পূর্ণবয়স্ক সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের রক্তচাপ কোনটি?
A
১৬০/৯০
B
১২০/৮০
C
১৮০/১০০
D
৯০/৬০
উত্তরের বিবরণ
পূর্ণবয়স্ক সুস্থ ও স্বাভাবিক মানুষের স্বাভাবিক রক্তচাপ হলো ১২০/৮০ mmHg। এখানে ১২০ হলো সিস্টোলিক চাপ (Systolic Pressure) এবং ৮০ হলো ডায়াস্টোলিক চাপ (Diastolic Pressure)। রক্তচাপ বা Blood Pressure বলতে বোঝায়, হৃদযন্ত্র যখন শরীরে রক্ত পাম্প করে তখন রক্তের দ্বারা রক্তনালীর প্রাচীরে সৃষ্ট চাপ।
স্বাভাবিক রক্তচাপের মান বজায় রাখা মানুষের হৃদযন্ত্র, কিডনি এবং মস্তিষ্কের সুস্থতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
– সিস্টোলিক চাপ (Systolic Pressure) হলো রক্তচাপের উপরের মান, যা হৃদপিণ্ড সংকোচন (contraction) করে রক্ত ধমনিতে পাঠানোর সময় সৃষ্টি হয়।
– ডায়াস্টোলিক চাপ (Diastolic Pressure) হলো নিচের মান, যা হৃদপিণ্ড বিশ্রামে থাকাকালীন রক্তনালীর ভিতরের চাপ নির্দেশ করে।
– একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের রক্তচাপ গড়ে ১২০/৮০ mmHg, যা শরীরের স্বাভাবিক কার্যক্রমের জন্য আদর্শ ধরা হয়।
– যদি রক্তচাপ ১৪০/৯০ mmHg বা তার বেশি হয়, তাহলে তা উচ্চ রক্তচাপ (Hypertension) হিসেবে বিবেচিত হয়, যা হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।
– অপরদিকে, রক্তচাপ যদি ৯০/৬০ mmHg-এর নিচে নেমে যায়, তখন তাকে নিম্ন রক্তচাপ (Hypotension) বলা হয়, যা মাথা ঘোরা বা দুর্বলতার কারণ হতে পারে।
– বয়স, মানসিক চাপ, খাদ্যাভ্যাস, শারীরিক পরিশ্রম, ওজন, ধূমপান ও ঘুমের অভাব—এসব উপাদান রক্তচাপের পরিবর্তনে ভূমিকা রাখে।
– পর্যাপ্ত পানি পান, লবণ নিয়ন্ত্রণ, নিয়মিত ব্যায়াম এবং মানসিক প্রশান্তি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
– দীর্ঘ সময় ধরে উচ্চ রক্তচাপ অনিয়ন্ত্রিত থাকলে হৃদযন্ত্রের ক্ষতি, কিডনি বিকল, চোখের ক্ষতি এবং মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের মতো জটিলতা দেখা দিতে পারে।
সুতরাং, পূর্ণবয়স্ক সুস্থ মানুষের স্বাভাবিক রক্তচাপ হলো ১২০/৮০ mmHg, যা শরীরের রক্ত সঞ্চালন ব্যবস্থাকে ভারসাম্যপূর্ণ রাখে এবং সামগ্রিক সুস্থতার জন্য অপরিহার্য।
0
Updated: 4 days ago
কোন উপাদানটি রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরি করে?
Created: 4 days ago
A
ক্যালসিয়াম
B
ম্যাঙ্গানিজ
C
প্রোটিন
D
লৌহ
রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরি করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো লৌহ (Iron)। হিমোগ্লোবিন হলো রক্তের একটি প্রোটিন যা অক্সিজেন পরিবহন করতে সাহায্য করে। হিমোগ্লোবিনের গঠন মূলত লৌহ ধারণকারী একটি অংশ থেকে আসে, যা অক্সিজেনের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেন সরবরাহ করে।
লৌহের ভূমিকা:
-
লৌহ হিমোগ্লোবিনের প্রধান উপাদান, যা রক্তের রেড ব্লাড সেল (RBC) গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
লৌহের অভাবে হিমোগ্লোবিনের উৎপাদন কমে যেতে পারে, যার ফলে রক্তস্বল্পতা (Anemia) হতে পারে।
-
যথাযথ পরিমাণ লৌহ শরীরে থাকা সত্ত্বেও রক্তে অক্সিজেনের সঠিক পরিবহণ সম্ভব হয়।
অন্য উপাদানগুলোর ভূমিকা:
-
ক্যালসিয়াম মূলত হাড় ও দাঁত শক্ত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ, তবে এটি হিমোগ্লোবিন গঠনে সাহায্য করে না।
-
ম্যাঙ্গানিজ একটি ট্রেস উপাদান, যা মেটাবলিজম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এনজাইমের কার্যক্রমে সহায়ক, তবে এটি হিমোগ্লোবিন গঠনে প্রভাবিত করে না।
-
প্রোটিন শরীরের গঠনমূলক উপাদান, তবে হিমোগ্লোবিন গঠনে সরাসরি প্রভাব ফেললেও এটি প্রধান উপাদান নয়।
সুতরাং, হিমোগ্লোবিন তৈরিতে লৌহ প্রধান উপাদান হিসেবে কাজ করে।
উ. ঘ) লৌহ
0
Updated: 4 days ago
অগভীর পানিতে সুনামির শক্তি কেমন হয়?
