কোনটি এন্টিবায়োটিক-
A
ইনসুলিন
B
পেপসিন
C
পেনিসিলিন
D
ইথিলিন
উত্তরের বিবরণ
এন্টিবায়োটিক হল এমন পদার্থ যা জীবাণু বা ব্যাকটেরিয়াকে হত্যা করে বা তাদের বৃদ্ধি ধীর করে। চিকিৎসা ক্ষেত্রে সংক্রমণ রোধ এবং জীবাণু সংক্রান্ত রোগ প্রতিরোধে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়। পেনিসিলিন হলো সবচেয়ে পরিচিত এবং প্রথম আবিষ্কৃত এন্টিবায়োটিক যা ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিকে প্রতিরোধ করে।
-
পেনিসিলিন ১৯২৮ সালে অ্যালেক্সান্ডার ফ্লেমিং আবিষ্কার করেন। এটি মূলত ব্যাকটেরিয়ার কোষপ্রাচীর নির্মাণ বাধাগ্রস্ত করে তাদের বৃদ্ধি ও বিস্তার রোধ করে। চিকিৎসায় এটি বিভিন্ন সংক্রমণ যেমন নিউমোনিয়া, থাইফয়েড, স্কারলেট ফিভার ইত্যাদিতে কার্যকর।
-
ইনসুলিন হল এক ধরনের হরমোন, যা লিভার এবং প্যাংক্রিয়াসের মাধ্যমে রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এটি এন্টিবায়োটিক নয়, বরং ডায়াবেটিস রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
-
পেপসিন হলো একটি প্রোটিন হজমকারী এনজাইম, যা পেটের মধ্যে প্রোটিন ভাঙতে সাহায্য করে। এটি জীবাণু ধ্বংস করার কাজ করে না, তাই এন্টিবায়োটিক নয়।
-
ইথিলিন একটি গ্যাসীয় হরমোন, যা উদ্ভিদে পাকা প্রক্রিয়া ও বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত হয়। এটি মানুষের সংক্রমণ রোধে কোনো কার্যকারিতা রাখে না।
পেনিসিলিনের আবিষ্কার চিকিৎসা ক্ষেত্রে এক বিপ্লবাত্মক পরিবর্তন এনেছে, কারণ এর মাধ্যমে এমন রোগের প্রতিকার সম্ভব হয়েছে যা আগে প্রাণঘাতী ছিল। এটি জীবাণুনাশক ক্ষমতার কারণে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে অমর হয়ে আছে।
-
পেনিসিলিন হলো এন্টিবায়োটিক, যা ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি থামায়।
-
ইনসুলিন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত হরমোন, এন্টিবায়োটিক নয়।
-
পেপসিন প্রোটিন হজমের এনজাইম, জীবাণু হত্যা করে না।
-
ইথিলিন উদ্ভিদ হরমোন, চিকিৎসায় সংক্রমণ প্রতিরোধে ব্যবহৃত হয় না।
এই ব্যাখ্যাটি উত্তরের সঙ্গে সম্পূর্ণ সামঞ্জস্যপূর্ণ, তথ্য সঠিক এবং শিক্ষণীয়ভাবে উপস্থাপিত।
0
Updated: 4 days ago
কোনটির কারণে মরিচ ঝাল লাগে ?
Created: 1 day ago
A
ক্যাপসিসিন
B
ভিটামিন
C
ভিটামিন- ই
D
ভিটামিন - A
মরিচের ঝাল স্বাদ আসলে একটি বিশেষ রাসায়নিক যৌগের ফল, যা আমাদের মুখের স্বাদগ্রন্থি ও স্নায়ুর ওপর প্রভাব ফেলে। এই উপাদানটির নাম ক্যাপসিসিন (Capsaicin)। এটি মরিচে প্রাকৃতিকভাবে উপস্থিত থাকে এবং ঝালের অনুভূতি সৃষ্টি করে। মরিচের প্রজাতি ও পরিমাণভেদে ক্যাপসিসিনের ঘনত্ব পরিবর্তিত হয়, যার ফলে কেউ কেউ কম ঝাল, আবার কেউ কেউ অতিরিক্ত ঝাল মরিচ খেতে পারেন না।
• ক্যাপসিসিন একটি প্রাকৃতিক রাসায়নিক যৌগ, যা মরিচের বীজের চারপাশের সাদা অংশে বেশি পরিমাণে থাকে।
• এটি মুখের TRPV1 নামক স্নায়ুগ্রাহী রিসেপ্টরকে উদ্দীপিত করে, যা মূলত তাপ বা জ্বালার অনুভূতি সনাক্ত করে। ফলে মস্তিষ্ক এটিকে গরম বা ঝাল হিসেবে অনুভব করে।
• ক্যাপসিসিন শরীরে ঢোকার পর স্নায়ুকে সাময়িকভাবে সংবেদনহীন করতে পারে, তাই এটি বেদনানাশক ক্রিম বা স্প্রে তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
