“আমি কি ডরাই সখি ভিখারী রাঘবে?” রাঘবে শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি-
A
কর্মে ২য়া
B
করণে ৭মী
C
অপাদানে ৫মী
D
অপাদানে ৭মী
উত্তরের বিবরণ
বাক্যটি হলো — “আমি কি ডরাই সখি ভিখারী রাঘবে?”। এখানে আমাদের কাজ হলো ‘রাঘবে’ শব্দটি কোন কারকে (case) এবং কোন বিভক্তিতে (vibhakti) ব্যবহার হয়েছে তা নির্ণয় করা। সঠিক উত্তর হলো (ঘ) অপাদানে ৭মী।
বিস্তারিত ব্যাখ্যা:
১. অপাদান কার ও ৭মী বিভক্তি:
-
অপাদান কার (Ablative case) হলো এমন কার যা কোনো ব্যক্তি বা বস্তু থেকে বিচ্যুতি বা উৎস নির্দেশ করে।
-
বাংলা ব্যাকরণে অপাদানকে সাধারণত ‘থেকে’, ‘দ্বারা’, ‘এর দ্বারা’ ইত্যাদি দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
-
৭মী বিভক্তি হলো ঐ শব্দের বিকৃত রূপ যা অপাদান কার নির্দেশ করে।
২. ‘রাঘবে’ বিশ্লেষণ:
-
শব্দটি হলো রাঘব + এ
-
এখানে ‘এ’ যোগ হয়েছে কোনো বস্তু বা ব্যক্তির মাধ্যমে বা দ্বারা নির্দেশ করার জন্য।
-
অর্থাৎ, ‘ভিখারী’ (ভিক্ষুক) রাঘবের মাধ্যমে বা রাঘব থেকে কিছু প্রাপ্ত হচ্ছে বোঝাচ্ছে।
-
তাই এটি অপাদানে ৭মী বিভক্তি।
৩. অন্যান্য বিকল্পের ভুল ব্যাখ্যা:
-
(ক) কর্মে ২য়া: কোনো ক্রিয়ার সরাসরি পদ বোঝায়, যেমন: রাম খেলো → ‘খেলো’ কর্মে।
-
(খ) করণে ৭মী: কোনো কাজের উপকরণ নির্দেশ করে, যেমন: লাঠি দিয়ে মারল → ‘লাঠি’ করণে।
-
(গ) অপাদানে ৫মী: ৫মী অপাদান ব্যবহৃত হয় কিছু নির্দিষ্ট অবস্থা বা মাধ্যমের ক্ষেত্রে, কিন্তু এখানে ৭মী প্রযোজ্য।
সারসংক্ষেপ:
-
বাক্যে ‘রাঘবে’ হলো কোন মাধ্যমে বা কার দ্বারা কিছু কার্য সম্পাদন হচ্ছে তা নির্দেশ করছে।
-
অতএব, এটি অপাদানে ৭মী বিভক্তি।
উপসংহার:
‘রাঘবে’ শব্দটি অপাদানে ৭মী বিভক্তিতে ব্যবহৃত হয়েছে, তাই সঠিক উত্তর হলো (ঘ) অপাদানে ৭মী।
0
Updated: 5 days ago
মেঘনা নদীর দক্ষ মাঝি কে?
Created: 1 day ago
A
করিম উদ্দিন
B
হাবিব মিয়া
C
মতলব মিয়া
D
ছফা মিয়া
বাংলা সাহিত্যজগতে মেঘনা নদীকে কেন্দ্র করে বহু গল্প ও উপন্যাস রচিত হয়েছে, যার মধ্যে “মেঘনা নদীর মাঝি” প্রসিদ্ধ একটি গল্প। এই গল্পে নদীর মাঝি চরিত্রের মাধ্যমে লেখক গ্রামীণ জীবনের বাস্তব চিত্র, নদী নির্ভর মানুষের সংগ্রাম এবং নৌচালনার দক্ষতা সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। এই কাহিনিতে মতলব মিয়া হচ্ছেন মেঘনা নদীর সবচেয়ে দক্ষ ও অভিজ্ঞ মাঝি।
নিচে বিষয়টি স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হলো—
-
মতলব মিয়ার পরিচয়: তিনি পেশায় একজন মাঝি, যিনি মেঘনা নদীতে নৌকা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। তাঁর নৌকা চালানোর দক্ষতা, নদীর গতিপথ বোঝার ক্ষমতা এবং ঝড়-জল মোকাবিলার সাহস তাকে অন্য মাঝিদের মধ্যে আলাদা করে তুলেছে।
-
দক্ষতার পরিচয়: মতলব মিয়া মেঘনা নদীর প্রতিটি বাঁক, স্রোত, ভাটির ঢেউ, এমনকি কুয়াশার মধ্যে নৌকা চালানোর পথ পর্যন্ত জানেন। তিনি জানেন কখন পাল তোলা নিরাপদ, কখন নৌকা থামানো উচিত, আর কোথায় নদীর স্রোত বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।
-
নদী ও জীবনের সম্পর্ক: তাঁর জীবনে নদী কেবল জীবিকার উৎস নয়, এটি তাঁর জীবনের সঙ্গীও বটে। নদীর প্রতিটি ঢেউ যেন তাঁর সঙ্গে কথা বলে, যা তাঁর আত্মার সঙ্গে মিশে আছে।
-
