'ধ্বনিবিজ্ঞান ও বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব' গ্রন্থের রচয়িতা -
A
মুহম্মদ আবদুল হাই
B
মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্
C
মুনীর চৌধুরী
D
মুহম্মদ এনামুল হক
উত্তরের বিবরণ
মুহম্মদ আবদুল হাই রচিত ধ্বনিবিজ্ঞান ও বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব গ্রন্থটি বাংলা ভাষার ধ্বনির গঠন, উচ্চারণ ও ব্যবহারবিধি সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ প্রদান করে। এটি বাংলার ভাষাতত্ত্ব বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ গবেষণাগ্রন্থ হিসেবে চিহ্নিত। এই গ্রন্থের মাধ্যমে তিনি আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেন এবং ধ্বনিবিজ্ঞানী হিসেবে বিশ্বজুড়ে পরিচিত হন। এটি দুটি বাংলায় প্রথমবারের মতো লেখা হয়েছিল যা ভাষাতত্ত্বের মৌলিক বিষয় নিয়ে এমন একটি উচ্চমানসম্পন্ন কাজ হিসেবে পরিগণিত হয়। গ্রন্থটি মুহম্মদ আবদুল হাইকে খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছে দেয়।
মুহম্মদ আবদুল হাই ছিলেন একজন বিখ্যাত শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক, গবেষক এবং ভাষাবিজ্ঞানী। তিনি ২৬ নভেম্বর ১৯১৯ সালে মুর্শিদাবাদের রাণীনগর থানার মরিচা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার উল্লেখযোগ্য রচিত গ্রন্থের মধ্যে অন্যতম হলো ধ্বনিবিজ্ঞান ও বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব, যা ১৯৬৪ সালে প্রকাশিত হয়।
তিনি আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ রচনা করেছেন, যেমন:
-
সাহিত্য ও সংস্কৃতি
-
তোষামোদ ও রাজনীতির ভাষা
-
ভাষা ও সাহিত্য
-
বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু হলো:
-
বাংলা সাহিত্যের কথা – ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
-
বাংলা সাহিত্যের রূপরেখা (২ খণ্ড) – গোপাল হালদার
-
শব্দতত্ত্ব – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
-
ধ্বনিবিজ্ঞান ও ভাষাতত্ত্ব – মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান
-
বাঙালি ও বাঙলা সাহিত্য – আহমদ শরীফ
-
বঙ্গভাষা ও সাহিত্য – ড. দীনেশচন্দ্র সেন
0
Updated: 5 days ago
ধ্বনি ও বর্ণের পার্থক্য কোথায়?
Created: 2 weeks ago
A
লেখার ধরনে
B
উচ্চারনের বিশিষ্টতায়
C
সংখ্যাগত পরিমানে
D
ইন্দ্রিয় গ্রাহ্যে
ধ্বনি ও বর্ণ বাংলা ব্যাকরণে দুটি স্বতন্ত্র ধারণা, যাদের মূল পার্থক্য তাদের প্রকৃতি এবং ইন্দ্রিয়গ্রাহ্যতার মধ্যে নিহিত। ধ্বনি শ্রুতিগ্রাহ্য, আর বর্ণ দৃষ্টিগ্রাহ্য। নিচে এই পার্থক্য স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা হলো।
ধ্বনি:
-
এটি মুখ থেকে উচ্চারিত শব্দ বা কথনের একক।
-
কান দিয়ে শোনা যায়, অর্থাৎ এটি শ্রুতিগ্রাহ্য।
-
ভাষার মৌখিক রূপের অংশ এবং উচ্চারণের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
-
উদাহরণ: ‘ক’ বা ‘আ’ ধ্বনি উচ্চারণের সময় শ্রুতিগোচর হয়।
-
ভাষাভেদে ধ্বনির সংখ্যা ও প্রকৃতি ভিন্ন হতে পারে।
বর্ণ:
-
এটি ধ্বনির লিখিত প্রতীক বা চিহ্ন।
-
চোখ দিয়ে দেখা যায়, অর্থাৎ এটি দৃষ্টিগ্রাহ্য।
-
বাংলা বর্ণমালায় স্বরবর্ণ (অ, আ, ই) ও ব্যঞ্জনবর্ণ (ক, খ, গ) উভয়ই রয়েছে, যা ধ্বনিকে লিখিত রূপে প্রকাশ করে।
-
উদাহরণ: আমরা যখন ‘ক’ উচ্চারণ করি, তখন তা ধ্বনি; কিন্তু লিখলে ‘ক’ তখন তা বর্ণ।
এই বিশ্লেষণ থেকে বোঝা যায়, ধ্বনি ও বর্ণের পার্থক্যের মূল ভিত্তি হলো ইন্দ্রিয়গ্রাহ্যতা, অর্থাৎ একটির উৎস শ্রবণেন্দ্রিয় আর অন্যটির দৃষ্টিেন্দ্রিয়।
0
Updated: 2 weeks ago
কোনগুলো দন্ত্য ধ্বনি?
Created: 2 months ago
A
ক খ গ ঘ
B
প ফ ব ভ
C
ত থ দ ধ
D
ট ঠ ড ঢ
0
Updated: 2 months ago
এক প্রয়াসে উচ্চারিত ধ্বনি সমষ্টিকে কী বলে?
Created: 3 weeks ago
A
বর্ণ
B
অক্ষর
C
শব্দ
D
লিপি
অক্ষর হলো বাগযন্ত্রের ক্ষুদ্রতম প্রয়াসে উচ্চারিত ধ্বনি বা শব্দাংশ। ইংরেজিতে এটিকে syllable বলা হয়।
-
প্রকারভেদ:
-
মুক্তাক্ষর: টানা যায় না, যেমন ক/লা।
-
বদ্ধাক্ষর: টানা যায়, যেমন দিন, রাত।
-
-
উদাহরণ: 'বাংলাদেশ' শব্দে ৩টি অক্ষর রয়েছে: বাং + লা + দেশ।
-
অক্ষর নির্ধারণের নিয়ম: শব্দে যতগুলো কার আছে এবং এক সঙ্গে উচ্চারিত শব্দাবলীর সংখ্যা মিলে অক্ষর সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়।
0
Updated: 3 weeks ago