'কবর' নাটকটি কোন পটভুমিতে লেখা?
A
মুক্তিযুদ্ধ
B
ভাষা আন্দোলন
C
ঊনসত্তর-এর গণভ্যূথ্যান
D
স্বৈরচার বিরোধী আন্দোলন
উত্তরের বিবরণ
‘কবর’ নাটকটি লেখা হয়েছে বাংলা ভাষা আন্দোলনের পটভূমিতে। নাট্যকার মুনীর চৌধুরী এই নাটকটি রচনা করেন ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের রক্তাক্ত ঘটনার পরপরই। এর মাধ্যমে তিনি জাতির আত্মত্যাগ, প্রতিবাদ এবং ভাষার মর্যাদার জন্য সংগ্রামের চেতনা ফুটিয়ে তুলেছেন। নাটকটি প্রতীকী হলেও বাস্তব ঘটনাবলির সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত।
নাটকটির পটভূমি ও ভাবার্থ বোঝার জন্য নিচের তথ্যগুলো গুরুত্বপূর্ণ—
• ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট: পাকিস্তান সরকার যখন উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার ঘোষণা দেয়, তখন পূর্ব বাংলার মানুষ প্রতিবাদে ফেটে পড়ে। এই আন্দোলনের ফলেই ১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভাষার অধিকারের জন্য রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটে, যেখানে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারসহ অনেকেই শহীদ হন।
• নাটক রচনার উদ্দেশ্য: মুনীর চৌধুরী তখন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন। ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে তিনি কারাগারের ভেতরেই “কবর” নাটকটি লেখেন, যা প্রতিরোধ ও জাতীয় চেতনার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়।
• প্রতীকী উপস্থাপনা: নাটকে কবরের ভেতর মৃত চরিত্রগুলোর সংলাপের মাধ্যমে জীবন্ত জাতির জাগরণ ও শহীদদের অমরতা তুলে ধরা হয়েছে। এটি শুধু শোকের নয়, বরং প্রতিবাদের নাটক—যেখানে মৃত্যু নতুন জীবনের জন্ম দেয়।
• সমাজ ও রাজনীতির প্রতিচ্ছবি: নাটকে শোষণ, অন্যায়, নিপীড়নের বিরুদ্ধে জনতার কণ্ঠস্বর প্রতিধ্বনিত হয়েছে। এটি কেবল ভাষার দাবিই নয়, বরং স্বাধীন চিন্তা ও জাতীয় মর্যাদার প্রতিরূপ।
• শিল্পগুণ ও বার্তা: নাটকটি সংক্ষিপ্ত হলেও ভাষা, প্রতীক ও আবেগে ভরপুর। এর প্রতিটি সংলাপ মানুষের মনের গভীরে দেশপ্রেম, প্রতিবাদ ও আত্মত্যাগের অনুপ্রেরণা জাগায়।
সব মিলিয়ে, ‘কবর’ নাটকটি ভাষা আন্দোলনেরই প্রতিচ্ছবি, যেখানে ভাষার মর্যাদা রক্ষার জন্য আত্মদানকে অমরত্বের আসনে বসানো হয়েছে। এটি বাংলা নাট্যসাহিত্যের এক অনন্য সৃষ্টি, যা আজও আমাদের জাতীয় চেতনার অবিচ্ছেদ্য অংশ।
0
Updated: 4 days ago
পাকিস্তানের প্রথম শাসনতন্ত্র গৃহীত ও প্রবর্তিত হয় কত সালে?
