A
৬০০০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড
B
৮০০০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড
C
১০০০০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড
D
১২০০০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড
উত্তরের বিবরণ
সূর্য (Sun)
-
সূর্য হলো একটি নক্ষত্র।
-
এর গায়ের তাপমাত্রা প্রায় ৬০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
-
এটি আগুনের মতো জ্বলন্ত একটি গ্যাসের গোলা।
-
সূর্য মূলত হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম গ্যাস দিয়ে গঠিত।
-
এটি মাঝারি আকারের এবং হলুদ রঙের।
-
সূর্যের ব্যাস প্রায় ১৩,৮৪,০০০ কিলোমিটার।
-
এটি পৃথিবী থেকে প্রায় ১৫ কোটি কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
-
সূর্য থেকে যে তাপ বের হয়, তার খুবই অল্প অংশ পৃথিবীতে পৌঁছে—প্রায় ২০০ কোটিতে ১ ভাগ।
-
আলো প্রতি সেকেন্ডে ৩ লক্ষ কিলোমিটার পথ চলে।
-
তাই সূর্যের আলো পৃথিবীতে আসতে সময় লাগে প্রায় ৮ মিনিট ১৯ সেকেন্ড।
-
সূর্যের সবচেয়ে কাছের অন্য একটি নক্ষত্রের নাম হলো প্রক্সিমা সেন্টোরাই।

0
Updated: 1 month ago
মানবদেহে রোগ প্রতিরোধে প্রাথমিক প্রতিরক্ষাস্তরের (First line of defence) অন্তর্ভুক্ত নয় কোনটি?
Created: 2 days ago
A
লাইসোজাইম (LYSOZYME)
B
গ্যাসট্রিক জুস (GASTRIC JUICE)
C
সিলিয়া (CILIA)
D
লিম্ফোসাইট (LYMPHOCYTES)
ইম্যুনাইজেশন
ইম্যুনাইজেশন হলো মানুষের শরীরকে সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রক্রিয়া। অন্যভাবে বলতে গেলে, এটি শরীরের প্রতিরক্ষামূলক ক্ষমতা বাড়ানোর একটি প্রক্রিয়া।
মানবদেহে রোগজীবাণু বা পরজীবী আক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য সাধারণত তিনটি স্তরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাকে।
১. প্রথম স্তরের প্রতিরক্ষা (Primary Defense):
প্রথম স্তরের প্রতিরক্ষা মূলত রোগজীবাণুকে দেহের ভিতরে প্রবেশ করতে না দেওয়াই। এর মধ্যে রয়েছে:
-
ত্বক: বাহ্যিক বাধা হিসেবে কাজ করে।
-
সিলিয়া ও মিউকাস: শ্বাসনালিতে ধুলো ও জীবাণু আটকায়।
-
লাইসোজাইম এনজাইম: লালা ও চোখের জল জীবাণু ধ্বংস করে।
-
অম্ল (Acid) ও রক্ত জমাট: পেটের অম্ল এবং রক্তের জমাট জীবাণু ধ্বংস করতে সাহায্য করে।
২. দ্বিতীয় স্তরের প্রতিরক্ষা (Secondary Defense):
যদি রোগজীবাণু প্রথম স্তর অতিক্রম করতে পারে, তবে দ্বিতীয় স্তরের প্রতিরক্ষা সক্রিয় হয়। এতে অন্তর্ভুক্ত:
-
ফ্যাগোসাইটিক কোষ: শ্বেতরক্তকণিকা থেকে তৈরি ম্যাক্রোফেজ ও নিউট্রোফিল রোগজীবাণু খায়।
-
প্রদাহ সাড়া ও তাপমাত্রা বৃদ্ধি: সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রদাহ ও জ্বরের মাধ্যমে সহায়তা করে।
-
কমপ্লিমেন্ট, ইন্টারফেরন ও ন্যাচারাল কিলার সেল: রোগজীবাণুর ধ্বংসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
৩. তৃতীয় স্তরের প্রতিরক্ষা (Tertiary / Specific Immune Response):
তৃতীয় স্তরের প্রতিরক্ষা বিশেষভাবে নির্দিষ্ট জীবাণু বা অ্যান্টিজেনের বিরুদ্ধে কাজ করে। এটি ইমিউনিটি জনিত সাড়া (immune response) নামে পরিচিত। এর মধ্যে রয়েছে:
-
লিম্ফোসাইট: B ও T কোষ, যা বিশেষ জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে।
-
MHC অণু (Major Histocompatibility Complex): অ্যান্টিজেনকে শনাক্ত করে সঠিক সেলকে সক্রিয় করে।
-
ক্লোনাল সিলেকশন: নির্দিষ্ট জীবাণুর বিরুদ্ধে সেলগুলো প্রজনন করে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা গঠন করে।
উৎস: জীববিজ্ঞান-প্রথম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, ড. মোহাম্মদ আবুল হাসান।

