'হাত ধুয়ে বসা'- বাগধারার অর্থ কি?
A
দায়িত্ব না রাখা
B
শুরু করা
C
ভন্ডামী করা
D
অপেক্ষা করা
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষায় ‘হাত ধুয়ে বসা’ একটি প্রচলিত ও অর্থবহ বাগধারা, যা কোনো কাজ বা দায়িত্ব থেকে সম্পূর্ণভাবে নিজেকে সরিয়ে নেওয়া বা দায়িত্বহীন আচরণ করা বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। এই বাগধারাটি সাধারণত এমন ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়, যিনি কোনো দায়িত্ব বা কর্তব্যে যুক্ত ছিলেন কিন্তু পরবর্তীতে তা আর পালন করতে চান না, বরং দায় এড়িয়ে নির্বিকারভাবে বসে থাকেন।
এই অর্থেই সঠিক উত্তর — (ক) দায়িত্ব না রাখা।
বাগধারাটি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়—
অর্থগত দিক থেকে:
“হাত ধোয়া” সাধারণত কোনো কাজ শেষ করার বা কাজ থেকে মুক্ত হওয়ার প্রতীক। প্রাচীনকাল থেকে মানুষ হাত ধোয়ার মাধ্যমে কোনো কাজের সমাপ্তি বা পবিত্রতা প্রকাশ করত। সেই ধারণা থেকেই “হাত ধুয়ে বসা” রূপকভাবে ব্যবহৃত হয়েছে এমন অবস্থায়, যখন কেউ দায়িত্ব বা কর্তব্য থেকে নিজেকে সম্পূর্ণ মুক্ত ঘোষণা করে। অর্থাৎ, কাজ বা দায়িত্ব আছে, কিন্তু ব্যক্তি সেটি আর পালন করতে চান না; বরং নিজেকে দায়িত্বমুক্ত ভেবে নির্লিপ্ত থাকেন।
প্রায়োগিক দিক থেকে:
-
কোনো প্রশাসনিক বা পারিবারিক দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি যদি সমস্যা চলাকালীন সময়ে বলেন, “আমি আর কিছু করতে পারব না, হাত ধুয়ে বসেছি,” তার মানে তিনি আর দায়িত্ব নিচ্ছেন না।
-
আবার সমাজ বা রাজনীতির ক্ষেত্রে এই বাগধারাটি ব্যবহার হয় এমন অবস্থায়, যখন কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে কর্তব্য এড়িয়ে চলে বা সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেয় না।
উদাহরণ:
-
কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে হাত ধুয়ে বসেছে, কেউই আর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
-
নিজের কাজের ফলাফল খারাপ দেখেই সে হাত ধুয়ে বসে পড়েছে, কোনো চেষ্টা করছে না।
রূপক ব্যাখ্যা:
এই বাগধারাটি একধরনের অলংকারমূলক অভিব্যক্তি, যেখানে “হাত ধোয়া” মানে হলো দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়া এবং “বসা” মানে হলো নিষ্ক্রিয় বা উদাসীন অবস্থায় থাকা। ফলে একত্রে এর অর্থ দাঁড়ায়— দায়িত্বহীনভাবে কাজ থেকে সরে গিয়ে নীরব থাকা।
অন্য বিকল্পগুলোর ভুল ব্যাখ্যা:
-
শুরু করা (খ): এটি “হাত লাগানো” বাগধারার অর্থের সঙ্গে সম্পর্কিত, “হাত ধুয়ে বসা”-এর বিপরীত।
-
ভণ্ডামী করা (গ): এটি “পানিপড়া মুখে দেওয়া” বা “চালাকি করা”-এর ধরণের বাগধারার সাথে সম্পর্কিত।
-
অপেক্ষা করা (ঘ): এটি “চেয়ে থাকা” বা “অপেক্ষায় বসে থাকা”-এর অর্থে ব্যবহৃত হয়, যা এখানে প্রযোজ্য নয়।
অতএব, ‘হাত ধুয়ে বসা’ বাগধারার প্রকৃত অর্থ হলো দায়িত্ব বা কর্তব্য ত্যাগ করা, দায়িত্ব না রাখা এবং নিজেকে সম্পূর্ণভাবে সরিয়ে নেওয়া। এটি এমন একটি অভিব্যক্তি যা উদাসীনতা ও দায়িত্বহীনতার চিত্র তুলে ধরে।
0
Updated: 5 days ago
‘সিঁদুরে মেঘ’ বাগধারাটির অর্থ কী?
Created: 1 month ago
A
বড়ো বিপদ
B
অল্পে ভয়
C
বিপদের আশঙ্কা
D
আকাশ লাল
'সিঁদুরে মেঘ' বলতে মূলত সেই অবস্থাকে বোঝায় যেখানে, পূর্বের বিপদের অভিজ্ঞতার কারণে কেউ অল্প কিছু লক্ষণ দেখেই ভয় পেয়ে যায়। ঘরপোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখে ডরায় - বড় বিপদের অভিজ্ঞতা অকারণেই ভীত করে তোলে। এখান থেকে উত্তর দিয়েছি।
0
Updated: 1 month ago
‘সাক্ষী গোপাল’ বাগধারাটির অর্থ কী?
Created: 2 months ago
A
অপদার্থ
B
মূর্খ
C
নিরেট বোকা
D
নিষ্ক্রিয় দর্শক
‘সাক্ষী গোপাল’ বাগধারাটি এমন একজনকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয় যিনি কোনো ঘটনার সময় উপস্থিত থাকলেও কিছু না বলে চুপচাপ থাকেন, কেবলমাত্র দর্শকের মতো থাকেন—কোনো হস্তক্ষেপ বা প্রতিক্রিয়া দেখান না।
উদাহরণস্বরূপ:
ঘটনার পুরো সময়টা সে ছিল, কিন্তু কিছু বলেনি—ঠিক যেন সাক্ষী গোপাল!
সঠিক উত্তর: ঘ) নিষ্ক্রিয় দর্শক
0
Updated: 2 months ago
‘ছকড়া নকড়া’ – বাগধারাটির অর্থ কী?
Created: 3 weeks ago
A
সস্তা দর
B
নষ্ট করা
C
দুর্লভ বস্তু
D
আশায় নৈরাশ্য
‘ছকড় নকড়া’ বাগধারাটির অর্থ– ‘সস্তা দর’। বাক্য গঠন: ছকড়া নকড়া দামে পুরনো গাড়িটা বিক্রি করে দিলাম। তাছাড়া, ‘ছিনিমিনি খেলা’ বাগধারাটির অর্থ- – ‘নষ্ট করা’ ‘অমাবস্যার চাঁদ’ বাগধারাটির অর্থ– ‘দুর্লভ বস্তু’, ‘গুড়ে বালি’ বাগধারাটির অর্থ– ‘আশায় নৈরাশ্য’।
0
Updated: 3 weeks ago