সংগ্রামী চরিত্র: মতলব মিয়া সমাজের সাধারণ এক মানুষ, কিন্তু নিজের পেশায় তিনি নিবেদিতপ্রাণ। নদীতে ঝড় উঠলেও তিনি ভয় পান না। জীবনের প্রতিকূলতাকে জয় করাই তার দৈনন্দিন বাস্তবতা।
-
নৈতিক গুণাবলি: দক্ষতার পাশাপাশি তিনি সৎ, সাহসী ও পরিশ্রমী। অন্য মাঝিরা যখন নদীর ভয়াবহ স্রোত দেখে পিছিয়ে যায়, তখন মতলব মিয়া দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে নৌকার হাল ধরে রাখেন।
-
প্রতীকী অর্থে: সাহিত্যিকভাবে মতলব মিয়া বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের প্রতীক, যারা পরিশ্রম, অধ্যবসায় এবং সাহসের মাধ্যমে জীবনের অনিশ্চয়তাকে জয় করে।
-
গল্পের শিক্ষা: এই চরিত্র আমাদের শেখায় যে দক্ষতা ও সাহস একসাথে থাকলে মানুষ যেকোনো বাধা অতিক্রম করতে পারে। মতলব মিয়া তার জীবনের কঠিন মুহূর্তগুলোতেও ধৈর্য ও আত্মবিশ্বাস হারাননি।
সবশেষে বলা যায়, মতলব মিয়া কেবল মেঘনা নদীর দক্ষ মাঝি নন, তিনি নদীজীবনের প্রতীকও বটে। তাঁর মাধ্যমে লেখক দেখিয়েছেন, প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে টিকে থাকা মানুষের আসল শক্তি নিহিত থাকে পরিশ্রম, অভিজ্ঞতা ও সাহসের মধ্যে।
0
Updated: 1 day ago
বাংলা 'মহাভারতের' শ্রেষ্ঠ অনুবাদক হলেন-
Created: 1 day ago
A
সন্ধ্যাকর নন্দী
B
কাশীরাম দাস
C
মালাধর বসু
D
শ্রীকর নন্দী
বাংলা সাহিত্যে মহাকাব্য অনুবাদের ক্ষেত্রে কাশীরাম দাসকে বিশেষভাবে উচ্চ মূল্যায়ন করা হয়। তিনি মহাভারতকে সর্বোত্তমভাবে বাংলায় অনুবাদ করেছেন, যা কেবল ভাষাগত দিক থেকে নয়, সাহিত্যিক ও শিক্ষামূলক দিক থেকেও সমৃদ্ধ। তার অনুবাদে মূল কাব্যের ভাব, নৈতিকতা এবং চরিত্রের গভীরতা বাংলা পাঠকের জন্য সহজবোধ্য ও গ্রহণযোগ্যভাবে উপস্থাপিত হয়েছে।
এর মূল দিকগুলো হলো:
-
ভাষার সরলতা ও প্রাঞ্জলতা: কাশীরাম দাসের অনুবাদে ভাষা সহজ, প্রাঞ্জল এবং ছন্দময়, যা পাঠকের জন্য কাব্যের ভাব বোঝা সহজ করে।
-
মূল ভাবের রক্ষা: তিনি মহাভারতের মূল কাহিনী, নৈতিক শিক্ষা ও চরিত্রের বৈশিষ্ট্য যথাযথভাবে রক্ষা করেছেন, ফলে পাঠক মূল কাব্যের গভীরতা অনুভব করতে পারেন।
-
সাহিত্যিক দক্ষতা: অনুবাদ শুধু ভাষান্তর নয়, বরং এতে সাহিত্যিক সৌন্দর্য ও আবেগের প্রভাব বজায় রাখা হয়েছে। এটি বাংলা সাহিত্যের কাব্যশৈলীর উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
-
শিক্ষামূলক ও নৈতিক দিক: মহাভারতের গল্পে নিহিত নৈতিকতা, ধর্ম এবং মানবিক মূল্যবোধ অনুবাদের মাধ্যমে পাঠকের কাছে স্পষ্টভাবে পৌঁছেছে।
-
বাংলা সাহিত্যে প্রভাব: কাশীরাম দাসের অনুবাদ বাংলা সাহিত্যের মহাকাব্যিক অনুবাদপ্রচেষ্টার মাপকাঠি স্থাপন করেছে এবং পরবর্তী অনুবাদক ও লেখকদের জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
সারসংক্ষেপে, কাশীরাম দাস বাংলা ‘মহাভারত’ অনুবাদের ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠ অনুবাদক, কারণ তিনি মূল কাব্যের ভাব ও নৈতিক শিক্ষাকে সহজ, প্রাঞ্জল ও সাহিত্যিকভাবে সমৃদ্ধ বাংলায় অনুবাদ করেছেন। তার অনুবাদ বাংলা সাহিত্যের কাব্যিক, শিক্ষামূলক ও নৈতিক প্রভাবকে যুগান্তকারীভাবে প্রভাবিত করেছে।
0
Updated: 1 day ago
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন MCQ সমাধানঃ কোনটির মধ্য দিয়ে একটি দেশ এবং দেশের মানুষকে জানা যায়?
