'তৈল' প্রবন্ধটি লিখেছেন -
A
সুকুমার রায়
B
রমেশচন্দ্র মজুমদার
C
শিবনারায়ণ রায়
D
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
উত্তরের বিবরণ
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী রচিত প্রবন্ধ 'তৈল'—এ বাঙালীর অসীম নির্ভরশীলতা এবং সফলতার পেছনে তৈলের ভূমিকা নিয়ে মন্তব্য করা হয়েছে। শাস্ত্রী জানান, বাঙালীর মধ্যে যেসব গুণাবলী থাকার কথা, সেগুলো প্রায় নেই; যেমন বল, বিক্রম, বিদ্যা এবং বুদ্ধি। সেই কারণে বাঙালী জীবনে তৈলই একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘যাঁরা কিছু অর্জন করেছেন, তাঁদের সবই তৈলের সাহায্যে।’’ তৈলকে প্রয়োজনীয় উপাদান হিসেবে চিহ্নিত করেও শাস্ত্রী আরো বলেন, তৈলের প্রকৃত মূল্য এবং এটি কিভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বদের সুখের কারণ হয়ে দাঁড়ায়, তা অনেকেই জানেন না। তবে যাঁরা জানেন, তারা আমাদের দেশের শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি এবং সমাজের সম্মানিত প্রতিনিধি।
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ছিলেন ভারততত্ত্ববিদ, সংস্কৃত বিশারদ এবং বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস রচয়িতা। বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন চর্যাপদ আবিষ্কারের জন্য তিনি বিশেষভাবে পরিচিত। তিনি 'হাজার বছরের পুরান বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা' নামে চর্যাপদ সম্পাদনা ও প্রকাশ করেছিলেন।
শাস্ত্রী নানা বিদ্যাপ্রতিষ্ঠানের সম্মাননা পেয়েছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
-
১৮৮৮ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আজীবন ফেলো মনোনয়ন;
-
১৮৯৮ সালে মহামহোপাধ্যায় উপাধি;
-
১৯১১ সালে সি.আই.ই উপাধি এবং
-
১৯২৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনারারি ডি.লিট উপাধি।
তার কিছু উল্লেখযোগ্য রচনা:
-
উপন্যাস: কাঞ্চনমালা এবং বেণের মেয়ে।
-
অন্যান্য গ্রন্থ: হাজার বছরের পুরান বাঙ্গালা ভাষার বৌদ্ধগান ও দোহা, প্রাচীন বাংলার গৌরব, মেঘদূত ব্যাখ্যা, ভারত মহিলা, এবং বাঙ্গালা ব্যাকরণ।
এই সব গ্রন্থ এবং তার কাজ বাংলা সাহিত্যে অমূল্য দান হিসেবে বিবেচিত।
0
Updated: 4 days ago
'বাঙ্গালা ভাষার ইতিবৃত্ত' কে রচনা করেন?
Created: 3 months ago
A
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
B
সুকুমার সেন
C
মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
D
মুহম্মদ এনামুল হক
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ১৮৮৫ সালের ১০ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার পেয়ারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন একজন প্রতিভাবান বাঙালি ব্যক্তিত্ব, যিনি ভারতের উপমহাদেশে দার্শনিক, শিক্ষক এবং বহুভাষাবিদ হিসেবে সুপরিচিত।
‘জ্ঞানতাপস’ নামে তিনি বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন। এছাড়াও, তাঁকে ‘চলিষ্ণু অভিধান’ নামেও অভিহিত করা হয়।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে জাতিসত্তা সম্পর্কে তাঁর বিখ্যাত উক্তি ছিল, “আমরা হিন্দু বা মুসলমান যেমন সত্য, তার থেকেও অধিক সত্য আমরা বাঙালি।”
এই উক্তি বাঙালির ঐক্য ও পরিচয়ের গুরুত্বকে রূপায়িত করে। ১৯৫৯ সালে তিনি ‘বাঙ্গালা ভাষার ইতিবৃত্ত’ নামক গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ রচনা করেন, যা বাংলা ভাষার ইতিহাস ও বিকাশকে তুলে ধরে।
ড. শহীদুল্লাহর ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে কিছু উল্লেখযোগ্য কাজ হলো—‘ভাষা ও সাহিত্য’, ‘বাঙ্গালা ব্যাকরণ’, ‘বাংলা সাহিত্যের কথা’ ইত্যাদি। পাশাপাশি তিনি বাংলা একাডেমির ‘আঞ্চলিক ভাষার অভিধান’ সম্পাদনার দায়িত্বও পালন করেন।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা (ড. সৌমিত্র শেখর), বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 3 months ago
'সাম্য' গ্রন্থের রচয়িতা কে?
