জোয়ারের কত সময় পর ভাঁটার সৃষ্টি হয়?
A
৬ ঘণ্টা ১৩ মি.
B
৮ ঘণ্টা
C
১২ ঘণ্টা
D
১৩ ঘণ্টা ১৫ মি.
উত্তরের বিবরণ
জোয়ার-ভাঁটা
-
সমুদ্রের একই জায়গায় প্রতিদিন দুইবার পানি বাড়ে (জোয়ার) এবং দুইবার কমে (ভাঁটা)।
-
পানি যখন ফুলে উঠে উপরে ওঠে, তাকে জোয়ার বলা হয়। আর যখন নিচে নামে, তখন তাকে ভাঁটা বলে।
-
একটি জোয়ারের প্রায় ৬ ঘণ্টা ১৩ মিনিট পর ভাঁটা হয়।
-
আবার, পরপর দুটি জোয়ার বা দুটি ভাঁটার মাঝে সময়ের পার্থক্য হয় প্রায় ১২ ঘণ্টা ২৬ মিনিট।
-
চাঁদ ও সূর্যের আকর্ষণ শক্তি এবং পৃথিবীর ঘুর্ণনের (কেন্দ্রাতিক) প্রভাবে নির্দিষ্ট সময় পর পর সমুদ্রের পানি ফুলে ওঠে ও নেমে যায়।
-
উপকূলীয় এলাকায় সমুদ্রের পানি নদীর উজানের দিকে কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত ওঠানামা করে, অর্থাৎ জোয়ার-ভাঁটার প্রভাব পড়ে।
-
সমুদ্রের গভীর জায়গার তুলনায় উপকূলের কাছে যেখানে পানি কম গভীর, সেখানে জোয়ারের সময় পানির উচ্চতা বেশি দেখা যায়।
-
তবে যখন সমুদ্রের পানি নদীপথে দেশের ভেতরে প্রবেশ করে এবং আবার সরে যায়, তখন সেটাকে সাধারণভাবে জোয়ার-ভাঁটা বলা হয় না।
সমুদ্রের একই জায়গায় প্রতিদিন দুইবার পানি বাড়ে (জোয়ার) এবং দুইবার কমে (ভাঁটা)।
পানি যখন ফুলে উঠে উপরে ওঠে, তাকে জোয়ার বলা হয়। আর যখন নিচে নামে, তখন তাকে ভাঁটা বলে।
একটি জোয়ারের প্রায় ৬ ঘণ্টা ১৩ মিনিট পর ভাঁটা হয়।
আবার, পরপর দুটি জোয়ার বা দুটি ভাঁটার মাঝে সময়ের পার্থক্য হয় প্রায় ১২ ঘণ্টা ২৬ মিনিট।
চাঁদ ও সূর্যের আকর্ষণ শক্তি এবং পৃথিবীর ঘুর্ণনের (কেন্দ্রাতিক) প্রভাবে নির্দিষ্ট সময় পর পর সমুদ্রের পানি ফুলে ওঠে ও নেমে যায়।
উপকূলীয় এলাকায় সমুদ্রের পানি নদীর উজানের দিকে কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত ওঠানামা করে, অর্থাৎ জোয়ার-ভাঁটার প্রভাব পড়ে।
সমুদ্রের গভীর জায়গার তুলনায় উপকূলের কাছে যেখানে পানি কম গভীর, সেখানে জোয়ারের সময় পানির উচ্চতা বেশি দেখা যায়।
তবে যখন সমুদ্রের পানি নদীপথে দেশের ভেতরে প্রবেশ করে এবং আবার সরে যায়, তখন সেটাকে সাধারণভাবে জোয়ার-ভাঁটা বলা হয় না।

