভেতলানা এলাসিভিচ
C
বব ডিলান
D
ডানকান হেলডেম
উত্তরের বিবরণ
নোবেল পুরস্কার বিশ্বের সর্বোচ্চ সম্মানজনক পুরস্কারগুলোর মধ্যে একটি, যা বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসাধারণ অবদানের জন্য প্রদান করা হয়। ২০১৬ সালে সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী ছিলেন বব ডিলান, যিনি মূলত একজন আমেরিকান গানকার, গীতিকার এবং সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে বিশ্ববিখ্যাত। তাঁর গানগুলো কেবল সঙ্গীতের জন্য নয়, বরং সামাজিক, রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক বার্তাও বহন করে। নোবেল কমিটি বিশেষভাবে উল্লেখ করেছে যে, তিনি “নতুন সাহিত্যিক রূপে আমেরিকান গানকে প্রাণবন্ত করেছেন,” যা সাহিত্যের ক্ষেত্রে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও প্রভাব সৃষ্টি করেছে।
-
সঙ্গীত ও সাহিত্যিক প্রভাব: বব ডিলানের গানগুলো সামাজিক আন্দোলন, নাগরিক অধিকার ও রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রতিফলন বহন করে। তার গানের কথায় সাহিত্যিক গভীরতা এবং চিত্রণ ক্ষমতা রয়েছে।
-
গীতিকার হিসেবে অবদান: ডিলানের লেখা গানগুলোতে কবিতা ও কথাসাহিত্যের সূক্ষ্ম সমন্বয় লক্ষ্য করা যায়, যা তাকে এক অনন্য সাহিত্যিক পরিচয় প্রদান করে।
-
সাহিত্যে স্বীকৃতি: নোবেল পুরস্কার কমিটি তার কাজকে গান ও কথার মাধ্যমে সাহিত্যিক শিল্পের প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান হিসেবে মূল্যায়ন করেছে।
-
সামাজিক প্রভাব: তার গান ও কাব্য পাঠকদের মধ্যে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রেরণার উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে।
-
পুরস্কারের গুরুত্ব: বব ডিলানকে সাহিত্যে নোবেল দেওয়া প্রথমবারের মতো দেখায় যে, গানও সাহিত্য হিসেবে স্বীকৃত হতে পারে এবং সাহিত্যিক প্রভাব ফেলতে পারে।
২০১৬ সালে সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী ছিলেন বব ডিলান, যিনি তার গান ও গীতিকথার মাধ্যমে সাহিত্যকে নতুন দিক ও সামাজিক প্রভাবের সঙ্গে সংযুক্ত করেছেন। তার কাজ সাহিত্য এবং সঙ্গীত উভয়ের মধ্যেই যুগান্তকারী প্রভাব সৃষ্টি করেছে।
0
Updated: 4 days ago
ভারত পাকিস্তানের মধ্যে ইন্দাস ওয়াটার ট্রিটি (IWT) কোন সালে স্বাক্ষরিত হয়?