• এটি মরিচের ঝাল পরিমাপের মানদণ্ড স্কোভিল স্কেল (Scoville Scale) অনুযায়ী মাপা হয়। এই স্কেলে মরিচের ঝালের মাত্রা নির্ধারণ করা হয়, যেমন– বেল পেপারে প্রায় শূন্য ক্যাপসিসিন থাকে, কিন্তু ‘ভূত জলোকিয়া’ বা ‘ক্যারোলাইনা রিপার’-এ ক্যাপসিসিনের পরিমাণ অত্যন্ত বেশি।
• ক্যাপসিসিন শরীরের বিপাকক্রিয়া বাড়ায়, ফলে ক্যালরি পোড়াতে সাহায্য করে। এজন্য এটি অনেক সময় ওজন কমানোর উপকরণ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।
• এটি প্রাকৃতিকভাবে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবেও কাজ করে, যা কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে এবং ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে।
• মরিচের ঝাল অনেক সময় হজমের গতি বাড়ায়, তবে অতিরিক্ত সেবন পেটের জ্বালাপোড়া বা গ্যাস্ট্রিকের কারণ হতে পারে।
• ক্যাপসিসিন মূলত Capsicum genus-এর উদ্ভিদে পাওয়া যায়, যার মধ্যে লাল, সবুজ, ও শুকনা মরিচ অন্তর্ভুক্ত।
• অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে ক্যাপসিসিন ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি রোধে সহায়তা করতে পারে, যদিও এ বিষয়ে আরও গবেষণা চলছে।
• ঝালের অনুভূতি কমাতে পানি নয়, বরং দুধ বা দই সবচেয়ে কার্যকর, কারণ দুধে থাকা কেসিন প্রোটিন ক্যাপসিসিনের অণুগুলোকে ভেঙে দেয়।
সুতরাং, মরিচের ঝালের প্রকৃত কারণ হলো ক্যাপসিসিন, যা শুধু স্বাদই নয়, বরং ঔষধি গুণেও সমৃদ্ধ। এটি প্রকৃতির এক অনন্য রাসায়নিক উপাদান, যা আমাদের শরীরে উষ্ণতা ও উদ্দীপনা তৈরি করে।
0
Updated: 1 day ago
ইনসুলিন কি?
Created: 5 days ago
A
এক ধরনের কৃত্রিম অঙ্গ
B
এক ধরনের প্রোটিন
C
এক ধরনের এনজাইম
D
এক ধরনের হরমোন
ইনসুলিন হলো একটি হরমোন, যা মানবদেহে প্যানক্রিয়াসের বেটা কোষ থেকে সৃষ্ট হয়। এটি দেহে রক্তের গ্লুকোজ বা চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ইনসুলিন শরীরকে খাদ্য থেকে প্রাপ্ত গ্লুকোজকে কোষে গ্রহণ ও স্টোর করতে সাহায্য করে, যাতে রক্তে অতিরিক্ত চিনি জমা না হয়। তাই সঠিক উত্তর হলো (ঘ) এক ধরনের হরমোন।
বিস্তারিত ব্যাখ্যা:
ইনসুলিনের উৎস ও গঠন:
-
উৎপন্ন হয় প্যানক্রিয়াসের ল্যাংগারহান্স আইল্যান্ডের বেটা কোষ থেকে।
-
এটি একটি প্রোটিন হরমোন, তবে এখানে মূল বিষয় হলো এর কার্যক্রম, যা হরমোনের মাধ্যমে হয়।
ইনসুলিনের কাজ:
-
রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ: খাবারের পর রক্তে গ্লুকোজ বেড়ে গেলে, ইনসুলিন তা কোষে প্রবেশ করিয়ে শক্তি হিসেবে ব্যবহার বা গ্লাইকোজেন আকারে সংরক্ষণ করে।
-
শরীরের বিভিন্ন কোষে শক্তি সরবরাহ: মস্তিষ্ক, পেশি ও লিভারের কোষে গ্লুকোজ সরবরাহের জন্য ইনসুলিন অপরিহার্য।
-
ডায়াবেটিসের সঙ্গে সম্পর্ক: ইনসুলিনের অভাব বা কার্যকারিতা কমলে রক্তে অতিরিক্ত চিনি জমে, যা ডায়াবেটিস মেলাইটাস সৃষ্টি করতে পারে।
অন্য বিকল্পগুলো বিশ্লেষণ:
-
(ক) এক ধরনের কৃত্রিম অঙ্গ: ইনসুলিন কোনো কৃত্রিম অঙ্গ নয়।
-
(খ) এক ধরনের প্রোটিন: যদিও গঠন হিসেবে এটি প্রোটিন, মূল শ্রেণিবিন্যাস হলো হরমোন, তাই এটি সঠিক শ্রেণি নয়।
-
(গ) এক ধরনের এনজাইম: ইনসুলিন কোনো এনজাইম নয়, এটি কোনো রসায়নিক প্রতিক্রিয়া catalyze করে না, বরং সিগন্যাল বা সংকেত হিসেবে কাজ করে।
উপসংহার:
ইনসুলিন হলো এক ধরনের হরমোন, যা রক্তের চিনি নিয়ন্ত্রণ ও শক্তি সরবরাহে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক উত্তর হলো (ঘ) এক ধরনের হরমোন।
0
Updated: 5 days ago
একক ভরের কোনো বস্তুর ওজন বিষুবীয় অঞ্চলে কত?
