'ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ' -গানটির রচয়িতা -
A
কাজী নজরুল ইসলাম
B
গোলাম মোস্তফা
C
জসীমউদ্দীন
D
আব্বাস উদ্দীন আহমদ
উত্তরের বিবরণ
কাজী নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের জাতীয় কবি এবং একজন কিংবদন্তি সাহিত্যিক, যিনি বাংলা সাহিত্য, সমাজ ও সংস্কৃতিতে বিশাল অবদান রেখে গেছেন। তাঁর রচিত "ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ" গানটি মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল-ফিতরকে ঘিরে উদযাপন ও আনন্দের এক অনন্য নিদর্শন। এই গানটি কবি কাজী নজরুল ইসলাম ১৯৩১ সালে রচনা করেন, যখন তাঁর শিষ্য শিল্পী আব্বাস উদ্দিন আহমদ তাঁর কাছে এটি রচনার অনুরোধ করেন। গানটি রমজান মাস শেষে ঈদের আনন্দের শুভেচ্ছা জানায় এবং মুসলমানদের ধর্মীয় দায়িত্বের প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করে।
গানটির কিছু মূল পংক্তি:
-
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ,
-
তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে, শোন আসমানী তাগিদ।
-
তোর সোনা-দানা, বালাখানা সব রাহে লিল্লাহ,
-
দে যাকাত, মুর্দা মুসলিমের আজ ভাঙাইতে নিঁদ।
এই গানটি শুধু একটি ধর্মীয় উত্সবের উদযাপন নয়, বরং মানুষের দায়িত্ব ও কর্তব্যের প্রতীক হিসেবেও কাজ করে।
কাজী নজরুল ইসলাম সম্পর্কে কিছু তথ্য:
-
তিনি ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে ১৮৯৯) বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
-
তাঁর ডাক নাম ছিল ‘দুখু মিয়া’।
-
বাংলা সাহিত্যে তিনি পরিচিত ‘বিদ্রোহী কবি’ হিসেবে।
-
তিনি আধুনিক বাংলা গানের জগতে ‘বুলবুল’ নামে খ্যাত।
কাজী নজরুল ইসলামের রচিত সাহিত্যকর্ম:
-
কাব্যগ্রন্থ: অগ্নি-বীণা, সঞ্চিতা, চিত্তনামা, মরুভাস্কর, ফণি-মনসা, চক্রবাক এবং আরও অনেক।
-
উপন্যাস: বাঁধনহারা, মৃত্যুক্ষুধা, কুহেলিকা।
-
গল্পগ্রন্থ: ব্যথার দান, রিক্তার বেদন, শিউলিমালা।
-
প্রবন্ধগ্রন্থ: যুগবাণী, রাজবন্দীর জবানবন্দী, দুর্দিনের যাত্রী, রুদ্রমঙ্গল।
তিনি বাংলা সাহিত্যে, গান এবং কবিতায় এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেন এবং তাঁর কাজ আজও সবার হৃদয়ে চিরকালীন প্রভাব রেখে গেছে।
0
Updated: 4 days ago
শামসুর রাহমানের রচিত উপন্যাস -
Created: 4 days ago
A
পতঙ্গ পিঞ্জর
B
প্রেম একটি লাল গোলাপ
C
রৌদ্র করোটিতে
D
অদ্ভুত আঁধার এক
শামসুর রাহমান একজন খ্যাতনামা কবি ও সাংবাদিক, যিনি বাংলা সাহিত্যের বিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তাঁর জন্ম ১৯২৯ সালের ২৩ অক্টোবর পুরান ঢাকার ৪৬ নম্বর মাহুতটুলীতে। শামসুর রাহমানের কবিতার প্রতি আকর্ষণ প্রথম প্রকাশ পায় ১৯৬০ সালে, যখন তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ "প্রথম গান দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে" প্রকাশিত হয়।
তাঁর বিখ্যাত কবিতা ‘স্বাধীনতা তুমি’ এবং ‘তোমাকে পাওয়ার জন্য, হে স্বাধীনতা’ মুক্তিযুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যুদ্ধকালীন সময়ে লেখা কবিতাগুলি ‘বন্দী শিবির থেকে’ নামে কলকাতা থেকে প্রকাশিত হয়। এই কবিতাগুলি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী সময়ের অমূল্য স্মৃতিরূপে চিহ্নিত হয়।
শামসুর রাহমান কাব্যগ্রন্থ ছাড়াও বেশ কিছু উপন্যাসও রচনা করেন, যার মধ্যে অদ্ভুত আঁধার এক অন্যতম। ১৯৮৫ সালে এই উপন্যাসটি প্রকাশিত হয়। তাঁর অন্য উপন্যাসগুলোর মধ্যে রয়েছে অক্টোবাস, নিয়ত মন্তাজ, এবং এলো সে অবেলায়।
শামসুর রাহমানের কাব্যগ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য রচনাগুলোর মধ্যে রয়েছে:
-
বাংলাদেশ স্বপ্ন দ্যাখে,
-
প্রথম গান দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে,
-
রৌদ্র করোটিতে,
-
বিধ্বস্ত নীলিমা,
-
নিরালোকে দিব্যরথ,
-
নিজ বাসভূমে,
-
বন্দী শিবির থেকে,
-
ফিরিয়ে নাও ঘাতক কাঁটা,
-
আমি অনাহারী,
-
প্রতিদিন ঘরহীন ঘরে,
-
উদ্ভট উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ,
-
বুক তার বাংলাদেশের হৃদয়,
-
হরিণের হাড়,
-
তুমি নিঃশ্বাস তুমি হৃদস্পন্দন।
এছাড়া, ‘পতঙ্গ পিঞ্জর’ উপন্যাসের রচয়িতা শওকত ওসমান, এবং ‘প্রেম একটি লাল গােলাপ’ উপন্যাসের লেখক রশীদ করীম।
0
Updated: 4 days ago
'কেন পান্থ ক্ষান্ত হও হেরি দীর্ঘ পথ?' কার লেখা?
