একজন স্বাভাবিক সুস্থ মহিলার গর্ভকালীন সময়ে গড়ে কত কেজি ওজন বাড়তে পারে?
A
২০ কেজি
B
১৫ কেজি
C
১২ কেজি
D
৫ কেজি
উত্তরের বিবরণ
0
Updated: 5 days ago
নেগেটিভ রক্তের মাকে প্রথম শিশু জন্ম দেবার পর কোন ইনজেকশন দেয়া হয়?
Created: 4 days ago
A
Tetanus
B
MMR
C
Anti D immunoglobulin
D
Oxytocin
সঠিক উত্তর হলো গ) Anti D immunoglobulin।
নেগেটিভ রক্তের মায়ের ক্ষেত্রে যদি প্রথম শিশু জন্ম নেয় এবং শিশুর রক্তগোষ্ঠী পজিটিভ হয়, তাহলে মায়ের Anti D immunoglobulin ইনজেকশন দেওয়ার প্রয়োজন হয়। এটি গর্ভাবস্থার শেষের দিকে এবং পরবর্তী গর্ভধারণের ক্ষেত্রে গর্ভপাত বা মৃত সন্তান জন্মগ্রহণের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক।
এই ইনজেকশনের গুরুত্ব:
-
Anti D immunoglobulin ইনজেকশন একটি প্লাজমা থেকে তৈরি অ্যান্টিবডি যা রক্তের গ্রুপ নেগেটিভ মায়ের শরীরে Rh+ (পজিটিভ) শিশু জন্ম নেওয়ার পর দেওয়া হয়।
-
এই ইনজেকশনটি মা এবং শিশুর রক্তের মধ্যে Rh incompatibility থেকে উদ্ভূত সমস্যা, যেমন hemolytic disease of the newborn (HDN), প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।
-
প্রথম শিশুর জন্মের পর যদি ইনজেকশন না দেওয়া হয়, তাহলে পরবর্তী গর্ভধারণে, মা যদি আবার Rh+ শিশু জন্ম দেন, তখন তার শরীর অ্যান্টিবডি তৈরি করে এবং এটি শিশুর রক্তকণিকা ধ্বংস করতে পারে, যা শিশুর জীবনসংকট তৈরি করতে পারে।
-
এই ইনজেকশন সাধারণত ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেওয়া উচিত, যাতে এটি মা এবং শিশুর মধ্যে রক্তের প্রতিক্রিয়া প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়।
অন্য বিকল্পগুলো:
-
ক) Tetanus: Tetanus toxoid ইনজেকশন সাধারণত গর্ভবতী মায়েদের জন্য দেওয়া হয়, তবে এটি Anti D immunoglobulin এর মতো Rh incompatibility সমস্যার প্রতিকার করে না।
-
খ) MMR: এটি মিজেলস, মাম্পস ও রুবেলা প্রতিরোধে ব্যবহৃত হয় এবং গর্ভাবস্থায় সাধারণত এটি দেওয়া হয় না।
-
ঘ) Oxytocin: এটি প্রসবের সময় শ্রম বা শিশুর জন্ম প্রক্রিয়াকে দ্রুত করার জন্য ব্যবহৃত হয়, তবে এটি Anti D immunoglobulin এর পরিবর্তে ব্যবহার হয় না।
অতএব, Anti D immunoglobulin ইনজেকশনই নেগেটিভ রক্তের মাকে প্রথম শিশু জন্ম দেওয়ার পর দেওয়া হয়।
0
Updated: 4 days ago
গর্ভকালীন প্রসূতি সেবা কমপক্ষে কতবার নেয়া উচিত?
Created: 4 days ago
A
৬ বার
B
৮ বার
C
৪ বার
D
৯ বার
গর্ভকালীন প্রসূতিসেবা বা অ্যান্টেনাটাল কেয়ার (ANC) হলো গর্ভবতী মায়ের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, যা মা ও শিশুর সুস্থতা নিশ্চিত করতে অপরিহার্য। এই সেবার মাধ্যমে গর্ভাবস্থার বিভিন্ন ঝুঁকি আগেভাগেই শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ও জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি অনুযায়ী, গর্ভবতী মাকে কমপক্ষে চারবার এই সেবা নিতে হয়।
-
গর্ভকালীন প্রসূতিসেবার মূল লক্ষ্য হলো মায়ের ও ভ্রূণের শারীরিক পরিবর্তনগুলো নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা, যাতে জটিলতা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা দেওয়া যায়।
-
প্রথম সেবা নেওয়া উচিত গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসের (১২ সপ্তাহের) মধ্যেই, যাতে মায়ের স্বাস্থ্যের প্রাথমিক মূল্যায়ন ও প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করা যায়।
-
দ্বিতীয় সেবা দেওয়া হয় ২৪–২৮ সপ্তাহের মধ্যে, যখন শিশুর বৃদ্ধি দ্রুত হতে থাকে এবং মায়ের শরীরে অতিরিক্ত রক্ত ও পুষ্টির চাহিদা বাড়ে।
-
তৃতীয় সেবা নেওয়া উচিত ৩০–৩৪ সপ্তাহের মধ্যে, এ সময় উচ্চ রক্তচাপ, রক্তশূন্যতা বা গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে, যা আগেভাগে শনাক্ত করা প্রয়োজন।
-
চতুর্থ সেবা দেওয়া হয় ৩৬ সপ্তাহের পর, অর্থাৎ শিশুর জন্মের আগে শেষ পর্যায়ে। এতে প্রসবের প্রস্তুতি, সম্ভাব্য তারিখ, ও ডেলিভারির পরিকল্পনা নিয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়।
