'রত্নপরীক্ষা' গ্রন্থের রচয়িতা -
A
রামমোহন রায়
B
অক্ষয়কুমার দত্ত
C
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
D
রাধানাথ শিকদার
উত্তরের বিবরণ
'রত্নপরীক্ষা' ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের রচিত বেনামি গ্রন্থগুলির মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ রচনা। এটি ঈশ্বরচন্দ্রের পঞ্চম রচনা এবং 'কস্যচিৎ উপযুক্ত ভাইপো-সহচরস্য' ছদ্মনামে লেখা হয়েছে। এই রচনাতে বিদ্যাসাগর সাধুরীতিকে কথ্যরীতিতে নিয়ে এসেছেন, যা বাংলা সাহিত্যে এক নতুন মাত্রা সৃষ্টি করেছে।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর আরো পাঁচটি গ্রন্থ এই ছদ্মনামে রচনা করেছেন:
-
অতি অল্প হইল,
-
আবার অতি অল্প হইল,
-
ব্রজবিলাস,
-
বিধবা বিবাহ ও যশোরের হিন্দু ধর্মরক্ষিণী সভা,
-
রত্নপরীক্ষা।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বাংলা ভাষার অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেখক, শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক এবং জনহিতৈষী। ১৮২০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলার বীরসিংহ গ্রামে তার জন্ম। ১৮৩৯ সালে কলকাতার 'সংস্কৃত কলেজ' থেকে বিদ্যাসাগর উপাধি অর্জন করেন, যা তার অসাধারণ মেধার প্রতীক। তাকে বাংলা গদ্যের জনক বলা হয়, কারণ তিনি বাংলা গদ্যে প্রথম যতি বা বিরামচিহ্নের ব্যবহার শুরু করেছিলেন।
বিদ্যাসাগরের প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ ছিল ‘বেতাল পঞ্চবিংশতি’ (১৮৪৭), যেখানে তিনি প্রথম যতি বা বিরামচিহ্ন ব্যবহার করেন। এছাড়া, 'প্রভাবতী সম্ভাষণ' বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম মৌলিক গদ্য রচনা হিসেবে পরিচিত।
বিদ্যাসাগরের কিছু বিখ্যাত গ্রন্থ:
-
শকুন্তলা,
-
সীতার বনবাস,
-
ভ্রান্তিবিলাস ইত্যাদি।
তিনি শিক্ষামূলক কিছু গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থও রচনা করেছেন:
-
আখ্যান মঞ্জরী,
-
বোধোদয়,
-
বর্ণপরিচয়,
-
কথামালা ইত্যাদি।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের রচনাগুলি বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছে এবং তার প্রভাব আজও টিকে আছে।
0
Updated: 4 days ago
বাংলা গদ্যের 'যথার্থ শিল্পী' বলা হয় কাকে?
Created: 1 day ago
A
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে
B
মীর মশাররফ হোসেনকে
C
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে
D
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে
বাংলা সাহিত্যে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে বাংলা গদ্যের ‘যথার্থ শিল্পী’ বলা হয়, কারণ তিনি গদ্যে সরলতা, প্রাঞ্জলতা ও যুক্তিসঙ্গত ভাব প্রকাশের মাধ্যমে পাঠকের কাছে গভীর প্রভাব ফেলেেছেন। তার গদ্যরচনার বিশেষত্ব হলো ভাষার স্বাভাবিকতা, স্পষ্টতা এবং শিক্ষামূলক উদ্দেশ্য। তিনি গদ্যকে শুধুমাত্র তথ্যপ্রদান বা শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেননি, বরং এতে সাহিত্যিক সৌন্দর্য ও মানবিক দৃষ্টিকোণও প্রয়োগ করেছেন।
এর মূল বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:
-
সরল ও প্রাঞ্জল ভাষা: বিদ্যাসাগরের লেখা গদ্যে অপ্রয়োজনীয় জটিলতা নেই। তিনি পাঠককে সহজ ও স্বচ্ছ ভাষায় ভাব পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
-
