কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কত বছর বয়সে তাঁর কালজয়ী উপন্যাস 'দেবদাস' রচনা করেন?
A
১৬ বছর
B
২০ বছর
C
২২ বছর
D
২৫ বছর
উত্তরের বিবরণ
বাংলা সাহিত্যের মহান কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তার সময়ের সমাজ, মানসিকতা এবং মানবিক সম্পর্কের সূক্ষ্ম চিত্র উপন্যাসের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন। তাঁর রচিত ‘দেবদাস’ উপন্যাসটি বাংলা সাহিত্যের এক চিরজীবী কৃতি হিসেবে পরিচিত। এই উপন্যাসে প্রেম, সামাজিক রীতি, পরিবারিক বন্ধন এবং মানসিক দ্বন্দ্বের গভীর চিত্রায়ন করা হয়েছে। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় যখন এই কালজয়ী রচনা লিখেছিলেন, তখন তাঁর বয়স ছিল ২৫ বছর, যা তার সৃজনশীলতা ও প্রারম্ভিক প্রাপ্তবয়স্ক জীবনের সংমিশ্রণকে প্রমাণ করে।
-
উপন্যাসের বিষয়বস্তু: ‘দেবদাস’ মূলত দেবদাসের প্রেম এবং সামাজিক বাধার মুখোমুখি হওয়ার গল্প। এখানে সামাজিক কুসংস্কার, আত্মত্যাগ এবং মানবিক দুর্দশার সূক্ষ্ম বর্ণনা রয়েছে।
-
লেখকের সৃজনশীলতা: ২৫ বছর বয়সে উপন্যাস রচনা করা শরৎচন্দ্রের অদম্য সাহিত্যিক প্রতিভার পরিচয়। কম বয়সেও তিনি সমাজের জটিল সমস্যা এবং চরিত্রের মানসিক অবস্থা অত্যন্ত নিখুঁতভাবে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
-
সাহিত্যিক প্রভাব: ‘দেবদাস’ বাংলা সাহিত্যে প্রেমকাহিনীর একটি যুগান্তকারী কৃতি। এটি পরবর্তী সাহিত্যিক ও চলচ্চিত্রের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে ওঠে।
-
সামাজিক প্রভাব: উপন্যাসটি মানুষের আবেগ, প্রেম এবং সামাজিক বাধার মধ্যে সংঘর্ষ তুলে ধরে। এটি সমাজে নারীর অবস্থান ও সামাজিক মানসিকতার দিকে আলোকপাত করে।
-
চরিত্রায়ন: দেবদাস, পার্বতী এবং চন্দ্রমুখীর চরিত্রগুলো এতটাই জীবন্ত যে পাঠক সহজেই তাদের মানসিক আবেগের সাথে সংযুক্ত হতে পারে।
সারসংক্ষেপে, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ২৫ বছর বয়সে ‘দেবদাস’ রচনা করেন, যা বাংলা সাহিত্যের এক চিরজীবী রত্ন। এই উপন্যাস কেবল প্রেমের গল্প নয়, বরং সামাজিক কাঠামো, মানসিক দ্বন্দ্ব এবং মানবিক আবেগের এক নিখুঁত চিত্র যা আজও পাঠক হৃদয়ে অনন্য স্থান রাখে।
0
Updated: 4 days ago
‘মন্দির’ গল্পের জন্য শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কোন পুরস্কার পান?
