‘বেদের মেয়ে’ নাটকটির রচয়িতা পল্লিকবি জসীম উদ্দীন। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৫১ খ্রিষ্টাব্দে।
• জসীম উদ্দীন রচিত অন্যান্য নাটক:
- 
পদ্মাপার 
- 
বেদের মেয়ে 
- 
মধুমালা 
- 
পল্লীবধূ 
- 
গ্রামের মেয়ে 
সেলিম আল দীনের নাটকে অনুসৃত শিল্পতত্ত্ব -
A
অস্তিত্ববাদ
B
অভিব্যক্তিবাদ
C
পরাবাস্তববাদ
D
দ্বৈতাদ্বৈতবাদ
উত্তরের বিবরণ
সেলিম আল দীন, যিনি ১৯৪৯ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বাংলা নাটকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নাট্যকার হিসেবে খ্যাত, তাঁর রচনায় দ্বৈতাদ্বৈতবাদ শিল্পতত্ত্ব বা সাহিত্যরীতি অনুসৃত হয়েছে। তিনি ১৯৪৯ সালের ১৮ আগস্ট ফেনি জেলার সোনাগাজী উপজেলার সেনেরখিল গ্রামে একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯৫ সালে তিনি জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘মধ্যযুগের বাঙলা নাট্য’ শীর্ষক অভিসন্দর্ভের জন্য পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।
সেলিম আল দীন ১৯৭৪ সালে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন এবং ১৯৮৬ সালে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগে যোগদান করেন, যেখানে তিনি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর নাটকগুলিতে বাংলাদেশে বসবাসরত বিভিন্ন শ্রেণী, পেশাজীবী, এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সমাজজীবন ও সংস্কৃতির মহাকাব্যিক চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধ-উত্তর বাংলাদেশে তিনি ঢাকা থিয়েটার এবং বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর নাট্য রচনার জন্য তিনি ‘দ্বৈতাদ্বৈতবাদী শিল্পতত্ত্ব’ নামে এক নতুন শিল্প রীতি প্রবর্তন করেন, যা বাংলা সাহিত্যে একটি নবতর ধারার সূচনা করে। পাশ্চাত্য শিল্পের বিভাজনকে অস্বীকার করে, সেলিম আল দীন বাঙালির হাজার বছরের নন্দতত্ত্বের আলোকে একটি নতুন শিল্প দর্শন প্রতিষ্ঠা করেন।
শুধু নাটক রচনা নয়, তিনি নাট্যতত্ত্ব সম্পর্কিত বহু গবেষণামূলক প্রবন্ধও রচনা করেছেন, যার মধ্যে অন্যতম ‘মধ্যযুগের বাঙলা নাট্য’ (১৯৯৬)। তিনি বাঙলা নাট্যকোষ নামে নাট্যবিষয়ক একটি কোষগ্রন্থও সংকলন ও সম্পাদনা করেন। এছাড়া, থিয়েটার স্টাডিজ পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং নাট্যশিক্ষার্থীদের জন্য ‘নন্দিকেশ্বরের অভিনয় দর্পণ’ (১৯৮২) গ্রন্থটি অনুবাদ ও সম্পাদনা করেন।
সেলিম আল দীনের অন্যান্য প্রকাশিত সাহিত্যকীর্তির মধ্যে রয়েছে:
কাব্যগ্রন্থ: কবি ও তিমি,
উপন্যাস: অমৃত উপাখ্যান।
তার রচনাসমগ্র ৫ খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে (২০০৫-২০০৯)।
 
                            
                        
                        
                        
