জারণ বিক্রিয়ায় কী ঘটে?
A
ইলেক্ট্রন গ্রহণ
B
ইলেক্ট্রন আদান-প্রদান
C
ইলেক্ট্রন বর্জন
D
শুধু তাপ উৎপন্ন হয়
উত্তরের বিবরণ
রেডক্স বিক্রিয়া
-
জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ায় ইলেকট্রন এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যায়।
-
এই ধরনের বিক্রিয়াকে রেডক্স (Redox) বিক্রিয়া বলা হয়।
-
'রেডক্স' শব্দটি এসেছে দুইটি শব্দ থেকে—'রেডাকশন' (বিজারণ) ও 'অক্সিডেশন' (জারণ)।
-
বিজারণ অর্থ হলো ইলেকট্রন গ্রহণ করা, আর জারণ অর্থ ইলেকট্রন হারানো বা ছেড়ে দেওয়া।
-
জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ায় পরমাণুর জারণ সংখ্যা পরিবর্তিত হয়।
-
সব রেডক্স বিক্রিয়াই ইলেকট্রনের আদান-প্রদানের মাধ্যমে ঘটে।
উৎস: রসায়ন প্রথম পত্র, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago
স্টিফেন হকিং একজন-
Created: 1 week ago
A
দার্শনিক
B
পদার্থবিদ
C
রসায়নবিদ
D
কবি
স্টিফেন হকিংঃ স্টিফেন হকিং বিশ্বের একজন প্রথিতযশা পদার্থবিজ্ঞানী।
• তাঁর রচিত বইসমূহ:
- A Brief History of Time,
- The Universe in a Nutshell,
- The Grand Design,
- A Brief History of Time.
উল্লেখ্য,
বিগ ব্যাং তত্ত্বের ব্যাখ্যা সম্বলিত স্টিফেন হকিং এর বিখ্যাত বই – 'A Brief History of Time'.
উৎস: ব্রিটানিকা।

0
Updated: 1 week ago
মানুষের রক্তে লোহিত কণিকা কোথায় সঞ্চিত থাকে?
Created: 3 weeks ago
A
হৃদযন্ত্রে
B
বৃক্কে
C
ফুসফুসে
D
প্লীহাতে
লোহিত রক্তকণিকা (Red Blood Cells - RBC)
-
মানুষের লোহিত রক্তকণিকা ডিম্বাকৃতি বা দু-অবতল চাকতির মতো দেখতে হয়।
-
এদের লাল রঙ হিমোগ্লোবিন নামক রঞ্জক পদার্থের কারণে, যা অক্সিজেন পরিবহনে বিশেষ ভূমিকা রাখে। তাই এদেরকে সাধারণত Red Blood Cell (RBC) বলা হয়।
-
আসলে, লোহিত রক্তকণিকা হলো হিমোগ্লোবিন ভর্তি চ্যাপ্টা ব্যাগের মতো। এই চ্যাপ্টা আকৃতির কারণে এটি সহজেই বেশি অক্সিজেন বহন করতে পারে।
-
লোহিত কণিকা বিভাজন করতে পারে না। এগুলো সবসময় অস্থিমজ্জা (Bone Marrow) থেকে তৈরি হয়ে রক্তে প্রবেশ করে।
-
মানুষের লোহিত রক্তকণিকার আয়ু প্রায় ১২০ দিন (৪ মাস)।
-
স্তন্যপায়ী প্রাণীদের ক্ষেত্রে, লোহিত কণিকা উৎপাদনের পরে নিউক্লিয়াস হারায়। কিন্তু অন্যান্য মেরুদণ্ডী প্রাণীর লোহিত কণিকায় নিউক্লিয়াস থাকে।
-
লোহিত কণিকাগুলো প্রয়োজনে প্লীহা (Spleen) থেকে রক্তে সরবরাহ করা হয়।
উৎস: বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।

0
Updated: 3 weeks ago
রঙিন টেলিভিশন থেকে ক্ষতিকর রশ্মি বের হয়?
Created: 1 month ago
A
গামা রশ্মি
B
বিটা রশ্মি
C
কসমিক রশ্মি
D
রঞ্জন রশ্মি
রঙিন টেলিভিশন ও রঞ্জন রশ্মি
রঙিন টেলিভিশন থেকে সামান্য পরিমাণে ক্ষতিকর রঞ্জন রশ্মি (X-ray জাতীয়) বের হতে পারে। তবে এই পরিমাণ খুবই কম, যা সাধারণভাবে মানুষের জন্য ক্ষতিকর নয় এবং উপেক্ষাযোগ্য।
রঙিন টেলিভিশনে সাদাকালো টেলিভিশনের মতো একই ধরণের প্রধান যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়। শুধু রঙিন ছবি দেখানোর জন্য এতে কিছু বাড়তি যন্ত্র যুক্ত থাকে।
রঙিন ছবি ধারণের জন্য টেলিভিশনের ক্যামেরায় লাল, সবুজ ও নীল রঙের জন্য আলাদা আলাদা ইলেকট্রন টিউব থাকে।
এছাড়া, রঙিন টিভির স্ক্রিনেও এই তিনটি রঙের (লাল, সবুজ, নীল) জন্য তিনটি ইলেকট্রন গান (electron gun) থাকে, যা স্ক্রিনে রঙিন ছবি তৈরি করে।
পর্দায় থাকে তিন রকম ফসফর দানা, যেগুলো আলাদা আলাদা রঙের আলো তৈরি করে।
যখন ইলেকট্রন গান থেকে বের হওয়া ইলেকট্রন এই দানাগুলোতে পড়ে, তখন প্রত্যেক ফসফর দানা তার নির্দিষ্ট রঙের আলো তৈরি করে। এইভাবে স্ক্রিনে লাল, সবুজ, নীল বিন্দু ফুটে ওঠে এবং সেগুলোর মিশ্রণে আমরা রঙিন ছবি দেখতে পাই।
তবে যখন ইলেকট্রন ফসফরের উপর আঘাত করে, তখন খুবই সামান্য পরিমাণে রঞ্জন রশ্মি নির্গত হয়, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়।
উৎস: বিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago