প্রভাবক রাসায়নিক বিক্রিয়ার পরিবর্তন করে -
A
সক্রিয়ন
শক্তি
B
উৎপাদের
স্থিতিশক্তি
C
বিক্রিয়কের
স্থিতিশক্তি
D
বিক্রিয়া
তাপ
উত্তরের বিবরণ
প্রভাবক (Catalyst) হলো এমন একটি পদার্থ, যা কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়ার হার পরিবর্তন করে, তবে নিজে বিক্রিয়ায় স্থায়ীভাবে অংশগ্রহণ করে না বা শেষ পর্যন্ত অপরিবর্তিত থাকে।
-
বিক্রিয়ার গতি নির্ধারণের মূল উপাদান হলো সক্রিয়ন শক্তি (Activation Energy), অর্থাৎ বিক্রিয়া শুরু করার জন্য যে ন্যূনতম শক্তি প্রয়োজন।
-
প্রভাবক বিক্রিয়ার জন্য একটি নতুন বিকল্প পথ (alternative pathway) প্রদান করে, যেখানে সক্রিয়ন শক্তি তুলনামূলকভাবে কম থাকে।
-
এর ফলে, বিক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন হয়, কারণ কম শক্তির প্রয়োজনীয়তা থাকে।
সুতরাং, প্রভাবক একটি কম শক্তির বিকল্প পথ তৈরি করে, যার ফলে বিক্রিয়া দ্রুত হয়।
0
Updated: 4 days ago
কোন মৌলটির তড়িৎ ঋণাত্মকতা সবচেয়ে বেশি?
Created: 5 days ago
A
ফ্লোরিন
B
ক্লোরিন
C
অক্সিজেন
D
নাইট্রোজেন
তড়িৎ ঋণাত্মকতা (Electronegativity) হলো একটি পরমাণুর সেই প্রবণতা, যার মাধ্যমে এটি অন্য পরমাণুর সাথে যৌগ গঠনের সময় বন্ধন ইলেকট্রনকে নিজের দিকে আকর্ষণ করে। এই মান যত বেশি, পরমাণুর ইলেকট্রন আকর্ষণ ক্ষমতা তত বেশি।
-
পর্যায় সারণিতে বাম থেকে ডানে গেলে তড়িৎ ঋণাত্মকতা বৃদ্ধি পায়, কারণ নিউক্লিয়ার চার্জ বাড়ে কিন্তু পরমাণুর আকার ছোটে।
-
উপর থেকে নিচে গেলে এটি হ্রাস পায়, কারণ পরমাণুর আকার বৃদ্ধি পায় এবং নিউক্লিয়াসের আকর্ষণ কমে।
-
ফ্লোরিন (F) হলো দ্বিতীয় পর্যায়ের হ্যালোজেন গ্রুপের সর্বোচ্চস্থানে অবস্থিত এবং এর পারমাণবিক আকার সবচেয়ে ছোট।
-
ফলে এর নিউক্লিয়াস ও বন্ধন ইলেকট্রনের মধ্যে আকর্ষণ সর্বাধিক, যা একে সব মৌলের মধ্যে সর্বাধিক তড়িৎ ঋণাত্মক করে তোলে।
তড়িৎ ঋণাত্মকতার মান (Pauling scale): ফ্লোরিন = 4.0, যা পৃথিবীর সব মৌলের মধ্যে সর্বোচ্চ।
0
Updated: 5 days ago
বাফার
দ্রবণের কাজ কি?
Created: 5 days ago
A
pH নিয়ন্ত্রণ
করা
B
ঘণত্ব
নিয়ন্ত্রণ করা
C
বিক্রিয়ার
সমতা রক্ষা করা
D
কোনটিই
নয়
বাফার দ্রবণ (Buffer Solution) হলো এমন একটি দ্রবণ, যা অল্প পরিমাণে অ্যাসিড বা ক্ষার যোগ করা হলেও pH তেমন কোনো পরিবর্তন হতে দেয় না। এটি একটি বিশেষ ধরনের দ্রবণ যা pH নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, বিশেষত যখন pH পরিবর্তন হওয়া সম্ভব হতে পারে।
-
এটি সাধারণত একটি দুর্বল অ্যাসিড এবং তার লবণ (যেমন অ্যাসিটিক অ্যাসিড + সোডিয়াম অ্যাসিটেট) অথবা একটি দুর্বল ক্ষার এবং তার লবণ (যেমন অ্যামোনিয়া + অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড) দ্বারা গঠিত হয়।
বাফার দ্রবণের কাজ:
-
দ্রবণে pH স্থির রাখা।
-
অল্প অ্যাসিড বা ক্ষার যুক্ত হলেও pH পরিবর্তন প্রতিরোধ করা।
-
জৈবিক প্রক্রিয়া, রক্তের pH নিয়ন্ত্রণ, এবং রাসায়নিক পরীক্ষায় স্থির পরিবেশ বজায় রাখতে সাহায্য করা।
তাহলে, বাফার দ্রবণের মূল কাজ হলো pH নিয়ন্ত্রণ করা।
0
Updated: 5 days ago
কোনটি দুর্বল নিউক্লিওফাইল?
Created: 5 days ago
A
I⁻
B
HS⁻
C
H₂O
D
.I⁻
নিউক্লিওফাইল (Nucleophile) হলো এমন এক রাসায়নিক প্রজাতি, যার কাছে এক বা একাধিক অব্যবহৃত ইলেকট্রন জোড়া থাকে এবং যা কোনো ইলেকট্রন-ঘাটতিযুক্ত বা ধনাত্মক কেন্দ্রকে আক্রমণ করে নতুন বন্ধন গঠন করে। এর সক্রিয়তা বিভিন্ন ভৌত ও রাসায়নিক উপাদানের উপর নির্ভর করে।
-
আধান (Charge): অধিক ঋণাত্মক আধানযুক্ত প্রজাতি সাধারণত শক্তিশালী নিউক্লিওফাইল।
-
আকার (Size): ছোট আয়ন সাধারণত দ্রুত বিক্রিয়াশীল হয়, তবে প্রোটিক দ্রাবকে বড় আয়ন সহজে বিক্রিয়া করে কারণ সলভেশন কম হয়।
-
দ্রাবক প্রভাব (Solvent effect): প্রোটিক দ্রাবকে ছোট আয়নগুলো সলভেশনজনিত কারণে দুর্বল হয়ে পড়ে।
প্রদত্ত উদাহরণগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়—
-
I⁻: বৃহৎ আয়ন, সহজে পোলারাইজেবল, তাই শক্তিশালী নিউক্লিওফাইল।
-
HS⁻: উচ্চ ইলেকট্রন ঘনত্ব ও আয়নিক প্রকৃতির কারণে শক্তিশালী নিউক্লিওফাইল।
-
H₂O: নিরপেক্ষ অণু, এর ইলেকট্রন দানের প্রবণতা খুব কম, তাই দুর্বল নিউক্লিওফাইল।
সুতরাং, প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে দুর্বল নিউক্লিওফাইল হলো H₂O, কারণ এটি নিরপেক্ষ এবং ইলেকট্রন ঘনত্ব তুলনামূলকভাবে কম।
0
Updated: 5 days ago