'গাবখান চ্যানেল' বাংলাদেশের কোন জেলায় অবস্থিত?
A
কুড়িগ্রাম
B
গাইবান্ধা
C
পটুয়াখালী
D
ঝালকাঠী
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের নদী ও খাল-নালা ব্যবস্থাপনা দেশের ভূ-প্রকৃতি ও কৃষি জীবনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। এর মধ্যে গাবখান চ্যানেল একটি গুরুত্বপূর্ণ জলপথ, যা দক্ষিণাঞ্চলের নদীব্যবস্থায় পানি নিয়ন্ত্রণ ও নাব্যতা বজায় রাখতে সহায়ক। এই চ্যানেলটি ঝালকাঠী জেলায় অবস্থিত এবং স্থানীয় কৃষি, পরিবহণ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
অবস্থান ও ভূ-প্রকৃতি: গাবখান চ্যানেল ঝালকাঠীর নদী ও খালজালার সঙ্গে যুক্ত, যা এলাকার জল সম্পদ পরিচালনা ও নাব্যতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
-
কৃষি ও পরিবহণ: চ্যানেলের মাধ্যমে স্থানীয় কৃষকরা সেচের পানি পায় এবং নদীপথ ব্যবহার করে পণ্য পরিবহন সহজ হয়।
-
বন্যা নিয়ন্ত্রণ: চ্যানেলটি জল প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক, যা বর্ষা মৌসুমে বন্যার প্রভাব কমাতে গুরুত্বপূর্ণ।
-
প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব: চ্যানেলের পানি ব্যবস্থা সমুদ্র এবং নদীর জোয়ার-ভাটার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কৃষি ও মাছ চাষের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে।
-
স্থানীয় জীবিকা: ঝালকাঠীর মানুষের জন্য চ্যানেল মাছ ধরা, নৌপরিবহন এবং সেচ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ জীবনরেখা হিসেবে কাজ করে।
সারসংক্ষেপে, গাবখান চ্যানেল ঝালকাঠী জেলায় অবস্থিত, যা স্থানীয় কৃষি, পরিবহণ এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এটি কেবল একটি জলপথ নয়, বরং এলাকার অর্থনৈতিক ও প্রাকৃতিক জীবনকে সমৃদ্ধ করার একটি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো।
0
Updated: 4 days ago
ভারত পাকিস্তানের মধ্যে ইন্দাস ওয়াটার ট্রিটি (IWT) কোন সালে স্বাক্ষরিত হয়?
Created: 2 weeks ago
A
১৯৪৮
B
১৯৭৪
C
১৯৬৫ (১৯৬০ সঠিক)
D
১৯৮০
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সিন্ধু নদের পানিবণ্টন চুক্তি (Indus Waters Treaty) হলো দুই দেশের মধ্যে জলবণ্টন সম্পর্কিত একটি গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা, যা ১৯৬০ সালে স্বাক্ষরিত হয়। তবে প্রশ্নে সঠিক অপশন না থাকায় এটি বাতিল করা হয়েছে।
-
চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়: ১৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৬০
-
স্থান: করাচি, পাকিস্তান
-
মধ্যস্থতাকারী: বিশ্বব্যাংক
-
স্বাক্ষরকারী: ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু এবং পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আইয়ুব খান
-
উদ্দেশ্য: ভারতের উজান থেকে পাকিস্তানের সিন্ধু অববাহিকায় প্রবাহিত নদীগুলোর পানিবণ্টন নির্ধারণ
-
বণ্টন ব্যবস্থা:
-
ভারতকে দেওয়া হয় পূর্বাঞ্চলীয় তিন নদীর নিয়ন্ত্রণ—ইরাবতী, বিপাশা ও শতদ্রু
-
পাকিস্তানকে দেওয়া হয় পশ্চিমাঞ্চলীয় তিন নদীর নিয়ন্ত্রণ—সিন্ধু, ঝিলম ও চেনাব
-
পাকিস্তান পায় প্রায় ৭০% পানি, ভারত পায় ৩০% পানি
-
-
চুক্তির বৈশিষ্ট্য: কোনো পক্ষ একতরফাভাবে স্থগিত বা বাতিল করতে পারে না; এতে স্পষ্ট বিরোধ নিষ্পত্তির প্রক্রিয়া নির্ধারিত আছে।
অতিরিক্তভাবে, ১৯৪৮ সালের Inter-Dominion Agreement on Punjab Canal Waters ছিল দুই দেশের মধ্যে প্রথম জল-ব্যবস্থাপনা চুক্তি, যেখানে ভারত পাকিস্তানকে পানি সরবরাহ করবে এবং পাকিস্তান অর্থপ্রদান করবে। এটি ছিল একটি অন্তর্বর্তী সমাধান, যা পরবর্তীতে বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় ১৯৬০ সালের Indus Waters Treaty-তে পৌঁছাতে সহায়তা করে।
অতএব, যদি প্রশ্নটি “ইন্দাস ব্যবস্থায় প্রথম আনুষ্ঠানিক জলচুক্তি” বোঝায়, তবে ১৯৪৮ সাল সঠিক উত্তর হিসেবে ধরা যায়। কিন্তু যদি “Indus Waters Treaty” বা “সিন্ধু পানি চুক্তি” বোঝানো হয়, তবে ১৯৬০ সালই সঠিক উত্তর।
0
Updated: 2 weeks ago