0
Updated: 2 months ago
মানবদেহে রোগ প্রতিরোধে প্রাথমিক প্রতিরক্ষাস্তরের (First line of defence) অন্তর্ভুক্ত নয় কোনটি?
Created: 1 month ago
A
লাইসোজাইম (LYSOZYME)
B
গ্যাসট্রিক জুস (GASTRIC JUICE)
C
সিলিয়া (CILIA)
D
লিম্ফোসাইট (LYMPHOCYTES)
ইম্যুনাইজেশন
ইম্যুনাইজেশন হলো মানুষের শরীরকে সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রক্রিয়া। অন্যভাবে বলতে গেলে, এটি শরীরের প্রতিরক্ষামূলক ক্ষমতা বাড়ানোর একটি প্রক্রিয়া।
মানবদেহে রোগজীবাণু বা পরজীবী আক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য সাধারণত তিনটি স্তরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাকে।
১. প্রথম স্তরের প্রতিরক্ষা (Primary Defense):
প্রথম স্তরের প্রতিরক্ষা মূলত রোগজীবাণুকে দেহের ভিতরে প্রবেশ করতে না দেওয়াই। এর মধ্যে রয়েছে:
-
ত্বক: বাহ্যিক বাধা হিসেবে কাজ করে।
-
সিলিয়া ও মিউকাস: শ্বাসনালিতে ধুলো ও জীবাণু আটকায়।
-
লাইসোজাইম এনজাইম: লালা ও চোখের জল জীবাণু ধ্বংস করে।
-
অম্ল (Acid) ও রক্ত জমাট: পেটের অম্ল এবং রক্তের জমাট জীবাণু ধ্বংস করতে সাহায্য করে।
২. দ্বিতীয় স্তরের প্রতিরক্ষা (Secondary Defense):
যদি রোগজীবাণু প্রথম স্তর অতিক্রম করতে পারে, তবে দ্বিতীয় স্তরের প্রতিরক্ষা সক্রিয় হয়। এতে অন্তর্ভুক্ত:
-
ফ্যাগোসাইটিক কোষ: শ্বেতরক্তকণিকা থেকে তৈরি ম্যাক্রোফেজ ও নিউট্রোফিল রোগজীবাণু খায়।
-
প্রদাহ সাড়া ও তাপমাত্রা বৃদ্ধি: সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রদাহ ও জ্বরের মাধ্যমে সহায়তা করে।
-
কমপ্লিমেন্ট, ইন্টারফেরন ও ন্যাচারাল কিলার সেল: রোগজীবাণুর ধ্বংসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
৩. তৃতীয় স্তরের প্রতিরক্ষা (Tertiary / Specific Immune Response):
তৃতীয় স্তরের প্রতিরক্ষা বিশেষভাবে নির্দিষ্ট জীবাণু বা অ্যান্টিজেনের বিরুদ্ধে কাজ করে। এটি ইমিউনিটি জনিত সাড়া (immune response) নামে পরিচিত। এর মধ্যে রয়েছে:
-
লিম্ফোসাইট: B ও T কোষ, যা বিশেষ জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে।
-
MHC অণু (Major Histocompatibility Complex): অ্যান্টিজেনকে শনাক্ত করে সঠিক সেলকে সক্রিয় করে।
-
ক্লোনাল সিলেকশন: নির্দিষ্ট জীবাণুর বিরুদ্ধে সেলগুলো প্রজনন করে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা গঠন করে।
উৎস: জীববিজ্ঞান-প্রথম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, ড. মোহাম্মদ আবুল হাসান।

0
Updated: 1 month ago
কিসের অভাবে ফসলের পরিপক্বতা বিলম্বিত হয়?
Created: 2 months ago
A
দস্তা
B
সালফার
C
নাইট্রোজেন
D
পটাশিয়াম
সালফারের অভাব ও গাছের সমস্যা
-
সাধারণত সালফারের অভাবে ফসল পাকা হতে দেরি হয়।
-
সালফার (S) গাছের প্রোটিন, হরমোন ও ভিটামিন তৈরিতে প্রয়োজনীয়। এছাড়া সালফার কোষে পানির ভারসাম্য রক্ষায় সাহায্য করে।
-
সালফারের অভাবে গাছের পাতা হালকা সবুজ হয় এবং পাতায় লাল বা বেগুনি দাগ দেখা দেয়।
-
সাধারণত কচি পাতায় ক্লোরোসিস (পাতার হালকা রং হওয়া) বেশি হয়, আর বয়স হলে কম হয়।
-
সালফারের অভাবে গাছের মূল, কান্ড ও পাতা ক্রমশ মৃতপ্রায় হয়ে যায়, যা ডাইব্যাক (dieback) নামে পরিচিত।
-
গাছের মধ্যের অংশ ছোট হওয়ায় গাছ ছোট ও খর্বাকৃতির হয়ে ওঠে।
অন্যান্য উপাদানের ভূমিকা
-
দস্তা (Zinc): এনজাইম ও হরমোন তৈরিতে সাহায্য করে।
-
নাইট্রোজেন (N): নাইট্রোজেন না থাকলে পাতায় ক্লোরোফিল তৈরি হয় না, তাই পাতা ধীরে ধীরে হলুদ হয়ে যায়।
-
পটাশিয়াম (Potassium): গাছের পানি ও পুষ্টি পরিবহন সুগম করে।
উৎস: জীববিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।

0
Updated: 2 months ago
হিমোগ্লোবিন কোন জাতীয় পদার্থ?
Created: 1 month ago
A
আমিষ
B
স্নেহ
C
আয়োডিন
D
লৌহ
হিমোগ্লোবিন
- হিমোগ্লোবিন এক ধরনের আমিষ বা প্রোটিন জাতীয় পদার্থ।
- হিমোগ্লোবিন নামক রঞ্জক পদার্থের উপস্থিতির জন্য রক্তের রং লাল হয়।
- এর প্রধান কাজ হলো ধমনি থেকে দেহের সব স্থানে অক্সিজেন ও বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করা।
- হিমোগ্লোবিনের প্রতিটি অণুতে চারটি আয়রন পরমাণু থাকে। আর প্রতিটি আয়রন পরমাণু একটি করে অক্সিজেন গ্রহণ করে।
- রক্তে ৯৭-৯৮% অক্সিজেন পরিবাহিত হয় লোহত কণিকার অক্সিজেনের মাধ্যমে।
- একটি হিমোগ্লোবিন অণু একই সাথে ৪টি অক্সিজেন অণুর সাথে যুক্ত হতে পারে।

- অক্সিজেনের সাথে হিমোগ্লোবিনের রাসায়নিক বিক্রিয়া উভমুখী।
উৎস: জীববিজ্ঞান, দ্বিতীয় পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি (ড. গাজী আজমল) এবং প্রাণিবিজ্ঞান, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago