নিচের কোনটি অঘোষ অল্পপ্রাণ ধ্বনি?
A
ভ
B
ঠ
C
ফ
D
চ
উত্তরের বিবরণ
অঘোষ অল্পপ্রাণ ধ্বনি হলো সেইসব ধ্বনি, যেগুলো উচ্চারণের সময় স্বরতন্ত্রী কাঁপে না এবং মুখ থেকে বাতাস কম বের হয়। এসব ধ্বনিতে স্বরের প্রভাব থাকে না, তাই এগুলোকে “অঘোষ” বলা হয়, আর বাতাসের চাপ কম থাকায় “অল্পপ্রাণ” বলা হয়। বাংলা ভাষায় অঘোষ অল্পপ্রাণ ধ্বনির ব্যবহার ধ্বনিবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
অঘোষ অল্পপ্রাণ ধ্বনি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে বলা যায়—
-
অঘোষ ধ্বনি বলতে বোঝায় সেইসব ধ্বনি, যেগুলোর উচ্চারণকালে স্বরতন্ত্রী কাঁপে না। অর্থাৎ শব্দ উৎপন্ন হয় মুখগহ্বরের কোনো নির্দিষ্ট স্থানে ঘর্ষণ বা বন্ধন ঘটিয়ে।
-
অল্পপ্রাণ ধ্বনি হলো সেই ধ্বনি, যেগুলো উচ্চারণের সময় মুখ থেকে সামান্য পরিমাণ বায়ু নির্গত হয়। বাতাসের চাপ বা প্রবাহ এখানে তেমন থাকে না।
-
বাংলা ভাষার অঘোষ অল্পপ্রাণ ধ্বনিগুলো সাধারণত ব্যঞ্জনধ্বনির অন্তর্ভুক্ত।
-
ধ্বনিবিজ্ঞান অনুযায়ী, এই ধরণের ধ্বনি উৎপন্ন হয় জিহ্বা, তালু, ও ঠোঁটের অবস্থান অনুযায়ী — তবে এখানে স্বরের ভূমিকা থাকে না।
-
‘চ’ ধ্বনি উচ্চারণের সময় স্বরতন্ত্রী কাঁপে না এবং মুখ থেকে অতিরিক্ত বায়ু বের হয় না। এজন্য এটি অঘোষ অল্পপ্রাণ ধ্বনির শ্রেণিতে পড়ে।
-
বিপরীতে, যেমন ‘ঝ’, ‘ঘ’, ‘ঢ’ প্রভৃতি ধ্বনিগুলো ঘোষ বা মহাপ্রাণ হিসেবে গণ্য হয় কারণ এগুলো উচ্চারণে স্বরতন্ত্রী কাঁপে বা বাতাস বেশি নির্গত হয়।
-
বাংলা বর্ণমালায় অঘোষ অল্পপ্রাণ ধ্বনিগুলোর উদাহরণ হলো— ক, চ, ট, ত, প। এরা সবাই একে অপরের মতো ধ্বনিগত বৈশিষ্ট্য বহন করে।
-
ধ্বনি বিশ্লেষণে দেখা যায় যে “চ” ধ্বনি একটি তালব্য ব্যঞ্জনধ্বনি; এটি উচ্চারণের সময় জিহ্বা ও তালুর মাঝামাঝি অংশে বন্ধন সৃষ্টি করে শব্দ তৈরি হয়, স্বরযন্ত্র নিস্তব্ধ থাকে, এবং বায়ুপ্রবাহ নিয়ন্ত্রিত হয়।
-
তাই “চ” উচ্চারণে স্বর থাকে না, কিন্তু স্পষ্ট ধ্বনি উৎপন্ন হয় যা অল্পপ্রাণের বৈশিষ্ট্য বহন করে।
অতএব, প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে “চ” ধ্বনিই সঠিক উত্তর, কারণ এটি অঘোষ অল্পপ্রাণ ধ্বনি।
0
Updated: 4 days ago