Created: 1 week ago
A
সাহিত্যচর্চা
B
ইতিহাসচর্চা
C
ধর্মচর্চা
D
শিল্পকলাচর্চা
একটি দেশের সংস্কৃতি, ইতিহাস, বিশ্বাস ও মানুষের জীবনধারার প্রতিফলন ঘটে তার শিল্পকলার মাধ্যমে। শিল্প শুধু সৌন্দর্য প্রকাশের মাধ্যম নয়, এটি জাতির মানসিকতা, চিন্তাধারা ও জীবনের অভিজ্ঞতাকে রূপ দেয়। তাই শিল্পকলাচর্চার মাধ্যমে আমরা একটি দেশের প্রকৃতি, সমাজ ও মানুষের অন্তরজগৎ সম্পর্কে গভীর ধারণা লাভ করতে পারি।
শিল্পকলার মাধ্যমে জাতীয় পরিচয় প্রকাশ: প্রতিটি দেশের নিজস্ব শিল্পরূপ থাকে—যেমন চিত্রকলা, সংগীত, নৃত্য, ভাস্কর্য বা স্থাপত্য। এসব শিল্পকর্মে ফুটে ওঠে দেশের ঐতিহ্য ও জীবনধারা। যেমন বাংলাদেশের পটচিত্র, নকশিকাঁথা, বাউলগান আমাদের সংস্কৃতির প্রতিচ্ছবি।
মানুষের আবেগ ও ভাবপ্রকাশের মাধ্যম: শিল্পকলা মানুষের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা, আশা-নিরাশা প্রকাশের পথ। একজন শিল্পী তাঁর দেশের মানুষের অনুভূতি ও স্বপ্নকে শিল্পে রূপ দেন, যা দেশের মানসিক অবস্থা বুঝতে সহায়তা করে।
ইতিহাস ও সমাজের প্রতিফলন: একটি সময়ের শিল্পকর্ম দেখে আমরা সেই সময়ের সমাজব্যবস্থা, অর্থনীতি ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারি। যেমন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চিত্রকলা বা সংগীত আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাস তুলে ধরে।
সংস্কৃতির ধারক ও বাহক: শিল্পকলা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে সংস্কৃতি স্থানান্তরের একটি শক্তিশালী মাধ্যম। লোকগান, নাটক বা হস্তশিল্পের মাধ্যমে ঐতিহ্য টিকে থাকে এবং জাতিসত্তা দৃঢ় হয়।
আন্তর্জাতিক পরিচিতি গঠনে ভূমিকা: শিল্পকলার মাধ্যমেই একটি দেশ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিতি লাভ করে। যেমন বাংলাদেশের শিল্পী জয়নুল আবেদিন বা রেনেসাঁর যুগের ইউরোপীয় শিল্পীরা তাঁদের দেশের সাংস্কৃতিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করেছেন।
সমাজসংস্কারের হাতিয়ার: শিল্প মানুষের চিন্তা বদলে দিতে পারে। নাটক, চলচ্চিত্র বা চিত্রকলার মাধ্যমে সমাজে অন্যায়, বৈষম্য বা কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টি হয়।
মানবিকতা ও সৌন্দর্যবোধ জাগিয়ে তোলে: শিল্পচর্চা মানুষকে সংবেদনশীল ও নৈতিক করে তোলে। এটি মানুষকে কেবল ভোগবাদ থেকে সরিয়ে মানবতার দিকে ফিরিয়ে আনে।
শিল্পকলাচর্চা কোনো দেশের কেবল সাংস্কৃতিক প্রকাশ নয়, এটি জাতির আত্মার প্রতিচ্ছবি। এর মাধ্যমে জানা যায় দেশের ইতিহাস, মানুষ, জীবনদর্শন ও সভ্যতার অগ্রযাত্রা। তাই একটি দেশ ও তার মানুষকে জানার শ্রেষ্ঠ পথ হলো শিল্পকলাচর্চা।
0
Updated: 1 week ago