পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি ধাতু কোনটি?
A
লোহা
B
সিলিকন
C
পারদ
D
তামা
উত্তরের বিবরণ
পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে পাওয়া যাওয়া ধাতুটি হলো অ্যালুমিনিয়াম।
ভূপৃষ্ঠে বিভিন্ন ধাতুর মধ্যে অ্যালুমিনিয়াম সবচেয়ে বেশি (প্রায় ৮.১%), এরপর রয়েছে লোহা (প্রায় ৫%) এবং ক্যালসিয়াম (প্রায় ৩.৬%)।
অ্যালুমিনিয়াম সাধারণত অন্যান্য মৌলিক পদার্থের সঙ্গে মিশে যৌগ তৈরি করে থাকে। এই যৌগগুলোকে অ্যালুমিনিয়ামের আকরিক বলা হয়। যেমন: বক্সাইট, ক্রায়োলাইট ও কোরানডাম।
তবে যদি কোনো প্রশ্নে অ্যালুমিনিয়াম অপশনে না থাকে, তাহলে পরবর্তী সর্বাধিক প্রচলিত ধাতু হিসেবে লোহা-কেই সঠিক উত্তর হিসেবে ধরা হবে।
তথ্যসূত্র: সাধারণ বিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 2 months ago
উদ্ভিদের পাতা হলদে হয়ে যায় কিসের অভাবে?
Created: 2 months ago
A
নাইট্রোজেনের
B
ফসফরাসের
C
ইউরিয়ার
D
পটাসিয়ামের
🔹 নাইট্রোজেনের অভাব
-
নাইট্রোজেন পাতায় সবুজ রঙ (ক্লোরোফিল) তৈরি করতে সাহায্য করে।
-
এর ঘাটতি হলে পাতার সবুজ রঙ ফিকে হতে শুরু করে এবং ধীরে ধীরে পাতাগুলো হলুদ হয়ে যায়।
-
এই হলুদ হওয়াকে বলা হয় ক্লোরোসিস।
🔹 ফসফরাসের অভাব
-
ফসফরাসের অভাবে পাতায় বেগুনি রঙ দেখা যায়।
-
পাতায় শুকিয়ে যাওয়া অংশ বা মৃত দাগ তৈরি হয়।
-
ফল, ফুল এমনকি পাতাও ঝরে পড়তে পারে।
-
গাছের বৃদ্ধি থেমে যেতে পারে।
🔹 পটাশিয়ামের অভাব
-
পটাশিয়ামের অভাবে পাতার মাথা ও ধারে হলুদ ছোপ দেখা দেয়।
-
পরে সেসব জায়গায় পোড়া দাগের মতো বাদামি রঙ হয় এবং পাতা কুঁকড়ে যায়।
-
গাছের বৃদ্ধি কমে যায় এবং ফুল বা ফলের কুঁড়ি শুকিয়ে যেতে পারে।
বুঝে রাখার মতো বিষয়:
-
নাইট্রোজেনের অভাবে সাধারণত পুরনো পাতা পুরোপুরি হলুদ হয়।
-
আর পটাশিয়ামের অভাবে পাতার ধারে পোড়া দাগের মতো চিহ্ন দেখা যায়, পুরো পাতা না।
উৎস: নবম-দশম শ্রেণির জীববিজ্ঞান বই।

0
Updated: 2 months ago
এনজাইম, অ্যান্টিবডি ক্যালসিয়াম এবং হরমোন-এর মৌলিক উপাদান -
Created: 4 weeks ago
A
প্রোটিন
B
ক্যালসিয়াম
C
ভিটামিন
D
লবণ
প্রোটিন জীবদেহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি জৈব রাসায়নিক পদার্থ, যা বিভিন্ন অ্যামাইনো অ্যাসিডের শৃঙ্খলন থেকে তৈরি হয়। প্রতিটি অ্যামাইনো অ্যাসিড প্রোটিনের মূল গাঠনিক একক হিসেবে কাজ করে এবং প্রোটিনের বৈচিত্র্য ও কার্যকারিতা নির্ধারণ করে।
জীবদেহের কোষের অভ্যন্তরে সারাক্ষণ শত শত প্রকার প্রোটিন তৈরি হয়, যা বিভিন্ন জৈব প্রক্রিয়ার নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। প্রোটিন অণু বহু সংখ্যক অ্যামাইনো অ্যাসিডের সমন্বয়ে গঠিত বৃহদাকার যৌগিক জৈব অণু।
প্রোটিনের উদাহরণ হিসেবে এনজাইম, অ্যান্টিবডি ও হরমোন উল্লেখযোগ্য। যদিও সব এনজাইম প্রোটিন, সব প্রোটিনকে এনজাইম হিসেবে ধরা যায় না।
-
প্রোটিন জীবদেহের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জৈব রাসায়নিক পদার্থ।
-
অ্যামাইনো অ্যাসিড হলো প্রোটিনের মূল গাঠনিক একক।
-
বিভিন্ন অ্যামাইনো অ্যাসিড বিভিন্নভাবে শৃঙ্খলিত হয়ে একটি প্রোটিন গঠন করে।
-
প্রোটিন অণু বহু সংখ্যক অ্যামাইনো অ্যাসিডের সমন্বয়ে গঠিত।
-
প্রোটিন শব্দটি সর্বপ্রথম প্রয়োগ করেন জি. মুলার (১৮৩৯ খ্রিস্টাব্দ)।
-
একটি কোষের অভ্যন্তরে সারাক্ষণ শত শত প্রকার প্রোটিন তৈরি হয়।
-
জীবদেহের প্রায় সর্বত্র প্রোটিন বিরাজমান।
-
প্রোটিন জৈব ক্রিয়া-বিক্রিয়ার নিয়ন্ত্রণে সহায়ক, যেমন এনজাইম, অ্যান্টিবডি ও হরমোন।
-
সব এনজাইম প্রোটিন হলেও, সব প্রোটিন এনজাইম নয়।

0
Updated: 4 weeks ago
কোনটি জৈব অম্ল?
Created: 2 months ago
A
নাইট্রিক এসিড
B
হাইড্রোক্লোরিক এসিড
C
এসিটিক এসিড
D
সালফিউরিক এসিড
দুর্বল এসিড
-
সাধারণভাবে বেশিরভাগ জৈব এসিড দুর্বল প্রকৃতির হয়।
-
এগুলো নানা রকম ফল, সবজি ও খাদ্যদ্রব্যে স্বাভাবিকভাবে পাওয়া যায়।
-
তাই এগুলো সাধারণত খাওয়ার উপযোগী ও নিরাপদ।
-
উদাহরণ: ইথানয়িক এসিড (ভিনেগারে), টারটারিক এসিড (আঙুরে), এসিটিক এসিড, সাইট্রিক এসিড (লেবুতে), এসকরবিক এসিড (ভিটামিন–সি), ম্যালিক এসিড (আপেলে) ইত্যাদি।
শক্তিশালী এসিড
-
সাধারণত বেশিরভাগ অজৈব এসিড শক্তিশালী হয়ে থাকে।
-
এগুলো মানুষের শরীরের জন্য ক্ষতিকর ও বিষাক্ত।
-
তাই এসব এসিড খাওয়া যায় না।
-
উদাহরণ: হাইড্রোক্লোরিক এসিড, সালফিউরিক এসিড, নাইট্রিক এসিড ইত্যাদি।
উৎস: রসায়ন প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 2 months ago