Growth Chart এ একটি শিশুর কোন তথ্যটি থাকে না?
A
Hight
B
Weight
C
Immunization status
D
Blood group
উত্তরের বিবরণ
একটি Growth Chart মূলত শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশ পর্যবেক্ষণের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ। এর মাধ্যমে বোঝা যায় শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি বয়স অনুযায়ী স্বাভাবিকভাবে হচ্ছে কি না। এই চার্টে সাধারণত শিশুর উচ্চতা (Height), ওজন (Weight) এবং বয়স (Age) অনুযায়ী পরিবর্তন রেকর্ড করা হয়, তবে Blood group বা রক্তের গ্রুপ এতে অন্তর্ভুক্ত থাকে না।
এটি স্পষ্টভাবে বুঝতে নিচের বিষয়গুলো লক্ষ্য করা যায়
-
Growth Chart মূলত শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি নিরীক্ষণের জন্য তৈরি একটি মানচিত্র, যেখানে ওজন ও উচ্চতার পরিবর্তন নির্দিষ্ট বয়সের সঙ্গে তুলনা করে দেখা হয়।
-
এতে প্রতিটি বয়সে শিশুর ওজন ও উচ্চতা কেমন হওয়া উচিত তা নির্ধারণ করা থাকে, যা শিশুর পুষ্টির অবস্থা ও স্বাস্থ্যগত অগ্রগতি বোঝাতে সাহায্য করে।
-
সাধারণত শিশুর জন্ম থেকে শুরু করে কৈশোর পর্যন্ত সময়ের তথ্য এখানে রেকর্ড করা হয়, যেন তার বৃদ্ধি প্রত্যাশিত মানে আছে কি না তা বোঝা যায়।
-
Weight-for-Age, Height-for-Age, Weight-for-Height—এই তিনটি সূচকের মাধ্যমে শিশুর বৃদ্ধি মূল্যায়ন করা হয়।
-
অনেক সময় এতে শিশুর Immunization status-ও উল্লেখ করা থাকে, যাতে শিশুর টিকা গ্রহণের তথ্য একসাথে সংরক্ষিত থাকে।
-
তবে Blood group বা রক্তের গ্রুপ হলো একটি বংশগত বৈশিষ্ট্য, যা শিশুর বৃদ্ধি বা পুষ্টির সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। তাই এটি Growth Chart-এ স্থান পায় না।
-
এই চার্টের মূল উদ্দেশ্য হলো শিশুর শরীরের বৃদ্ধি ও পুষ্টির অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা, যাতে কোনো অস্বাভাবিকতা দ্রুত শনাক্ত করা যায় এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয়।
-
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ও ইউনিসেফ (UNICEF)-এর সুপারিশ অনুযায়ী, প্রতিটি দেশে শিশুদের জন্য মানসম্মত Growth Monitoring Chart ব্যবহারের মাধ্যমে অপুষ্টি বা অতিরিক্ত ওজনের সমস্যা দ্রুত নির্ণয় করা যায়।
-
স্বাস্থ্যকর্মীরা এই চার্ট দেখে সহজেই বুঝতে পারেন শিশুটি Underweight, Normal, Overweight বা Obese কোন শ্রেণিতে পড়ছে।
-
ফলে শিশুর খাদ্যাভ্যাস, পুষ্টি এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা যথাযথভাবে পরিকল্পনা করা সম্ভব হয়।
সবশেষে বলা যায়, Growth Chart-এ শিশুর Height, Weight ও Immunization status থাকে, কিন্তু Blood group কোনোভাবেই এতে অন্তর্ভুক্ত নয়। তাই সঠিক উত্তর হলো ঘ) Blood group।
0
Updated: 4 days ago
গর্ভকালীন প্রসূতি সেবা কমপক্ষে কতবার নেয়া উচিত?