Created: 11 hours ago
A
৯.৭৯ নিউটন
B
৯.৭৮ নিউটন
C
৯.৮১ নিউটন
D
৯.৮৩ নিউটন
পৃথিবীর প্রতিটি স্থানে অভিকর্ষজ ত্বরণ বা মাধ্যাকর্ষণ বল সমান নয়। এটি অক্ষাংশ ও উচ্চতার তারতম্যের কারণে পরিবর্তিত হয়। বিষুবরেখায় পৃথিবীর ব্যাসার্ধ সবচেয়ে বেশি এবং ঘূর্ণনজনিত কারণে সেখানে কেন্দ্রাতিগ বলও কার্যকর হয়, যার ফলে ওজন কিছুটা কমে যায়। তাই একক ভরের কোনো বস্তুর ওজন বিষুবীয় অঞ্চলে হয় ৯.৭৮ নিউটন।
• পৃথিবীর ঘূর্ণনের ফলে একটি কেন্দ্রাতিগ বল সৃষ্টি হয় যা বস্তুটিকে পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে দূরে ঠেলে দেয়। এই বল সর্বাধিক থাকে বিষুবরেখায় এবং মেরুর দিকে শূন্য হয়।
• বিষুবরেখায় পৃথিবীর ব্যাসার্ধ প্রায় ৬,৩৭৮ কিলোমিটার, আর মেরুতে এটি প্রায় ৬,৩৫৭ কিলোমিটার। এই ব্যাসার্ধের পার্থক্যের কারণে পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে দূরত্ব বিষুব অঞ্চলে বেশি হয়, ফলে অভিকর্ষজ আকর্ষণ কমে যায়।
• অভিকর্ষজ ত্বরণ (g) বিষুবরেখায় প্রায় ৯.৭৮ মিটার/সেকেন্ড² এবং মেরু অঞ্চলে প্রায় ৯.৮৩ মিটার/সেকেন্ড²। অর্থাৎ, বিষুবরেখায় ওজন কিছুটা কম হয়।
• ওজন নির্ভর করে সূত্র W = mg এর ওপর, যেখানে m হলো ভর এবং g হলো অভিকর্ষজ ত্বরণ। যেহেতু বিষুবীয় অঞ্চলে g এর মান ৯.৭৮, তাই একক ভরের বস্তুর ওজনও হবে ৯.৭৮ নিউটন।
• উদাহরণ হিসেবে, যদি ১ কেজি ভরের কোনো বস্তু বিষুবরেখায় রাখা হয়, তবে তার ওজন হবে ৯.৭৮ নিউটন, কিন্তু মেরু অঞ্চলে সেটি হবে ৯.৮৩ নিউটন।
• পৃথিবীর আকৃতি চ্যাপ্টা গোলক (Oblate spheroid)—এই আকারের কারণেই অভিকর্ষজ বল সর্বত্র এক নয়। বিষুবরেখা ফোলা এবং মেরু চ্যাপ্টা হওয়ায় মেরু অঞ্চলে কেন্দ্রের কাছাকাছি অবস্থান করে, ফলে সেখানে আকর্ষণ বেশি হয়।
• এছাড়াও, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা যত বাড়ে, পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে দূরত্বও তত বৃদ্ধি পায়, ফলে উচ্চ স্থানগুলোতে g এর মান আরও কম হয়।
• এই পার্থক্যটি দৈনন্দিন জীবনে খুব সূক্ষ্মভাবে অনুভূত হয়, কিন্তু পদার্থবিদ্যায় এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উপগ্রহের কক্ষপথ নির্ণয়, ওজন পরিমাপ বা মহাকাশ অভিযানের ক্ষেত্রে এই পরিবর্তন বিবেচনায় নেওয়া হয়।
• সংক্ষেপে বলা যায়, পৃথিবীর ঘূর্ণন, ব্যাসার্ধের পার্থক্য ও কেন্দ্রাতিগ বল—এই তিনটি কারণেই বিষুবরেখায় ওজন কম হয়। তাই একক ভরের বস্তুর ওজন বিষুবীয় অঞ্চলে ৯.৭৮ নিউটন।
0
Updated: 11 hours ago