0
Updated: 2 days ago
জোয়ারের কত সময় পর ভাঁটার সৃষ্টি হয়?
Created: 1 month ago
A
৬ ঘণ্টা ১৩ মি.
B
৮ ঘণ্টা
C
১২ ঘণ্টা
D
১৩ ঘণ্টা ১৫ মি.
জোয়ার-ভাঁটা
-
সমুদ্রের একই জায়গায় প্রতিদিন দুইবার পানি বাড়ে (জোয়ার) এবং দুইবার কমে (ভাঁটা)।
-
পানি যখন ফুলে উঠে উপরে ওঠে, তাকে জোয়ার বলা হয়। আর যখন নিচে নামে, তখন তাকে ভাঁটা বলে।
-
একটি জোয়ারের প্রায় ৬ ঘণ্টা ১৩ মিনিট পর ভাঁটা হয়।
-
আবার, পরপর দুটি জোয়ার বা দুটি ভাঁটার মাঝে সময়ের পার্থক্য হয় প্রায় ১২ ঘণ্টা ২৬ মিনিট।
-
চাঁদ ও সূর্যের আকর্ষণ শক্তি এবং পৃথিবীর ঘুর্ণনের (কেন্দ্রাতিক) প্রভাবে নির্দিষ্ট সময় পর পর সমুদ্রের পানি ফুলে ওঠে ও নেমে যায়।
-
উপকূলীয় এলাকায় সমুদ্রের পানি নদীর উজানের দিকে কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত ওঠানামা করে, অর্থাৎ জোয়ার-ভাঁটার প্রভাব পড়ে।
-
সমুদ্রের গভীর জায়গার তুলনায় উপকূলের কাছে যেখানে পানি কম গভীর, সেখানে জোয়ারের সময় পানির উচ্চতা বেশি দেখা যায়।
-
তবে যখন সমুদ্রের পানি নদীপথে দেশের ভেতরে প্রবেশ করে এবং আবার সরে যায়, তখন সেটাকে সাধারণভাবে জোয়ার-ভাঁটা বলা হয় না।
সমুদ্রের একই জায়গায় প্রতিদিন দুইবার পানি বাড়ে (জোয়ার) এবং দুইবার কমে (ভাঁটা)।
পানি যখন ফুলে উঠে উপরে ওঠে, তাকে জোয়ার বলা হয়। আর যখন নিচে নামে, তখন তাকে ভাঁটা বলে।
একটি জোয়ারের প্রায় ৬ ঘণ্টা ১৩ মিনিট পর ভাঁটা হয়।
আবার, পরপর দুটি জোয়ার বা দুটি ভাঁটার মাঝে সময়ের পার্থক্য হয় প্রায় ১২ ঘণ্টা ২৬ মিনিট।
চাঁদ ও সূর্যের আকর্ষণ শক্তি এবং পৃথিবীর ঘুর্ণনের (কেন্দ্রাতিক) প্রভাবে নির্দিষ্ট সময় পর পর সমুদ্রের পানি ফুলে ওঠে ও নেমে যায়।
উপকূলীয় এলাকায় সমুদ্রের পানি নদীর উজানের দিকে কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত ওঠানামা করে, অর্থাৎ জোয়ার-ভাঁটার প্রভাব পড়ে।
সমুদ্রের গভীর জায়গার তুলনায় উপকূলের কাছে যেখানে পানি কম গভীর, সেখানে জোয়ারের সময় পানির উচ্চতা বেশি দেখা যায়।
তবে যখন সমুদ্রের পানি নদীপথে দেশের ভেতরে প্রবেশ করে এবং আবার সরে যায়, তখন সেটাকে সাধারণভাবে জোয়ার-ভাঁটা বলা হয় না।

0
Updated: 1 month ago
ভাইরাসজনিত রোগ নয় কোনটি?
Created: 5 days ago
A
জন্ডিস
B
এইডস
C
নিউমোনিয়া
D
চোখ ওঠা
ভাইরাসজনিত রোগ
-
ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট রোগকে ভাইরাসজনিত রোগ বলা হয়।
-
উল্লেখযোগ্য কিছু ভাইরাসজনিত রোগ হলো: এইডস, জন্ডিস, কোভিড-১৯, হার্পিস, গুটি বসন্ত, জল বসন্ত, হাম, মাম্পস, ইনফ্লুয়েঞ্জা, বার্ড ফ্লু, সোয়াইন ফ্লু, পোলিও, জলাতঙ্ক, ডেঙ্গু, ইবোলা ইত্যাদি।
ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ
-
ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট রোগকে ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ বলা হয়।
-
এর মধ্যে প্রধান কয়েকটি হলো: যক্ষ্মা, ডিপথেরিয়া, হুপিংকাশি, ধনুষ্টংকার, নিউমোনিয়া, মেনিনজাইটিস, কলেরা, গনোরিয়া, সিফিলিস, টাইফয়েড, আমাশয়, প্লেগ, কুষ্ঠ ইত্যাদি।
নিউমোনিয়া নিয়ে বিশেষ মন্তব্য
নিউমোনিয়া শুধু ভাইরাস নয়, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক এবং অন্যান্য অণুজীব দিয়েও হতে পারে। তাই অপশনভিত্তিক প্রশ্নে এটি কখনো ভাইরাসজনিত রোগের মধ্যে পড়লেও, মূলত এটি বিভিন্ন অণুজীবের সংক্রমণে ঘটতে পারে। সুতরাং পরীক্ষায় প্রেক্ষাপট অনুযায়ী সঠিক উত্তর বেছে নিতে হবে।
চোখ ওঠা রোগ (Conjunctivitis)
-
চোখ ওঠা রোগের বৈজ্ঞানিক নাম কনজাংটিভাইটিস।
-
এটি চোখের কনজাংটিভা নামক পর্দার প্রদাহজনিত অসুখ।
-
এ রোগ সাধারণত ভাইরাস দ্বারা হয় এবং খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
উৎস: উচ্চ মাধ্যমিক উদ্ভিদবিজ্ঞান পাঠ্যপুস্তক

0
Updated: 5 days ago