চাঁদ দিগন্তের কাছে অনেক বড় দেখায় কেন?
A
বায়ুমণ্ডলীয় প্রতিসরণে
B
আলোর বিচ্ছুরণে
C
অপাবর্তনে
D
দৃষ্টিভ্রমে
উত্তরের বিবরণ
চাঁদ থেকে আলোক রশ্মি পৃথিবীপৃষ্ঠে আসার সময় পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে আলোর প্রতিসরণ ঘটে অর্থাৎ আলোক রশ্মি বেঁকে যায়।
চাঁদ যখন দিগন্তের কাছে থাকে তখন আলোক রশ্মি তুলনামূলকভাবে অধিক পরিমাণে বেঁকে যায়।
বায়ুমণ্ডলীয় প্রতিসরণের কারণে দিগন্তের নিকটে চাঁদ ও সূর্যকে ডিম্বাকৃতি এবং তুলনামূলকভাবে বড় দেখা যায়।
উৎস: scientificamerican.com
0
Updated: 3 months ago
কোন ডালের সংগে ল্যাথারাইজম রোগের সম্পর্ক আছে?
Created: 2 months ago
A
অড়হর
B
ছোলা
C
খেসারী
D
মটর
অতিরিক্ত পরিমাণে খেসারি ডাল খেলে ল্যাথাইরিজম নামে একটি রোগ দেখা দিতে পারে।
-
এই ডাল বাংলাদেশ, ভারত, আলজেরিয়া এবং ইউরোপের কিছু দেশ যেমন ফ্রান্স, ইতালি, স্পেন, এছাড়াও অস্ট্রেলিয়ার কিছু অঞ্চলের মানুষ খেয়ে থাকে।
-
এই রোগ শুধু মানুষের মধ্যে নয়, ঘোড়া ও গবাদি পশুর মধ্যেও লক্ষ্য করা যায়।
-
পুরুষদের মধ্যে এই রোগের প্রকোপ তুলনামূলকভাবে বেশি দেখা যায়।
-
পশুদের ক্ষেত্রে পা ও স্বরযন্ত্রের পেশী দুর্বল হয়ে যায় এবং শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা দেখা দেয়।
-
মানুষের ক্ষেত্রে স্নায়ুতন্ত্রে ক্ষত সৃষ্টি হয়, যা নির্দিষ্ট অঙ্গের স্থায়ী ক্ষতির কারণ হতে পারে।
-
Fabaceae পরিবারের Papillionaceae উপ-পরিবারের Lathyrus প্রজাতির কিছু উদ্ভিদের বীজ খেলে এই রোগের ঝুঁকি থাকে। এর মধ্যে খেসারি ডাল অন্যতম।
-
১৮৭৩ সালে ইতালির কান্তানি নামের এক বিজ্ঞানী প্রথম এই রোগকে ‘ল্যাথাইরিজম’ নামে অভিহিত করেছিলেন।
উৎস: বাংলাপিডিয়া ওয়েবসাইট
0
Updated: 2 months ago
জারণ বিক্রিয়ায় ঘটে-
Created: 2 months ago
A
ইলেক্ট্রন বর্জন
B
ইলেক্ট্রন গ্রহণ
C
ইলেক্ট্রন আদান-প্রদান
D
তড়িৎ ধনাত্মক মৌলের বা মূলকের অপসারণ
রেডক্স বিক্রিয়া
-
জারণ-বিজারণ এমন একটি রাসায়নিক বিক্রিয়া যেখানে ইলেকট্রন এক পদার্থ থেকে অন্য পদার্থে স্থানান্তরিত হয়।
-
এই ধরনের বিক্রিয়াকে রেডক্স (Redox) বিক্রিয়া বলা হয়।
-
"Redox" শব্দটি এসেছে দুটি শব্দ থেকে—Reduction (বিজারণ) এর “Red” এবং Oxidation (জারণ) এর “Ox” অংশ মিলিয়ে। অর্থাৎ, রেডক্স মানে হলো জারণ-বিজারণ বিক্রিয়া।
-
বিজারণ প্রক্রিয়ায় কোনো পদার্থ ইলেকট্রন গ্রহণ করে, আর জারণ প্রক্রিয়ায় পদার্থটি ইলেকট্রন ত্যাগ করে।
-
এ ধরনের বিক্রিয়ায় মৌলের জারণ সংখ্যা পরিবর্তিত হয়।
-
সব জারণ-বিজারণ বিক্রিয়া মূলত ইলেকট্রনের স্থানান্তরের মাধ্যমেই সংঘটিত হয়।
উৎস: রসায়ন প্রথম পত্র, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 2 months ago
বাসা বাড়িতে সরবরাহকৃত বিদ্যুতের ফ্রিকোয়েন্সি হলো-
Created: 2 months ago
A
৫০ হার্জ
B
২২০ হার্জ
C
২০০ হার্জ
D
১০০ হার্জ
বিদ্যুৎ
-
যে তড়িৎ প্রবাহ নির্দিষ্ট সময় পর পর দিক পরিবর্তন করে, তাকে পর্যাবৃত্ত প্রবাহ বা Alternating Current (AC) বলা হয়।
-
আমাদের দেশে বাড়িঘরে যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়, সেটি প্রতি সেকেন্ডে ৫০ বার দিক পরিবর্তন করে।
অর্থাৎ এর ফ্রিকোয়েন্সি ৫০ হার্জ (Hz)।
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি মূলত ৪ ধরনের ভোল্টেজ স্তরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে।
১. নিম্নচাপ (LT) – ২৩০/৪০০ ভোল্ট
-
এক ফেজে ২৩০ ভোল্ট এবং তিন ফেজে ৪০০ ভোল্ট এসি বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।
-
ফ্রিকোয়েন্সি: ৫০ হার্জ।
(এটি আমাদের বাসাবাড়ি ও ছোট ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহৃত হয়।)
২. মধ্যমচাপ (MT) – ১১ কেভি
-
১১ কেভি এসি বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।
-
ফ্রিকোয়েন্সি: ৫০ হার্জ।
(এটি সাধারণত শিল্প ও মাঝারি আকারের প্রতিষ্ঠানে ব্যবহার হয়।)
৩. উচ্চচাপ (HT) – ৩৩ কেভি
-
৩৩ কেভি এসি বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।
-
ফ্রিকোয়েন্সি: ৫০ হার্জ।
(এটি বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান বা কারখানায় ব্যবহৃত হয়।)
৪. অতি উচ্চচাপ (EHT) – ১৩২ কেভি ও ২৩০ কেভি
-
১৩২ কেভি ও ২৩০ কেভি এসি বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।
-
ফ্রিকোয়েন্সি: ৫০ হার্জ।
(এ ধরনের বিদ্যুৎ বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে দূরবর্তী অঞ্চলে বিদ্যুৎ পৌঁছাতে ব্যবহার করা হয়।)উৎস: desco.org.b; বিজ্ঞান, অষ্টম শ্রেণি এবং জাতীয় তথ্য বাতায়ন।
0
Updated: 2 months ago