ছত্রাক দ্বারা উৎপর স্কেলেরোসিয়াম (Sclerotium) কি?
A
একটি ভূ-গর্ভস্থ গঠন
B
একটি শক্ত বিশ্রামরত দেহ
C
প্রধান খাদ্য সংরক্ষণকারী অঙ্গ
D
সহজেই বাতাস দ্বারা বাহিত অঙ্গ
উত্তরের বিবরণ
স্ক্লেরোটিয়াম (Sclerotium) হলো ছত্রাকের একটি বিশেষ, শক্ত ও ঘন কাঠামো, যা প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকার জন্য বিশ্রামরত দেহ (resting body) হিসেবে কাজ করে। এটি ছত্রাকের বেঁচে থাকা ও পুনর্জন্মের কৌশল হিসেবে বিবেচিত।
-
স্ক্লেরোটিয়াম সাধারণত ঘনভাবে প্যাক করা হাইফা (hyphae) দ্বারা গঠিত হয় এবং এর বাইরের স্তর শক্ত ও কালচে রঙের হয়।
-
এটি খাদ্য সংরক্ষণ করতে সক্ষম, যা ছত্রাককে দীর্ঘ সময় অনুকূল পরিবেশের অপেক্ষায় থাকতে সাহায্য করে।
-
অনুকূল পরিবেশ ফিরে এলে, স্ক্লেরোটিয়াম থেকে নতুন থ্যালি (mycelium) বা প্রজনন কাঠামো গঠন হতে পারে।
-
উদাহরণ: Sclerotinia sclerotiorum এবং Claviceps purpurea—যেখানে স্ক্লেরোটিয়াম প্রতিকূল অবস্থায় টিকে থাকে এবং পরবর্তীতে নতুন সংক্রমণ সৃষ্টি করে।
অতএব, স্ক্লেরোটিয়াম হলো ছত্রাকের টিকে থাকার কঠিন, খাদ্যসমৃদ্ধ বিশ্রাম কাঠামো, যা অনুকূল পরিবেশে পুনরায় সক্রিয় হয়।
0
Updated: 5 days ago
দু'টি ভিন্ন উদ্ভিদ সম্প্রদায়ের মিলনস্থানের উদ্ভিদ এবং পাহাড়ের ঢালু এলাকার উদ্ভিদ জরীপ করার জন্য কোন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়?
Created: 1 week ago
A
Transect method (ট্রানসেক্ট পদ্ধতি)
B
Bisect method (সমদ্বিখন্ডক পদ্ধতি)
C
Line intercept (রেখা ইন্টারসেপ্ট পদ্ধতি)
D
Quadrate method (বর্গক্ষেত্র পদ্ধতি)
ট্রানসেক্ট পদ্ধতি (Transect Method) হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবেশগত জরিপ বা উদ্ভিদ সমাজবিদ্যার (phytosociological) পদ্ধতি, যার মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট রেখা বরাবর বা তার পাশে উদ্ভিদের প্রজাতি ও সংখ্যা রেকর্ড করা হয়। এটি বিশেষত এমন এলাকায় ব্যবহৃত হয় যেখানে পরিবেশের পরিবর্তন ক্রমান্বয়ে ঘটে বা ভিন্ন সম্প্রদায়ের সংযোগস্থল (ecotone) বিদ্যমান।
-
উদ্দেশ্য: ভিন্ন পরিবেশ বা ঢালু ভূমিতে উদ্ভিদের বিন্যাস, বৈচিত্র্য ও পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ করা।
-
ব্যবহারযোগ্য ক্ষেত্র:
-
দুই ভিন্ন উদ্ভিদ সম্প্রদায়ের সংযোগস্থল (ecotone) অধ্যয়ন।
-
ঢালু ভূমি, পাহাড়ি অঞ্চল বা পরিবেশগত গ্রেডিয়েন্ট (environmental gradient) বরাবর উদ্ভিদ পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ।
-
-
পদ্ধতির ধরণ:
১. Line Transect: নির্দিষ্ট দিক বরাবর দড়ি বা মাপার ফিতা টানা হয়; এর বরাবর উদ্ভিদের প্রজাতি নথিভুক্ত করা হয়।
২. Belt Transect: Line transect-এর দুই পাশে নির্দিষ্ট প্রস্থের একটি বেল্ট নির্ধারণ করে, সেই বেল্টের মধ্যে সব উদ্ভিদ গণনা করা হয়। -
গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসূত্র:
-
Odum (1971) বলেছেন, “Transect method is used to study vegetation along an environmental gradient or ecotone.”
-
Misra (1968) লিখেছেন, “The transect method is suitable for studying vegetation variation across slopes and transition zones.”