যুক্তিসঙ্গত প্রকাশ: তার গদ্যরচনায় ভাবের ধারাবাহিকতা এবং যুক্তির প্রাধান্য থাকে। প্রতিটি বাক্য এবং প্যারাগ্রাফ বিন্যস্ত ও সুসংগঠিত, যা পাঠকের বোঝাপড়া সহজ করে।
-
শিক্ষামূলক উদ্দেশ্য: বিদ্যাসাগরের গদ্য প্রায়শই শিক্ষা, নৈতিকতা ও সামাজিক সচেতনতা প্রচারের উদ্দেশ্য নিয়ে লেখা হয়। উদাহরণস্বরূপ, শিক্ষাবিষয়ক প্রবন্ধ, প্রাতিষ্ঠানিক নথি বা সাহিত্যিক রচনা।
-
সাহিত্যিক সৌন্দর্য: সরলতার সঙ্গে সঙ্গে তার গদ্যে ভাষার সৌন্দর্য ও ছন্দও থাকে। এটি বাংলা গদ্যের শৈল্পিক দিককে সমৃদ্ধ করে।
-
গদ্যের প্রভাব: বিদ্যাসাগরের প্রবন্ধ, চিঠি, বক্তৃতা এবং শিক্ষামূলক লেখা পাঠকদের সাহিত্যিক ও নৈতিক মূল্যবোধ বোঝার সুযোগ দেয়। তার লেখা আধুনিক বাংলা গদ্যের ভিত্তি স্থাপন করেছে।
সারসংক্ষেপে, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে বাংলা গদ্যের যথার্থ শিল্পী বলা হয়, কারণ তিনি সরলতা, প্রাঞ্জলতা এবং যুক্তিসঙ্গত ভাষা ব্যবহার করে বাংলা গদ্যকে শিক্ষামূলক, সাহিত্যিক এবং মানবিক দিক থেকে সমৃদ্ধ করেছেন। তার লেখা গদ্য বাংলা সাহিত্যে আধুনিকতার সূচনা এবং পাঠকের জন্য বোধ্য ও প্রভাবশালী সাহিত্যিক উদাহরণ হিসেবে পরিচিত।
0
Updated: 1 day ago
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত গ্রন্থ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
প্রবোধচন্দ্রিকা
B
ইতিহাসমালা
C
লিপিমালা
D
কথামালা
'কথামালা' ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত একটি শিক্ষামূলক গ্রন্থ, যা বাংলা শিক্ষাসাহিত্যে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। বিদ্যাসাগর তার জীবদ্দশায় নানা ধরনের রচনা করেছেন, যা শিক্ষামূলক ও সাহিত্যিক উভয় ক্ষেত্রেই সমাদৃত।
-
অনুবাদ গ্রন্থ:
-
শকুন্তলা
-
সীতার বনবাস
-
ভ্রান্তিবিলাস
-
-
মৌলিক রচনা:
-
অতি অল্প হইল
-
আবার অতি অল্প হইল
-
ব্রজবিলাস
-
বিধবা বিবাহ ও যশোরের হিন্দু ধর্মরক্ষিণী সভা
-
রত্ন পরীক্ষা
-
-
শিক্ষামূলক গ্রন্থ:
-
আখ্যান মঞ্জরী
-
বোধোদয়
-
বর্ণপরিচয়
-
কথামালা
-
-
অন্যান্য গ্রন্থ ও রচয়িতা:
-
প্রবোধচন্দ্রিকা – মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার
-
লিপিমালা – রামরাম বসু
-
ইতিহাসমালা (১৮১২) – উইলিয়াম কেরি, যা বিভিন্ন বিষয়ের ১৫০টি গল্পের সংগ্রহ
-
0
Updated: 1 month ago
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
শকুন্তলা
B
বেতালপঞ্চবিংশতি
C
ভ্রান্তিবিলাস
D
বর্ণপরিচয়
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
-
জন্ম: ২৬ সেপ্টেম্বর, ১৮২০; স্থান: পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলার বীরসিংহ গ্রাম।
-
১৮৩৯ সালে সংস্কৃত কলেজ থেকে ‘বিদ্যাসাগর’ উপাধি লাভ করেন।
-
তাঁর প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ: ‘বেতালপঞ্চবিংশতি’।
‘বেতালপঞ্চবিংশতি’ সম্পর্কে:
-
এটি একখানা গল্পগ্রন্থ, মূল গ্রন্থটি সংস্কৃত ভাষায় রচিত।
-
১৮০৫ সালে ফোর্ট উইলিয়ম কলেজ থেকে এর হিন্দি অনুবাদ ‘বৈতাল পচ্চিসী’ প্রকাশিত হয়, যা কলেজের পাঠ্য ছিল।
-
কলেজের অধ্যক্ষ জি.টি. মার্শালের অনুরোধে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ১৮৪৭ সালে এটি বাংলায় অনুবাদ করেন।
বিখ্যাত গ্রন্থসমূহ:
-
শকুন্তলা
-
সীতার বনবাস
-
ভ্রান্তিবিলাস
শিক্ষামূলক গ্রন্থসমূহ:
-
আখ্যান মঞ্জরী
-
বোধোদয়
-
বর্ণপরিচয়
-
কথামালা
0
Updated: 1 month ago