"নাম রেখেছি কোমল গান্ধার" কাব্যের রচয়িতা -
A
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B
বিষ্ণু দে
C
অমিয় চক্রবর্তী
D
প্রেমেন্দ্র মিত্র
উত্তরের বিবরণ
‘নাম রেখেছি কোমল গান্ধার’ হলো বিষ্ণু দে রচিত একটি কাব্যগ্রন্থ, যা ১৯৫৩ সালে প্রকাশিত হয়। গ্রন্থটির মধ্যে একটি বিশেষ কবিতা রয়েছে, যার নাম ‘নাম রেখেছি কোমল গান্ধার মনে মনে’।
বিষ্ণু দে ছিলেন একজন প্রখ্যাত কবি, প্রাবন্ধিক, চিত্রসমালোচক এবং শিল্পানুরাগী। ১৯০৯ সালের ১৮ জুলাই কলকাতার পটলডাঙ্গায় তাঁর জন্ম। তাঁর পিতা অবিনাশচন্দ্র দে ছিলেন একজন অ্যাটর্নি। বিষ্ণু দে ত্রিশোত্তর বাংলা কবিতার নব্যধারার আন্দোলনের অন্যতম প্রধান কবি ছিলেন। তিনি মার্কসবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ ছিলেন এবং তাঁর কবিতায় টি.এস এলিয়টের প্রভাব স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। এছাড়াও, তিনি ১৯৩১ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত ‘পরিচয়’ পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর আরেকটি পত্রিকা ছিল ‘সাহিত্যপত্র’।
বিষ্ণু দে রচিত কাব্যগ্রন্থগুলো হলো:
-
উর্বশী ও আর্টেমিস
-
চোরাবালি
-
সাত ভাই চম্পা
-
সাহিত্যের ভবিষ্যৎ
-
নাম রেখেছি কোমল গান্ধার
-
তুমি শুধু পঁচিশে বৈশাখ
তাঁর রচিত প্রবন্ধের মধ্যে রয়েছে:
-
রুচি ও প্রগতি
-
সাহিত্যের ভবিষ্যৎ
-
রবীন্দ্রনাথ ও শিল্প সাহিত্যে আধুনিকতার সমস্যা
এছাড়া, বিষ্ণু দে এলিয়টের কবিতার অনুবাদও করেছেন।
0
Updated: 4 days ago
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের রচয়িতা কে?
Created: 2 months ago
A
কবীন্দ্র পরমেশ্বর
B
কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন
C
কাশীরাম দাস
D
বড়ু চণ্ডীদাস
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন
-
মধ্যযুগে রচিত বাংলা ভাষার প্রথম কাব্য হিসেবে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন স্বীকৃত।
-
১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দে বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার কাকিল্যা গ্রামের শ্ৰী দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের বাড়ির গোয়ালঘর থেকে শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের পুথি আবিষ্কার করেন।
-
১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ থেকে বসন্তরঞ্জন রায়ের সম্পাদনায় পুঁথিটি শ্রীকৃষ্ণকীর্তন নামে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়।
-
পুঁথির প্রথম দুটি ও শেষ পৃষ্ঠা অনুপস্থিত থাকায় এর নাম ও কবির নাম স্পষ্টভাবে জানা যায়নি।
-
আবিষ্কারক ও সম্পাদক বসন্তরঞ্জন রায় প্রাচীন বৈষ্ণব লেখকদের ইঙ্গিত অনুসারে গ্রন্থটির নামকরণ করেন শ্রীকৃষ্ণকীর্তন।
-
এই কাব্যকে শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ভ নামেও অভিহিত করা হয়।
-
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের রচয়িতা বড়ু চণ্ডীদাস।
-
কাব্যের প্রধান তিনটি চরিত্র হলো কৃষ্ণ, রাধা ও বড়াই।
-
এতে মোট ১৩টি খণ্ড রয়েছে।
অন্য তথ্য
-
কবীন্দ্র পরমেশ্বর → মহাভারতের প্রথম বাংলা অনুবাদক।
-
কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন → মহাভারতের রচয়িতা।
-
কাশীরাম দাস → মহাভারতের শ্রেষ্ঠ অনুবাদক।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা
0
Updated: 2 months ago
'সোনালী কাবিন' এর রচয়িতা কে?
Created: 5 months ago
A
হাসান হাফিজুর রহমান
B
আল মাহমুদ
C
হুমায়ুন আজাদ
D
শক্তি চট্টোপাধ্যায়
আল মাহমুদ রচিত অন্যতম শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ ‘সোনালী কাবিন’, যা প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৭৩ সালে। এ গ্রন্থে বিভিন্ন শিরোনামের কবিতার পাশাপাশি ‘সোনালী কাবিন’ শিরোনামের চৌদ্দটি সনেট নিয়ে গঠিত একটি দীর্ঘ কবিতাও অন্তর্ভুক্ত আছে, যা একে একপ্রকার ক্ষুদ্র কাব্যগ্রন্থ হিসেবেও চিহ্নিত করে।
আল মাহমুদ
আধুনিক বাংলা কবিতার অন্যতম প্রধান কবি আল মাহমুদ জন্মগ্রহণ করেন ১১ জুলাই ১৯৩৬, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মোড়াইল গ্রামে। তাঁর প্রকৃত নাম মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ। তিনি কেবল একজন প্রথিতযশা কবিই নন, স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে ‘দৈনিক গণকণ্ঠ’ পত্রিকার সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
তাঁর রচিত শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ হিসেবে ‘সোনালী কাবিন’ (১৯৭৩) বিশেষভাবে স্বীকৃত।
আল মাহমুদ রচিত উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থসমূহ:
লোক লোকান্তর
-
কালের কলস
-
সোনালী কাবিন
-
পাখির কাছে ফুলের কাছে
-
অদৃষ্টবাদীদের রান্নাবান্না
আল মাহমুদ রচিত উপন্যাস
ডাহুকী
-
উপমহাদেশ
-
আগুনের মেয়ে
-
চেহারার চতুরঙ্গ
-
কাবিলের বোন
আল মাহমুদ রচিত গল্পগ্রন্থ
পানকৌড়ির রক্ত
-
সৌরভের কাছে পরাজিত
-
গন্ধবণিক
-
ময়ূরীর মুখ
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 5 months ago
"হে দারিদ্র্য তুমি মোরে করেছো মহান
তুমি মোরে দানিয়াছ খ্রিস্টের সম্মান" - পঙ্ক্তিটি কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত?
Created: 1 month ago
A
সাম্যবাদী
B
সর্বহারা
C
অগ্নি-বীণা
D
সিন্ধু হিন্দোল
‘দারিদ্র্য’ কবিতার পঙ্ক্তি –
"হে দারিদ্র্য তুমি মোরে করেছো মহান, তুমি মোরে দানিয়াছ খ্রিস্টের সম্মান" – কাজী নজরুল ইসলামের ‘সিন্ধু হিন্দোল’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।
‘সিন্ধু হিন্দোল’ কাব্যগ্রন্থ:
-
এটি কাজী নজরুল ইসলামের প্রেমের কাব্যগ্রন্থ।
-
উল্লেখযোগ্য কিছু কবিতা:
-
গোপন প্রিয়া
-
অনামিকা
-
বিদায়-স্মরণে
-
পথের স্মৃতি
-
উন্মনা
-
দারিদ্র্য
-
বাসন্তী
-
ফাল্গুনী
-
বধূ-বরণ
-
রাখী-বন্ধন
-
চাঁদনী রাতে
-
মাধবী-প্রলাপ
-
0
Updated: 1 month ago