অ্যালুমিনিয়াম সালফেটকে চলতি বাংলায় কী বলে?
A
চুন
B
সেভিং সোপ
C
ফিটকিরি
D
কস্টিক সোডা
উত্তরের বিবরণ
ফিটকিরি (পটাশ অ্যালাম)
-
ফিটকিরি হচ্ছে এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ, যার বৈজ্ঞানিক নাম পটাশ অ্যালাম।
-
এর রাসায়নিক সংকেত হলো: K₂SO₄.Al₂(SO₄)₃.24H₂O।
-
এটি একটি দ্বি-লবণ, অর্থাৎ দুটি লবণের মিশ্রণ – পটাসিয়াম সালফেট এবং অ্যালুমিনিয়াম সালফেট।
-
ফিটকিরিকে সাধারণত আমরা পানি পরিশোধনের (পরিষ্কার করার) কাজে ব্যবহার করি।
-
এটি শক্ত অবস্থায় একধরনের নির্দিষ্ট আকৃতির স্ফটিক বা কেলাস আকারে থাকে।
-
প্রতিটি কেলাসে ২৪টি পানির অণু থাকে, যাকে বলে কেলাস পানি।
উৎস: নবম-দশম শ্রেণির রসায়ন বই এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এইচএসসি রসায়ন প্রোগ্রাম।

0
Updated: 2 months ago
একটি আদর্শ তড়িৎ উৎসের অভ্যন্তরীণ রােধ কত?
Created: 1 month ago
A
শূন্য
B
অসীম
C
অতিক্ষুদ্র
D
যে কোনাে মান
একটি আদর্শ কারেন্ট সোর্স সবসময় নির্দিষ্ট পরিমাণ কারেন্ট সরবরাহ করে, যা লোড বা ভোল্টেজ পরিবর্তনের কারণে প্রভাবিত হয় না। এ কারণে এর অভ্যন্তরীণ রোধকে অসীম ধরা হয়, যাতে ভোল্টেজ পরিবর্তন হলেও কারেন্ট স্থির থাকে।
-
অভ্যন্তরীণ রোধ অসীম হলে ভোল্টেজ পরিবর্তন হলেও কারেন্ট অপরিবর্তিত থাকে।
-
যদি রোধ শূন্য হতো, তবে ওহমের সূত্র V = IR অনুযায়ী সামান্য ভোল্টেজ পরিবর্তনেই অসীম বা অত্যধিক কারেন্ট প্রবাহিত হতো, যা বাস্তবে সম্ভব নয়।
-
একটি আদর্শ কারেন্ট সোর্স সব লোড অবস্থায় নির্দিষ্ট কারেন্ট সরবরাহ করতে সক্ষম হয় শুধুমাত্র এর অভ্যন্তরীণ রোধ অসীম হওয়ার কারণে।

0
Updated: 1 month ago
বিদ্যুৎ শক্তিকে শব্দ শক্তিতে রূপান্তরিত করা হয় কোন যন্ত্রের মাধ্যমে -
Created: 1 month ago
A
লাউড স্পিকার
B
অ্যামপ্লিফায়ার
C
জেনারেটর
D
মাল্টিমিটার
শক্তির রূপান্তর
-
লাউডস্পিকার ও বৈদ্যুতিক ঘণ্টা: বিদ্যুৎ শক্তিকে শব্দ শক্তিতে রূপান্তর করে।
-
মাইক্রোফোন: শব্দ শক্তিকে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তর করে।
-
জেনারেটর বা ডায়নামো: যান্ত্রিক শক্তিকে তড়িৎ শক্তিতে রূপান্তর করে।
-
বৈদ্যুতিক মোটর: তড়িৎ শক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তর করে।
-
মোবাইল ফোনের ব্যাটারি: চার্জ দেওয়ার মাধ্যমে বিদ্যুৎ শক্তিকে রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তরিত করে।
উৎস: সাধারণ বিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago
সংকর ধাতু পিতলের(Brass) উপাদান-
Created: 1 month ago
A
তামা ও টিন
B
তামা ও দস্তা
C
তামা ও সীসা
D
তামা ও নিকেল
সংকর ধাতু পিতলে ৬৫% তামা এবং ৩৫% দস্তা মিশ্রিত থাকে।
• সংকর ধাতু:
- বিভিন্ন ধাতু একত্রে মিশিয়ে সংকর ধাতু তৈরি করা হয়।
- এই সংকর ধাতু তৈরিতে সকল ধাতুকে সমান পরিমাণে মেশানো হয় না।
- সংকর ধাতুর মধ্যে একটি থাকে প্ৰধান ধাতু এবং অন্য এক বা একাধিক পদার্থ থাকে অপ্রধান ধাতু বা অধাতু।
যেমন - পিতলের মধ্যে প্রধান ধাতু কপার থাকে 65% এবং জিংক 35% থাকে।
- প্রধান ধাতুর নাম অনুসারে সংকর ধাতুর নামকরণ করা হয়।
যেমন-
• স্টিলের মধ্যে লোহা প্রধান ধাতু এবং কার্বন অপ্রধান অধাতু। স্টিলে লোহা থাকে 99% এবং কার্বন থাকে 1% এজন্য স্টিলকে লোহার সংকর ধাতু বলা হয়।
• কাঁসার মধ্যে প্রধান ধাতু কপার থাকে 90%, টিন থাকে 10%। এজন্য কাঁসা কপারের সংকর ধাতু।
• আবার, পিতলে প্রধান ধাতু কপার থাকে 65% এবং অপ্রধান ধাতু জিংক থাকে 35%। এজন্য পিতলও কপারের সংকর ধাতু।
- কপারের দুইটি সংকর ধাতু আছে। যথা: পিতল (ব্রাস) ও কাঁসা (ব্রোঞ্জ)।

উৎস: রসায়ন, নবম-দশম শ্রেণি।

0
Updated: 1 month ago