মানুষের রক্তের গ্রুপ কয়টি?
A
৪টি
B
৫টি
C
২টি
D
৩টি
উত্তরের বিবরণ
0
Updated: 5 days ago
কোন রক্তকোষ জীবাণু ধ্বংস করে দেহের প্রকৃতিগত আত্মরক্ষায় অংশ নেয়?
Created: 1 month ago
A
অণুচক্রিকা
B
প্লাজমা
C
শ্বেত রক্তকোষ
D
লোহিত রক্তকোষ
রক্ত:
রক্ত হলো এক ধরনের ক্ষারীয়, ঈষৎ লবণাক্ত এবং লালবর্ণের তরল যোজক টিস্যু।
এটি ধমনি, শিরা ও কৈশিকনালির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে দেহের অভ্যন্তরীণ পরিবহনে অংশ নেয়।
উষ্ণ রক্তবাহী প্রাণীর দেহে রক্ত তাপমাত্রার ভারসাম্য রক্ষা করে।
রক্তের প্রধান উপাদান দুটি:
১. রক্তরস (Plasma) – ৫৫%
২. রক্তকোষ (Blood cells) – ৪৫%
রক্তরস (Plasma):
রক্তের তরল অংশ, রঙ ঈষৎ হলুদাভ।
প্রায় ৯১–৯২% পানি এবং ৪–৯% জৈব ও অজৈব পদার্থ থাকে।
এর ভিতরে বিভিন্ন ধরনের প্রোটিন ও বর্জ্য পদার্থ থাকে।
রক্তকোষ (Blood cells):
রক্তকোষ তিন ধরনের:
১. লোহিত রক্তকোষ (Erythrocyte বা RBC)
হিমোগ্লোবিন নামক লৌহজাত যৌগ থাকে, যার কারণে রক্ত লাল হয়।
হিমোগ্লোবিন অক্সিজেনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে অক্সিহিমোগ্লোবিন গঠন করে এবং দেহের বিভিন্ন স্থানে অক্সিজেন পরিবহন করে।
২. শ্বেত রক্তকোষ (Leukocyte বা WBC)
জীবাণু ধ্বংস করে দেহের প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করে।
মানবদেহে বিভিন্ন ধরনের শ্বেত রক্তকোষ থাকে।
৩. অণুচক্রিকা (Thrombocytes বা Blood platelet)
রক্ত জমাট বাঁধায় অংশ নেয়।
উৎস: জীববিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি
0
Updated: 1 month ago
রক্তে হিমোগ্লোবিনের কাজ-
Created: 4 days ago
A
কার্বন পরিবহন
B
অক্সিজেন পরিবহন
C
কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ
D
পুষ্টি বর্ধন
রক্তে হিমোগ্লোবিন হলো এক ধরনের প্রোটিন যা লোহিত রক্তকণিকার (RBC) ভেতরে থাকে এবং এটি শরীরের কোষে অক্সিজেন পরিবহনের মূল কাজটি সম্পন্ন করে। এটি শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গে অক্সিজেন পৌঁছে দিয়ে শক্তি উৎপাদনে সহায়তা করে এবং একই সঙ্গে কোষের বর্জ্য গ্যাস কার্বন-ডাই-অক্সাইড ফুসফুসে ফিরিয়ে নিয়ে আসে নিঃশ্বাসের মাধ্যমে বের করে দেওয়ার জন্য।
-
হিমোগ্লোবিন মূলত লোহা (Iron) যুক্ত একটি জটিল প্রোটিন যা চারটি উপইউনিট নিয়ে গঠিত, প্রতিটি উপইউনিটে থাকে একটি করে হিম গ্রুপ, যা অক্সিজেনের সঙ্গে যুক্ত হতে সক্ষম।
-
এটি ফুসফুসে অক্সিজেনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে অক্সিহিমোগ্লোবিন তৈরি করে এবং শরীরের বিভিন্ন কোষে পৌঁছে সেই অক্সিজেন মুক্ত করে দেয়।
-
হিমোগ্লোবিনের উপস্থিতির কারণে রক্তের রং লাল হয়; অক্সিজেনযুক্ত রক্ত উজ্জ্বল লাল এবং অক্সিজেনবিহীন রক্ত অপেক্ষাকৃত গাঢ় রঙের হয়।
-
শরীরের কোষে অক্সিজেন সরবরাহ না হলে শক্তি উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়, ফলে ক্লান্তি, শ্বাসকষ্ট, মাথা ঘোরা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। তাই পর্যাপ্ত হিমোগ্লোবিন থাকা অত্যন্ত জরুরি।
-
হিমোগ্লোবিন শরীরের অ্যাসিড–বেস ভারসাম্য রক্ষায়ও ভূমিকা রাখে, যা কোষের স্বাভাবিক কাজকর্মের জন্য অপরিহার্য।
-
স্বাভাবিক অবস্থায় পুরুষের রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ প্রায় ১৩–১৭ গ্রাম প্রতি ডেসিলিটার, আর নারীদের ক্ষেত্রে এটি ১২–১৫ গ্রাম প্রতি ডেসিলিটার থাকে।