Created: 4 days ago
A
৬ বার
B
৮ বার
C
৪ বার
D
৯ বার
গর্ভকালীন প্রসূতিসেবা বা অ্যান্টেনাটাল কেয়ার (ANC) হলো গর্ভবতী মায়ের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, যা মা ও শিশুর সুস্থতা নিশ্চিত করতে অপরিহার্য। এই সেবার মাধ্যমে গর্ভাবস্থার বিভিন্ন ঝুঁকি আগেভাগেই শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ও জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি অনুযায়ী, গর্ভবতী মাকে কমপক্ষে চারবার এই সেবা নিতে হয়।
-
গর্ভকালীন প্রসূতিসেবার মূল লক্ষ্য হলো মায়ের ও ভ্রূণের শারীরিক পরিবর্তনগুলো নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা, যাতে জটিলতা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা দেওয়া যায়।
-
প্রথম সেবা নেওয়া উচিত গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসের (১২ সপ্তাহের) মধ্যেই, যাতে মায়ের স্বাস্থ্যের প্রাথমিক মূল্যায়ন ও প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করা যায়।
-
দ্বিতীয় সেবা দেওয়া হয় ২৪–২৮ সপ্তাহের মধ্যে, যখন শিশুর বৃদ্ধি দ্রুত হতে থাকে এবং মায়ের শরীরে অতিরিক্ত রক্ত ও পুষ্টির চাহিদা বাড়ে।
-
তৃতীয় সেবা নেওয়া উচিত ৩০–৩৪ সপ্তাহের মধ্যে, এ সময় উচ্চ রক্তচাপ, রক্তশূন্যতা বা গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে, যা আগেভাগে শনাক্ত করা প্রয়োজন।
-
চতুর্থ সেবা দেওয়া হয় ৩৬ সপ্তাহের পর, অর্থাৎ শিশুর জন্মের আগে শেষ পর্যায়ে। এতে প্রসবের প্রস্তুতি, সম্ভাব্য তারিখ, ও ডেলিভারির পরিকল্পনা নিয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়।
-
প্রতিবার সেবার সময় মায়ের ওজন, রক্তচাপ, রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ, প্রস্রাবে প্রোটিন, এবং শিশুর অবস্থান ও হার্টবিট পরীক্ষা করা হয়।
-
এই সেবা নেওয়ার ফলে গর্ভকালীন জটিলতা যেমন প্রি-এক্ল্যাম্পসিয়া, অ্যানিমিয়া, বা অকাল প্রসবের ঝুঁকি কমে যায়।
-
অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসক অতিরিক্ত পরিদর্শনের পরামর্শ দিতে পারেন যদি মায়ের পূর্বে জটিল প্রসব, রক্তচাপজনিত সমস্যা বা গর্ভকালীন ডায়াবেটিস থাকে।
-
নিয়মিত ANC সেবা গ্রহণ করলে মা সঠিক সময়ে আয়রন, ফলিক এসিড, টিটেনাস টিকা, ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট ইত্যাদি পান, যা শিশুর স্বাভাবিক বিকাশে সাহায্য করে।
-
গর্ভবতী মাকে এই সময় মানসিকভাবে শান্ত রাখা ও পর্যাপ্ত বিশ্রাম দিতে হয়, কারণ মানসিক চাপ ভ্রূণের বিকাশে প্রভাব ফেলে।
সব মিলিয়ে বলা যায়, গর্ভকালীন প্রসূতি সেবা কমপক্ষে চারবার নেওয়া জরুরি, যা মায়ের ও শিশুর নিরাপদ প্রসব এবং সুস্থ জীবন নিশ্চিত করে। নিয়মিত এই সেবা গ্রহণের মাধ্যমেই গর্ভাবস্থা থেকে প্রসব পর্যন্ত প্রতিটি ধাপ নিরাপদভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব।
0
Updated: 4 days ago
গর্ভকালীন প্রসূতিসেবায় প্রথম তিন মাসে (First trimester) মাকে কি দিয়ে থাকি?
