Post Natal Complication কোনটি নয়?
A
Puerperal Sepsis
B
Influenza
C
Thrombophlebitis
D
উত্তরের বিবরণ
Postnatal বা প্রসব-পরবর্তী জটিলতা সাধারণত প্রসবের পর মায়ের শরীরে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন শারীরিক বা সংক্রমণজনিত সমস্যাকে বোঝায়। এই সময় শরীর দুর্বল থাকে এবং জরায়ু, রক্তনালী ও অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। তাই এই সময়ের মধ্যে অনেক ধরনের জটিলতা দেখা দিতে পারে। তবে সব রোগ বা সংক্রমণই এই শ্রেণিতে পড়ে না।
Postnatal complication-এর সাধারণ উদাহরণগুলো হলো:
Puerperal sepsis— এটি একটি গুরুতর সংক্রমণজনিত জটিলতা, যা প্রসবের পর জরায়ু বা জননাঙ্গে জীবাণু প্রবেশের ফলে ঘটে। উচ্চ জ্বর, দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব, পেট ব্যথা ইত্যাদি এর প্রধান লক্ষণ।
Thrombophlebitis— এটি রক্তনালীর প্রদাহ, যা সাধারণত পা বা পেলভিক অঞ্চলে দেখা দেয়। প্রসব-পরবর্তী রক্ত জমাট বাঁধার কারণে এ সমস্যা হয় এবং এটি postnatal complication হিসেবে বিবেচিত।
Secondary haemorrhage— এটি প্রসবের ২৪ ঘণ্টা পর ঘটে যাওয়া অতিরিক্ত রক্তপাতকে বোঝায়। এটি জরায়ুর ভিতরে টিস্যু অবশিষ্ট থাকা বা সংক্রমণের কারণে হতে পারে এবং চিকিৎসা না করলে জীবনহানির ঝুঁকি থাকে।
অন্যদিকে Influenza হলো একটি সাধারণ ভাইরাসজনিত শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ, যা যে কারো হতে পারে এবং এটি প্রসব-পরবর্তী জটিলতার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত নয়। এটি কোনো বিশেষ postnatal physiological পরিবর্তন বা obstetric কারণে হয় না, বরং মৌসুমি ভাইরাস সংক্রমণের ফলাফল।
সুতরাং, Influenza একটি সাধারণ অসুস্থতা হলেও এটি postnatal complication নয়, কারণ এটি প্রসবের সাথে সম্পর্কিত নয় এবং অন্যান্য বিকল্পগুলোর মতো গাইনোকোলজিক বা obstetric জটিলতা নয়।
উ. খ) Influenza
0
Updated: 4 days ago
গর্ভকালীন প্রসূতি সেবা কমপক্ষে কতবার নেয়া উচিত?
Created: 4 days ago
A
৬ বার
B
৮ বার
C
৪ বার
D
৯ বার
গর্ভকালীন প্রসূতিসেবা বা অ্যান্টেনাটাল কেয়ার (ANC) হলো গর্ভবতী মায়ের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, যা মা ও শিশুর সুস্থতা নিশ্চিত করতে অপরিহার্য। এই সেবার মাধ্যমে গর্ভাবস্থার বিভিন্ন ঝুঁকি আগেভাগেই শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ও জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি অনুযায়ী, গর্ভবতী মাকে কমপক্ষে চারবার এই সেবা নিতে হয়।
-
গর্ভকালীন প্রসূতিসেবার মূল লক্ষ্য হলো মায়ের ও ভ্রূণের শারীরিক পরিবর্তনগুলো নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা, যাতে জটিলতা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা দেওয়া যায়।
-
প্রথম সেবা নেওয়া উচিত গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসের (১২ সপ্তাহের) মধ্যেই, যাতে মায়ের স্বাস্থ্যের প্রাথমিক মূল্যায়ন ও প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করা যায়।
-
দ্বিতীয় সেবা দেওয়া হয় ২৪–২৮ সপ্তাহের মধ্যে, যখন শিশুর বৃদ্ধি দ্রুত হতে থাকে এবং মায়ের শরীরে অতিরিক্ত রক্ত ও পুষ্টির চাহিদা বাড়ে।
-
তৃতীয় সেবা নেওয়া উচিত ৩০–৩৪ সপ্তাহের মধ্যে, এ সময় উচ্চ রক্তচাপ, রক্তশূন্যতা বা গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে, যা আগেভাগে শনাক্ত করা প্রয়োজন।
-
চতুর্থ সেবা দেওয়া হয় ৩৬ সপ্তাহের পর, অর্থাৎ শিশুর জন্মের আগে শেষ পর্যায়ে। এতে প্রসবের প্রস্তুতি, সম্ভাব্য তারিখ, ও ডেলিভারির পরিকল্পনা নিয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়।
-
প্রতিবার সেবার সময় মায়ের ওজন, রক্তচাপ, রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ, প্রস্রাবে প্রোটিন, এবং শিশুর অবস্থান ও হার্টবিট পরীক্ষা করা হয়।
-
এই সেবা নেওয়ার ফলে গর্ভকালীন জটিলতা যেমন প্রি-এক্ল্যাম্পসিয়া, অ্যানিমিয়া, বা অকাল প্রসবের ঝুঁকি কমে যায়।
