'নীলকর' কোন সমাসের দৃষ্টান্ত?
A
দ্বন্দ্ব
B
বহুব্রীহি
C
নিত্য
D
উপপদ তৎপুরুষ
উত্তরের বিবরণ
তৎপুরুষ সমাস হল এমন একটি সমাস, যেখানে সমস্যমান পদটি বিভক্ত হয়ে সন্নিহিত অনুসর্গ হারায় এবং এর মাধ্যমে যে নতুন শব্দ তৈরি হয়, তার মধ্যে পরপদের অর্থ প্রাধান্য পায়। উদাহরণস্বরূপ:
- 
ছায়া দ্বারা শীতল → ছায়াশীতল 
- 
ছাত্রদের জন্য আবাস → ছাত্রাবাস 
- 
মধু দিয়ে মাখা → মধুমাখা 
এগুলি এমন শব্দ, যেখানে প্রথম অংশটি অর্থ দেয় এবং দ্বিতীয় অংশটি সেই অর্থের পরিপূরক হয়।
উপপদ তৎপুরুষ সমাস হল এমন একটি সমাস, যেখানে কৃদন্ত পদ (যেমন: ক্রিয়া বা বিশেষ্য) এবং উপপদের সমাস ঘটে। এই সমাসে সাধারণত প্রথম অংশটি বিশেষ্য পদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। যেমন:
- 
নীল চাষ/উৎপাদন করে যে → নীলকর 
- 
জাদু করে যে → জাদুকর 
- 
ধামা ধরে যে → ধামাধরা 
- 
শিরো ধার্য যা → শিরোধার্য 
- 
পকেট মারে যে → পকেটমার 
- 
দ্রুত গমন করে যে → দ্রুতগামী 
এই ধরনের সমাসে প্রথম অংশের অর্থকে গুরুত্ব দেওয়া হয়।
 
                            
                        
                        
                        
