দীনবন্ধু মিত্রের 'নীলদর্পণ' নাটকের ইংরেজি অনুবাদক -
A
জশুয়া মার্শম্যান
B
ডেভিড হেয়ার
C
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
D
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
উত্তরের বিবরণ
নীলদর্পণ নাটক
‘নীলদর্পণ’ (১৮৬০) মাইকেল মধুসূদন দত্তের শ্রেষ্ঠ নাটক এবং রচনাগুলোর মধ্যে অন্যতম। এটি নীলচাষ এবং নীলকর সাহেবদের পীড়ন, পাশাপাশি শাসকশ্রেণীর পক্ষপাতমূলক আচরণকে কেন্দ্র করে রচিত। নাটকটি সমকালের সমাজে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে এবং কৃষকদের নীলবিদ্রোহে প্রেরণা যোগায়। মধুসূদন দত্ত নাটকটির ইংরেজি অনুবাদ করেন এবং পাদ্রি জেমস লং তার প্রকাশনায় সহায়তা করেন, যার কারণে আদালত কর্তৃক তাঁকে অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ‘নীলদর্পণ’-কে আঙ্কল টমস কেবিনের সঙ্গে তুলনা করেছেন। এই নাটকটি রচনাকাল থেকে আজ পর্যন্ত জাতীয় চেতনার পথিকৃৎ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।
এটি বাংলা ভাষায় বিদেশী ভাষায় অনূদিত প্রথম নাটক। ১৮৬০ সালে ‘কস্যচিৎ পথিকস্য’ ছদ্মনামে এটি ঢাকা থেকে প্রথম প্রকাশিত হয় এবং ১৮৭২ সালের ৭ ডিসেম্বর এটি দিয়েই সাধারণ রঙ্গালয়ে প্রথম অভিনয় শুরু হয়।
দীনবন্ধু মিত্র
দীনবন্ধু মিত্র ১৮৩০ সালে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার চৌবেড়িয়া গ্রামে একটি দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতৃনাম ছিল গন্ধর্বনারায়ণ। ১৮৭১ সালে লুসাই যুদ্ধের সময় তিনি কাছাড়ে ডাক বিভাগের সফল পরিচালনা করেন, যার জন্য সরকার তাকে ‘রায়বাহাদুর’ উপাধিতে ভূষিত করে। ‘নীলদর্পণ’ তাঁর শ্রেষ্ঠ নাটক এবং সেরা রচনা হিসেবে বিবেচিত।
দীনবন্ধু মিত্র রচিত প্রহসন:
-
সধবার একাদশী
-
বিয়ে পাগলা বুড়ো
-
জামাই বারিক
নাটক:
-
লীলাবতী
-
নবীন তপস্বিনী
-
কমলে কামিনী
0
Updated: 4 days ago
মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত 'পদ্মাবতী' কোন ধরনের রচনা?
Created: 1 month ago
A
কবিতা
B
সনেট
C
নাটক
D
কাব্যগ্রন্থ
'পদ্মাবতী' হলো মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত একটি নাটক।
-
পদ্মাবতী নাটকে (দ্বিতীয় অঙ্ক, দ্বিতীয় গর্ভাঙ্কে) তিনি প্রথমবার অমিত্রাক্ষর ছন্দ প্রয়োগ করেন।
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
-
জন্ম: ২৫ জানুয়ারি ১৮২৪, যশোর জেলার কপোতাক্ষ নদের তীরে সাগরদাঁড়ি গ্রাম
-
পরিচিতি: মহাকবি ও নাট্যকার
-
বাংলা সাহিত্যে সনেটের প্রবর্তক
-
অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক
-
প্রথম কাব্যগ্রন্থ: The Captive Lady (ইংরেজিতে রচিত)
রচিত নাটকসমূহ:
-
শর্মিষ্ঠা
-
পদ্মাবতী
-
কৃষ্ণকুমারী
প্রহসনসমূহ:
-
একেই কি বলে সভ্যতা
-
বুড় সালিকের ঘাড়ে রোঁ
0
Updated: 1 month ago
বাংলা সাহিত্যের কোন দুই কবির মধ্যবর্তী সময়কে যুগসন্ধি বলা হয়?
