'শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস' কত তারিখে পালিত হয়?
A
২৫ মার্চ
B
১৪ ডিসেম্বর
C
১৬ ডিসেম্বর
D
২৬ মার্চ
উত্তরের বিবরণ
‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ বাংলাদেশের ইতিহাসে গভীর শোক ও শ্রদ্ধার একটি দিন, যা প্রতি বছর ১৪ ডিসেম্বর পালিত হয়। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে এ দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার, আলবদর ও আলশামস মিলে পরিকল্পিতভাবে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান— শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, সাহিত্যিক, শিল্পী ও অন্যান্য বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। এ কারণে দিনটি জাতির জন্য বেদনাময় স্মৃতি বহন করে।
এই ঘটনার প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্য বোঝার জন্য নিচের বিষয়গুলো উল্লেখ করা যায়
- 
১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। তখন পাকিস্তানি বাহিনী পরাজয়ের মুখে পড়ে বাংলাদেশকে ‘মেধাশূন্য’ করার ষড়যন্ত্র করে। 
- 
এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ১৪ ডিসেম্বর রাতে তারা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বেছে বেছে শিক্ষিত ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ধরে নিয়ে যায়। 
- 
পরদিন, অর্থাৎ ১৫ ডিসেম্বর সকালে, এসব বুদ্ধিজীবীর নির্যাতিত ও হত্যা করা দেহ রায়েরবাজার বধ্যভূমি, মিরপুর ও নাখালপাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে ফেলে রাখা হয়। 
- 
নিহতদের মধ্যে ছিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক সেলিনা পারভীন, শিক্ষাবিদ ড. ফজলুর রহমান, চিকিৎসক ড. আলীম চৌধুরী, এবং সাহিত্যিক মুনীর চৌধুরী সহ আরও অনেকে। 
- 
এই হত্যাযজ্ঞের উদ্দেশ্য ছিল স্বাধীন বাংলাদেশকে নেতৃত্বশূন্য ও সাংস্কৃতিকভাবে দুর্বল করা, যাতে মুক্তির পর দেশ পুনর্গঠনে বড় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। 
- 
১৯৭২ সাল থেকে দিনটি সরকারিভাবে ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। 
- 
এদিন সারা দেশে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, নীরবতা পালন, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। 
- 
বুদ্ধিজীবী দিবস কেবল শোকের দিন নয়, এটি জাতীয় চেতনা ও দেশপ্রেমের প্রতীক, যা মানুষকে স্বাধীনতার মূল্য ও মেধার গুরুত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। 
- 
এদিনের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে শেখানো হয়, কীভাবে দেশপ্রেম, ত্যাগ ও সত্যের পক্ষে দাঁড়ানো একটি জাতির ভিত্তিকে শক্তিশালী করে। 
- 
বর্তমানে রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে নির্মিত শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ এই বেদনাময় ঘটনার চিরস্থায়ী সাক্ষী হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। 
সবশেষে বলা যায়, বাংলাদেশের জাতীয় ইতিহাসে ১৪ ডিসেম্বর দিনটি ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ হিসেবে চিহ্নিত, যেদিন জাতি গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করে সেই সব বুদ্ধিজীবীদের, যারা দেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।
 
                            
                        
                        
                        
