তড়িৎ শক্তি শব্দ শক্তিতে রূপান্তরিত হয় যে যন্ত্রের মাধ্যমে তা হলো--
A
অ্যামপ্লিফায়ার
B
জেনারেটর
C
লাউড স্পিকার
D
মেইক্রোফোন
উত্তরের বিবরণ
তড়িৎ শক্তি যখন শব্দ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়, তখন এর জন্য ব্যবহৃত যন্ত্র হলো লাউড স্পিকার। এটি বৈদ্যুতিক সংকেতকে যান্ত্রিক কম্পনের মাধ্যমে শব্দে পরিণত করে, যা আমাদের কানে পৌঁছে।
-
লাউড স্পিকার বৈদ্যুতিক সিগন্যাল গ্রহণ করে এবং স্পিকারের কয়েল ও ম্যাগনেটিক সিস্টেমের মাধ্যমে ভিব্রেশন বা কম্পন তৈরি করে। এই কম্পন বাতাসের কণাগুলিকে আন্দোলিত করে এবং শব্দ তরঙ্গ তৈরি করে।
-
বৈদ্যুতিক সংকেত মূলত তড়িৎ শক্তি, এবং স্পিকারের ভিব্রেশন সেটিকে শাব্দ শক্তি বা শব্দে রূপান্তরিত করে।
-
অ্যামপ্লিফায়ার মূলত সংকেতকে শক্তিশালী করে, কিন্তু সরাসরি শব্দ উৎপন্ন করে না।
-
জেনারেটর বৈদ্যুতিক শক্তি উৎপন্ন করে, কিন্তু শব্দের জন্য নয়।
-
মাইক্রোফোন শব্দকে বৈদ্যুতিক সংকেতে রূপান্তরিত করে, অর্থাৎ এটি ঠিক উল্টো কাজ করে—শব্দকে তড়িৎ শক্তিতে রূপান্তর করে।
সংক্ষেপে, লাউড স্পিকার বৈদ্যুতিক সংকেতকে যান্ত্রিক কম্পনের মাধ্যমে শব্দে রূপান্তরিত করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গীত, বক্তৃতা, এবং অন্যান্য অডিও সরঞ্জামে অপরিহার্য।
-
তড়িৎ শক্তি → লাউড স্পিকারের মাধ্যমে → যান্ত্রিক কম্পন → শব্দ তরঙ্গ
-
অ্যামপ্লিফায়ার সংকেত শক্তিশালী করে
-
জেনারেটর তড়িৎ শক্তি উৎপন্ন করে
-
মাইক্রোফোন শব্দকে বৈদ্যুতিক সংকেতে রূপান্তরিত করে
এই ব্যাখ্যা উত্তরের সঙ্গে সম্পূর্ণ সামঞ্জস্যপূর্ণ, তথ্য সঠিক এবং শিক্ষণীয়ভাবে উপস্থাপিত।
0
Updated: 4 days ago
'বেল্ট অ্যান্ড রোড' কার্যক্রম শুরু হয় :
Created: 3 weeks ago
A
২০০০ সাল
B
২০০১ সাল
C
২০১৩ সাল
D
২০১৬ সাল
‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (BRI)’ হলো চীন প্রবর্তিত একটি বৃহৎ আন্তর্জাতিক উদ্যোগ, যা মূলত ভৌত অবকাঠামো ও বিনিয়োগের মাধ্যমে এশিয়া, ইউরোপ এবং অন্যান্য অঞ্চলে সংযোগ স্থাপন ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্য নিয়ে তৈরি। এই প্রকল্পকে ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড বা নিউ সিল্ক রোড নামেও বলা হয়।
-
প্রবর্তন: ২০১৩ সালে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং প্রথম এই প্রকল্পের বিষয়টি প্রকাশ করেন।
-
উদ্দেশ্য: উন্নয়ন এবং বিনিয়োগ উদ্যোগের বিস্তৃত সংগ্রহের মাধ্যমে পূর্ব এশিয়া এবং ইউরোপকে ভৌত অবকাঠামো দিয়ে সংযুক্ত করা।
-
বিশ্বব্যাংকের বিশ্লেষণ: মে ২০১৮ থেকে, বিশ্বব্যাংক গ্রুপ ১৯টি ব্যাকগ্রাউন্ড পেপারের সিরিজ প্রকাশ করেছে এবং একটি সারসংক্ষেপ প্রতিবেদন তৈরি করেছে, যা বাণিজ্য, বিনিয়োগ, ঋণ, সংগ্রহ, পরিবেশ, দারিদ্র্য হ্রাস এবং অবকাঠামোর সাথে BRI-এর সম্পর্কের স্বাধীন বিশ্লেষণ প্রদান করে।