Created: 2 months ago
A
মধুসূদন দত্ত - রবীন্দ্রনাথ
B
কায়কোবাদ - ঈশ্বরচন্দ্র
C
ভারতচন্দ্র - মধুসূদন দত্ত
D
মধুসূদন - কাজী নজরুল ইসলাম
• বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর (মৃত্যু: ১৭৬০ খ্রিষ্টাব্দ) এবং মাইকেল মধুসূদন দত্তের (জন্ম: ১৮২৪ খ্রিষ্টাব্দ) মধ্যবর্তী সময়কে যুগসন্ধি বলা হয়। এই সময়টি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে "অবক্ষয় যুগ" বা "যুগ সন্ধিক্ষণ" নামে পরিচিত।
• যুগসন্ধিক্ষণের কবি:
- ১৮০১ খ্রিষ্টাব্দ থেকে বাংলা সাহিত্যের আধুনিক যুগ সূচিত হলেও বাংলা কাব্যসাহিত্যে ১৮৬১ খ্রিষ্টাব্দে 'মেঘনাদবধ কাব্য' রচিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত প্রকৃত অর্থে আধুনিকতা আরম্ভ হয় নি।
- এই ষাট বছর (১৮০১-১৮৬১) কাব্যে আধুনিকতায় পৌছার চেষ্টা চলেছে মাত্র।
- ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের জীবৎকাল ১৮১২ থেকে ১৮৫৯ খ্রিষ্টাব্দ।
- তিনি বড় হয়েছেন কলকাতার নাগরিক পরিবেশে।
- সাংবাদিকতার পাশাপাশি কবিতাচর্চায় তিনি এ সময় মধ্যযুগের দেবদেবীর কথা বা কাহিনি নির্ভর কাব্যরচনা বর্জন করে ব্যক্তি অভিজ্ঞতায় ছোট ছোট কবিতা লেখা শুরু করেন।
- তপ্সে মাছের মতো সামান্য প্রাণীও তাঁর কাব্যের বিষয়বস্তু হয়।
- তাঁর কবিতায় সমাজসচেতনতা বিশেষ করে মাতৃভূমির প্রতি দরদ অর্থাৎ দেশাত্মবোধ স্পষ্ট দেখা যায়।
- আবার কবিওয়ালাদের কাব্য ঢঙ, পয়ার ও ত্রিপদীর ব্যবহারও তাঁর কবিতায় ব্যাপকভাবে লক্ষযোগ্য।
- আসলে মধ্যযুগের শেষ প্রতিনিধি ভারতচন্দ্র এবং আধুনিক যুগের প্রথম পুরুষ মাইকেল মধুসূদন- এই দুই মনীষীর মধ্যবর্তীকালে ঈশ্বর গুপ্তের আবির্ভাব।
- তাঁর মধ্যে মধ্যযুগের কাব্য- বৈশিষ্ট্য ও আধুনিক যুগের সূচনা-বৈশিষ্ট্য দেখে তাকে যুগসন্ধিক্ষণের কবি বলা হয়।
0
Updated: 2 months ago
“সততা হে নদ তুমি পড় মোর মনে” পঙক্তিটির রচিতা কে?
Created: 2 months ago
A
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
C
কাজী নজরুল ইসলাম
D
অমিয় চক্রবর্তী
কবিতা: কপোতাক্ষ নদ
-
রচয়িতা: মাইকেল মধুসূদন দত্ত
-
অন্তর্গত: চতুর্দশপদী কবিতাবলী
-
ধরণ: সনেট
-
উল্লেখযোগ্য পঙক্তি: "সততা হে নদ তুমি পড় মোর মনে"
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
-
মহাকবি, নাট্যকার
-
জন্ম: ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি, সাগরদাঁড়ি, কপোতাক্ষ নদ, যশোর
-
বাংলা ভাষায় সনেটের ও অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক
রচিত কাব্য:
তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য, মেঘনাদবধ কাব্য, ব্রজাঙ্গনা কাব্য, বীরাঙ্গনা কাব্য, চতুর্দশপদী কবিতাবলী
0
Updated: 2 months ago