সমুদ্রে সাদা ধোঁয়া তৈরির জন্য নিচের কোনটি ব্যবহৃত হয়?
A
PH₃
B
NH₃
C
CO₂
D
H₂S
উত্তরের বিবরণ
সমুদ্রে বা জাহাজের উপরে দেখা সাদা ধোঁয়া (white smoke) আসলে একটি রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফল, যা ফসফিন গ্যাস (PH₃) ব্যবহারের মাধ্যমে তৈরি করা হয়। এই প্রক্রিয়াটি মূলত আর্দ্র বায়ুর সঙ্গে ফসফিনের বিক্রিয়ার কারণে ঘটে।
-
ফসফিন গ্যাস (PH₃) বায়ুর সংস্পর্শে এলে দ্রুত অক্সিডাইস হয়ে ফসফরাস পেন্টঅক্সাইড (P₂O₅) গঠন করে।
-
উৎপন্ন P₂O₅ বায়ুর আর্দ্রতার সঙ্গে বিক্রিয়া করে, ফলে সাদা ধোঁয়া সদৃশ কণিকা (white fumes) তৈরি হয়।
-
এই বিক্রিয়ার কারণেই সমুদ্র বা জাহাজের উপর ঘন সাদা ধোঁয়া দৃশ্যমান হয়, যা বাস্তবে জলীয় বাষ্প ও ফসফরাস যৌগের মিশ্রণ।
0
Updated: 5 days ago
বাফার
দ্রবণের কাজ কি?
Created: 5 days ago
A
pH নিয়ন্ত্রণ
করা
B
ঘণত্ব
নিয়ন্ত্রণ করা
C
বিক্রিয়ার
সমতা রক্ষা করা
D
কোনটিই
নয়
বাফার দ্রবণ (Buffer Solution) হলো এমন একটি দ্রবণ, যা অল্প পরিমাণে অ্যাসিড বা ক্ষার যোগ করা হলেও pH তেমন কোনো পরিবর্তন হতে দেয় না। এটি একটি বিশেষ ধরনের দ্রবণ যা pH নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, বিশেষত যখন pH পরিবর্তন হওয়া সম্ভব হতে পারে।
-
এটি সাধারণত একটি দুর্বল অ্যাসিড এবং তার লবণ (যেমন অ্যাসিটিক অ্যাসিড + সোডিয়াম অ্যাসিটেট) অথবা একটি দুর্বল ক্ষার এবং তার লবণ (যেমন অ্যামোনিয়া + অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড) দ্বারা গঠিত হয়।
বাফার দ্রবণের কাজ:
-
দ্রবণে pH স্থির রাখা।
-
অল্প অ্যাসিড বা ক্ষার যুক্ত হলেও pH পরিবর্তন প্রতিরোধ করা।
-
জৈবিক প্রক্রিয়া, রক্তের pH নিয়ন্ত্রণ, এবং রাসায়নিক পরীক্ষায় স্থির পরিবেশ বজায় রাখতে সাহায্য করা।
তাহলে, বাফার দ্রবণের মূল কাজ হলো pH নিয়ন্ত্রণ করা।
0
Updated: 5 days ago
কোন মৌলটির তড়িৎ ঋণাত্মকতা সবচেয়ে বেশি?
Created: 5 days ago
A
ফ্লোরিন
B
ক্লোরিন
C
অক্সিজেন
D
নাইট্রোজেন
তড়িৎ ঋণাত্মকতা (Electronegativity) হলো একটি পরমাণুর সেই প্রবণতা, যার মাধ্যমে এটি অন্য পরমাণুর সাথে যৌগ গঠনের সময় বন্ধন ইলেকট্রনকে নিজের দিকে আকর্ষণ করে। এই মান যত বেশি, পরমাণুর ইলেকট্রন আকর্ষণ ক্ষমতা তত বেশি।
-
পর্যায় সারণিতে বাম থেকে ডানে গেলে তড়িৎ ঋণাত্মকতা বৃদ্ধি পায়, কারণ নিউক্লিয়ার চার্জ বাড়ে কিন্তু পরমাণুর আকার ছোটে।
-
উপর থেকে নিচে গেলে এটি হ্রাস পায়, কারণ পরমাণুর আকার বৃদ্ধি পায় এবং নিউক্লিয়াসের আকর্ষণ কমে।
-
ফ্লোরিন (F) হলো দ্বিতীয় পর্যায়ের হ্যালোজেন গ্রুপের সর্বোচ্চস্থানে অবস্থিত এবং এর পারমাণবিক আকার সবচেয়ে ছোট।
-
ফলে এর নিউক্লিয়াস ও বন্ধন ইলেকট্রনের মধ্যে আকর্ষণ সর্বাধিক, যা একে সব মৌলের মধ্যে সর্বাধিক তড়িৎ ঋণাত্মক করে তোলে।
তড়িৎ ঋণাত্মকতার মান (Pauling scale): ফ্লোরিন = 4.0, যা পৃথিবীর সব মৌলের মধ্যে সর্বোচ্চ।
0
Updated: 5 days ago
নিচের কোন মৌলটি S-block মৌল?
Created: 5 days ago
A
La
B
Sc
C
Ne
D
Rb
S-block মৌল বলতে পর্যায় সারণির সেই মৌলগুলোকে বোঝায়, যাদের বহিঃস্থ ইলেকট্রন s-অরবিটালে থাকে। এতে মূলত গ্রুপ-১ (Alkali metals), গ্রুপ-২ (Alkaline earth metals) এবং হিলিয়াম (He) অন্তর্ভুক্ত।
-
গ্রুপ-১ মৌল: হাইড্রোজেন (H), লিথিয়াম (Li), সোডিয়াম (Na), পটাশিয়াম (K), রুবিডিয়াম (Rb), সিজিয়াম (Cs), ও ফ্রানসিয়াম (Fr)।
-
গ্রুপ-২ মৌল: বেরিলিয়াম (Be), ম্যাগনেসিয়াম (Mg), ক্যালসিয়াম (Ca), স্ট্রনশিয়াম (Sr), ব্যারিয়াম (Ba), ও রেডিয়াম (Ra)।
-
হিলিয়াম (He)-ও S-block মৌল, কারণ এর ইলেকট্রন বিন্যাস 1s²।
সুতরাং, Rb (রুবিডিয়াম) হলো গ্রুপ-১-এর মৌল এবং তাই এটি একটি S-block মৌল।
0
Updated: 5 days ago