বাংলাদেশের অভিবাসী নারী শ্রমিকদের সর্বাধিক গন্তব্যস্থল -
Created: 1 week ago
A
সৌদি আরব
B
কুয়েত
C
ওমান
D
জর্দান
বাংলাদেশের অভিবাসী নারী শ্রমিকরা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। বিদেশে কর্মসংস্থানের মাধ্যমে তারা শুধু নিজেদের পরিবারের আর্থিক অবস্থা উন্নত করছেন না, বরং প্রবাসী আয়ের মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিতেও বড় অবদান রাখছেন। নারী শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের প্রধান ক্ষেত্র হলো গৃহকর্ম, সেবা খাত ও পোশাক শিল্পের সঙ্গে সম্পর্কিত কাজ, যা মূলত মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে চাহিদাসম্পন্ন।
-
বাংলাদেশের অভিবাসী নারী শ্রমিকদের সবচেয়ে বড় গন্তব্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো। সেখানে নারী শ্রমিকদের জন্য তুলনামূলকভাবে বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ বিদ্যমান।
-
এর মধ্যে সৌদি আরবই বাংলাদেশের নারী শ্রমিকদের প্রধান গন্তব্যস্থল। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশের মোট নারী অভিবাসীর প্রায় ৬৫ শতাংশ সৌদি আরবে কর্মরত।
-
সৌদি আরবে গৃহপরিচারিকা, কেয়ারটেকার, শিশু ও বয়স্কদের পরিচর্যা, রান্না-বান্না ও ঘরসংক্রান্ত অন্যান্য কাজে নারী শ্রমিকদের চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
-
দ্বিতীয় সর্বাধিক গন্তব্য হলো জর্ডান, যেখানে প্রায় ২৪ শতাংশ নারী শ্রমিক কাজ করেন। জর্ডানে মূলত পোশাক শিল্প, গৃহকর্ম এবং হোটেল সেবাখাতে নারীদের কর্মসংস্থান হয়।
-
এছাড়াও সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কাতার ও লেবাননসহ মধ্যপ্রাচ্যের আরও কয়েকটি দেশেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী শ্রমিক কাজ করছেন।
বাংলাদেশ সরকার নারী অভিবাসীদের নিরাপদ কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে পূর্ব প্রশিক্ষণ, বিদেশগামী শ্রমিকদের নিবন্ধন, দূতাবাসে সুরক্ষা সেল গঠন এবং নারী অভিবাসীদের অধিকার সুরক্ষা বিষয়ক নীতিমালা প্রণয়ন।
সব মিলিয়ে, বলা যায় যে সৌদি আরব বাংলাদেশের অভিবাসী নারী শ্রমিকদের সর্বাধিক গন্তব্যস্থল, যেখানে তারা কর্মসংস্থানের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে বাংলাদেশের অবস্থানকে আরও সুদৃঢ় করছে।
0
Updated: 1 week ago
তড়িৎ শক্তি শব্দ শক্তিতে রূপান্তরিত হয় যে যন্ত্রের মাধ্যমে তা হলো--
Created: 4 days ago
A
অ্যামপ্লিফায়ার
B
জেনারেটর
C
লাউড স্পিকার
D
মেইক্রোফোন
তড়িৎ শক্তি যখন শব্দ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়, তখন এর জন্য ব্যবহৃত যন্ত্র হলো লাউড স্পিকার। এটি বৈদ্যুতিক সংকেতকে যান্ত্রিক কম্পনের মাধ্যমে শব্দে পরিণত করে, যা আমাদের কানে পৌঁছে।
-
লাউড স্পিকার বৈদ্যুতিক সিগন্যাল গ্রহণ করে এবং স্পিকারের কয়েল ও ম্যাগনেটিক সিস্টেমের মাধ্যমে ভিব্রেশন বা কম্পন তৈরি করে। এই কম্পন বাতাসের কণাগুলিকে আন্দোলিত করে এবং শব্দ তরঙ্গ তৈরি করে।
-
বৈদ্যুতিক সংকেত মূলত তড়িৎ শক্তি, এবং স্পিকারের ভিব্রেশন সেটিকে শাব্দ শক্তি বা শব্দে রূপান্তরিত করে।
-
অ্যামপ্লিফায়ার মূলত সংকেতকে শক্তিশালী করে, কিন্তু সরাসরি শব্দ উৎপন্ন করে না।
-
জেনারেটর বৈদ্যুতিক শক্তি উৎপন্ন করে, কিন্তু শব্দের জন্য নয়।
-
মাইক্রোফোন শব্দকে বৈদ্যুতিক সংকেতে রূপান্তরিত করে, অর্থাৎ এটি ঠিক উল্টো কাজ করে—শব্দকে তড়িৎ শক্তিতে রূপান্তর করে।
সংক্ষেপে, লাউড স্পিকার বৈদ্যুতিক সংকেতকে যান্ত্রিক কম্পনের মাধ্যমে শব্দে রূপান্তরিত করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গীত, বক্তৃতা, এবং অন্যান্য অডিও সরঞ্জামে অপরিহার্য।
-
তড়িৎ শক্তি → লাউড স্পিকারের মাধ্যমে → যান্ত্রিক কম্পন → শব্দ তরঙ্গ
-
অ্যামপ্লিফায়ার সংকেত শক্তিশালী করে
-
জেনারেটর তড়িৎ শক্তি উৎপন্ন করে
-
মাইক্রোফোন শব্দকে বৈদ্যুতিক সংকেতে রূপান্তরিত করে
এই ব্যাখ্যা উত্তরের সঙ্গে সম্পূর্ণ সামঞ্জস্যপূর্ণ, তথ্য সঠিক এবং শিক্ষণীয়ভাবে উপস্থাপিত।
0
Updated: 4 days ago