Created: 1 month ago
A
বৃদ্ধি পায়
B
কমে যায়
C
অনির্ধারিত
D
অপরিবর্তিত থাকে
সুনামি হলো একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। Tsunami শব্দটি জাপানি; যেখানে ‘সু’ অর্থ বন্দর এবং ‘নামি’ অর্থ ঢেউ, অর্থাৎ সুনামি শব্দের অর্থ হলো বন্দরের ঢেউ।
-
সমুদ্রতলদেশে ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত, ভূমিধস এবং নভোজাগতিক ঘটনা সুনামি সৃষ্টি করতে পারে।
-
সুনামিকে পৃথিবীর তৃতীয় প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
-
এই প্রাকৃতিক দুর্যোগটি সাধারণত শুধুমাত্র সাগরে সংঘটিত হয়।
-
সাধারণত সমুদ্রের তলদেশে ভূমিকম্প ঘটলে সুনামি তৈরি হয়।
-
২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর স্বরণকালের ভয়ঙ্কর একটি সুনামি সংঘটিত হয়।
-
ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের কাছাকাছি ভারত মহাসাগরের তলদেশে সৃষ্টি হয়েছিল ট্রাক্টনিক ভূমিকম্প।
-
ইউরেশিয়ান প্লেট ও অস্ট্রেলিয়ান প্লেটের সংঘর্ষে তৈরি এই মারাত্মক ভূমিকম্প রিখটার স্কেলে নয় মাত্রার ছিল।
-
এই জলোচ্ছাসে প্রায় তিন লাখ মানুষ নিহত হয়, যার মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রার আচেহ প্রদেশে নিহত হয় এক লাখ মানুষ।
-
অগভীর পানিতে যাওয়ার সময় সুনামি তার শক্তি হারায়, অর্থাৎ কমে যায়।
-
বঙ্গোপসাগরে ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত অগভীর পানি বাংলাদেশকে সুনামির প্রভাবে রক্ষা করে।
-
১৭৬২ সালের ২ এপ্রিল বঙ্গোপসাগরের আরাকান অঞ্চলে সংঘটিত ভূমিকম্প থেকে সৃষ্ট সুনামি বাংলাদেশে আঘাত এনেছিল।
0
Updated: 1 month ago
লোহিত কণিকা কোথায় উৎপন্ন হয়?
Created: 3 weeks ago
A
অস্থিমজ্জায়
B
লিভারে
C
প্লীহায়
D
হৃৎপিণ্ডে
রক্ত কণিকা তিন ধরনের হয়, যা রক্তের বিভিন্ন কার্যাবলীর সঙ্গে জড়িত।
ক. লোহিত কণিকা:
-
রক্তে লোহিত কণিকার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি থাকে।
-
এক ঘন মিলিলিটার রক্তে পুরুষদের জন্য প্রায় ৫০ লক্ষ, এবং মহিলাদের জন্য প্রায় ৪৫ লক্ষ লোহিত কণিকা থাকে।
-
এটি অস্থিমজ্জায় উৎপন্ন হয় এবং ১২০ দিন পর প্লীহায় বিনষ্ট হয়।
-
ব্যায়াম করলে লোহিত কণিকার সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং এগুলো দীর্ঘদিন বাঁচে।
-
লোহিত কণিকা হিমোগ্লোবিনের সহায়তায় দেহের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেন সরবরাহ করে এবং শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
খ. শ্বেত কণিকা:
-
শরীরে রক্তে শ্বেত কণিকার সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম থাকে।
-
এক মিলিলিটার রক্তে প্রায় ৬–৮ হাজার শ্বেত কণিকা থাকে।
-
এরা বর্ণহীন এবং নিউক্লিয়াসযুক্ত।
-
সাধারণত এরা ১২–১৩ দিন বাঁচে।
-
ব্যায়াম করলে এদের বেঁচে থাকার সময় ও সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।
-
শ্বেত কণিকা রক্তে প্রবেশকারী জীবাণুকে ঘিরে ধরে বিনষ্ট করে এবং দেহকে রক্ষা করে, ফলে শরীরের ক্ষমতা ও শক্তিশালীতা বৃদ্ধি পায়।
গ. অণুচক্রিকা:
-
অণুচক্রিকা দেখতে ডিম্বাকার বা ডিস্কের মতো।
-
দেহের বৃহদাকার কোষ ভেঙ্গে অণুচক্রিকা সৃষ্টি হয়।
-
দেহের কোনো স্থানে ক্ষত হলে সেখানে ৩ মিনিটের মধ্যে রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।
0
Updated: 3 weeks ago