-
অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসক অতিরিক্ত পরিদর্শনের পরামর্শ দিতে পারেন যদি মায়ের পূর্বে জটিল প্রসব, রক্তচাপজনিত সমস্যা বা গর্ভকালীন ডায়াবেটিস থাকে।
-
নিয়মিত ANC সেবা গ্রহণ করলে মা সঠিক সময়ে আয়রন, ফলিক এসিড, টিটেনাস টিকা, ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট ইত্যাদি পান, যা শিশুর স্বাভাবিক বিকাশে সাহায্য করে।
-
গর্ভবতী মাকে এই সময় মানসিকভাবে শান্ত রাখা ও পর্যাপ্ত বিশ্রাম দিতে হয়, কারণ মানসিক চাপ ভ্রূণের বিকাশে প্রভাব ফেলে।
সব মিলিয়ে বলা যায়, গর্ভকালীন প্রসূতি সেবা কমপক্ষে চারবার নেওয়া জরুরি, যা মায়ের ও শিশুর নিরাপদ প্রসব এবং সুস্থ জীবন নিশ্চিত করে। নিয়মিত এই সেবা গ্রহণের মাধ্যমেই গর্ভাবস্থা থেকে প্রসব পর্যন্ত প্রতিটি ধাপ নিরাপদভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব।
0
Updated: 4 days ago
পাঁচ বছরের নিচে বাচ্চার সর্বাধিক মৃত্যুর কারণ কোনটি নয়?
Created: 4 days ago
A
ডায়রিয়া
B
নিউমোনিয়া
C
অপুষ্টিজনিত
D
ক্যান্সার
পাঁচ বছরের নিচে শিশুদের মৃত্যুর প্রধান কারণগুলোর মধ্যে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া এবং অপুষ্টিজনিত সমস্যা সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখে। তবে ক্যান্সার এই বয়সী শিশুদের মৃত্যুর সাধারণ কারণ নয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে শিশু মৃত্যুর বড় অংশই প্রতিরোধযোগ্য ও চিকিৎসাযোগ্য রোগের কারণে ঘটে।
পাঁচ বছরের নিচে শিশু মৃত্যুর প্রধান কারণগুলো হলো:
– ডায়রিয়া: এটি শিশু মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। দূষিত পানি, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং স্যানিটেশনের অভাবের ফলে ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়ে। শিশুর শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি ও লবণ বেরিয়ে যাওয়ায় ডিহাইড্রেশন ঘটে, যা প্রাণঘাতী হতে পারে।
– নিউমোনিয়া: এটি শিশুদের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক সংক্রামক রোগগুলোর একটি। ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা ফাঙ্গাসের সংক্রমণে শ্বাসযন্ত্রে প্রদাহ হয়, ফলে শ্বাসকষ্ট ও অক্সিজেন ঘাটতি দেখা দেয়। সময়মতো চিকিৎসা না পেলে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।
– অপুষ্টি: এটি শিশুদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে দেয়, ফলে তারা সহজেই সংক্রমিত হয়। অপুষ্ট শিশুরা ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার মতো রোগে দ্রুত আক্রান্ত হয় এবং সেরে উঠতে পারে না।
– অপুষ্টির সঙ্গে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া পরস্পর সম্পর্কিত; অপুষ্ট শিশুরা এসব রোগে বেশি আক্রান্ত হয়, আবার এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে শিশুর পুষ্টি আরও নষ্ট হয়।
অন্যদিকে, ক্যান্সার পাঁচ বছরের নিচের শিশুদের মৃত্যুর প্রধান কারণ নয়। যদিও কিছু শিশু জন্মগত বা জিনগত কারণে ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারে, তবে এর হার খুবই কম এবং এটি শিশু মৃত্যুর সামগ্রিক পরিসংখ্যানে উল্লেখযোগ্য নয়। উন্নত দেশে শিশু ক্যান্সারের চিকিৎসা উন্নত হওয়ায় বেঁচে থাকার হারও অনেক বেশি।
বর্তমান সময়ে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার বিরুদ্ধে সচেতনতা, টিকাদান কর্মসূচি, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ এবং পুষ্টি উন্নয়নের মাধ্যমে শিশু মৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এসেছে।
সুতরাং, ক্যান্সার হলো এমন একটি রোগ যা পাঁচ বছরের নিচের শিশুদের মৃত্যুর প্রধান কারণ নয়, যেখানে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও অপুষ্টি এখনো শিশু মৃত্যুর সবচেয়ে বড় ঝুঁকির কারণ হিসেবে বিবেচিত।
0
Updated: 4 days ago
Exclusive Brest feeding বলতে শিশু জন্মের কয়মাস বুঝায়?
