জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শৈশবে কোন বিদ্যালয়ে তাঁর পাঠ শুরু করেন?
A
গোপালগঞ্জ প্রাথমিক বিদ্যালয়
B
শ্রীরামকান্দি প্রাথমিক বিদ্যালয়
C
টুঙ্গিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়
D
গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়
উত্তরের বিবরণ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শৈশবকাল বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় কেটেছে। ছোটবেলায় তিনি যে বিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু করেছিলেন, তা তার প্রাথমিক শিক্ষার ভিত্তি স্থাপন করেছিল। শেখ মুজিবুর রহমানের প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয় গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়-এ, যেখানে তিনি মৌলিক শিক্ষার সঙ্গে শৃঙ্খলা, নৈতিক শিক্ষা এবং সামাজিক মূল্যবোধের প্রথম পাঠ গ্রহণ করেন।
-
প্রাথমিক শিক্ষার গুরুত্ব: গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের প্রাথমিক শিক্ষা তার später জীবনের নেতৃত্বগুণ ও রাজনৈতিক চেতনা গঠনে ভূমিকা রেখেছে।
-
শিক্ষার পরিবেশ: বিদ্যালয়টি ছোট অথচ সামাজিকভাবে সক্রিয় সম্প্রদায়ের মধ্যে অবস্থিত ছিল, যা শিশুকাল থেকেই তার মধ্যে মানুষের প্রতি সহমর্মিতা ও দায়িত্ববোধ সৃষ্টি করেছিল।
-
বিদ্যালয়ের অবকাঠামো ও পাঠ্যক্রম: সেই সময়ের বিদ্যালয়ে মৌলিক বাংলা, ধর্মশিক্ষা, গণিত ও নৈতিক শিক্ষার ওপর জোর দেওয়া হতো, যা শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব গঠনে সহায়ক হয়েছিল।
-
শৈশবের শিক্ষা ও নেতৃত্ব: প্রাথমিক শিক্ষার মাধ্যমে শেখ মুজিবুর রহমানের মধ্যে চিন্তাশীলতা, বিশ্লেষণ ক্ষমতা এবং সামাজিক সমস্যার প্রতি আগ্রহ জন্মায়, যা পরবর্তীতে স্বাধীনতার সংগ্রামে তার নেতৃত্ব প্রদর্শনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
স্মৃতিচারণ: বঙ্গবন্ধুর জীবনী ও বিভিন্ন ইতিহাস গ্রন্থে উল্লেখ আছে, যে তিনি ছোটবেলায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং সহপাঠীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন, যা তার মানুষের প্রতি দয়া ও সংবেদনশীলতার দিককে আরও দৃঢ় করেছিল।
সংক্ষেপে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শিক্ষা যাত্রা শুরু হয়েছিল গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়-এ, যা তার ব্যক্তিত্ব, নৈতিক চেতনা এবং নেতৃত্বগুণের ভিত্তি তৈরি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এটি তার শৈশবকালীন শিক্ষা ও জীবনের প্রথম শিক্ষামূলক অভিজ্ঞতার প্রতিফলন।
0
Updated: 4 days ago
বাংলাদেশের অভিবাসী নারী শ্রমিকদের সর্বাধিক গন্তব্যস্থল -
Created: 1 week ago
A
সৌদি আরব
B
কুয়েত
C
ওমান
D
জর্দান
বাংলাদেশের অভিবাসী নারী শ্রমিকরা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। বিদেশে কর্মসংস্থানের মাধ্যমে তারা শুধু নিজেদের পরিবারের আর্থিক অবস্থা উন্নত করছেন না, বরং প্রবাসী আয়ের মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিতেও বড় অবদান রাখছেন। নারী শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের প্রধান ক্ষেত্র হলো গৃহকর্ম, সেবা খাত ও পোশাক শিল্পের সঙ্গে সম্পর্কিত কাজ, যা মূলত মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে চাহিদাসম্পন্ন।
-
বাংলাদেশের অভিবাসী নারী শ্রমিকদের সবচেয়ে বড় গন্তব্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো। সেখানে নারী শ্রমিকদের জন্য তুলনামূলকভাবে বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ বিদ্যমান।
-
এর মধ্যে সৌদি আরবই বাংলাদেশের নারী শ্রমিকদের প্রধান গন্তব্যস্থল। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশের মোট নারী অভিবাসীর প্রায় ৬৫ শতাংশ সৌদি আরবে কর্মরত।
-
সৌদি আরবে গৃহপরিচারিকা, কেয়ারটেকার, শিশু ও বয়স্কদের পরিচর্যা, রান্না-বান্না ও ঘরসংক্রান্ত অন্যান্য কাজে নারী শ্রমিকদের চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
