'অজিন' হচ্ছে-
A
সাপের খোলস
B
হরিনের চামড়া
C
বাঘের চামড়া
D
কোনোটিই নয়
উত্তরের বিবরণ
‘অজিন’ শব্দটি প্রাচীন বাংলার একটি পরিচিত শব্দ, যা ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক উভয় অর্থেই ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে বৈষ্ণব ও তান্ত্রিক সাধনার ক্ষেত্রে এর ব্যবহার দেখা যায়। এটি মূলত এক ধরনের চামড়া, যা নির্দিষ্ট প্রাণীর গা থেকে নেওয়া হয় এবং সাধকরা তা বসার আসন বা পূজার কাজে ব্যবহার করেন। নিচে ‘অজিন’ সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হলো।
অজিন বলতে বোঝায় হরিণের চামড়া। এটি সাধক ও যোগীদের জন্য একটি পবিত্র বস্তু হিসেবে বিবেচিত। প্রাচীন ধর্মগ্রন্থ ও পুরাণে উল্লেখ আছে যে, সাধকরা ধ্যান, পূজা বা যোগাসনের সময় হরিণের চামড়ার ওপর বসতেন, কারণ এটি পরিবেশকে শুদ্ধ রাখে এবং মনোসংযোগে সহায়তা করে।
– হরিণের চামড়া থেকে তৈরি আসনকে অজিনাসন বলা হয়। এটি শরীরকে ঠান্ডা রাখে এবং স্থিরভাবে বসার জন্য আরামদায়ক।
– হরিণ একটি শান্ত ও নিরীহ প্রাণী। তাই তার চামড়াকে পবিত্রতার প্রতীক ধরা হয়। যোগী বা সাধকরা বিশ্বাস করতেন, হরিণের চামড়ায় বসলে মন শান্ত হয় এবং ধ্যান সহজ হয়।
– বৈদিক যুগে রচিত নানা গ্রন্থে যেমন অর্থববেদ ও যোগসূত্রে, হরিণচর্মে বসার নিয়মের উল্লেখ আছে। এটি শুধুমাত্র ধর্মীয় আচারেই নয়, শারীরিক ও মানসিক ভারসাম্য রক্ষার জন্যও উপকারী বলে বিবেচিত হতো।
– অনেক সাধক অজিনকে তাদের আধ্যাত্মিক পরিচয়ের অংশ হিসেবে ধারণ করতেন। এটি তাদের জীবনযাপনের সরলতা ও প্রকৃতিনির্ভরতার প্রতীক ছিল।
– অজিন সাধারণত শুকিয়ে পরিষ্কার করে রাখা হয় এবং কখনো রঙ করা হয় না, যাতে প্রাকৃতিক বিশুদ্ধতা বজায় থাকে।
– হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী, শিব ও ঋষি মুনিদের অধিকাংশ সময় হরিণচর্মে বসা বা পরিধানের চিত্র পাওয়া যায়, যা জ্ঞানের প্রতি তাদের সংযম ও ধ্যাননিষ্ঠার প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
– সংস্কৃত ভাষায় “অজিন” শব্দটি এসেছে “অজ” ধাতু থেকে, যার অর্থ হরিণ বা বন্য পশু। পরে বাংলা ভাষায় এটি সরাসরি হরিণের চামড়া অর্থে ব্যবহৃত হয়।
অতএব, “অজিন” বলতে বোঝায় হরিণের চামড়া, যা ধর্মীয়, ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক। এটি শুধু একটি বস্তু নয়, বরং শান্তি, পবিত্রতা ও আধ্যাত্মিক চেতনার বহিঃপ্রকাশ।
0
Updated: 4 days ago
Iodine-131 is a:
Created: 3 weeks ago
A
Stable halogen
B
Radioiodine
C
Inert iodine
D
Iodate compound
Iodine-131 হলো একটি Radioiodine, অর্থাৎ এটি তেজস্ক্রিয় আয়োডিন সমজাতীয় পদার্থ। এটি প্রাকৃতিক আয়োডিনের মতো রাসায়নিকভাবে কাজ করে, তবে এর নিউক্লিয়াস অস্থিতিশীল এবং বিটা ও গামা রশ্মি নিঃসরণ করে। মেডিসিনে Iodine-131 প্রধানত থাইরয়েড রোগের নির্ণয় ও চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়, যেমন হাইপারথাইরয়ডিজম বা থাইরয়েড ক্যান্সার। এটি শরীরে থাইরয়েড গ্রন্থিতে জমা হয় এবং স্থানীয়ভাবে বিকিরণ ছাড়ায় প্রভাবিত কোষ ধ্বংস করে। এজন্য Iodine-131 একটি গুরুত্বপূর্ণ রেডিওনুক্লিয়াইড ও থেরাপিউটিক উপাদান, যা স্বাস্থ্যসেবা ও গবেষণায় ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
সঠিক উত্তর: খ) Radioiodine।
তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
-
শরীরের কোন স্থানে ক্ষতিকর ক্যান্সার টিউমার আছে তা তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ দ্বারা নির্ণয় করা যায়।
-
নিরাময়ের জন্য কোবাল্ট-60 থেকে নির্গত গামা রশ্মি নিক্ষেপ করে ক্যান্সার আক্রান্ত কোষ ধ্বংস করা হয়।
-
থাইরয়েড গ্রন্থির অস্বাভাবিক বৃদ্ধি জনিত রোগের চিকিৎসায় Iodine-131 ব্যবহার করা হয়।
-
রক্তের লিউকেমিয়া রোগের চিকিৎসায় তেজস্ক্রিয় ফসফরাস-32 এর ফসফেট ব্যবহৃত হয়।
-
দেহের হাড় বৃদ্ধি এবং ব্যাথার স্থান ও কারণ নির্ণয়ের জন্য টেকনেশিয়াম-99 আইসোটোপ ব্যবহার করা হয়।
-
ব্রেইন ক্যান্সার নিরাময়ে ইরিডিয়াম আইসোটোপ ব্যবহৃত হয়।
0
Updated: 3 weeks ago
বিখ্যাত ওয়াটারলু যুদ্ধক্ষেত্র কোথায় অবস্থিত?
Created: 3 days ago
A
রাশিয়া
B
ব্রাজিল
C
লণ্ডন
D
বেলজিয়াম
ওয়াটারলু যুদ্ধ ১৮১৫ সালে সংঘটিত একটি বিখ্যাত যুদ্ধ, যেখানে নেপোলিয়ন বোনাপার্টের বাহিনী ব্রিটিশ ও প্রুশিয়ান জোট বাহিনীর কাছে পরাজিত হয়। এই যুদ্ধক্ষেত্রটি বেলজিয়ামের একটি ছোট শহর ওয়াটারলুতে অবস্থিত।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ [তৎকালীন সাম্প্রতিক, বর্তমানে গুরুত্বহীন]
0
Updated: 3 days ago
পানির ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি–
Created: 1 week ago
A
৪°C তাপমত্রায়
B
৩°C তাপমাত্রায়
C
৫°C তাপমত্রায়
D
৬°C তাপমত্রায়
পানির ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি থাকে ৪°C তাপমাত্রায়। এই অবস্থায় পানি সবচেয়ে কম আয়তনে থাকে এবং বেশি ভারী হয়, তাই এটি নিচে বসে যায়।
0
Updated: 1 week ago