হেবার-বোস পদ্ধতিতে, N2 + 3H2 ⇔ 2NH3 +
Energy, অ্যামোনিয়া উৎপাদনের সময় চাপ বৃদ্ধি
A
বৃদ্ধি
পায়
B
হ্রাস
পায়
C
সমান
থাকে
D
বিক্রিয়ায়
উৎপাদ নেই
উত্তরের বিবরণ
হেবার-বোস পদ্ধতি (Haber–Bosch Process)-এ অ্যামোনিয়া (NH₃) উৎপাদন হয় নিম্নলিখিত বিক্রিয়ার মাধ্যমে:
এই বিক্রিয়া গ্যাসীয় অবস্থায় বিপরীতমুখী (reversible) এবং exothermic প্রকৃতির। অর্থাৎ, এই বিক্রিয়ায় তাপ নির্গত হয় এবং এটি উল্টে যাওয়ার জন্য তাপের প্রয়োজন।
Le Chatelier-এর নীতি অনুযায়ী:
-
বিক্রিয়ার বাম পাশে মোট ৪ মোল গ্যাস (১ মোল N₂ এবং ৩ মোল H₂) থাকে।
-
বিক্রিয়ার ডান পাশে ২ মোল গ্যাস (২ মোল NH₃) থাকে।
এখন, যদি চাপ বৃদ্ধি করা হয়, তাহলে ব্যবস্থা সেই দিকে সরে যাবে যেখানে গ্যাসের আয়তন বা মোল সংখ্যা কম, কারণ এইভাবে চাপ হ্রাস পায়।
তাহলে, চাপ বৃদ্ধির ফলে বিক্রিয়া ডান দিকে (NH₃ উৎপাদনের দিকে) সরে যাবে এবং অ্যামোনিয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।
এটি Le Chatelier-এর নীতির প্রতিফলন, যা কোনো সিস্টেমের বাইরের শক্তির পরিবর্তনে সিস্টেম তার অবস্থান সমন্বয় করে।
0
Updated: 4 days ago
সমুদ্রে সাদা ধোঁয়া তৈরির জন্য নিচের কোনটি ব্যবহৃত হয়?
Created: 5 days ago
A
PH₃
B
NH₃
C
CO₂
D
H₂S
সমুদ্রে বা জাহাজের উপরে দেখা সাদা ধোঁয়া (white smoke) আসলে একটি রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফল, যা ফসফিন গ্যাস (PH₃) ব্যবহারের মাধ্যমে তৈরি করা হয়। এই প্রক্রিয়াটি মূলত আর্দ্র বায়ুর সঙ্গে ফসফিনের বিক্রিয়ার কারণে ঘটে।
-
ফসফিন গ্যাস (PH₃) বায়ুর সংস্পর্শে এলে দ্রুত অক্সিডাইস হয়ে ফসফরাস পেন্টঅক্সাইড (P₂O₅) গঠন করে।
-
উৎপন্ন P₂O₅ বায়ুর আর্দ্রতার সঙ্গে বিক্রিয়া করে, ফলে সাদা ধোঁয়া সদৃশ কণিকা (white fumes) তৈরি হয়।
-
এই বিক্রিয়ার কারণেই সমুদ্র বা জাহাজের উপর ঘন সাদা ধোঁয়া দৃশ্যমান হয়, যা বাস্তবে জলীয় বাষ্প ও ফসফরাস যৌগের মিশ্রণ।
0
Updated: 5 days ago
কোনটি দুর্বল নিউক্লিওফাইল?
Created: 5 days ago
A
I⁻
B
HS⁻
C
H₂O
D
.I⁻
নিউক্লিওফাইল (Nucleophile) হলো এমন এক রাসায়নিক প্রজাতি, যার কাছে এক বা একাধিক অব্যবহৃত ইলেকট্রন জোড়া থাকে এবং যা কোনো ইলেকট্রন-ঘাটতিযুক্ত বা ধনাত্মক কেন্দ্রকে আক্রমণ করে নতুন বন্ধন গঠন করে। এর সক্রিয়তা বিভিন্ন ভৌত ও রাসায়নিক উপাদানের উপর নির্ভর করে।
-
আধান (Charge): অধিক ঋণাত্মক আধানযুক্ত প্রজাতি সাধারণত শক্তিশালী নিউক্লিওফাইল।
-
আকার (Size): ছোট আয়ন সাধারণত দ্রুত বিক্রিয়াশীল হয়, তবে প্রোটিক দ্রাবকে বড় আয়ন সহজে বিক্রিয়া করে কারণ সলভেশন কম হয়।
-
দ্রাবক প্রভাব (Solvent effect): প্রোটিক দ্রাবকে ছোট আয়নগুলো সলভেশনজনিত কারণে দুর্বল হয়ে পড়ে।
প্রদত্ত উদাহরণগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়—
-
I⁻: বৃহৎ আয়ন, সহজে পোলারাইজেবল, তাই শক্তিশালী নিউক্লিওফাইল।
-
HS⁻: উচ্চ ইলেকট্রন ঘনত্ব ও আয়নিক প্রকৃতির কারণে শক্তিশালী নিউক্লিওফাইল।
-
H₂O: নিরপেক্ষ অণু, এর ইলেকট্রন দানের প্রবণতা খুব কম, তাই দুর্বল নিউক্লিওফাইল।
সুতরাং, প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে দুর্বল নিউক্লিওফাইল হলো H₂O, কারণ এটি নিরপেক্ষ এবং ইলেকট্রন ঘনত্ব তুলনামূলকভাবে কম।
0
Updated: 5 days ago
নিম্নের কোন যুগলটি পরস্পরের আইসোটোন?
Created: 5 days ago
A
⁴⁰₁₈Ar এবং ⁴⁰₂₀Ar
B
²1H এবং 32He
C
126C এবং 146C
D
কোনটিই নয়
আইসোটোন (Isotone) হলো সেই সব পরমাণু, যাদের নিউট্রন সংখ্যা সমান, কিন্তু প্রোটন সংখ্যা ভিন্ন।
-
²₁H (ডিউটেরিয়াম): প্রোটন সংখ্যা = ১, ভর সংখ্যা = ২ → নিউট্রন সংখ্যা = ২ – ১ = ১
-
³₂He (হেলিয়াম-৩): প্রোটন সংখ্যা = ২, ভর সংখ্যা = ৩ → নিউট্রন সংখ্যা = ৩ – ২ = ১
অতএব, ²₁H এবং ³₂He উভয়ের নিউট্রন সংখ্যা ১, তাই তারা আইসোটোন।
0
Updated: 5 days ago