-
অর্থাৎ, ট্রানসেক্ট পদ্ধতি ঢালু অঞ্চল বা দুই সম্প্রদায়ের মিলনস্থলে উদ্ভিদের পরিবর্তন নির্ণয়ের জন্য উপযুক্ত।
-
-
সম্পর্কিত অন্যান্য পদ্ধতি:
-
Quadrat Method: সমতল অঞ্চলে উদ্ভিদের ঘনত্ব, সংখ্যা ও বন্টন নির্ণয়ে ব্যবহৃত।
-
Line Intercept Method: নির্দিষ্ট রেখা বরাবর উদ্ভিদের আচ্ছাদন (cover) পরিমাপে ব্যবহৃত।
-
Bisect Method: প্রাণীর চলাচল বা ক্ষেত্র বিভাজনের জন্য ব্যবহৃত, তবে এটি বর্তমানে অপ্রচলিত।
-
0
Updated: 1 week ago
Ergotism এর কারণ-
Created: 1 week ago
A
Rhizopus
B
Claviceps purpurea
C
Aspergillus
D
Neurospora
Ergotism হলো এক ধরনের বিষক্রিয়া (poisoning), যা ঘটে যখন মানুষ বা প্রাণী Claviceps purpurea নামক ছত্রাক দ্বারা সংক্রমিত রাই (rye) বা অনুরূপ শস্যজাত খাদ্য গ্রহণ করে। এই ছত্রাকটি Ergot alkaloids উৎপন্ন করে, যা স্নায়ুতন্ত্র, রক্তনালী ও প্রজনন অঙ্গের ওপর বিষক্রিয়ামূলক প্রভাব ফেলে।
-
কারণ:
-
Claviceps purpurea হলো Ascomycetes শ্রেণির পরজীবী ছত্রাক, যা রাই, গম, যব ও ওট ইত্যাদি শস্যের ফুলের ডিম্বাণুতে সংক্রমণ ঘটায়।
-
সংক্রমিত ডিম্বাণু কালো-বেগুনি রঙের sclerotium (Ergot)-এ রূপান্তরিত হয়, যাতে Ergotamine, Ergometrine, Ergobasine প্রভৃতি toxic alkaloids থাকে।
-
-
Ergotism রোগের লক্ষণ:
-
স্নায়ুতন্ত্রে প্রভাব: খিঁচুনি, হ্যালুসিনেশন, বিভ্রম।
-
রক্ত চলাচলে প্রভাব: রক্তনালীর সংকোচন, ফলে রক্তপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি।
-
প্রজননে প্রভাব: গর্ভাশয়ের সংকোচন (uterine contraction) ঘটায়, যা গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ায়।
-
-
Alexopoulos & Mims (1979) উল্লেখ করেছেন:
“Claviceps purpurea infects rye and produces ergot alkaloids responsible for ergotism in humans and animals.” -
Prescott, Harley & Klein (Microbiology, 9th ed.) বলেছেন:
“Consumption of grains contaminated with ergot sclerotia of Claviceps purpurea leads to ergotism, characterized by hallucination and gangrene.”
অতএব, Ergotism হলো Claviceps purpurea-এর Ergot alkaloids দ্বারা সৃষ্ট ছত্রাকজনিত বিষক্রিয়া, যা স্নায়ুতন্ত্র, রক্তপ্রবাহ ও প্রজনন ব্যবস্থায় মারাত্মক প্রভাব ফেলে।
0
Updated: 1 week ago
কোনটি সত্য নয়-
Created: 1 week ago
A
প্রোটন এমাইনো এসিডের পলিমার
B
প্রোটিন এমাইনো এসিডের পলিমার
C
প্রোটিনকে ‘বায়োমার্কার' বলা হয়
D
উচ্চতাপে প্রোটিনের স্বভাব-বিচ্যুতি ঘটে
প্রোটিন হলো জীবদেহের একটি মৌলিক জৈব যৌগ, যা অ্যামাইনো অ্যাসিড দ্বারা গঠিত পলিমার এবং পেপটাইড বন্ধনে (peptide bond) সংযুক্ত থাকে। এটি জীবদেহের গঠন, বিপাক ও নিয়ন্ত্রণমূলক কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
(ক) প্রোটিন সত্যিই অ্যামাইনো অ্যাসিডের পলিমার, যেখানে বহু অ্যামাইনো অ্যাসিড পেপটাইড বন্ধনের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে একটি জটিল ত্রিমাত্রিক গঠন তৈরি করে।
-
(খ) একই বক্তব্য পুনরাবৃত্ত হওয়ায় এটি নতুন তথ্য প্রদান করে না।
-
(গ) “প্রোটিনকে বায়োমার্কার বলা হয়” — এই বক্তব্য আংশিক সত্য। সব প্রোটিন বায়োমার্কার নয়, তবে কিছু প্রোটিন যেমন Troponin, Albumin রোগ নির্ণয়ে বায়োমার্কার হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
-
বায়োমার্কার হলো এমন অণু যা জীবদেহের শারীরবৃত্তীয় বা রোগগত অবস্থা নির্দেশ করে। প্রোটিন এর একটি ধরন হতে পারে, কিন্তু সব প্রোটিনই বায়োমার্কার নয়।
-
(ঘ) প্রোটিনের স্বভাব-বিচ্যুতি (denaturation) ঘটে যখন তা উচ্চ তাপ, অস্বাভাবিক pH বা রাসায়নিক পদার্থের প্রভাবে তার স্বাভাবিক ত্রিমাত্রিক গঠন হারায়।
-
তাই বলা যায়, প্রোটিন হলো অ্যামাইনো অ্যাসিড দ্বারা গঠিত বৃহৎ অণু, যা নির্দিষ্ট অবস্থায় বিকৃতি (denaturation) প্রাপ্ত হতে পারে, তবে সব প্রোটিনকে বায়োমার্কার বলা সঠিক নয়।
0
Updated: 1 week ago