Created: 2 weeks ago
A
১৯৪৮
B
১৯৭৪
C
১৯৬৫ (১৯৬০ সঠিক)
D
১৯৮০
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সিন্ধু নদের পানিবণ্টন চুক্তি (Indus Waters Treaty) হলো দুই দেশের মধ্যে জলবণ্টন সম্পর্কিত একটি গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা, যা ১৯৬০ সালে স্বাক্ষরিত হয়। তবে প্রশ্নে সঠিক অপশন না থাকায় এটি বাতিল করা হয়েছে।
-
চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়: ১৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৬০
-
স্থান: করাচি, পাকিস্তান
-
মধ্যস্থতাকারী: বিশ্বব্যাংক
-
স্বাক্ষরকারী: ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু এবং পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আইয়ুব খান
-
উদ্দেশ্য: ভারতের উজান থেকে পাকিস্তানের সিন্ধু অববাহিকায় প্রবাহিত নদীগুলোর পানিবণ্টন নির্ধারণ
-
বণ্টন ব্যবস্থা:
-
ভারতকে দেওয়া হয় পূর্বাঞ্চলীয় তিন নদীর নিয়ন্ত্রণ—ইরাবতী, বিপাশা ও শতদ্রু
-
পাকিস্তানকে দেওয়া হয় পশ্চিমাঞ্চলীয় তিন নদীর নিয়ন্ত্রণ—সিন্ধু, ঝিলম ও চেনাব
-
পাকিস্তান পায় প্রায় ৭০% পানি, ভারত পায় ৩০% পানি
-
-
চুক্তির বৈশিষ্ট্য: কোনো পক্ষ একতরফাভাবে স্থগিত বা বাতিল করতে পারে না; এতে স্পষ্ট বিরোধ নিষ্পত্তির প্রক্রিয়া নির্ধারিত আছে।
অতিরিক্তভাবে, ১৯৪৮ সালের Inter-Dominion Agreement on Punjab Canal Waters ছিল দুই দেশের মধ্যে প্রথম জল-ব্যবস্থাপনা চুক্তি, যেখানে ভারত পাকিস্তানকে পানি সরবরাহ করবে এবং পাকিস্তান অর্থপ্রদান করবে। এটি ছিল একটি অন্তর্বর্তী সমাধান, যা পরবর্তীতে বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় ১৯৬০ সালের Indus Waters Treaty-তে পৌঁছাতে সহায়তা করে।
অতএব, যদি প্রশ্নটি “ইন্দাস ব্যবস্থায় প্রথম আনুষ্ঠানিক জলচুক্তি” বোঝায়, তবে ১৯৪৮ সাল সঠিক উত্তর হিসেবে ধরা যায়। কিন্তু যদি “Indus Waters Treaty” বা “সিন্ধু পানি চুক্তি” বোঝানো হয়, তবে ১৯৬০ সালই সঠিক উত্তর।
0
Updated: 2 weeks ago
ভারত কর্তৃক সিকিম সংযুক্ত হয়—
Created: 3 weeks ago
A
১৯৭০
B
১৯৭২
C
১৯৭৫
D
১৯৭৭
সিকিম ভারতের একটি ছোট ও সুন্দর রাজ্য, যা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি হিসেবে পরিচিত। পৃথিবীর তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘার পাদদেশে অবস্থিত এই রাজ্য সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৬,০০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত।
ছোট আয়তনের (৭,০৯৬ বর্গ কিলোমিটার) সিকিম ভারতের দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম রাজ্য এবং এর রাজধানী হলো গ্যাংটক। সিকিম প্রথমে স্বাধীন অঞ্চল হলেও বিভিন্ন রাজনৈতিক ঘটনার পর ১৯৭৫ সালে এটি ভারতের প্রজাতন্ত্রের অংশে পরিণত হয়।
-
রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রেক্ষাপট: ১৯৭৩ সালে সিকিমে নির্বাচনের ফলাফলে অসন্তুষ্ট হয়ে ভোট কারচুপির অভিযোগ আনে লেন্ডুপ দর্জি নেতৃত্বাধীন সিকিম ন্যাশনাল কংগ্রেস। এর ফলে দেশব্যাপী তীব্র আন্দোলন শুরু হয়, যা একসময় রাজতন্ত্রের পতনের দিকে মোড় নেয়।
-
১৯৭৪ সালে পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং নির্বাচনে লেন্দুপ দর্জি অস্বাভাবিক ব্যবধানে বিজয় লাভ করেন। ৩২টি আসনের মধ্যে ৩১টি আসনেই তার দল জয়ী হয়। এর পর লেন্দুপ দর্জি হন সিকিমের প্রধানমন্ত্রী, আর চোগিয়াল সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে থাকেন।
-
১৯৭৫ সালের ২৭ মার্চ লেন্দুপ দর্জি কেবিনেট মিটিংয়ে রাজতন্ত্র বিলোপের বিষয়ে সাজানো গণভোটের আয়োজন করেন। এই গণভোটের ফলাফলে চোগিয়াল পদের অবসান ঘটে।
-
এর পর, ২৬ এপ্রিল ১৯৭৫ সিকিমকে ভারতের ২২তম রাজ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
0
Updated: 3 weeks ago
আলেপ্পো শহরটি কোন দেশে অবস্থিত?
