কোন
অবস্থায় একটি গ্যাস আদর্শ
আচরণ থেকে সর্বাধিক বিচ্যুতি
ঘটায়?
A
উচ্চ
তাপ, নিম্ন চাপ
B
নিম্ন
তাপ, উচ্চ চাপ
C
উচ্চ
তাপ, উচ্চ চাপ
D
নিম্ন
তাপ, নিম্ন চাপ
উত্তরের বিবরণ
একটি গ্যাসের আদর্শ আচরণ (ideal behavior) বলতে বোঝায়, যখন গ্যাসটি Boyle’s, Charles’, এবং Avogadro’s Law পুরোপুরি অনুসরণ করে। এর মানে হলো গ্যাস অণুগুলোর মধ্যে কোনো পারস্পরিক আকর্ষণ বা বিকর্ষণ নেই এবং অণুর আয়তন অতি ক্ষুদ্র।
তবে বাস্তবে, গ্যাস অণুগুলোর মধ্যে কিছুটা আকর্ষণ ও বিকর্ষণ বল (intermolecular forces) বিদ্যমান থাকে, এবং সেই কারণে গ্যাস আদর্শ আচরণ থেকে বিচ্যুত হয়।
Van der Waals equation এই বাস্তব গ্যাসের আচরণ ব্যাখ্যা করে:
(P + n2a V2 ) (V−nb)=nRT
এখানে,
-
a = আকর্ষণ বলের ধ্রুবক
-
b = অণুর আয়তন
গ্যাস আদর্শ আচরণ থেকে সবচেয়ে বেশি বিচ্যুত হয় যখন:
-
তাপমাত্রা কম (Low temperature): গ্যাস অণুগুলোর গতিশক্তি কমে যায়, ফলে আকর্ষণ বলের প্রভাব বৃদ্ধি পায়।
-
চাপ বেশি (High pressure): গ্যাস অণুগুলো একে অপরের কাছে চলে আসে, যার ফলে তাদের বাস্তব আয়তন এবং আকর্ষণ উপেক্ষা করা যায় না।
এই অবস্থায়, গ্যাস আদর্শ গ্যাসের মতো আচরণ করে না, বরং বাস্তব গ্যাসের (real gas) আচরণ প্রকাশ করে।
তাহলে, গ্যাস সর্বাধিক বিচ্যুতি ঘটায় "নিম্ন তাপমাত্রা ও উচ্চ চাপ"-এ।
0
Updated: 4 days ago
নিম্নের কোন যুগলটি পরস্পরের আইসোটোন?
Created: 5 days ago
A
⁴⁰₁₈Ar এবং ⁴⁰₂₀Ar
B
²1H এবং 32He
C
126C এবং 146C
D
কোনটিই নয়
আইসোটোন (Isotone) হলো সেই সব পরমাণু, যাদের নিউট্রন সংখ্যা সমান, কিন্তু প্রোটন সংখ্যা ভিন্ন।
-
²₁H (ডিউটেরিয়াম): প্রোটন সংখ্যা = ১, ভর সংখ্যা = ২ → নিউট্রন সংখ্যা = ২ – ১ = ১
-
³₂He (হেলিয়াম-৩): প্রোটন সংখ্যা = ২, ভর সংখ্যা = ৩ → নিউট্রন সংখ্যা = ৩ – ২ = ১
অতএব, ²₁H এবং ³₂He উভয়ের নিউট্রন সংখ্যা ১, তাই তারা আইসোটোন।
0
Updated: 5 days ago
0.05 M H2SO4 এর pH কত?
Created: 5 days ago
A
1
B
2
C
3
D
4
H₂SO₄ (সালফিউরিক অ্যাসিড) একটি দ্বিপ্রোটিক (diprotic) শক্তিশালী অ্যাসিড, অর্থাৎ এটি প্রতি অণুতে দুটি প্রোটন (H⁺) প্রদান করতে পারে।
H2SO4 → 2H+ + SO42-
আমরা জানি,
pH = − log [H+]
= − log(2 × 0.05)
= − log(0.1)
= 1
0
Updated: 4 days ago
কোনটি দুর্বল নিউক্লিওফাইল?
Created: 5 days ago
A
I⁻
B
HS⁻
C
H₂O
D
.I⁻
নিউক্লিওফাইল (Nucleophile) হলো এমন এক রাসায়নিক প্রজাতি, যার কাছে এক বা একাধিক অব্যবহৃত ইলেকট্রন জোড়া থাকে এবং যা কোনো ইলেকট্রন-ঘাটতিযুক্ত বা ধনাত্মক কেন্দ্রকে আক্রমণ করে নতুন বন্ধন গঠন করে। এর সক্রিয়তা বিভিন্ন ভৌত ও রাসায়নিক উপাদানের উপর নির্ভর করে।
-
আধান (Charge): অধিক ঋণাত্মক আধানযুক্ত প্রজাতি সাধারণত শক্তিশালী নিউক্লিওফাইল।
-
আকার (Size): ছোট আয়ন সাধারণত দ্রুত বিক্রিয়াশীল হয়, তবে প্রোটিক দ্রাবকে বড় আয়ন সহজে বিক্রিয়া করে কারণ সলভেশন কম হয়।
-
দ্রাবক প্রভাব (Solvent effect): প্রোটিক দ্রাবকে ছোট আয়নগুলো সলভেশনজনিত কারণে দুর্বল হয়ে পড়ে।
প্রদত্ত উদাহরণগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়—
-
I⁻: বৃহৎ আয়ন, সহজে পোলারাইজেবল, তাই শক্তিশালী নিউক্লিওফাইল।
-
HS⁻: উচ্চ ইলেকট্রন ঘনত্ব ও আয়নিক প্রকৃতির কারণে শক্তিশালী নিউক্লিওফাইল।
-
H₂O: নিরপেক্ষ অণু, এর ইলেকট্রন দানের প্রবণতা খুব কম, তাই দুর্বল নিউক্লিওফাইল।
সুতরাং, প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে দুর্বল নিউক্লিওফাইল হলো H₂O, কারণ এটি নিরপেক্ষ এবং ইলেকট্রন ঘনত্ব তুলনামূলকভাবে কম।
0
Updated: 5 days ago