Created: 2 months ago
A
১৯৫৩ সালে
B
১৯৫৪ সালে
C
১৯৫৫ সালে
D
১৯৫৬ সালে
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
পাকিস্তান
ভাষা আন্দোলন
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গ্রন্থ
মুক্তিযুদ্ধে সাত বীরশ্রেষ্ঠ
সেক্টর ও সেক্টর কমান্ডারগণ
পাকিস্তানের ১৯৫৬ সালের শাসনতন্ত্র
-
পাকিস্তান সৃষ্টির দীর্ঘ ৯ বছর পর শাসনতন্ত্র বিশেষজ্ঞগণ প্রথম শাসনতন্ত্র প্রণয়ন করেন।
-
১৯৫৬ সালের ২৩ মার্চ পাকিস্তানের প্রথম শাসনতন্ত্র গৃহীত ও প্রবর্তিত হয়।
-
এটি ছিল পাকিস্তানের প্রথম শাসনতন্ত্র।
-
১৯৫৬ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি গণপরিষদ পাকিস্তানে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ধরনের শাসনতন্ত্র গ্রহণ করে।
-
১৯৫৬ সালের ২ মার্চ গভর্নর জেনারেল ইস্কান্দার মির্জা শাসনতন্ত্র বিলে সম্মতি দেন।
-
মোট ১০৫ পৃষ্ঠার এ শাসনতন্ত্রে একটি প্রস্তাবনা, ১৩টি অংশ, ২৩৪টি বিধি এবং ৬টি তালিকা অন্তর্ভুক্ত ছিল।
-
এতে যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা ছাড়াও প্রাদেশিক শাসনব্যবস্থার উল্লেখ ছিল।
তথ্যসূত্র: বাংলাদেশের রাজনৈতিক উন্নয়ন, এসএসএইচএল, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 2 months ago
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের চূড়ান্ত মুহূর্তে পূর্ব পাকিস্তানের মূখ্যমন্ত্রী ছিলেন-
Created: 1 month ago
A
নূরুল আমীন
B
খাজা নাজিমুদ্দিন
C
লিয়াকত আলী খান
D
গোলাম মাহবুব
একুশে ফেব্রুয়ারির চূড়ান্ত আন্দোলন
-
খাজা নাজিমুদ্দীন পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
-
কেন্দ্রীয় প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দীন ১৯৫২ সালের ২৬ জানুয়ারি ঢাকা সফরে আসেন।
-
১৯৫২ সালের ২৭ জানুয়ারি পল্টন ময়দানে জনসভা হয়।
-
তিনিও সেখানে জিন্নাহর মতো ঘোষণা করেন, “উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা।”
-
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ ১৯৫২ সালের ৩০ জানুয়ারি সভা ও ছাত্র ধর্মঘট আহ্বান করে।
-
৩১ জানুয়ারি, আওয়ামী মুসলিম লীগ সভাপতি মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর সভাপতিত্বে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সর্বদলীয় সভায় ‘সর্বদলীয় কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’ গঠিত হয়।
-
কাজী গোলাম মাহবুবকে আহ্বায়ক করে ৪০ সদস্য বিশিষ্ট সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়।
-
পূর্ব পাকিস্তানের তৎকালীন মূখ্যমন্ত্রী ছিলেন নূরুল আমীন।
0
Updated: 1 month ago
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের মাধ্যম কোন প্রতিষ্ঠানের জন্ম হয়?
Created: 1 month ago
A
চারুকলা ইন্সটিটিউট
B
বাংলা একাডেমী
C
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউট
D
বাংলাদেশ শিশু একাডেমি
বাংলা একাডেমী বাংলা ভাষা সংক্রান্ত দেশের সর্ববৃহৎ গবেষণা প্রতিষ্ঠান।
-
এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৩৬২ বঙ্গাব্দের ১৭ অগ্রহায়ণ (৩ ডিসেম্বর ১৯৫৫) ঢাকার বর্ধমান হাউসে।
-
বাংলা একাডেমীর জন্ম হয়েছে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন এবং দেশের মুসলিম মধ্যবিত্তের জাগরণ ও আত্মপরিচয় বিকাশের প্রেরণায়।
-
১৯৪৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত পূর্ব-পাকিস্তান সাহিত্য সম্মেলনে শহীদুল্লাহ্ মূল সভাপতির অভিভাষণে একটি একাডেমি গড়ার কথা উল্লেখ করেন।
-
১৯৫৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রথমবার বাংলা একাডেমী প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়, কিন্তু তা ব্যর্থ হয়।
-
দ্বিতীয়বার যুক্তফ্রন্ট ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী আবু হোসেন সরকার ১৯৫৫ সালের ৩ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক বর্ধমান হাউসে বাংলা একাডেমীর উদ্বোধন করেন।
-
এর মাধ্যমে বাংলা ভাষার মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন বাস্তব রূপ পায়।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago