‘তিনি ব্যাকরণে পন্ডিত’- কোন কারকে কোন বিভক্তি?
A
করণে ৭মী
B
অপাদানে ৭মী
C
অধিকরণে ৭মী
D
কর্মে ৭মী
উত্তরের বিবরণ
বাক্যটি হলো — ‘তিনি ব্যাকরণে পন্ডিত’। এখানে আমাদের কাজ হলো ‘ব্যাকরণে’ শব্দটি কোন কারকে (case) এবং কোন বিভক্তিতে (vibhakti) ব্যবহার হয়েছে তা নির্ণয় করা। সঠিক উত্তর হলো (গ) অধিকরণে ৭মী।
বিস্তারিত ব্যাখ্যা:
১. অধিকরণ কার ও ৭মী বিভক্তি:
-
অধিকরণ কার (Locative case) হলো এমন কার যা কোনো কাজ বা অবস্থা কোথায় ঘটছে তা বোঝায়।
-
বাংলা ব্যাকরণে অধিকরণে ৭মী বিভক্তি সাধারণত ‘এ’, ‘তে’, ‘ই’ ইত্যাদি উপসর্গের মাধ্যমে অবস্থান বা ক্ষেত্রে নির্দেশ করে।
২. ‘ব্যাকরণে’ বিশ্লেষণ:
-
শব্দটি হলো ব্যাকরণ + এ
-
এখানে ‘এ’ যোগ হয়েছে কোন স্থানে বা কোন ক্ষেত্রে বোঝানোর জন্য।
-
অর্থাৎ, তিনি কোন ক্ষেত্রে পণ্ডিত তা নির্দেশ করছে — সেই ক্ষেত্রে হলো ব্যাকরণ।
-
তাই এটি অধিকরণে ৭মী বিভক্তি।
৩. অন্যান্য বিকল্পের ভুল ব্যাখ্যা:
-
করণে ৭মী (ক): কোনো কায় সম্পাদনের জন্য ব্যবহৃত হয়, যেমন: লাঠি দিয়ে মারল → এখানে লাঠি করণে ব্যবহৃত।
-
অপাদানে ৭মী (খ): কোনো বস্তু বা ব্যক্তি থেকে বিচ্যুতি বোঝায়, যেমন: ঘর থেকে বের হল → ‘ঘর’ অপাদানে।
-
কর্মে ৭মী (ঘ): কোনো ক্রিয়ার সরাসরি পদ বোঝায়, যেমন: কিতাব পড়ল → ‘কিতাব’ কর্মে।
সারসংক্ষেপ:
-
বাক্যে ‘ব্যাকরণে’ হলো কোন স্থানে বা কোন ক্ষেত্রে পণ্ডিত তা বোঝাচ্ছে।
-
অতএব, এটি অধিকরণে ৭মী বিভক্তি।
উপসংহার:
‘তিনি ব্যাকরণে পন্ডিত’ বাক্যে ‘ব্যাকরণে’ শব্দটি অধিকরণে ৭মী বিভক্তিতে ব্যবহৃত হয়েছে, তাই সঠিক উত্তর হলো (গ) অধিকরণে ৭মী।
0
Updated: 5 days ago
'যেখানে আসিয়া এক হয়ে গেছে সব বাধা ব্যবধান'- চরণটি কোন কবিতার?
Created: 1 month ago
A
বিদ্রোহী
B
কুলিমুজুর
C
সাম্যবাদী
D
প্রলয়-শিখা
সঠিক তথ্য:
'যেখানে আসিয়া এক হয়ে গেছে সব বাধা ব্যবধান' চরণটি কাজী নজরুল ইসলামের 'সাম্যবাদী' কবিতার অন্তর্গত।
'সাম্যবাদী' কাব্যগ্রন্থ ও কবিতা সম্পর্কে তথ্য:
-
লেখক: কাজী নজরুল ইসলাম
-
কাব্যগ্রন্থ: সাম্যবাদী
-
প্রকাশকাল: ১৯২৫
-
সংকলিত কবিতা সংখ্যা: ১১টি
-
মূল ভাবনা: মানুষের সমতা, সমাজে সাম্যবাদের চেতনা
-
নজরুলের সাম্যবাদী চেতনার প্রকাশ ঘটেছে অন্যান্য গ্রন্থেও যেমন: সাম্যবাদী, ভাঙার গান, সর্বহারা
-
'সাম্যবাদী' কবিতা:
-
উদাহরণ চরণ:
"যেখানে আসিয়া এক হয়ে গেছে সব বাধা-ব্যবধান,
যেখানে মিশেছে হিন্দু-বৌদ্ধ-মুসলিম ক্রীশ্চান।" -
অন্যান্য অংশ:
"কে তুমি?- পার্সি? জৈন? ইহুদি? সাঁওতাল, ভীল, গারো?