Created: 1 month ago
A
সাহিত্য একাডেমি পুরস্কার
B
আনন্দ পুরস্কার
C
কুন্তলীন সাহিত্য পুরস্কার
D
রবীন্দ্র পুরস্কার
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
-
জন্ম: ১৫ সেপ্টেম্বর ১৮৭৬, দেবানন্দপুর, হুগলি জেলা।
-
প্রথম প্রকাশিত গল্প: মন্দির (১৯০৩), যার জন্য তিনি কুন্তলীন সাহিত্য পুরষ্কার লাভ করেন।
-
প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস: বড়দিদি (১৯০৭, ভারতী পত্রিকা)।
-
রাজনৈতিক উপন্যাস: পথের দাবী (১৯২৬), যা ব্রিটিশ সরকার বাজেয়াপ্ত করেছিল।
বিখ্যাত উপন্যাসসমূহ:
-
দেনা-পাওনা
-
বড়দিদি
-
বিরাজবৌ
-
পণ্ডিতমশাই
-
পরিণীতা
-
চন্দ্রনাথ
-
দেবদাস
-
চরিত্রহীন
-
গৃহদাহ
-
পথের দাবী
-
শেষ প্রশ্ন
-
শেষের পরিচয়
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
কোনটি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সাহিত্যকর্ম নয়?
Created: 1 month ago
A
স্বদেশ ও সাহিত্য
B
স্বদেশ অন্বেষা
C
বিরাজ বৌ
D
নারীর মূল্য
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ছিলেন বাংলা সাহিত্যের একজন অমর কথাশিল্পী।
জন্ম ও জীবনসংক্ষিপ্ত বিবরণ:
-
জন্ম: ১৫ সেপ্টেম্বর ১৮৭৬, দেবানন্দপুর, হুগলি জেলা।
-
তিনি বাংলা সাহিত্যের একজন গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যিক, বিশেষ করে উপন্যাস ও প্রবন্ধ রচনায়।
-
তাঁর উপন্যাসের মূল বিষয় পল্লীর জীবন ও সমাজ।
-
ব্যক্তি জীবনের মানসিক ও সামাজিক দ্বন্দ্ব, এবং পল্লীর সংস্কারাচ্ছন্ন মানসিকতার প্রভাব তার রচনায় প্রকাশ পেয়েছে।
-
ব্যক্তিবর্গের ইচ্ছা ও মুক্তি সাধারণত সমাজ কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত, এজন্য তাঁকে রক্ষণশীলও বলা হয়।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রচিত উপন্যাস:
-
বিরাজ বৌ
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রচিত প্রবন্ধগ্রন্থ:
-
নারীর মূল্য
-
স্বদেশ
-
সাহিত্য
উল্লেখ্য:
-
স্বদেশ অন্বেষা শরৎচন্দ্রের সাহিত্যকর্ম নয়; এটি আহমদ শরীফ রচিত প্রবন্ধগ্রন্থ।
0
Updated: 1 month ago
'অপর্ণা' শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কোন গল্পের চরিত্র?
Created: 1 month ago
A
মহেশ
B
মামলার ফল
C
মন্দির
D
মেজদিদি
‘মন্দির’ গল্প
-
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রথম প্রকাশিত গল্পের নাম মন্দির।
-
এই গল্পের জন্য তিনি ১৯০৩ সালে কুন্তলীন সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন।
-
"বসুমতী" পত্রিকার সম্পাদক দেড়শ’টি গল্পের মধ্যে “মন্দির” গল্পটিকে শ্রেষ্ঠ বলে বিবেচনা করেছিলেন।
গল্পের বিষয়বস্তু:
-
অমরনাথ অপর্ণাকে বিবাহ করলেও দাম্পত্য জীবনে শান্তি পায়নি।
-
অপর্ণা পিতৃগৃহে স্থাপিত রাধাকৃষ্ণের চরণে নিজেকে উৎসর্গীকৃত করেছিলেন অনেক আগে।
উল্লেখযোগ্য চরিত্র:
-
অমরনাথ
-
অপর্ণা
অন্যান্য গল্পের চরিত্রসমূহ:
-
‘মহেশ’ গল্প: গফুর, আমেনা, মহেশ (একটি ষাঁড়ের নাম), তর্করত্ন, জমিদার শিববাবু
-
‘মামলার ফল’ গল্প: দুই ভাই—শিবু ও শম্ভু
-
‘মেজদিদি’ গল্প: কেষ্টা, কাদম্বিনী, নবীন, বিপিন, হেমাঙ্গিনী
উৎস:
-
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা
-
বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 1 month ago