পারমাণবিক চুল্লীতে তাপ পরিবাহক হিসেবে কোন ধাতু ব্যবহৃত হয়?
A
সোডিয়াম
B
পটাসিয়াম
C
ম্যাগনেসিয়াম
D
জিংক
উত্তরের বিবরণ
পারমাণবিক চুল্লি:
- নিউক্লিয়ার রিয়্যাক্টর (Nuclear Reactor) বা পারমাণবিক চুল্লি মূলত এক প্রকার তাপীয় যন্ত্র।
- পারমাণবিক চুল্লিতে শক্তি উৎপাদনের জন্য নিউক্লিয়ার ফিশন বা নিউক্লিয়ার চেইন বিক্রিয়া ব্যবহার করা হয়।
- পারমাণবিক চুল্লিতে পারমাণবিক জ্বালানি (ইউরেনিয়াম-২৩৫)-এর শৃঙ্খল বিক্রিয়া (chain reaction) ঘটিয়ে অত্যধিক তাপ শক্তি উৎপাদন করা হয়।
- মূলত ইউরেনিয়াম-২৩৫ (U-235) কে নিউট্রন দ্বারা আঘাত করলে নিউক্লিয়ার বিভাজনের (Nuclear Fission) মাধ্যমে পারমাণবিক চুল্লির মধ্যে প্রচুর পরিমাণ তাপ শক্তি উৎপন্ন হয়।
- পারমাণবিক চুল্লি বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন, চিকিৎসা বিজ্ঞান, পারমাণবিক অস্ত্র তৈরীসহ অনেক ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।
উল্লেখ্য,
- পারমাণবিক চুল্লিতে তাপ পরিবাহকরূপে হিসাবে সোডিয়াম ধাতু ব্যবহৃত হয়।
অন্যদিকে,
- জ্বালানি হিসাবে ইউরেনিয়াম ও মডারেটর হিসাবে হাইড্রোজেন ব্যবহৃত হয়।
- হাইড্রোজেন পরমাণু খুবই হালকা হওয়ায় মডারেটর হিসেবে রিয়্যাক্টরে হাইড্রোজেন পরমাণুকেই বেশি ব্যবহার করা হয়। এছাড়া মডারেটর হিসেবে পরিষ্কার গ্রাফাইট, সাধারণ হালকা পানি, ভারী পানি ইত্যাদিও ব্যবহার করা হয়।
উৎস: রসায়ন, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং IAEA ওয়েবসাইট।
0
Updated: 3 months ago
কাজ ও বলের একক যথাক্রমে-
Created: 2 months ago
A
নিউটন ও মিটার
B
জুল ও ডাইন
C
ওয়াট ও পাউন্ড
D
প্যাসকেল ও কিলোগ্রাম
কাজ ও বলের একক
-
SI পদ্ধতি:
-
কাজের একক: জুল (J)
-
বলের একক: নিউটন (N)
-
-
C.G.S পদ্ধতি:
-
বলের একক: ডাইন (dyne)
-
কাজের সংজ্ঞা ও একক:
-
কাজ = বল × সরণ
-
এখানে, বলের একক হলো নিউটন (N) এবং সরণের একক হলো মিটার (m)।
-
সুতরাং, কাজের একক হবে নিউটন-মিটার (N·m)।
-
নিউটন-মিটারকে জুল (J) বলা হয়।
-
অর্থাৎ, যদি কোনো বস্তুতে 1 নিউটন বল প্রয়োগ করা হয় এবং বস্তু বলটির দিকে 1 মিটার সরানো হয়, তখন সম্পন্ন কাজ হবে 1 জুল।
বল ব্যবহৃত এককসমূহ:
-
ডাইন (dyne)
-
নিউটন (N)
-
পাউন্ডাল (poundal)
সূত্র: পদার্থবিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 2 months ago
কোনটি নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস?
Created: 1 month ago
A
তেল
B
সমুদ্রের ঢেউ
C
গ্যাস
D
কয়লা
শক্তির উৎস দুটি প্রকারে বিভক্ত
-
নবায়নযোগ্য শক্তি (Renewable Energy)
-
এটি এমন শক্তি যা বারবার ব্যবহার করা যায়।
-
পরিবেশ বান্ধব হওয়ায় এটিকে গ্রীন শক্তিও বলা হয়।
-
উদাহরণস্বরূপ:
-
সৌরশক্তি (সূর্যের আলো থেকে)
-
বায়ু শক্তি (হাওয়ার প্রবাহ থেকে)
-
জলবিদ্যুৎ (নদী ও জলপ্রবাহ থেকে)
-
জোয়ার-ভাটা শক্তি
-
ভূ-তাপীয় শক্তি
-
সমুদ্রের ঢেউ থেকে শক্তি ইত্যাদি।
-
-
-
অনবায়নযোগ্য শক্তি (Non-Renewable Energy)
-
এটি এমন শক্তি যা পুনরায় ব্যবহার করা যায় না।
-
উদাহরণস্বরূপ:
-
কয়লা
-
খনিজ তেল (পেট্রোলিয়াম)
-
প্রাকৃতিক গ্যাস
-
নিউক্লিয়ার শক্তি ইত্যাদি।
-
-
উৎস: পদার্থ বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 1 month ago
কোন জোড়াটি বেমানান?
Created: 1 month ago
A
যক্ষ্মার জীবাণু : রবার্ট কচ
B
হোমিওপ্যাথি: হ্যানিম্যান
C
ব্যাকটেরিয়া : রবার্ট হুক
D
এনাটমি : ভেসলিয়াস
ওলন্দাজ বিজ্ঞানী অ্যান্টনি ফন লিউয়েন হুক ১৬৭৫ সালে তাঁর আবিষ্কৃত সরল অণুবীক্ষণ যন্ত্র ব্যবহার করে এক ফোঁটা বৃষ্টির পানিতে ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছিলেন। তিনি এই ক্ষুদ্র জীবকে Animalcule অর্থাৎ ক্ষুদ্র প্রাণী হিসেবে নামকরণ করেন।
এ কারণে তাকে ব্যাকটেরিওলজির জনক (Father of Bacteriology) বলা হয়। পরবর্তীতে, জার্মান বিজ্ঞানী এহরেনবার্গ ১৮২৯ সালে এ ধরনের জীবকে ব্যাকটেরিয়া নাম দেন।
-
যক্ষ্মা একটি মারাত্মক সংক্রামক রোগ, যা মাইকো-ব্যাকটেরিয়াম টিউবারকুলোসিস নামক জীবাণুর কারণে হাঁচি ও কাশির মাধ্যমে সংক্রমিত হয়। ১৮৮২ সালের ২৪ মার্চ ড. রবার্ট কচ জার্মানির বার্লিনে যক্ষ্মার জীবাণু আবিষ্কার করেন।
-
ক্রিস্টিয়ান ফ্রিডরিখ স্যামুয়েল হ্যানিম্যান ছিলেন জার্মানির একজন বিখ্যাত চিকিৎসক এবং তিনি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার জনক হিসেবে পরিচিত।
-
আন্দ্রেয়াস ভেসলিয়াস ছিলেন একজন বেলজিয়ান অ্যানাটমিস্ট ও চিকিৎসক, যাকে আধুনিক শারীরবিদ্যার জনক হিসেবে ধরা হয় এবং তার কাজ আধুনিক চিকিৎসার ভিত্তি স্থাপন করে।
0
Updated: 1 month ago