নিম্নের কোন পদার্থটির স্তিতিস্থাপকতা বেশী ?
A
ররার
B
লোহা
C
তামা
D
ইস্পাত
উত্তরের বিবরণ
স্তিতিস্থাপকতা বলতে সেই ক্ষমতাকে বুঝানো হয়, যার মাধ্যমে একটি পদার্থ বাহ্যিক বল প্রয়োগের পর তার আকার ও আয়তন পুনরুদ্ধার করতে পারে। এই ক্ষমতা সাধারণত পদার্থের কঠোরতা এবং সংকোচন-প্রসারণের প্রতিরোধ ক্ষমতার সঙ্গে সম্পর্কিত। স্তিতিস্থাপকতা বেশী হলে, পদার্থটি কম বিকৃত হয় এবং প্রাকৃতিক অবস্থায় ফিরে আসতে পারে।
ইস্পাতের স্তিতিস্থাপকতা অন্যান্য পদার্থের তুলনায় বেশী কারণ ইস্পাত একটি উচ্চ শক্তির এবং কম্প্রেসন রেজিস্ট্যান্স সম্পন্ন পদার্থ। এর মধ্যে বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য আছে যা ইস্পাতকে তার কঠোরতা এবং স্থিতিস্থাপকতার জন্য উপযুক্ত করে তোলে।
এখানে ইস্পাতের স্তিতিস্থাপকতার কিছু বৈশিষ্ট্য:
-
ইস্পাতের যান্ত্রিক বৈশিষ্ট্য অনেক উন্নত, ফলে এটি শক্তি প্রয়োগের পর সহজেই তার আকার পুনরুদ্ধার করতে পারে।
-
অন্যান্য পদার্থের তুলনায় ইস্পাতের কঠিনতার স্তর অনেক উচ্চ, যা তার স্তিতিস্থাপকতা বাড়ায়।
-
ইস্পাতের মধ্যে কপার, ম্যানগানিজ, সিলিকন সহ অনেক উপাদান মিশ্রিত থাকে, যা এটিকে আরো শক্তিশালী এবং স্থিতিস্থাপক করে তোলে।
-
তামা, লোহা বা ররার তুলনায় ইস্পাতের বহুবিধ ব্যবহার যেমন নির্মাণ, যন্ত্রপাতি ও যান্ত্রিক ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায়, কারণ এটি তার আকার ও আয়তন রক্ষা করতে পারে।
এ কারণে, ইস্পাতের স্তিতিস্থাপকতা অনেক বেশি, যা তাকে প্রাকৃতিক অবস্থায় ফিরে আসতে সক্ষম করে এবং অন্য যে কোন পদার্থের তুলনায় এই গুণটি অনেক উন্নত।
0
Updated: 4 days ago