                        
                        0
Updated: 5 days ago
'পঙ্কজ' কোন ধরনের তৎপুরুষ সমাস?
Created: 2 months ago
A
অলুক তৎপুরুষ
B
উপপদ তৎপুরুষ
C
পঞ্চমী তৎপুরুষ
D
অলুক ষষ্ঠী তৎপুরুষ
উপপদ তৎপুরুষ সমাস
সংজ্ঞা:
- 
যে পদের পরে ক্রিয়ামূলের সঙ্গে কৃৎ-প্রত্যয় যুক্ত হয়, তাকে উপপদ বলে। 
- 
কৃদন্ত পদের সঙ্গে উপপদের যে সমাস হয়, তাকে উপপদ তৎপুরুষ সমাস বলা হয়। 
উদাহরণ:
- 
জলে চরে যা → জলচর 
- 
জল দেয় যে → জলদ 
- 
পক্ষে জন্মে যা → পঙ্কজ 
অন্যান্য উদাহরণ:
- 
গৃহস্থ, সত্যবাদী, ইন্দ্রজিৎ, ছেলেধরা, ধামাধরা, পকেটমার, পাতাচাটা, হাড়ভাঙ্গা, মাছিমারা, ছারপোকা, ঘরপোড়া, বর্ণচোরা, গলাকাটা, পা-চাটা, পাড়াবেড়ানি, ছা-পোষা 
সূত্র: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 2 months ago
'বর্ণচোরা' শব্দটি কোন সমাসের অন্তর্ভুক্ত?
Created: 5 days ago
A
বহুব্রীহি
B
রূপক কর্মধারয়
C
উপপদ তৎপুরুষ
D
উপমান কর্মধারয়
বাংলা ভাষায় ‘বর্ণচোরা’ শব্দটি একটি সমাস, যা দুটি বা তার বেশি শব্দকে একত্র করে নতুন অর্থ তৈরি করে। এটি বিশেষভাবে উপপদ তৎপুরুষ সমাস-এর উদাহরণ, কারণ এখানে দুটি পদ আছে — ‘বর্ণ’ এবং ‘চোরা’, যেখানে প্রথম পদটি (বর্ণ) দ্বিতীয় পদের (চোরা)-কে নির্দিষ্ট করে বা সীমাবদ্ধ করে অর্থ প্রদান করছে।
বিস্তারিত ব্যাখ্যা:
উপপদ তৎপুরুষ সমাসের সংজ্ঞা:
- 
উপপদ তৎপুরুষ সমাস হলো এমন সমাস যেখানে প্রথম পদটি দ্বিতীয় পদকে বিশেষভাবে নির্দিষ্ট বা সীমাবদ্ধ করে। 
- 
অর্থাৎ, প্রথম পদটি second part-এর উপপদ বা অংশ হিসেবে কাজ করে, যাতে মিলিতভাবে একটি নির্দিষ্ট অর্থ তৈরি হয়। 
- 
উদাহরণস্বরূপ: গোপালচন্দ্র, রামচক্র—এখানে প্রথম অংশ দ্বিতীয় অংশের বর্ণনা বা সীমা নির্ধারণ করছে। 
‘বর্ণচোরা’ শব্দের বিশ্লেষণ:
- 
বর্ণ → আক্ষরিক অর্থে কোনো ধ্বনিবর্ণ বা অক্ষর। 
- 
চোরা → চুরি বা চুরি করা ব্যক্তি বা বস্তু। 
- 
মিলিত হয়ে ‘বর্ণচোরা’ অর্থ দাঁড়ায় এমন ব্যক্তি বা বস্তু যা বর্ণ চুরি করে। 
- 
এখানে ‘বর্ণ’ শব্দটি ‘চোরা’ ক্রিয়ার বা বিশেষণীয় কার্যক্রমকে সীমাবদ্ধ করছে, অর্থাৎ এটি উপপদ হিসেবে দ্বিতীয় পদকে নির্দিষ্ট করছে, যা উপপদ তৎপুরুষ সমাস-এর মূল বৈশিষ্ট্য। 
অন্য সমাসের সঙ্গে তুলনা:
- 
বহুব্রীহি (ক): এমন সমাস যেখানে মিলিত অর্থে কোনো পদই সরাসরি উল্লেখিত না থাকে। যেমন: চন্দ্রকান্ত—যার অর্থ হলো “চাঁদের মত সুন্দর”। 
- 
রূপক কর্মধারয় (খ) ও উপমান কর্মধারয় (ঘ): এগুলো কর্মধারয় বা তুলনামূলক সমাস, যা ক্রিয়া বা তুলনার ওপর ভিত্তি করে তৈরি। “বর্ণচোরা” এগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। 
সারসংক্ষেপ:
- 
বর্ণচোরা শব্দটি দুটি পদ মিলিয়ে তৈরি। 
- 
প্রথম পদ ‘বর্ণ’ দ্বিতীয় পদ ‘চোরা’-কে নির্দিষ্ট করে। 
- 
এটি একটি স্বতন্ত্র অর্থ বহন করে। 
- 
তাই এটি উপপদ তৎপুরুষ সমাস-এর উদাহরণ। 
উপসংহার:
“বর্ণচোরা” শব্দটি সমাসবিজ্ঞান অনুযায়ী (গ) উপপদ তৎপুরুষ অন্তর্ভুক্ত, কারণ এটি এমন সমাস যেখানে প্রথম পদটি দ্বিতীয় পদকে নির্দিষ্ট বা সীমাবদ্ধ করে নতুন অর্থ তৈরি করছে।
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 5 days ago
কোনটি ‘উপপদ তৎপুরুষের’ উদাহরণ?
Created: 2 months ago
A
ছেলেধরা
B
প্রতিবাদ
C
বিলাতফেরত
D
উপগ্রহ
উপপদ তৎপুরুষ সমাসে প্রথম পদ উপপদ হিসেবে থাকে এবং দ্বিতীয় পদ মূল অর্থ প্রকাশ করে, যেমন এখানে ‘ছেলেধরা’। এখানে:
- ছেলে = শিশু বা বালক 
- ধরা = যে ধরে বা অপহরণ করে 
এই সমাসে ‘ছেলে’ শব্দটি ‘ধরা’ ক্রিয়ার উপপদ হিসাবে কাজ করছে। অর্থাৎ, এটি এমন একজনকে বোঝায় যে শিশুদের ধরে বা অপহরণ করে।
 
                                    
                                
                                
                                
                                0
Updated: 2 months ago