সূর্য পৃষ্ঠের উত্তাপ কত?
A
৬০০০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড
B
৮০০০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড
C
১০০০০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড
D
১২০০০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড
উত্তরের বিবরণ
সূর্য (Sun)
-
সূর্য হলো একটি নক্ষত্র।
-
এর গায়ের তাপমাত্রা প্রায় ৬০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
-
এটি আগুনের মতো জ্বলন্ত একটি গ্যাসের গোলা।
-
সূর্য মূলত হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম গ্যাস দিয়ে গঠিত।
-
এটি মাঝারি আকারের এবং হলুদ রঙের।
-
সূর্যের ব্যাস প্রায় ১৩,৮৪,০০০ কিলোমিটার।
-
এটি পৃথিবী থেকে প্রায় ১৫ কোটি কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
-
সূর্য থেকে যে তাপ বের হয়, তার খুবই অল্প অংশ পৃথিবীতে পৌঁছে—প্রায় ২০০ কোটিতে ১ ভাগ।
-
আলো প্রতি সেকেন্ডে ৩ লক্ষ কিলোমিটার পথ চলে।
-
তাই সূর্যের আলো পৃথিবীতে আসতে সময় লাগে প্রায় ৮ মিনিট ১৯ সেকেন্ড।
-
সূর্যের সবচেয়ে কাছের অন্য একটি নক্ষত্রের নাম হলো প্রক্সিমা সেন্টোরাই।

0
Updated: 2 months ago
চা পাতায় কোন ভিটামিন থাকে?
Created: 1 month ago
A
ভিটামিন 'ই'
B
ভিটামিন 'কে'
C
ভিটামিন বি কমপ্লেক্স
D
ভিটামিন 'এ'
ভিটামিন ও তাদের উৎস
-
ভিটামিন B কমপ্লেক্স – চা পাতা ও বৃষ্টির পানিতে পাওয়া যায়।
-
ভিটামিন E – সবুজ শাকসবজি, তৈলবীজ ও হাঙ্গর মাছের যকৃতের তেলে রয়েছে।
-
ভিটামিন K – প্রধান উৎস হলো সবুজ শাকসবজি ও দুগ্ধজাত দ্রব্য।
-
ভিটামিন A – মাছের তেল, দুধ, মলা মাছ, মাছের মাথা এবং গাজরে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়।
ভিটামিনের দ্রাব্যতা অনুযায়ী ভাগ:
-
স্নেহে দ্রবণীয় (Fat-soluble) ভিটামিন: A, D, E, K
-
পানিতে দ্রবণীয় (Water-soluble) ভিটামিন: B কমপ্লেক্স ও C
উৎস: জীববিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি, বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।

0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি রক্তরসের জৈব পদার্থ?
Created: 1 month ago
A
ক্যালসিয়াম
B
লেসিথিন
C
আয়োডিন
D
সোডিয়াম
রক্তরস বা প্লাজমা
-
রক্তের তরল অংশকে রক্তরস বা প্লাজমা বলে।
-
রক্তরসের প্রায় ৯০% পানি, আর বাকি ১০% জৈব ও অজৈব পদার্থ দ্রবীভূত অবস্থায় থাকে।
অজৈব পদার্থ
-
বিভিন্ন খনিজ পদার্থের আয়ন যেমন: সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ক্লোরিন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, লৌহ, আয়োডিন।
-
গ্যাসীয় পদার্থ যেমন: O₂, CO₂, N₂।
জৈব পদার্থ
১. খাদ্যসার → গ্লুকোজ, অ্যামিনো এসিড, স্নেহপদার্থ, ভিটামিন।
২. রেচন পদার্থ → ইউরিয়া, ইউরিক এসিড, অ্যামোনিয়া, ক্রিয়েটিনিন।
৩. প্রোটিন → ফাইব্রিনোজেন, গ্লোবিউলিন, অ্যালবুমিন, প্রোথ্রম্বিন।
৪. প্রতিরক্ষামূলক পদার্থ → অ্যান্টিটক্সিন, অ্যাগ্লুটিনিন।
৫. হরমোন → অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত বিভিন্ন হরমোন।
৬. অন্যান্য যৌগ → কোলেস্টেরল, লেসিথিন, বিলিরুবিন ইত্যাদি।
রক্তরসের কাজ
-
খাদ্যসারকে রক্তকোষসহ দেহের বিভিন্ন অংশে পরিবহণ করা।
-
টিস্যু থেকে বর্জ্য পদার্থ সংগ্রহ করে বৃক্কে পৌঁছে দেওয়া।
-
শ্বসনকালে কোষ থেকে উৎপন্ন CO₂ কে বাইকার্বনেট আকারে ফুসফুসে বহন করা।
-
রক্ত জমাট বাঁধার জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান পরিবহণ করা।
-
হরমোন, এনজাইম, লিপিড ইত্যাদি দেহের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে দেওয়া।
-
রক্তের অম্ল-ক্ষার ভারসাম্য বজায় রাখা।
উৎস: বিজ্ঞান (নবম–দশম শ্রেণি)

0
Updated: 1 month ago
অ্যানোডে কোন বিক্রিয়া সম্পন্ন হয়?
Created: 1 month ago
A
জারণ
B
বিজারণ
C
প্রশমন
D
পানিযোজন
তড়িৎদ্বার (Electrical Terminal)
একটি তড়িৎ রাসায়নিক কোষ বা ব্যাটারিতে তড়িৎদ্বার হলো দুটি ধাতব বা গ্রাফাইটের পরিবাহী যন্ত্রাংশ, যা কোষের ইলেকট্রনকে প্রবেশ এবং নির্গমন করার পথ দেয়। অর্থাৎ, এক তড়িৎদ্বার ইলেকট্রনকে কোষে প্রবেশ করায় এবং অন্যটি ইলেকট্রন বের করে নেয়।
তড়িৎদ্বার কোষের ইলেকট্রনিক পরিবাহী ও ইলেকট্রোলাইটকে সংযুক্ত করে এবং কোষের বর্তনী পূর্ণ করে। একটি তড়িৎ রাসায়নিক কোষে দুইটি তড়িৎদ্বারের প্রয়োজন হয়:
১। অ্যানোড তড়িৎদ্বার
২। ক্যাথোড তড়িৎদ্বার
অ্যানোড তড়িৎদ্বার (Anode Terminal):
-
অ্যানোড হলো সেই তড়িৎদ্বার যা ব্যাটারির ধনাত্মক প্রান্তের সাথে যুক্ত থাকে।
-
এর মাধ্যমে ইলেকট্রন দ্রবণে থেকে বের হয়ে যায়।
-
অ্যানোডে জারণ (Oxidation) ঘটে, অর্থাৎ অ্যানায়নগুলো ইলেকট্রন ত্যাগ করে আধান মুক্ত হয়।
ক্যাথোড তড়িৎদ্বার (Cathode Terminal):
-
ক্যাথোড হলো সেই তড়িৎদ্বার যা ব্যাটারির ঋণাত্মক প্রান্তের সাথে যুক্ত থাকে।
-
এর মাধ্যমে ইলেকট্রন ব্যাটারি থেকে দ্রবণে প্রবেশ করে।
-
ক্যাথোডে বিজারণ (Reduction) ঘটে, অর্থাৎ ক্যাটায়নগুলো ইলেকট্রন গ্রহণ করে আধান মুক্ত হয়।
উৎস: রসায়ন প্রথম পত্র, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 month ago