Created: 1 week ago
A
ইরান
B
ইরাক
C
জর্ডান
D
সিরিয়া
আলেপ্পো হলো উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার একটি ঐতিহাসিক ও অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহর, যা দীর্ঘকাল ধরে মধ্যপ্রাচ্যের বাণিজ্য, সংস্কৃতি ও রাজনীতির কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। এটি সিরিয়ার বৃহত্তম শহরগুলোর একটি এবং তুর্কি সীমান্ত থেকে প্রায় ৩০ মাইল (প্রায় ৪৮ কিলোমিটার) দূরে অবস্থিত।
আলেপ্পোর ইতিহাস ও গুরুত্ব:
-
আলেপ্পো খ্রিস্টপূর্ব যুগ থেকেই মধ্যপ্রাচ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ নগরী। খ্রিস্টপূর্ব ৬ষ্ঠ থেকে ৪র্থ শতাব্দী পর্যন্ত এটি ছিল পারস্যের আচেমেনীয় রাজবংশের নিয়ন্ত্রণে।
-
পরবর্তীতে, খ্রিস্টপূর্ব ১ম শতাব্দীতে রোমান সাম্রাজ্য আলেপ্পো দখল করে নেয় এবং শহরটি বাণিজ্য ও সংস্কৃতির কেন্দ্র হিসেবে সমৃদ্ধ হয়।
-
৬৩৭ খ্রিস্টাব্দে, আলেপ্পো আরবদের দ্বারা জয়লাভ করে এবং এর প্রাচীন নাম হালাব পুনরায় ব্যবহৃত হয়।
-
মধ্যযুগে এটি সিল্ক রোডের অন্যতম বাণিজ্য কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করে, যা ইউরোপ ও এশিয়ার মধ্যে বাণিজ্যিক সংযোগ স্থাপন করেছিল।
-
আলেপ্পো তার ঐতিহাসিক স্থাপনা, দুর্গ, মসজিদ ও বাজারগুলোর জন্য বিখ্যাত।
-
১৯৮৬ সালে শহরের পুরোনো অংশকে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে ঘোষণা করা হয়, কারণ এটি ইসলামী ও রোমান স্থাপত্যের অনন্য সমন্বয় বহন করে।
সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপট:
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ (২০১১–বর্তমান) চলাকালে আলেপ্পো শহরটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এক সময়ের প্রাণবন্ত এই শহর এখনো পুনর্গঠনের পথে রয়েছে, তবে এর ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্ব অক্ষুণ্ণ রয়েছে।
সিরিয়া সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত তথ্য:
-
অবস্থান: পশ্চিম এশিয়ায়, ভূমধ্যসাগরের পূর্ব তীরে, আরব উপদ্বীপের উত্তরে।
-
স্বাধীনতা লাভ: ১৯৪৬ সালে, ফ্রান্সের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে।
-
রাজধানী: দামেস্ক (Damascus)।
-
বিখ্যাত শহর: আলেপ্পো, ইদলিব, পালমিরা।
-
মুদ্রা: সিরীয় পাউন্ড (Syrian Pound)।
সব মিলিয়ে, আলেপ্পো কেবল সিরিয়ার নয়, বরং সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যের একটি ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, যার অতীত সভ্যতা, স্থাপত্য ও বাণিজ্য ইতিহাস আজও মানবসমাজের ঐতিহ্যের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে।
0
Updated: 1 week ago