পারমাণবিক চুল্লীতে তাপ পরিবাহক হিসেবে কোন ধাতু ব্যবহৃত হয়?
A
সোডিয়াম
B
পটাসিয়াম
C
ম্যাগনেসিয়াম
D
জিংক
উত্তরের বিবরণ
পারমাণবিক চুল্লি:
- নিউক্লিয়ার রিয়্যাক্টর (Nuclear Reactor) বা পারমাণবিক চুল্লি মূলত এক প্রকার তাপীয় যন্ত্র।
- পারমাণবিক চুল্লিতে শক্তি উৎপাদনের জন্য নিউক্লিয়ার ফিশন বা নিউক্লিয়ার চেইন বিক্রিয়া ব্যবহার করা হয়।
- পারমাণবিক চুল্লিতে পারমাণবিক জ্বালানি (ইউরেনিয়াম-২৩৫)-এর শৃঙ্খল বিক্রিয়া (chain reaction) ঘটিয়ে অত্যধিক তাপ শক্তি উৎপাদন করা হয়।
- মূলত ইউরেনিয়াম-২৩৫ (U-235) কে নিউট্রন দ্বারা আঘাত করলে নিউক্লিয়ার বিভাজনের (Nuclear Fission) মাধ্যমে পারমাণবিক চুল্লির মধ্যে প্রচুর পরিমাণ তাপ শক্তি উৎপন্ন হয়।
- পারমাণবিক চুল্লি বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন, চিকিৎসা বিজ্ঞান, পারমাণবিক অস্ত্র তৈরীসহ অনেক ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।
উল্লেখ্য,
- পারমাণবিক চুল্লিতে তাপ পরিবাহকরূপে হিসাবে সোডিয়াম ধাতু ব্যবহৃত হয়।
অন্যদিকে,
- জ্বালানি হিসাবে ইউরেনিয়াম ও মডারেটর হিসাবে হাইড্রোজেন ব্যবহৃত হয়।
- হাইড্রোজেন পরমাণু খুবই হালকা হওয়ায় মডারেটর হিসেবে রিয়্যাক্টরে হাইড্রোজেন পরমাণুকেই বেশি ব্যবহার করা হয়। এছাড়া মডারেটর হিসেবে পরিষ্কার গ্রাফাইট, সাধারণ হালকা পানি, ভারী পানি ইত্যাদিও ব্যবহার করা হয়।
উৎস: রসায়ন, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং IAEA ওয়েবসাইট।

0
Updated: 1 month ago
কোনটিকে চুম্বকে পরিণত করা যায়?
Created: 4 weeks ago
A
তামা
B
ইস্পাত
C
পিতল
D
স্বর্ণ
চৌম্বক এবং অচৌম্বক পদার্থ
১. চৌম্বক পদার্থ (Magnetic Materials):
-
যে সব পদার্থ চুম্বকের দ্বারা আকর্ষিত হয় বা চুম্বক তৈরি করতে সক্ষম, তাদের চৌম্বক পদার্থ বলা হয়।
-
অধিকাংশ চৌম্বক পদার্থে লোহা (Fe) থাকে, তাই এগুলোকে ফেরো চৌম্বক পদার্থ (Ferromagnetic Materials) বলা হয়।
-
“ফেরো” শব্দের অর্থ হলো লোহা।
-
উদাহরণ: লোহা, ইস্পাত, নিকেল, কোবাল্ট ইত্যাদি।
২. অচৌম্বক পদার্থ (Non-Magnetic Materials):
-
যে সব পদার্থ চুম্বকের দ্বারা আকর্ষিত হয় না এবং চুম্বকে পরিণত করা যায় না, তাদের অচৌম্বক পদার্থ বলা হয়।
-
উদাহরণ: সোনা, রূপা, তামা, পিতল, অ্যালুমিনিয়াম, দস্তা, টিন, কাঠ, কাগজ, প্লাস্টিক, রাবার ইত্যাদি।
উৎস: নবম–দশম শ্রেণির পদার্থবিজ্ঞান পাঠ্যপুস্তক।

0
Updated: 4 weeks ago
ডায়োড সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়-
Created: 1 month ago
A
ক্যাপাসিটর হিসেবে
B
ট্রান্সফরমার হিসেবে
C
রেজিস্টর হিসেবে
D
রেক্টিফায়ার হিসেবে
ডায়োড হলো এমন একটি ইলেকট্রনিক যন্ত্র, যা বিদ্যুতের প্রবাহকে একদিকে যেতে দেয়, কিন্তু উল্টো দিকে যেতে দেয় না।
এটি নানা কাজে ব্যবহৃত হয়।
সাধারণ ডায়োড ছাড়াও Light Emitting Diode (LED) নামে ছোট ছোট রঙিন আলোও আছে।
ডায়োড তৈরি হয় যখন একটি p-টাইপ অর্ধপরিবাহী এবং একটি n-টাইপ অর্ধপরিবাহী একসাথে যুক্ত হয়। একে বলা হয় p-n জাংশন ডায়োড।
ডায়োড মূলত রেকটিফায়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। রেকটিফায়ারের কাজ হলো AC (অলটারনেটিং কারেন্ট) কে DC (ডাইরেক্ট কারেন্ট) এ পরিবর্তন করা।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।

0
Updated: 1 month ago
ভারী পানি (Heavy water) এর সংকেত হচ্ছে -
Created: 1 month ago
A
2H2O2
B
H2O
C
D2O
D
HD2O2
পানি
-
পানির রাসায়নিক সংকেত H₂O।
-
পানির একটি বিশেষ রূপ হলো ভারী পানি, যার সংকেত D₂O।
-
ভারী পানির রাসায়নিক নাম হলো ডিউটেরিয়াম অক্সাইড।
-
সাধারণ পানিতে থাকে প্রোটিয়াম (হাইড্রোজেনের এক আইসোটোপ) ও অক্সিজেন।
-
আর ভারী পানিতে থাকে ডিউটেরিয়াম (হাইড্রোজেনের আরেক আইসোটোপ) ও অক্সিজেন।
-
হাইড্রোজেনের মোট তিনটি আইসোটোপ আছে— প্রোটিয়াম, ডিউটেরিয়াম ও ট্রিটিয়াম।
-
সাধারণভাবে যখন আমরা হাইড্রোজেন বলি, তখন মূলত প্রোটিয়ামকেই বোঝানো হয়।
উৎস: মাধ্যমিক রসায়ন, নবম-দশম শ্রেণি, ২০১৯ সংস্করণ।

0
Updated: 1 month ago