-
হিমোগ্লোবিনের অভাব হলে অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতা দেখা দেয়, যার ফলে শরীরে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পৌঁছায় না। এর ফলে দুর্বলতা, অবসাদ ও মনোযোগের ঘাটতি দেখা দেয়।
-
সঠিক খাদ্যাভ্যাস হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। যেমন—লাল মাংস, ডিম, মাছ, কলিজা, শাকসবজি, ডাল, বিট, আপেল, খেজুর ও পালং শাক নিয়মিত খেলে হিমোগ্লোবিন বাড়ে।
-
গর্ভবতী নারী, শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের শরীরে হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি বেশি দেখা যায়, তাই এই সময়ে আয়রন সাপ্লিমেন্ট ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন।
-
হিমোগ্লোবিন শরীরের প্রতিটি কোষে জীবনধারার শক্তি সরবরাহ করে, তাই এটি রক্তের “জীবনবাহক অণু” হিসেবেও পরিচিত।
সব মিলিয়ে বলা যায়, রক্তে হিমোগ্লোবিনের মূল কাজ হলো অক্সিজেন পরিবহন, যা শরীরের শক্তি উৎপাদন ও জীবনীশক্তি বজায় রাখার জন্য অপরিহার্য। সুতরাং, সঠিক উত্তর — খ) অক্সিজেন পরিবহন।
0
Updated: 4 days ago
রক্তে তরল অংশের নাম-
Created: 4 days ago
A
কোলেস্টেরল
B
প্রোটিন
C
লোহিত কনিকা
D
প্লাজমা
রক্তের তরল অংশকে বলা হয় প্লাজমা (Plasma)। এটি হালকা হলুদ বর্ণের একপ্রকার তরল পদার্থ যা রক্তের মোট আয়তনের প্রায় ৫৫% অংশ দখল করে। প্লাজমা রক্তের বিভিন্ন উপাদান—যেমন লোহিত কণিকা, শ্বেত কণিকা ও প্লেটলেট—কে ভাসমান অবস্থায় রাখে এবং সেগুলোকে শরীরের এক অংশ থেকে অন্য অংশে পৌঁছে দেয়।
প্লাজমা-এর গঠন ও কার্যাবলি মানবদেহের শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
– প্লাজমার প্রায় ৯০-৯২% পানি, যা শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ও কোষে পুষ্টি পরিবহনে সহায়তা করে।
– এতে প্রোটিন থাকে প্রায় ৭-৮%, যার মধ্যে প্রধান হলো অ্যালবুমিন, গ্লোবিউলিন এবং ফাইব্রিনোজেন।
– অ্যালবুমিন রক্তচাপ ও তরল ভারসাম্য বজায় রাখে, গ্লোবিউলিন প্রতিরক্ষা কাজ করে এবং ফাইব্রিনোজেন রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।
– বাকি অংশে থাকে গ্লুকোজ, হরমোন, ইউরিয়া, কার্বন ডাই-অক্সাইড, লবণ ও বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান।
– প্লাজমা শরীরের কোষে প্রয়োজনীয় খাদ্য, অক্সিজেন ও হরমোন পৌঁছে দেয় এবং বিপাকীয় বর্জ্য পদার্থ কিডনি ও ফুসফুসে বহন করে বের করে দেয়।
– এটি রক্তের pH নিয়ন্ত্রণ, রোগ প্রতিরোধ, এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
– প্লাজমা রক্তে বিভিন্ন রাসায়নিক ও প্রতিরোধক উপাদান দ্রবীভূত করে রাখে, যা সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
– চিকিৎসাবিজ্ঞানে প্লাজমা আলাদা করে প্লাজমা থেরাপি বা রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়ায় ব্যবহার করা হয়, বিশেষত গুরুতর অসুস্থ বা রক্তহীন রোগীদের ক্ষেত্রে।
অন্যদিকে, লোহিত কণিকা (RBC) অক্সিজেন বহন করে, শ্বেত কণিকা (WBC) রোগ প্রতিরোধে কাজ করে এবং প্লেটলেট রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে—কিন্তু এরা কেউই রক্তের তরল অংশ নয়।
সুতরাং, রক্তের তরল অংশের নাম হলো প্লাজমা (Plasma), যা রক্তের প্রধান পরিবহন মাধ্যম হিসেবে কাজ করে এবং মানবদেহের জীবনধারার জন্য অপরিহার্য।
0
Updated: 4 days ago