-
প্রতিবার সেবার সময় মায়ের ওজন, রক্তচাপ, রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ, প্রস্রাবে প্রোটিন, এবং শিশুর অবস্থান ও হার্টবিট পরীক্ষা করা হয়।
-
এই সেবা নেওয়ার ফলে গর্ভকালীন জটিলতা যেমন প্রি-এক্ল্যাম্পসিয়া, অ্যানিমিয়া, বা অকাল প্রসবের ঝুঁকি কমে যায়।
-
অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসক অতিরিক্ত পরিদর্শনের পরামর্শ দিতে পারেন যদি মায়ের পূর্বে জটিল প্রসব, রক্তচাপজনিত সমস্যা বা গর্ভকালীন ডায়াবেটিস থাকে।
-
নিয়মিত ANC সেবা গ্রহণ করলে মা সঠিক সময়ে আয়রন, ফলিক এসিড, টিটেনাস টিকা, ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট ইত্যাদি পান, যা শিশুর স্বাভাবিক বিকাশে সাহায্য করে।
-
গর্ভবতী মাকে এই সময় মানসিকভাবে শান্ত রাখা ও পর্যাপ্ত বিশ্রাম দিতে হয়, কারণ মানসিক চাপ ভ্রূণের বিকাশে প্রভাব ফেলে।
সব মিলিয়ে বলা যায়, গর্ভকালীন প্রসূতি সেবা কমপক্ষে চারবার নেওয়া জরুরি, যা মায়ের ও শিশুর নিরাপদ প্রসব এবং সুস্থ জীবন নিশ্চিত করে। নিয়মিত এই সেবা গ্রহণের মাধ্যমেই গর্ভাবস্থা থেকে প্রসব পর্যন্ত প্রতিটি ধাপ নিরাপদভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব।
0
Updated: 4 days ago
গর্ভকালীন প্রসূতিবস্থা (ANC) এর সময় কোন ল্যাবরেটরী পরীক্ষা জরুরি নয়?
Created: 4 days ago
A
হিমোগ্লোবিন
B
Urine R/M/E
C
VDRL
D
Cholesterol level
গর্ভকালীন প্রসূতিবস্থা (ANC) হলো গর্ভবতী মহিলার যত্ন নেওয়ার প্রক্রিয়া, যেখানে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে মা ও শিশুর সুস্থতা নিশ্চিত করা হয়। গর্ভাবস্থায় কিছু পরীক্ষার মাধ্যমে গর্ভধারণের সময়ে যে স্বাস্থ্যগত সমস্যা হতে পারে তা আগেই সনাক্ত করা যায়। তবে সব ধরনের পরীক্ষা গর্ভাবস্থার জন্য জরুরি নয়।
এখানে উল্লেখিত পরীক্ষাগুলোর মধ্যে Cholesterol level বা কোলেস্টেরলের স্তরের পরীক্ষা গর্ভকালীন সময়ে জরুরি নয়, তাই সঠিক উত্তর হলো ঘ) Cholesterol level।
এখন বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হলো—
-
হিমোগ্লোবিন (Hemoglobin) পরীক্ষা গর্ভবতী নারীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভাবস্থায় রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়া সাধারণ সমস্যা, যা মা ও শিশুর জন্য বিপদজনক হতে পারে। হিমোগ্লোবিনের স্তর পরীক্ষা করা হয় যাতে রক্তাল্পতা সনাক্ত করা যায় এবং দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা যায়।
-
Urine R/M/E (Urine Routine Microscopy and Examination) পরীক্ষা গর্ভাবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি মূত্রনালীর সংক্রমণ বা প্রোটিনুরিয়া (যা প্রি-এক্ল্যাম্পসিয়া বা অন্যান্য জটিলতা নির্দেশ করতে পারে) সনাক্ত করতে সাহায্য করে।
-
VDRL (Venereal Disease Research Laboratory) পরীক্ষা গর্ভাবস্থায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি সিফিলিস শনাক্ত করতে সাহায্য করে। সিফিলিস untreated থাকলে গর্ভপাত, গর্ভকালীন জটিলতা এবং নবজাতকের জন্য মারাত্মক হতে পারে।
-
Cholesterol level পরীক্ষার প্রয়োজন গর্ভকালীন সময়ে সাধারণত নেই, কারণ সাধারণত গর্ভাবস্থায় কোলেস্টেরলের স্তর স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা পরিবর্তন হলেও এটি কোনো গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি সৃষ্টি করে না। গর্ভাবস্থায় কোলেস্টেরলের মাত্রা উচ্চ হওয়া খুবই বিরল এবং সাধারণত এই ধরনের পরীক্ষার প্রয়োজন হয় না।
-
কেবলমাত্র উচ্চ ঝুঁকির গর্ভবতী মহিলাদের (যেমন, আগে থেকে হৃদরোগের ইতিহাস বা অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সমস্যা) কিছু বিশেষ পরীক্ষার দরকার হতে পারে, তবে সাধারণভাবে কোলেস্টেরলের স্তরের পরীক্ষা গর্ভকালীন সময়ে করার প্রয়োজন নেই।
সবশেষে, বলা যায়, Cholesterol level পরীক্ষা গর্ভাবস্থায় জরুরি নয়, এবং সাধারণভাবে অন্যান্য পরীক্ষাগুলোর মাধ্যমে গর্ভাবস্থার সঠিক যত্ন নেওয়া সম্ভব।
0
Updated: 4 days ago