-
PGII পরিকল্পনা: চীনের BRI-এর মোকাবিলায় জি-৭ভুক্ত দেশসমূহ নতুন একটি পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে, যার নাম PGII (Partnership for Global Infrastructure and Investment)।
-
উদ্দেশ্য ও অংশীদারিত্ব: PGII প্রকল্পের মাধ্যমে চীনকে মোকাবিলা করে বৈশ্বিক অবকাঠামো ও বিনিয়োগ অংশীদারিত্ব তৈরি করা হয়েছে। প্রকল্প গ্রহণকারী সংস্থা হলো G7।
-
জি-৭ সম্মেলন: ৪৮তম জি-৭ শীর্ষ সম্মেলন ২০২২ সালের ২৬-২৮ জুন জার্মানির ব্যাভারিয়ান রাজ্যের শ্লোস এলমাই শহরে অনুষ্ঠিত হয়।
0
Updated: 3 weeks ago
প্রাচীনকালে কোন দেশে সিভিল সার্ভিসের ধারণা প্রথম উদ্ভূত হয়?
Created: 2 weeks ago
A
মিশর
B
গ্রীস
C
চীন
D
রোম
প্রাচীন যুগে সিভিল সার্ভিসের ধারণা প্রথম বিকশিত হয় চীনে, যদিও এর প্রাথমিক রূপ দেখা যায় আরও আগে বিভিন্ন সভ্যতায়। সিভিল সার্ভিস মূলত একটি রাষ্ট্রীয় প্রশাসনিক কাঠামো,
যার মাধ্যমে সরকার দক্ষ ও নিরপেক্ষ কর্মকর্তাদের দ্বারা প্রশাসন পরিচালনা করে এবং নাগরিকদের সেবা প্রদান করে।
সিভিল সার্ভিস হলো একটি পেশাদার, অরাজনৈতিক ও দক্ষ কর্মকর্তা-কর্মচারী বাহিনী, যারা সংবিধান ও সরকারের নীতিমালার আলোকে কাজ করে।
-
এ ব্যবস্থার মাধ্যমে সরকার তার প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে ও জনগণের কাছে নীতিমালা বাস্তবায়ন করে।
-
এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা অনুসারে, প্রাচীন মিশর ও গ্রীক সভ্যতায় এই ধারণার সূচনা দেখা যায়।
-
পরবর্তীতে রোমান সাম্রাজ্য প্রশাসনিক দপ্তর গঠন করে একটি সংগঠিত নেটওয়ার্ক তৈরি করে, যা পরে রোমান ক্যাথলিক চার্চও অনুসরণ করে।
চীনের অবদান:
-
খ্রিষ্টপূর্ব ২ অব্দে চীনে সিভিল সার্ভিসের আনুষ্ঠানিক সূচনা ঘটে, যা দুই হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে তাদের প্রশাসনিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখে।
-
মেধাভিত্তিক নিয়োগের প্রাচীনতম উদাহরণ হলো চীনের ইম্পেরিয়াল আমলাতন্ত্র, যেখানে পরীক্ষার মাধ্যমে সরকারি কর্মকর্তা নিয়োগ করা হতো।
-
চীনে সিভিল সার্ভিসের চাকরিকে বলা হয় “Iron Rice Bowl”, যার মাধ্যমে চাকরির স্থায়িত্ব ও উচ্চ বেতন বোঝানো হয়।
-
সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার স্থানীয় নাম ছিল “Guako” (পরবর্তীতে “Keju” নামে পরিচিত)।
-
খ্রিষ্টপূর্ব ২০৬ অব্দে হান রাজবংশের সম্রাট গাওজু (Gaozu) পরীক্ষার মাধ্যমে রাজকর্মচারী নিয়োগের ব্যবস্থা চালু করেন।
-
পরবর্তী সুই (৫৮১–৬১৮) ও তাং (৬১৮–৯০৭) রাজবংশে এই পদ্ধতি আরও উন্নত হয়।
-
সং রাজবংশ (৯৬০–১২৭৯) প্রথমবারের মতো “jinshi degree” নামক যোগ্যতা ও পরীক্ষা পদ্ধতির প্রচলন করে।
-