                        
                        0
Updated: 4 days ago
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস কবে পালন করা হয়?
Created: 5 months ago
A
১৪ ডিসেম্বর
B
১৩ ডিসেম্বর
C
১২ ডিসেম্বর
D
১১ ডিসেম্বর
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস প্রতি বছর ১৪ ডিসেম্বর শ্রদ্ধাভরে পালন করা হয়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার, আলবদর ও আলশামস বাহিনীর সহযোগিতায় সংঘটিত হয় ইতিহাসের এক নৃশংস ও বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড—বাঙালি বুদ্ধিজীবী নিধন।
সে বছরের ১৪ ডিসেম্বর রাতে ঢাকায় বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় দুই শতাধিক বিশিষ্ট বাঙালি শিক্ষক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, শিল্পী, চিকিৎসক ও অন্যান্য পেশাজীবীকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্য ছিল, বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করে একটি স্বাধীন ও প্রগতিশীল বাংলাদেশকে দুর্বল করে দেওয়া।
এই দিনটিকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করতে বাংলাদেশে পালিত হয় শোকাবহ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। শহীদদের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে জাতি এদিন নীরবতা পালন করে ও নানা কর্মসূচি গ্রহণ করে।
তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 5 months ago
বাংলাদেশে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস‒
Created: 3 months ago
A
১৪ ডিসেম্বর
B
১৬ ডিসেম্বর
C
২১ ডিসেম্বর
D
২৩ ডিসেম্বর
১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশে শোকাবহ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এই দিনটি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নির্মমভাবে হারানোর স্মৃতিচিহ্ন বহন করে।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রান্তে, যখন বিজয় ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র, ঠিক তার আগ মুহূর্তে—১৪ ডিসেম্বর রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দেশীয় দোসর রাজাকার, আল-বদর ও আল-শামস মিলে ভয়ঙ্কর এক পরিকল্পনায় দুই শতাধিক বাঙালি বুদ্ধিজীবীকে ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে ধরে নিয়ে যায়।
তাদের চোখ বেঁধে, পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে, অমানুষিক নির্যাতনের পর নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয়। লক্ষ্য ছিল—এই জাতিকে মস্তিষ্কহীন করে দেয়া, যেন বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও নেতৃত্বহীন, দিকভ্রান্ত জাতিতে পরিণত হয়।
এই হত্যাকাণ্ড ছিল ইতিহাসের অন্যতম নৃশংস ও বর্বরোচিত ঘটনা।
শহীদদের মাঝে যাঁরা বিশেষভাবে স্মরণীয়:
- 
অধ্যাপক মুনির চৌধুরী 
- 
অধ্যাপক মুনিরুজ্জামান 
- 
অধ্যাপক আনোয়ার পাশা 
- 
অধ্যাপক রশীদুল হাসান 
- 
ডা. আলিম চৌধুরী 
- 
ডা. ফজলে রাব্বী 
- 
সাংবাদিক সিরাজউদ্দিন হোসেন 
- 
সাংবাদিক ও সাহিত্যিক শহীদুল্লাহ কায়সার 
- 
সাংবাদিক সেলিনা পারভিন 
- 
অধ্যাপক জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা 
- 
অধ্যাপক জিসি দেব 
- 
সাংবাদিক খন্দকার আবু তাহের 
- 
এ. এন. এম. গোলাম মোস্তফা 
- 
এস. এ. মান্নান (লাডু ভাই) 
- 
এবং আরও বহু জাতির সূর্যসন্তান। 
এই দিনে জাতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতায় স্মরণ করে তাঁদের আত্মত্যাগ, যাঁদের রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি মুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় দিবস
| দিবস | তারিখ | তাৎপর্য | 
|---|---|---|
| স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস | ২৬ মার্চ | ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা ঘোষণার স্মরণে | 
| জাতীয় শোক দিবস | ১৫ আগস্ট | জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী | 
| সশস্ত্রবাহিনী দিবস | ২১ নভেম্বর | মুক্তিযুদ্ধে তিন বাহিনীর সম্মিলিত অভিযানের স্মরণে | 
| মুক্তিযোদ্ধা দিবস | ০১ ডিসেম্বর | মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা ও ত্যাগের স্বীকৃতি | 
| বিজয় দিবস | ১৬ ডিসেম্বর | পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের মাধ্যমে স্বাধীনতার অর্জন | 
সূত্র:
- 
বাংলাপিডিয়া 
- 
বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা (নবম-দশম শ্রেণি) 
- 
জাতীয় তথ্য বাতায়ন 
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 3 months ago