-
দ্বিতীয় সর্বাধিক গন্তব্য হলো জর্ডান, যেখানে প্রায় ২৪ শতাংশ নারী শ্রমিক কাজ করেন। জর্ডানে মূলত পোশাক শিল্প, গৃহকর্ম এবং হোটেল সেবাখাতে নারীদের কর্মসংস্থান হয়।
-
এছাড়াও সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কাতার ও লেবাননসহ মধ্যপ্রাচ্যের আরও কয়েকটি দেশেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী শ্রমিক কাজ করছেন।
বাংলাদেশ সরকার নারী অভিবাসীদের নিরাপদ কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে পূর্ব প্রশিক্ষণ, বিদেশগামী শ্রমিকদের নিবন্ধন, দূতাবাসে সুরক্ষা সেল গঠন এবং নারী অভিবাসীদের অধিকার সুরক্ষা বিষয়ক নীতিমালা প্রণয়ন।
সব মিলিয়ে, বলা যায় যে সৌদি আরব বাংলাদেশের অভিবাসী নারী শ্রমিকদের সর্বাধিক গন্তব্যস্থল, যেখানে তারা কর্মসংস্থানের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে বাংলাদেশের অবস্থানকে আরও সুদৃঢ় করছে।
0
Updated: 1 week ago
সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করে যাওয়া পাকিস্তানের উপ প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী, ইসহাক দার পাকিস্তানের কোন্ রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত?
Created: 2 weeks ago
A
পাকিস্তান পিপলস পাটি (PPP)
B
পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ (PTI)
C
পাকিস্তান মুসলিম লীগ (নওয়াজ)
D
জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তান
পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ ইসহাক দার সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করেছেন। তিনি পাকিস্তান মুসলিম লীগ (নওয়াজ) দলের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা এবং দলের প্রধান নওয়াজ শরীফের বেয়াই।
ইসহাক দার একজন অভিজ্ঞ পাকিস্তানি রাজনীতিবিদ, বর্তমানে তিনি পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও উপপ্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন (২০২৪ সাল থেকে)।
-
তিনি পাকিস্তান মুসলিম লীগ (নওয়াজ) দলের কেন্দ্রীয় নেতা।
-
২৩ আগস্ট ২০২৫ তারিখে তিনি দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় আসেন।
-
১৩ বছর পর কোনো পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর এটি। এর আগে ২০১৩ সালে হিনা রব্বানি খার ঢাকায় এসেছিলেন।
-
এই সফরটি মূলত রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উভয় উদ্দেশ্যেই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
-
সফরকালে তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন।
-
আলোচনায় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়ন এবং সার্ক পুনরুজ্জীবনের বিষয় গুরুত্ব পায়।
-
সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি ও চারটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
0
Updated: 2 weeks ago
বান্দা আচেহ কোথায় অবস্থিত?
Created: 3 weeks ago
A
ইন্দোনেশিয়া
B
থাইল্যান্ড
C
ফিলিপাইন
D
কম্বোডিয়া
বান্দা আচেহ হলো ইন্দোনেশিয়ার প্রদেশ আচেহ এর রাজধানী এবং এটি সুমাত্রা দ্বীপের আচেহ নদীর তীরে অবস্থিত। ঐতিহাসিকভাবে এটি “doorway to Mecca” বা মক্কার প্রবেশপথ হিসেবে পরিচিত, কারণ এখান থেকে জাহাজে করে সহজে মুসলিমরা পবিত্র মক্কা যাত্রা করতে পারতেন।
-
বান্দা আচেহ ইন্দোনেশিয়ার মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলের মধ্যে একমাত্র এলাকা যেখানে ইসলামী শরিয়াহ কার্যকরভাবে অনুসরণ করা হয়।
-
বিখ্যাত ভ্রমণকারী মার্কো পোলো ১৩৪৫ সালে এবং ইবনে বতুতা ১৩৪৬ সালে এখানে ভ্রমণ করেছেন।
-
শহরটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং ঐতিহাসিকভাবে মুসলিম তীর্থযাত্রীদের যাত্রাপথের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে বিবেচিত।
0
Updated: 3 weeks ago