মিং (১৩৬৮–১৬৪৪) ও কিং (১৬৪৪–১৯১১) রাজবংশে সিস্টেমটি পূর্ণাঙ্গ রূপ নেয়।
-
কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়ম ছিল—নিজ এলাকায় পোস্টিং না পাওয়া, তিন বছরের বেশি এক জায়গায় না থাকা, শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য শাস্তির বিধান ইত্যাদি।
-
১৯৪৯ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার পর বর্তমান রাষ্ট্রীয় সিভিল সার্ভিস ব্যবস্থা গড়ে ওঠে, যেখানে সাধারণত কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যরাই নিয়োগ পান।
অতএব, বিশ্বে সিভিল সার্ভিসের উদ্ভব চীনেই হয়েছে বলে ঐতিহাসিকভাবে স্বীকৃত।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর এই কাঠামো ভারত ও পাকিস্তানে বিভক্ত হয়। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে এই কাঠামো পুনর্গঠিত হয়ে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (BCS) নামে আত্মপ্রকাশ করে।
0
Updated: 2 weeks ago
ভারত কর্তৃক সিকিম সংযুক্ত হয়—
Created: 3 weeks ago
A
১৯৭০
B
১৯৭২
C
১৯৭৫
D
১৯৭৭
সিকিম ভারতের একটি ছোট ও সুন্দর রাজ্য, যা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি হিসেবে পরিচিত। পৃথিবীর তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘার পাদদেশে অবস্থিত এই রাজ্য সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৬,০০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত।
ছোট আয়তনের (৭,০৯৬ বর্গ কিলোমিটার) সিকিম ভারতের দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম রাজ্য এবং এর রাজধানী হলো গ্যাংটক। সিকিম প্রথমে স্বাধীন অঞ্চল হলেও বিভিন্ন রাজনৈতিক ঘটনার পর ১৯৭৫ সালে এটি ভারতের প্রজাতন্ত্রের অংশে পরিণত হয়।
-
রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রেক্ষাপট: ১৯৭৩ সালে সিকিমে নির্বাচনের ফলাফলে অসন্তুষ্ট হয়ে ভোট কারচুপির অভিযোগ আনে লেন্ডুপ দর্জি নেতৃত্বাধীন সিকিম ন্যাশনাল কংগ্রেস। এর ফলে দেশব্যাপী তীব্র আন্দোলন শুরু হয়, যা একসময় রাজতন্ত্রের পতনের দিকে মোড় নেয়।
-
১৯৭৪ সালে পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং নির্বাচনে লেন্দুপ দর্জি অস্বাভাবিক ব্যবধানে বিজয় লাভ করেন। ৩২টি আসনের মধ্যে ৩১টি আসনেই তার দল জয়ী হয়। এর পর লেন্দুপ দর্জি হন সিকিমের প্রধানমন্ত্রী, আর চোগিয়াল সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে থাকেন।
-
১৯৭৫ সালের ২৭ মার্চ লেন্দুপ দর্জি কেবিনেট মিটিংয়ে রাজতন্ত্র বিলোপের বিষয়ে সাজানো গণভোটের আয়োজন করেন। এই গণভোটের ফলাফলে চোগিয়াল পদের অবসান ঘটে।
-
এর পর, ২৬ এপ্রিল ১৯৭৫ সিকিমকে ভারতের ২২তম রাজ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
0
Updated: 3 weeks ago