Created: 4 days ago
A
ফলিক এসিড
B
ক্যালসিয়াম
C
আয়োডিন
D
মেগনেশিয়াম
গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাস বা ফার্স্ট ট্রাইমেস্টার হলো ভ্রূণের গঠন ও বিকাশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়। এ সময় মায়ের শরীরে নানা হরমোনগত পরিবর্তন ঘটে এবং শিশুর প্রধান অঙ্গগুলোর বিকাশ শুরু হয়। তাই এই পর্যায়ে প্রয়োজন হয় বিশেষ পুষ্টি উপাদান, যা মা ও ভ্রূণ উভয়ের সুস্থতার জন্য অপরিহার্য।
-
ফলিক এসিড গর্ভধারণের প্রাথমিক পর্যায়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ভিটামিন, যা ভিটামিন বি–গ্রুপের অন্তর্গত। এটি ভ্রূণের স্নায়ুতন্ত্রের সঠিক বিকাশে সাহায্য করে এবং জন্মগত ত্রুটি, বিশেষ করে নিউরাল টিউব ডিফেক্ট (NTD) প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
সাধারণত গর্ভধারণের আগে থেকেই নারীদের ফলিক এসিড খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়, কারণ গর্ভাবস্থার প্রথম কয়েক সপ্তাহে শিশুর মস্তিষ্ক ও মেরুদণ্ড গঠিত হয়। এই সময় যথেষ্ট ফলিক এসিড না পেলে শিশুর মস্তিষ্ক বা স্পাইনাল কর্ডে স্থায়ী ত্রুটি দেখা দিতে পারে।
-
এই ভিটামিন রক্তের লোহিত কণিকা (RBC) তৈরিতেও সাহায্য করে, যা মা ও শিশুর অক্সিজেন সরবরাহের জন্য প্রয়োজনীয়। ফলিক এসিডের ঘাটতি থাকলে অ্যানিমিয়া দেখা দিতে পারে, যা গর্ভাবস্থায় জটিলতা বাড়ায়।
-
প্রতিদিন সাধারণত ৪০০ মাইক্রোগ্রাম (mcg) ফলিক এসিড গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়, তবে যেসব নারীর আগে নিউরাল টিউব ডিফেক্টযুক্ত শিশু হয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে পরিমাণ আরও বেশি হতে পারে—যা চিকিৎসকের পরামর্শে নির্ধারিত হয়।
-
ফলিক এসিড শুধু ট্যাবলেটের মাধ্যমে নয়, খাদ্য থেকেও পাওয়া যায়। যেমন—সবুজ পাতা জাতীয় শাকসবজি, কমলা, ডাল, মটরশুঁটি, ব্রোকলি, অ্যাভোকাডো ও গোটা শস্যজাত খাবারে এটি বিদ্যমান।
-
এই পুষ্টি উপাদান মায়ের কোষ বিভাজন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে, ফলে ভ্রূণের বৃদ্ধি সুষ্ঠুভাবে ঘটে।
-
ফলিক এসিড গ্রহণের ফলে গর্ভপাত, অকাল প্রসব বা শিশুর কম ওজনের ঝুঁকি হ্রাস পায়।
-
কিছু নারী ফলিক এসিড শোষণে সমস্যা অনুভব করতে পারেন; যেমন—যাদের মেগালোব্লাস্টিক অ্যানিমিয়া, ম্যালঅ্যাবসোর্পশন সিন্ড্রোম, বা দীর্ঘমেয়াদি ওষুধ সেবনের ইতিহাস আছে, তাদের ক্ষেত্রে বিশেষ নজর দিতে হয়।
-
গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসে ফলিক এসিড ছাড়াও পরবর্তীতে ক্যালসিয়াম ও আয়রন দেওয়া শুরু হয়, তবে ফার্স্ট ট্রাইমেস্টারে শুধুমাত্র ফলিক এসিডকেই সবচেয়ে প্রাধান্য দেওয়া হয়।
-
চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অতিরিক্ত ফলিক এসিড গ্রহণ করা উচিত নয়, কারণ অতিরিক্ত ডোজ শরীরের অন্যান্য ভিটামিন বি–গ্রুপের ভারসাম্যে প্রভাব ফেলতে পারে।
সবদিক বিবেচনায় দেখা যায়, গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসে ফলিক এসিড মায়ের ও শিশুর সুস্থতার ভিত্তি স্থাপন করে। এটি শুধু এক ধরনের ভিটামিন নয়, বরং একটি অপরিহার্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা, যা নবজাতকের সুস্থ জন্ম নিশ্চিত করে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
0
Updated: 4 days ago
পাঁচ বছরের নিচে বাচ্চার সর্বাধিক মৃত্যুর কারণ কোনটি নয়?