কনফুসিয়াস্? চার্বাক-চেলা? বলে যাও, বল আরও!"
-
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য তথ্য:
-
বিদ্রোহী, প্রলয়-শিখা, ধূমকেতু – কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত 'অগ্নিবীণা' কাব্যগ্রন্থের কবিতা
-
'কুলি-মজুর' কবিতাটি 'সাম্যবাদী' কাব্যগ্রন্থে সংকলিত হয়েছে
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি প্রমিত বানান?
Created: 2 months ago
A
অর্জ্জন
B
কর্ম্ম
C
কার্য্য
D
মূর্ছা
✅ প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম: দ্বিত্ব (বর্ণের পুনরাবৃত্তি) সংক্রান্ত নিয়ম
-
নিয়ম: কোনো শব্দে রেফের পর ব্যঞ্জনবর্ণের দ্বিত্ব (একই বর্ণ দুবার লেখা) হবে না।
-
উদাহরণ:
| অশুদ্ধ বানান | প্রমিত বানান |
|---|---|
| অর্জ্জন | অর্জন |
| কর্ম্ম | কর্ম |
| কার্য্য | কার্য |
| মূর্চ্ছা | মূর্ছা |
অর্থাৎ, অপ্রয়োজনীয় দ্বিত্ব অপসারণ করেই প্রমিত বানান লেখা হবে।
0
Updated: 2 months ago
কোন ক্ষেত্রে সাধারণত ণ-ত্ব বিধান খাটে না?
Created: 2 months ago
A
উপসর্গজাত শব্দে
B
সন্ধিজাত শব্দে
C
সমাসবদ্ধ শব্দে
D
তৎসম শব্দে
ণ-ত্ব বিধান (ṇ-tva Rule)
সংজ্ঞা:
-
তৎসম/সংস্কৃত শব্দের বানানে কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে ‘ণ’ ব্যবহারের বিধানকে ণ-ত্ব বিধান বলা হয়।
-
তবে সব শব্দে প্রযোজ্য নয়; বিশেষ শর্তের ভিত্তিতে ব্যবহৃত হয়।
১. সমাসবদ্ধ শব্দে ণ-ত্ব বিধান খাটে না
-
সমাসবদ্ধ (compound) শব্দে সাধারণত ‘ন’ ব্যবহার হয়, ‘ণ’ নয়।
-
উদাহরণ:
-
ত্রিনয়ন
-
সর্বনাম
-
দুর্নীতি
-
দুর্নাম
-
দুর্নিবার
-
পরনিন্দা
-
অগ্রনায়ক
-
২. ত-বর্গীয় বর্ণের সঙ্গে যুক্ত ‘ন’
-
ত-বর্গীয় বর্ণের সঙ্গে ‘ন’ যুক্ত হলে কখনো ‘ণ’ নয়, বরং ‘ন’ ব্যবহার হয়।
-
উদাহরণ:
-
অন্ত
-
গ্রন্থ
-
ক্রন্দন
-
৩. তৎসম শব্দে ণ-ত্ব বিধান প্রযোজ্য
-
তৎসম (সংস্কৃত) শব্দে ণ-ত্ব বিধান মানা হয়।
-
নিয়ম: সাধারনত, তৎসম/সংস্কৃত মূলের ধ্বনিমালা অনুসারে ‘ণ’ ব্যবহৃত হয়।
৪. বিশেষ ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়
-
সন্ধিজাত শব্দে বা উপসর্গজাত শব্দে ‘ণ-ত্ব’ বিধান প্রয়োগ হয় না।
0
Updated: 2 months ago