Lactating Mother কে কত ক্যালরী অতিরিক্ত খাবার দিতে হয়?
A
১০০০ ক্যালরী
B
৬০০ ক্যালরী
C
৫৫০ ক্যালরী
D
৩৫০ ক্যালরী
উত্তরের বিবরণ
Lactating mother বা দুগ্ধদানকারী মায়ের জন্য অতিরিক্ত ক্যালরির প্রয়োজন হয় কারণ এই সময়ে তার শরীরে দুধ উৎপাদনের জন্য শক্তির চাহিদা বেড়ে যায়। শিশুর পুষ্টি পুরোপুরি মায়ের দুধের ওপর নির্ভর করে, তাই মায়ের শরীরে পর্যাপ্ত ক্যালরি না থাকলে দুধ উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে। এজন্য এই সময়ে মায়ের খাদ্যতালিকায় স্বাভাবিক প্রয়োজনের সঙ্গে অতিরিক্ত ক্যালরি যোগ করতে হয়।
দুগ্ধদানকারী মায়ের অতিরিক্ত ক্যালরি প্রয়োজনের প্রধান কারণগুলো হলো:
দুধ উৎপাদনের জন্য শরীর প্রতিদিন প্রায় ৫০০–৭০০ ক্যালরি ব্যবহার করে, যা দুধে থাকা প্রোটিন, চর্বি, ভিটামিন ও খনিজ উপাদান তৈরিতে ব্যয় হয়। এই শক্তি মায়ের দেহের সংরক্ষিত চর্বি থেকেও কিছুটা আসে, কিন্তু বাকি অংশ খাদ্য থেকে পেতে হয়।
গর্ভধারণ ও প্রসবের পর মায়ের শরীর দুর্বল থাকে, তাই পর্যাপ্ত ক্যালরি গ্রহণ তার শারীরিক পুনরুদ্ধার ত্বরান্বিত করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
শিশুর বয়স যত বাড়ে, দুধের পরিমাণও বাড়ে। এই বাড়তি দুধ তৈরিতে প্রতিদিন গড়ে ১০০০ ক্যালরি পর্যন্ত অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োজন হয়, যা মা ও শিশুর উভয়ের স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়ক।
দুগ্ধদানকালীন ক্যালরি ঘাটতি হলে দুধের গুণগত মান কমে যায়, ফলে শিশুর পুষ্টির ঘাটতি হতে পারে। এজন্য অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণ মায়ের জন্য অপরিহার্য।
খাদ্যের মাধ্যমে এই অতিরিক্ত ক্যালরি পূরণ করতে দুধ, ডিম, মাছ, ডাল, ফল, শাকসবজি, বাদাম ও পূর্ণ শস্যজাতীয় খাবার খাওয়া উচিত। এসব খাবার কেবল শক্তি সরবরাহ করে না, বরং ভিটামিন, আয়রন, ক্যালসিয়াম ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদানও দেয় যা দুধ উৎপাদনে সহায়তা করে।
পর্যাপ্ত পানি পানও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ দুধের বেশিরভাগ অংশই পানি দিয়ে গঠিত। দিনে অন্তত ৮–১০ গ্লাস পানি পান করলে দুধের পরিমাণ বজায় থাকে।
অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণের সময় সুষম খাদ্য বজায় রাখতে হবে, যাতে ওজন অস্বাভাবিকভাবে না বাড়ে এবং শরীরের প্রয়োজনীয় সব উপাদান পাওয়া যায়।
সুতরাং, দুগ্ধদানকারী মায়ের প্রতিদিন প্রায় ১০০০ ক্যালরি অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ করা প্রয়োজন, যা শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষা ও মায়ের দুধ উৎপাদনের জন্য অপরিহার্য।
উ. ক) ১০০০ ক্যালরী
0
Updated: 4 days ago
গর্ভাবস্থায় নিউরাল টিউব ডিফেক্ট প্রতিরোধে কোন্ মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের ভূমিকা সবচেয়ে বেশী?