                        
                        0
Updated: 4 days ago
'নেমেসিস' নাটকটি কোন পটভূমিতে রচিত হয়?
Created: 2 months ago
A
ভাষা আন্দোলন
B
ঊনপঞ্চাশের মন্বন্তর
C
দেশভাগ
D
ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন
জন্ম: ১৯০৬, ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গায়।
তিনি মূলত নাট্যকার ছিলেন।
তাঁর প্রথম নাটক ‘রূপান্তর’ ১৯৪২ সালে ঢাকা বেতার-এ প্রচারিত হয়।
শ্রেষ্ঠ নাটক: নেমেসিস।
‘নেমেসিস’ নাটকটি প্রথম শনিবারের চিঠি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
এটি ঊনপঞ্চাশের মন্বন্তর পটভূমিতে রচিত।
১৯৪৮ সালে তাঁর ‘বহুরূপা’ নামে একটি রম্যরচনা প্রকাশিত হয়।
নেমেসিস
যদি এমন হতো
নয়া খান্দান
আলোছায়া
আইনের অন্তরালে
শতকরা আশি
রূপান্তর
যেমন ইচ্ছা তেমন
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, বাংলাপিডিয়া, সংশ্লিষ্ট বই
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 2 months ago
'বেদের মেয়ে' নাটকটির রচয়িতা কে?
Created: 1 month ago
A
কাজী নজরুল ইসলাম
B
জসীম উদদীন
C
আল মাহমুদ
D
দ্বিজেন্দ্রলাল রায়
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 month ago
“মুখরা রমণী বশীকরণ” নাটকটি কোন নাটকের অনুবাদ?
Created: 1 month ago
A
The Silver Box
B
The Taming of the Shrew
C
You Never Can Tell
D
The Tempest
মুনীর চৌধুরী ছিলেন একজন প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, নাট্যকার এবং সাহিত্যসমালোচক, যিনি বাংলা সাহিত্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তাঁর সাহিত্যকর্মে সামাজিক, রাজনৈতিক এবং ভাষা আন্দোলনের প্রভাব স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
মুনীর চৌধুরীর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
জন্ম ও পৈতৃক নিবাস: ১৯২৫ সালের ২৭ নভেম্বর মানিকগঞ্জ শহরে জন্মগ্রহণ করেন, পৈতৃক নিবাস নোয়াখালী।
১৯৫২ ভাষা আন্দোলন: ভাষা আন্দোলনের পটভূমিতে তিনি কারাবন্দী অবস্থায় ১৯৫৩ সালে "কবর" নাটক রচনা করেন, যা তাঁর অন্যতম বিখ্যাত রচনা।
বাংলা টাইপরাইটার উদ্ভাবন:
১৯৬৫ সালে তিনি কেন্দ্রীয় বাঙলা উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে বাংলা টাইপরাইটারের জন্য একটি উন্নতমানের কী-বোর্ড উদ্ভাবন করেন, যার নাম "মুনীর অপ্টিমা"।
রচিত নাটকসমূহ:
মৌলিক নাটক:
"কবর" (১৯৫৩): ভাষা আন্দোলনের পটভূমিতে রচিত নাটক, বাংলা নাটকের ইতিহাসে বিশেষ স্থান অধিকারী।
"রক্তাক্ত প্রান্তর": পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধকে কেন্দ্র করে লেখা।
"মানুষ": ১৯৪৬ সালের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা উপজীব্য।
"নষ্ট ছেলে": রাজনৈতিক চেতনাসমৃদ্ধ নাটক।
"পলাশী ব্যারাক ও অন্যান্য": রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে রচিত।
"দণ্ডকারণ্য": তিনটি নাটকের সমন্বয়ে নির্মিত।
"রাজার জন্মদিন": রাজনীতি ও সামাজিক প্রেক্ষাপট নিয়ে রচিত নাটক।
অনুবাদ নাটক:
"কেউ কিছু বলতে পারে না" (১৯৬৯): জর্জ বার্নার্ড শর-এর "You Never Can Tell" নাটকের বাংলা অনুবাদ।
"রূপার কৌটা" (১৯৬৯): জন গলজওয়র্দির "The Silver Box" নাটকের বাংলা অনুবাদ।
"মুখরা রমণী বশীকরণ" (১৯৭০): উইলিয়াম শেকসপিয়ারের "The Taming of the Shrew" নাটকের বাংলা অনুবাদ।
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 1 month ago