Created: 3 months ago
A
কাজী নজরুল ইসলাম
B
মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ
C
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
D
মোহাম্মদ লুৎফর রহমান
"সাম্য’ গদ্যগ্রন্থ:
- 'সাম্য' (১৮৭৯) বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত গদ্যগ্রন্থ।
- 'বঙ্গদর্শনে' প্রকাশিত 'সাম্য' বিষয়ক তিনটি এবং 'বঙ্গদেশের কৃষক' প্রবন্ধের কিছু অংশ নিয়ে গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়।
- ইউরোপীয় সাম্যচিন্তার ধারার ইতিহাস এখানে সংক্ষেপে বর্ণনা করা হয়েছে।
- এই গ্রন্থে বঙ্কিমচন্দ্রের সমাজ ও অর্থনৈতিক প্রগতিশীল চিন্তা প্রকাশিত।
উল্লেখ্য,
- ‘সম্যবাদী’ নামে কাজী নজরুল ইসলামের একটি কাব্যগ্রন্থ রয়েছে। এবং ‘সাম্য’ কাজী নজরুল ইসলাম রচিত একটি কবিতা, তবে তা কোনো একক গ্রন্থ নয়।
----------------------------
• বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়:
- বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ঔপন্যাসিক, সাংবাদিক, বাংলার নবজাগরণের অন্যতম প্রধান পুরুষ।
- ১৮৩৮ সালে চব্বিশ পরগনা জেলার কাঁঠালপাড়া গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
- বাংলা উপন্যাসের জনক বলা হয় বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে।
- তাঁর রচিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘ললিতা তথা মানস’।
- তাঁর রচিত প্রথম ও বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস ‘দুর্গেশনন্দিনী’।
• বঙ্কিমচন্দ্র রচিত ত্রয়ী উপন্যাসগুলো হলো:
- আনন্দমঠ,
- দেবী চৌধুরানী ও
- সীতারাম উপন্যাস।
• তাঁর রচিত অন্যান্য উপন্যাসগুলো হলো:
- কপালকুণ্ডলা,
- মৃণালিনী,
- বিষবৃক্ষ,
- ইন্দিরা,
- যুগলাঙ্গুরীয়,
- চন্দ্রশেখর,
- রাধারানী,
- রজনী,
- কৃষ্ণকান্তের উইল,
- রাজসিংহ।
উৎস: বাংলাপিডিয়া এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।
0
Updated: 3 months ago
‘আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর’ কার লেখা?
Created: 1 month ago
A
এস. ওয়াজেদ আলী
B
আবুল হাসেম
C
আবুল মনসুর আহমদ
D
আবুল হুসেন
'আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর' (১৯৬৮) গ্রন্থটি আবুল মনসুর আহমদ রচিত একটি রাজনীতি বিষয়ক গ্রন্থ। এই গ্রন্থে তিনি তাঁর রাজনৈতিক জীবনের অভিজ্ঞতা এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছেন।
আবুল মনসুর আহমদ রচিত আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনীতি বিষয়ক গ্রন্থ হলো ‘শেরে বাংলা থেকে বঙ্গবন্ধু’ (১৯৭৩)।
আবুল মনসুর আহমদ: সাংবাদিক, আইনজীবী, রাজনীতিবিদ ও সাহিত্যিক।
-
বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত থাকলেও তিনি বিদ্রুপাত্মক রচনার লেখক হিসেবেই বেশি পরিচিত।
-
তাঁর রচিত গল্পগ্রন্থ: ‘আয়না’ এবং ‘ফুড কনফারেন্স’।
-
আত্মজীবনীমূলক রচনা: ‘আত্মকথা’।
0
Updated: 1 month ago