আমেরিকা শিকাগো শহরে অবস্থিত শিয়ারস টাওয়ারের স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার কে ছিলেন?
A
সান্টিয়াগো ক্যালট্রাডা
B
রমেশ চন্দ্র
C
ফজলুর রহমান খান
D
গুস্তাফে আইফেল
উত্তরের বিবরণ
বিশ্বের উচ্চতম ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর গুরুত্ব অপরিসীম। শিকাগো, আমেরিকায় অবস্থিত শিয়ার্স টাওয়ার (বর্তমানে উইলিস টাওয়ার) নির্মাণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মহান প্রকৌশলী ফজলুর রহমান খান-এর অবদান বিশেষভাবে স্মরণীয়। তিনি আধুনিক আর্কিটেকচার ও ইঞ্জিনিয়ারিং প্রযুক্তির সমন্বয়ে টাওয়ারের কাঠামো ডিজাইন করেছিলেন, যা ভবনটিকে অতিরিক্ত উচ্চতা ও স্থায়িত্ব প্রদানে সক্ষম করেছে।
-
স্ট্রাকচারাল নকশা: ফজলুর রহমান খান “bundled tube” প্রযুক্তি ব্যবহার করেছিলেন, যা টাওয়ারের উচ্চতা ও স্থায়িত্ব বৃদ্ধিতে অত্যন্ত কার্যকর।
-
নির্মাণ প্রযুক্তি: এই প্রযুক্তি টাওয়ারের ওপর বাতাসের চাপ কমাতে সাহায্য করে এবং ভবনকে ভূমিকম্প ও তুফানের মতো প্রাকৃতিক প্রভাবের প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রদান করে।
-
সৃষ্টিশীল দিক: ফজলুর রহমান খানের নকশা শিয়ার্স টাওয়ারের জন্য এক নতুন যুগের উদাহরণ স্থাপন করেছে, যা পরবর্তীতে বিশ্বের বিভিন্ন সুপারটল ভবনের নকশায় অনুপ্রেরণা হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।
-
গৌরব ও স্বীকৃতি: ফজলুর রহমান খানের এই প্রকৌশলী সাফল্য তাকে আন্তর্জাতিক খ্যাতি এনে দেয় এবং বাংলাদেশি প্রকৌশলীদের জন্য গর্বের বিষয় হিসেবে বিবেচিত হয়।
-
প্রযুক্তিগত প্রভাব: “bundled tube” নকশা ব্যবহার করে ভবনের নির্মাণে কম স্টীল ব্যবহার করা সম্ভব হয়, যা অর্থনৈতিক এবং পরিবেশগতভাবে কার্যকর।
সারসংক্ষেপে, শিয়ার্স টাওয়ারের স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন ফজলুর রহমান খান, যিনি আধুনিক প্রযুক্তি ও সৃজনশীল নকশার সমন্বয়ে ভবনটিকে বিশ্বের অন্যতম উচ্চতম এবং স্থায়ী রেলিভেন্ট স্ট্রাকচারে পরিণত করেছেন। তার এই কাজ বিশ্বব্যাপী ইঞ্জিনিয়ারিং এবং আর্কিটেকচারে অনুপ্রেরণার উৎস।
0
Updated: 4 days ago
উত্তর আমেরিকাকে দক্ষিণ আমেরিকার সাথে যুক্ত করেছে-
Created: 1 week ago
A
বেরিং প্রণালী
B
পানামা যোজক
C
গ্রেট লেকস্
D
ফ্লোরিডা প্রণালী
উত্তর আমেরিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার মধ্যে ভৌগোলিক সংযোগ স্থাপন করেছে পানামা যোজক। এটি দুটি মহাদেশকে যুক্ত করার একটি সরু স্থলপথ, যা বিশ্বের মানচিত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভৌগোলিক অবস্থান তৈরি করেছে। এর মাধ্যমে শুধু মহাদেশ নয়, উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধের জলবায়ু, প্রাণীজগৎ এবং মানবসভ্যতার মধ্যেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
পানামা যোজক হলো একটি সরু স্থলপথ যা উত্তর আমেরিকার মেক্সিকো ও মধ্য আমেরিকাকে দক্ষিণ আমেরিকার কলম্বিয়ার সঙ্গে যুক্ত করেছে। এই যোজকটি প্রায় ৮০ কিলোমিটার চওড়া এবং এর অবস্থান কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
-
ভৌগোলিক অবস্থান: পানামা যোজকটি প্রশান্ত মহাসাগর ও আটলান্টিক মহাসাগরের মধ্যে অবস্থিত। এটি মধ্য আমেরিকার একটি ক্ষুদ্র দেশ পানামার ভেতর দিয়ে বিস্তৃত।
-
উৎপত্তি: প্রায় ৩০ লক্ষ বছর আগে টেকটোনিক ফল্ট ও আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপের ফলে পানামা যোজক গঠিত হয়। এটি পূর্বে প্রশান্ত ও আটলান্টিক মহাসাগরের মধ্যে জল প্রবাহ বন্ধ করে দেয়, ফলে দুটি পৃথক সাগরজ প্রাণীজগৎ সৃষ্টি হয়।
-
ভূরাজনৈতিক গুরুত্ব: পানামা যোজক বা ইস্থমাস অব পানামা হলো সেই অঞ্চল যেখানে পরবর্তীতে খনন করে পানামা খাল নির্মাণ করা হয়। এই খাল আজ বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ।
-
মানব সভ্যতার প্রভাব: এই স্থলযোজকটি প্রাচীন যুগে মানব ও প্রাণীর অভিবাসনের পথ হিসেবে ব্যবহৃত হতো। উত্তর আমেরিকার প্রাণীরা দক্ষিণে এবং দক্ষিণ আমেরিকার প্রাণীরা উত্তরে স্থানান্তরিত হতে পারত।
-
অর্থনৈতিক গুরুত্ব: পানামা খাল নির্মিত হওয়ার পর এই যোজকের কৌশলগত ও অর্থনৈতিক মূল্য আরও বৃদ্ধি পায়। এটি ইউরোপ, আমেরিকা এবং এশিয়ার মধ্যে দ্রুত বাণিজ্যিক যোগাযোগের সুবিধা এনে দেয়।
-
পরিবেশগত প্রভাব: পানামা যোজক গঠনের ফলে মহাসাগরীয় প্রবাহে পরিবর্তন ঘটে এবং বৈশ্বিক জলবায়ুতে প্রভাব পড়ে, যা পরবর্তীতে বরফযুগের সূচনাতেও ভূমিকা রেখেছিল বলে বিজ্ঞানীরা মনে করেন।
অতএব, পানামা যোজক শুধু ভৌগোলিক সংযোগের প্রতীক নয়, এটি বিশ্বের প্রাকৃতিক, অর্থনৈতিক ও মানব সভ্যতার বিকাশে একটি ঐতিহাসিক সংযোগস্থল।
0
Updated: 1 week ago