Created: 4 days ago
A
ডায়রিয়া
B
নিউমোনিয়া
C
অপুষ্টিজনিত
D
ক্যান্সার
পাঁচ বছরের নিচে শিশুদের মৃত্যুর প্রধান কারণগুলোর মধ্যে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া এবং অপুষ্টিজনিত সমস্যা সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখে। তবে ক্যান্সার এই বয়সী শিশুদের মৃত্যুর সাধারণ কারণ নয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে শিশু মৃত্যুর বড় অংশই প্রতিরোধযোগ্য ও চিকিৎসাযোগ্য রোগের কারণে ঘটে।
পাঁচ বছরের নিচে শিশু মৃত্যুর প্রধান কারণগুলো হলো:
– ডায়রিয়া: এটি শিশু মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। দূষিত পানি, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং স্যানিটেশনের অভাবের ফলে ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়ে। শিশুর শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি ও লবণ বেরিয়ে যাওয়ায় ডিহাইড্রেশন ঘটে, যা প্রাণঘাতী হতে পারে।
– নিউমোনিয়া: এটি শিশুদের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক সংক্রামক রোগগুলোর একটি। ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা ফাঙ্গাসের সংক্রমণে শ্বাসযন্ত্রে প্রদাহ হয়, ফলে শ্বাসকষ্ট ও অক্সিজেন ঘাটতি দেখা দেয়। সময়মতো চিকিৎসা না পেলে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।
– অপুষ্টি: এটি শিশুদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে দেয়, ফলে তারা সহজেই সংক্রমিত হয়। অপুষ্ট শিশুরা ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার মতো রোগে দ্রুত আক্রান্ত হয় এবং সেরে উঠতে পারে না।
– অপুষ্টির সঙ্গে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া পরস্পর সম্পর্কিত; অপুষ্ট শিশুরা এসব রোগে বেশি আক্রান্ত হয়, আবার এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে শিশুর পুষ্টি আরও নষ্ট হয়।
অন্যদিকে, ক্যান্সার পাঁচ বছরের নিচের শিশুদের মৃত্যুর প্রধান কারণ নয়। যদিও কিছু শিশু জন্মগত বা জিনগত কারণে ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারে, তবে এর হার খুবই কম এবং এটি শিশু মৃত্যুর সামগ্রিক পরিসংখ্যানে উল্লেখযোগ্য নয়। উন্নত দেশে শিশু ক্যান্সারের চিকিৎসা উন্নত হওয়ায় বেঁচে থাকার হারও অনেক বেশি।
বর্তমান সময়ে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার বিরুদ্ধে সচেতনতা, টিকাদান কর্মসূচি, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ এবং পুষ্টি উন্নয়নের মাধ্যমে শিশু মৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এসেছে।
সুতরাং, ক্যান্সার হলো এমন একটি রোগ যা পাঁচ বছরের নিচের শিশুদের মৃত্যুর প্রধান কারণ নয়, যেখানে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও অপুষ্টি এখনো শিশু মৃত্যুর সবচেয়ে বড় ঝুঁকির কারণ হিসেবে বিবেচিত।
0
Updated: 4 days ago