Created: 1 week ago
A
Iron
B
Zinc
C
Folic Acid
D
Vit A
নিউরাল টিউব ডিফেক্ট (Neural Tube Defect – NTD) হলো এক ধরনের জন্মগত ত্রুটি (Congenital Malformation), যেখানে ভ্রূণের মস্তিষ্ক (brain) বা মেরুদণ্ড (spinal cord) সঠিকভাবে গঠিত হয় না। এটি সাধারণত গর্ভাবস্থার প্রথম কয়েক সপ্তাহে ঘটে, যখন নিউরাল টিউব বন্ধ হতে ব্যর্থ হয়।
Folic Acid (ভিটামিন B₉) এ ধরনের ত্রুটি প্রতিরোধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে—
-
DNA ও RNA সংশ্লেষণ: ফলিক অ্যাসিড নিউক্লিক অ্যাসিড (DNA ও RNA) তৈরিতে সহায়তা করে, যা কোষের জিনগত উপাদান গঠনের জন্য অপরিহার্য।
-
কোষ বিভাজন ও বৃদ্ধি: এটি দ্রুত বিভাজনশীল কোষ, যেমন ভ্রূণের কোষ, সঠিকভাবে বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয়।
-
NTD প্রতিরোধ: গর্ভাবস্থার প্রারম্ভিক পর্যায়ে যথাযথ পরিমাণে ফলিক অ্যাসিড গ্রহণ করলে নিউরাল টিউব ডিফেক্টের ঝুঁকি প্রায় ৭০% পর্যন্ত কমানো যায়। এজন্য গর্ভধারণের আগে ও প্রাথমিক মাসগুলোতে প্রতিদিন ফলিক অ্যাসিড সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়।
সারসংক্ষেপে, Folic Acid ভ্রূণের স্নায়ুতন্ত্রের সঠিক বিকাশে অপরিহার্য, এবং এর ঘাটতি NTD-সহ গুরুতর জন্মগত জটিলতার কারণ হতে পারে।
0
Updated: 1 week ago
গর্ভবতী থাকা অবস্থায় কত কিলোক্যালরী শক্তি একজন প্রাপ্তবয়স্ক মহিলার বেশী লাগে?
Created: 1 week ago
A
২০০ কিলোক্যালরী
B
৫০০ কিলোক্যালরী
C
২৫০ কিলোক্যালরী
D
৬০০ কিলোক্যালরী
গর্ভাবস্থায় একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারীর শরীরে ভ্রূণের বৃদ্ধি ও মাতৃদেহের শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তনের কারণে অতিরিক্ত শক্তির প্রয়োজন হয়। এই সময় শরীর শুধু নিজের নয়, ভ্রূণেরও পুষ্টির চাহিদা মেটায়, ফলে শক্তির চাহিদা স্বাভাবিকের তুলনায় বেড়ে যায়।
-
অতিরিক্ত শক্তির প্রয়োজনের কারণ: গর্ভাবস্থায় ভ্রূণের বৃদ্ধি, গর্ভাশয়ের সম্প্রসারণ, স্তনগ্রন্থির বিকাশ ও রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি—এসব প্রক্রিয়ার জন্য শরীরে অতিরিক্ত শক্তি ব্যয় হয়।
-
শক্তি বৃদ্ধির পরিমাণ: গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় ও তৃতীয় ত্রৈমাসিকে প্রতিদিন গড়ে ৩০০–৫০০ কিলোক্যালরি অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োজন হয়।
-
বাংলাদেশ ও WHO নির্দেশনা অনুযায়ী: গর্ভাবস্থার শেষ পর্যায়ে বা তৃতীয় ত্রৈমাসিকে প্রতিদিন প্রায় ৫০০ কিলোক্যালরি অতিরিক্ত শক্তি গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়।
-
অতিরিক্ত শক্তির উৎস: এই অতিরিক্ত ক্যালরি ideally আসা উচিত সুষম ও পুষ্টিকর খাবার থেকে—যেমন দুধ, ডিম, মাছ, ডাল, শাকসবজি ও ফলমূল।
-
অতিরিক্ত তথ্য: পর্যাপ্ত শক্তি গ্রহণের পাশাপাশি গর্ভবতী মায়ের আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফলিক অ্যাসিড ও প্রোটিন গ্রহণও জরুরি, কারণ এগুলো ভ্রূণের বৃদ্ধি ও মাতৃস্বাস্থ্যের রক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
0
Updated: 1 week ago