Created: 4 days ago
A
দুই বছর
B
পাঁচ মাস
C
ছয় মাস
D
নয় মাস
শিশুর জন্মের পর প্রথম ছয় মাস শুধুমাত্র মায়ের দুধ খাওয়ানোকে Exclusive Breastfeeding বলা হয়। এই সময় শিশুর জন্য মায়ের দুধই সর্বোত্তম ও সম্পূর্ণ খাবার হিসেবে বিবেচিত, কারণ এতে শিশুর প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান থাকে যা তার বৃদ্ধি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
Exclusive Breastfeeding-এর মূল অর্থ হলো, শিশুকে জন্মের পর প্রথম ছয় মাস পর্যন্ত শুধু মায়ের দুধ খাওয়ানো হবে—এ সময়ে পানি, মধু, দুধ, ফলের রস বা অন্য কোনো খাবার দেওয়া উচিত নয়।
– মায়ের দুধে শিশুর প্রয়োজনীয় প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টিবডি থাকে যা শিশুর দেহকে রোগ থেকে রক্ষা করে।
– প্রথম ছয় মাসে শিশুর হজমপ্রক্রিয়া পুরোপুরি পরিপক্ব হয় না, তাই অন্য কোনো খাবার বা তরল পদার্থ দিলে তা শিশুর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
– কোলস্ট্রাম বা জন্মের পর প্রথম দুধ শিশুর জন্য বিশেষ উপকারী, কারণ এতে ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী হয়।
– শুধুমাত্র মায়ের দুধ খাওয়ালে শিশুর ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, অপুষ্টি ইত্যাদি রোগের ঝুঁকি কমে যায়।
– এই সময় মায়ের দুধ শিশুর ওজন বৃদ্ধি, মস্তিষ্কের বিকাশ এবং মানসিক বন্ধন তৈরিতে সাহায্য করে।
– শিশুর তৃষ্ণা মেটাতে আলাদা করে পানি দেওয়ার প্রয়োজন নেই, কারণ মায়ের দুধেই পর্যাপ্ত পানি থাকে।
– বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং ইউনিসেফের পরামর্শ অনুযায়ী, শিশুর জন্মের পর প্রথম ছয় মাস পর্যন্ত শুধুমাত্র মায়ের দুধ খাওয়ানো উচিত এবং ছয় মাস পর থেকে ধীরে ধীরে সম্পূরক খাবার দেওয়া শুরু করা যায়।
– মায়ের দুধ শুধু শিশুর জন্য নয়, মায়ের শরীরের জন্যও উপকারী, কারণ এটি প্রসব-পরবর্তী রক্তপাত কমায়, গর্ভধারণের ব্যবধান বাড়ায় এবং স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করে।
সুতরাং, Exclusive Breastfeeding বলতে শিশুকে জন্মের পর থেকে ছয় মাস বয়স পর্যন্ত শুধুমাত্র মায়ের দুধ খাওয়ানো বোঝায়, যা শিশুর স্বাস্থ্য ও জীবনের ভিত্তি গঠনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
0
Updated: 4 days ago