Created: 2 months ago
A
কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার
B
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
C
কামিনী রায়
D
যতীন্দ্রমোহন বাগচী
"কেন পান্থ ক্ষান্ত হও হেরি দীর্ঘ পথ?" পঙ্ক্তি কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার এর 'সদ্ভাবশতক' কাব্যগ্রন্থের 'দুঃখ বিনা সুখ হয় না' কবিতা থেকে নেয়া হয়েছে।
কবিতাটি নিম্নরূপ-
কি কারণ, দীন! তব মলিন বদন ?
যতন করহ লাভ হইবে রতন।
কেন পান্থ! ক্ষান্ত হও হেরে দীর্ঘ পথ ?
উদ্যম বিহনে কার পূরে মনােরথ ?
কাঁটা হেরি ক্ষান্ত কেন কমল তুলিতে,
দুঃখ বিনা সুখ লাভ হয় কি মহীতে?
মনে ভেবে বিষম-ইন্দ্রিয়-রিপু-ভয়,
হাফেজ! বিমুখ কেন করিতে প্রণয়?
-----------------------
• কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার:
- সাহিত্যিক, সাংবাদিক কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদারের জন্ম ১৮৩৪ সালের ১০ জুন খুলনা জেলার সেনহাটি গ্রামে এক বৈদ্য পরিবার।
- ঈশ্বর গুপ্তের উৎসাহে সংবাদ সাধুরঞ্জন ও সংবাদ প্রভাকর পত্রিকায় তাঁর লেখা প্রকাশিত হয়।
- কৃষ্ণচন্দ্রের বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ সদ্ভাবশতক প্রকাশিত হয় ১৮৬১ সালে।
- নীতি ও উপদেশমূলক এ কাব্যটি পারস্য কবি হাফিজ ও সাদীর কাব্যাদর্শে রচিত।
- তাঁর কবিতার অনেক পঙ্ক্তি প্রবাদবাক্যস্বরূপ।
যেমন: ‘চিরসুখী জন ভ্রমে কি কখন ব্যথিত বেদন বুঝিতে পারে’ ইত্যাদি।
উৎস: 'দুঃখ বিনা সুখ হয় না', কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার এবং বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 2 months ago
মুক্তিযুদ্ধ নির্ভর রচনা কোনটি?
Created: 2 months ago
A
এইসব দিন রাত্রি
B
নূরলদীনের সারা জীবন
C
একাত্তরের দিনগুলি
D
সৎ মানুষের খোঁজে
একাত্তরের দিনগুলি
‘একাত্তরের দিনগুলি’ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক একটি স্মৃতিকথা গ্রন্থ, লিখেছেন বাংলাদেশী কথাসাহিত্যিক জাহানারা ইমাম। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৮৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে।
জাহানারা ইমাম ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তার পুত্র রুমী ও স্বামীকে হারান। সেই সময় তার জীবন ছিল উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ও ভয়-উদ্বেগে ঘেরা, তবু তার মনে ছিল দেশপ্রেম ও স্বাধীনতার স্বপ্ন। সেই দুঃসহ নয় মাসের দৈনন্দিন ঘটনা এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে তার কর্মকাণ্ডের বর্ণনা তিনি লিখতেন ছোট চিরকুটে, ছিন্নপত্রে এবং সংকেতভঙ্গিতে।
গ্রন্থটি প্রকাশিত হওয়ার পর জনমনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে এবং এটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক একটি মর্মস্পর্শী ও শিহরণ জাগানো সাহিত্যকর্ম হিসেবে বিবেচিত হয়।
জাহানারা ইমাম
-
জন্ম: ১৯২৯, সুন্দরপুর, মুর্শিদাবাদ জেলা।
-
খ্যাতি: শহীদ জননী নামে পরিচিত।
-
সক্রিয় ভূমিকা: মুক্তিযুদ্ধ চেতনাকে বাস্তবায়ন এবং ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির আহবায়ক।
-
অসুস্থতা ও মৃত্যু: ১৯৮১-এর দিকে মুখের ক্যান্সারে আক্রান্ত, মৃত্যুহয় ১৯৯৪ সালের ২৬ জুন, আমেরিকার মিশিগান স্টেটের ডেট্রয়েটে।
অন্য গ্রন্থসমূহ:
-
সাতটি তারার ঝিকিমিকি
-
অন্যজীবন
-
বুকের ভিতর আগুন
-
নাটকের অবসান
-
নিঃসঙ্গ পাইন
-
প্রবাসের দিনগুলি
-
ক্যানসারের সঙ্গে বসবাস
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম
-
হুমায়ূন আহমেদ: প্রথম ধারাবাহিক নাটক ‘এইসব দিনরাত্রি’, বাংলাদেশের দর্শকদের মধ্যে জনপ্রিয়।
-
সৈয়দ শামসুল হক: কাব্যনাট্য ‘নূরলদীনের সারা জীবন’, যা রংপুরের কৃষক বিদ্রোহের নেতা নুরুলদীনের সামন্তবিরোধী সংগ্রামের উপর ভিত্তি করে রচিত।
উৎস: বাংলাপিডিয়া, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর
0
Updated: 2 months ago