সাওম' শব্দের অর্থ কী?
A
ধর্মীয় পবিত্রতা
B
বিরত থাকা
C
অনুগ্রহ করা
D
উদারতা প্রদর্শন
উত্তরের বিবরণ
সাওম' (Sawm) একটি আরবি শব্দ, যা ইসলামের ধারায় বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয়। এর মূল অর্থ হচ্ছে কোনো কিছু থেকে বিরত থাকা, বিশেষত খাবার, পানীয় এবং অন্যান্য শারীরিক চাহিদা থেকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিরত থাকার প্রক্রিয়া। ইসলামে সাওম' শব্দটি রোজা পালনের সাথে সম্পর্কিত, যা রমজান মাসে পালন করা হয়।
এখানে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো:
-
ইসলামে সাওম: সাওম হল একটি ধর্মীয় উপবাস বা রোজা, যা মুসলিমদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত (ধর্মীয় কাজ)।
-
রোজা পালনের উদ্দেশ্য: সাওম পালন করার উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর প্রতি আত্মসমর্পণ, আত্মশুদ্ধি, এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা।
-
রমজান মাস: সাওম মূলত রমজান মাসে পালন করা হয়, যেখানে মুসলিমরা সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত খাওয়া, পান করা, মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করে।
-
রোজার বিধি: রোজা শুরু হয় ফজর নামাজের পূর্বে, এবং সূর্যাস্তের সময় ইফতার দিয়ে তা শেষ হয়।
-
বিরতির মূল লক্ষ্য: সাওম পালনকারী মুসলিমরা ক্ষুধা ও তৃষ্ণার অনুভূতির মাধ্যমে সমাজে দরিদ্রদের প্রতি সহানুভূতির অনুভূতি বাড়ানোর চেষ্টা করে।
এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের একটি অংশ এবং মুসলিমদের জন্য একটি আত্মিক ও শারীরিক চ্যালেঞ্জ।
0
Updated: 5 days ago
দাসদের প্রতি ইসলামের মূল দৃষ্টিভঙ্গি-
Created: 2 weeks ago
A
সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ
B
তাদের দ্বারা অর্থ উপার্জন
C
সামাজিক কাজে লাগানো
D
মানবিক মর্যাদা প্রদান ও ন্যায্য আচরণ
ইসলাম দাসপ্রথা বিলোপে যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করেছে। ইসলামের আগমনের পূর্বে সমাজে দাসত্ব ছিল প্রচলিত ও নির্মম একটি প্রথা, কিন্তু ইসলাম ধীরে ধীরে সেই ব্যবস্থা সংস্কার করে মানবিক ও ন্যায্যতার পথে পরিচালিত করেছে।
পয়েন্ট আকারে—
-
ইসলামের আবির্ভাবকালে দাসত্বের নানা উৎস ও পথ বিদ্যমান ছিল, ইসলাম সেগুলো বন্ধ করে দিয়েছে।
-
একই সঙ্গে ইসলাম দাসদের মুক্ত করার বহু সুযোগ ও উৎসাহের ব্যবস্থা করেছে।
-
কেবল যুদ্ধে বন্দী হওয়া কাফির, মুশরিক ও তাদের নারী-শিশুদের দাসত্বের আওতায় আনা হতো।
-
যুদ্ধবন্দীরা যদি ইসলাম গ্রহণ করত, তবে তারা মুক্তি পেত এবং সমাজে স্বাধীন নাগরিক হিসেবে অবস্থান করত।
-
ইসলাম দাসদের সাথে উত্তম আচরণ, সমান খাদ্য ও বস্ত্র প্রদান এবং নিপীড়ন নিষিদ্ধ করেছে।
-
দাস মুক্ত করা ইসলামি শরিয়তে পাপ মোচনের অন্যতম সওয়াবপূর্ণ কাজ হিসেবে ঘোষিত হয়েছে।
-
এই ন্যায় ও মানবিক আচরণের নীতি অন্য কোনো ধর্মে এত বিস্তৃত ও বাস্তব রূপে বিদ্যমান ছিল না।
0
Updated: 2 weeks ago
মহানবী (সঃ) এর কোন্ উদ্যান খলিফা দ্বিতীয় উমর তাঁর পরিবারকে ফেরত দেন?
Created: 1 week ago
A
ফিদাক
B
রাজেহী
C
মাবরুম
D
বাইরুহা
খলিফা দ্বিতীয় উমর ইবনে আবদুল আজিজ ইসলামী ইতিহাসে ন্যায়নিষ্ঠ, উদার ও সংস্কারক শাসক হিসেবে বিশেষভাবে স্মরণীয়। তাঁর শাসনামলে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় ক্ষেত্রে বহু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন সাধিত হয়, যা ইসলামী ঐক্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় সহায়ক ভূমিকা রাখে।
-
তিনি হাশেমীয় বংশের প্রতি উদার মনোভাব প্রদর্শন করেন এবং শুক্রবারের খুৎবায় হযরত আলী (রা.)-এর নামে লানত ও অভিসম্পাত পঠনের প্রচলন বন্ধ করে দেন।
-
এছাড়া তিনি মারওয়ান কর্তৃক দখলকৃত ফিদাক নামক খেজুরবাগান—যা একসময় রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর পরিবারের সম্পত্তি ছিল—তা মুহাম্মদ (সা.)-এর পরিবারের সদস্যদের নিকট পুনরায় হস্তান্তর করেন।
-
তাঁর এসব পদক্ষেপ ইসলামের ইতিহাসে ন্যায়, উদারতা ও পারিবারিক সম্মান পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
0
Updated: 1 week ago
স্বামী ও স্ত্রী সম্পর্কে কুরআনে কিসের সাথে তুলনা করা হয়েছে?
Created: 2 weeks ago
A
মনের সাথে
B
দেহের সাথে
C
পোশাকের সাথে
D
ফুলের বাগানের সাথে
এই আয়াতে স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক সম্পর্কের গভীরতা ও পরিপূর্ণতা অত্যন্ত সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এখানে তাদের সম্পর্ককে ‘লিবাস’ (পোশাক) এর সঙ্গে তুলনা করে একে অপরের পরিপূরক ও রক্ষাকবচ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
-
সূরা আল-বাকারা (২:১৮৭)-এ আল্লাহ বলেন, “তোমরা পরস্পরের জন্য পোশাক।”
-
পোশাক যেমন মানবদেহকে আচ্ছাদিত, রক্ষিত ও শোভিত করে, তেমনি স্বামী ও স্ত্রীও একে অপরের সম্মান, মর্যাদা ও গোপনীয়তা রক্ষা করেন।
-
এটি বোঝায় যে, দাম্পত্য সম্পর্কের মধ্যে ভালোবাসা, পারস্পরিক শ্রদ্ধা, মানসিক প্রশান্তি ও নিরাপত্তা বিদ্যমান থাকা উচিত।
-
স্বামী-স্ত্রী উভয়েই একে অপরের দোষ-ত্রুটি আড়াল করে, যেমন পোশাক দেহের ত্রুটি ঢেকে রাখে।
-
এই উপমা ইসলামী দৃষ্টিতে বিবাহকে শুধু সামাজিক বন্ধন নয় বরং আত্মিক ও নৈতিক পরিপূর্ণতার সম্পর্ক হিসেবে উপস্থাপন করে।
0
Updated: 2 weeks ago